• ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Agreement

খেলার দুনিয়া

‌যাবতীয় প্রতীক্ষার অবসান, ইমামির সঙ্গে চুক্তি হল ইস্টবেঙ্গলের

এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন অগনিত লালহলুদ সমর্থক। অবশেষে যাবতীয় প্রতীক্ষার অবসান। ইমামির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি হয়ে গেল। মঙ্গলবার মধ্য কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে দুই পক্ষ চুক্তিপত্রে সই করে। তবে মোহনবাগানের মতো নামের আগে অন্য ক্লাবের নাম জুড়ে খেলতে হবে না ইস্টবেঙ্গলকে।মে মাসে দুই পক্ষের কর্তাদের উপস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছিলেন, এই মরশুমের ইস্টবেঙ্গলে লগ্নি করবে ইমামি গোষ্ঠী। সেই ঘোষণার পর দুমাসের বেশি সময় কেটে গেলেও নানা জটিলতায় সরকারিভাবে চুক্তিপত্রে সই হয়নি। দুই পক্ষের কর্তারা বারবার চুক্তিপত্র নিয়ে আলোচনায় বসেন। নানা সংশোধনী হয়। অংশীদারিত্ব নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত লালহলুদ কর্তারা ৭৭ শতাংশ শেয়ার লগ্নিকারী সংস্থার হাতে ছেড়ে দিতে রাজি হয়। এরপরই সমস্যার সমাধান হয়।ইমামির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর নতুন সংস্থার নাম হল ইমামি ইস্টবেঙ্গল প্রাইভেট লিমিটেড। নতুন কোম্পানির ৭৭ শতাংশ শেয়ার থাকবে ইমামির হাতে। ২৩ শতাংশ শেয়ার থাকবে ইস্টবেঙ্গলের কাছে। নতুন বোর্ডে ৭ জন ইমামির প্রতিনিধি থাকবেন, ৩ জন ইস্টবেঙ্গল প্রতিনিধি। কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ড কাপে ইমামি ইস্টবেঙ্গল নামে খেলবে লালহলুদ। আইএসএলে শুধুমাত্র ইস্টবেঙ্গল এফসি নাম ব্যবহার করা হবে। মঙ্গলবার চুক্তিপত্রে সই হওয়ার পর ইমামি গোষ্ঠীর কর্ণধার আদিত্য আগরওয়াল বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই দেশের ক্রীড়াজগতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে ইমামির। প্রয়াত মিলখা সিংহ থেকে শুরু করে সৌরভ গাঙ্গুলি, শচীন তেণ্ডুলকার, বীরেন্দ্র শেহবাগ, সাইনা নেহাল, সানিয়া মির্জা, মেরি কম, সুশীল কুমারের মতো ক্রীড়া জগতের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বকে আমরা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে তুলে এনেছি। ৯০এর দশকে আমরা ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর হিসেবে ছিলাম। এ বার বিনিয়োগকারী হিসেবে যুক্ত হতে পেরে খুশি।ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সচিব কল্যাণ মজুমদার বলেন, ইমামিকে বিনিয়োগকারী হিসেবে পেয়ে আমরা খুব খুশি। ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে দেশের অন্যতম সেরা ফুটবল দল বানানোই আমাদের লক্ষ্য। আপাতত ডুরান্ড কাপ এবং কলকাতা লিগে ভাল দল গড়াই প্রধান লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএলের জন্য দল গঠন ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে তারা। এদিন চুক্তিপত্রে সই অনুষ্ঠানে ইস্টবেঙ্গলের একঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার হাজির ছিলেন।

আগস্ট ০২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ইস্টবেঙ্গলের চুক্তিপত্রে সই করে পাঠিয়ে দিলেন কনস্টানটাইন, ইমামির সই কবে?‌

সামনের মরশুমে আইএসএলে স্টিফেন কনস্টানটাইনকেই লালহলুদের রিজার্ভ বেঞ্চে দেখা যাবে। মঙ্গলবারই বিষয়টা নিশ্চিত হয়ে গেল। ইমামি গোষ্ঠীর পাঠানো চুক্তিপত্রে সই করে এদিনই তা পাঠিয়ে দিয়েছেন এই ব্রিটিশ হাই প্রোফাইল কোচ। ক্লাবের একটা বিশেষ সূত্র থেকে খবরটা জানা গেছে। কনস্টানটাইন চুক্তিপত্রে সই করায়, একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, আইএসএলে তাংর কোচিংয়ে খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল। কনস্টানটাইনের চুক্তিপত্রে সই করার কথা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা বাকি।লালহলুদের চুক্তিপত্রে সই করলেও এখনই কলকাতায় আসছেন না কনস্টানটাইন। ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, ডুরান্ড কাপ চলার সময় তিনি কলকাতায় আসতে পারেন। নিজের পছন্দ করা সাপোর্ট স্টাফদেরও তিনি সঙ্গে নিয়ে আসবেন। কলকাতা লিগ ও ডুরান্ত কাপে ইস্টবেঙ্গলের কোচের দায়িত্ব সামলাবেন বিনো জর্জ। তিনি দুএকদিনের মধ্যেই কলকাতা চলে আসছেন। বিনো জর্জ আইএসএলে স্টিফেন কনস্টানটাইনের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন।এদিকে, চলতি মাসেও ইমামির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি হচ্ছে না। কয়েকদিন আগে শোনা গিয়েছিল বুধ কিংবা বৃহস্পতিবার চুক্তিপত্রে সই হতে পারে। কিন্তু সূত্রের খবর, সামনের সপ্তাহের প্রথম দিকে চুক্তিপত্রে সই হবে। তবে দল গঠন প্রক্রিয়া চলবে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি পাকা হয়েছে। গত বছর লালহলুদ জার্সি গায়ে খেলা অঙ্কিত মুখার্জির সঙ্গে পাকা কথা হয়ে গেছে। আরও কয়েকজন ফুটবলার প্রাথমিক চুক্তিপত্রে সই করেছেন বলে খবর।

জুলাই ২৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ইমামির সঙ্গে চুক্তিজটে ইস্টবেঙ্গলের হাতছাড়া আরও এক বিদেশি স্ট্রাইকার

ইমামির সঙ্গে এখনও চুক্তি না হওয়ায় ফুটবলারদের সি করাতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল। প্রাথমিক কথাবার্তা হলেও এর ফলে একের পর এক ফুটবলার হাতছাড়া হয়ে চলেছে লালহলুদের। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়েও ভরসা করতে পারলেন না বিদেশি স্ট্রাইকার দেশর্ন ব্রাউন। এবার তিনিও হাতছাড়া। লালহলুদের অপেক্ষায় না থেকে নতুন ক্লাব বেছে নিলেন মেজর সকার লিগে খেলা জামাইকার এই স্ট্রাইকার।শনিবারই দেশর্ন ব্রাউন সই করেছেন মেজর সকার লিগের ক্লাব সাক্রামেন্টোতে। ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি সাক্রামেন্টোও প্রস্তাব দিয়েছিল ব্রাউনকে। ইস্টবেঙ্গলের টালবাহনার জন্য তিনি মেজর সকার লিগের এই ক্লাবকেই বেছে নিলেন। লালহলুদে সই না করার পেছনে তিনি ক্লাবের চুক্তি জটের কথা জানিয়েছেন।দেশর্ন ব্রাউন ছাড়াও তরুণ গোলকিপার ভাস্কর রায়কেও পাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল। তাঁকেও প্রস্তাব দিয়েছিলেন লালহলুদ কর্তারা। কিন্তু ইমামির সঙ্গে চুক্তি জটের জন্য তিনি আর অপেক্ষা করতে পারলেন না। তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য ঝঁাপয়েছিল মুম্বই সিটি এফ সি। দুবছরের চুক্তিতে তিনি মুম্বইতে সি করেছেন। গত মরশুমে আই লিগে রাজস্থান ইউনাইটেডের জার্সিতে দুর্দান্ত খেলেছিলেন। আই লিগের সেরা গোলকিপারের তকমা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। মুম্বই সিটি এফ সির চুক্তিপত্রে সই করার পর তিনি বলেন, মুম্বই সিটির হয়ে আইএসএলে খেলার সুযোগ পাওয়াটা আমার কাছে দারুণ ব্যাপার। এই সুযোগ কাজে লাগাতে আমি বদ্ধপরিকর।এদিকে, সামনের মরশুমের জন্য শক্তিশালী দল গড়ার পথে এগোচ্ছে বেঙ্গালুরু এফ সি। রয় কৃষ্ণাকে তুলে নেওয়ার পর এবার তারা সই করাল অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডার অ্যালেক্সজান্ডার জোভানোভিচকে। এশিয়ান কোটার বিদেশি হিসেবে তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চার ফুটবলারকে সই করাল বেঙ্গালুরু এফসি। এরা হলেন, সুধীর কোটিকালা, অঙ্কিত পদ্মনাভন, ক্লারেন্স এবং ফেলিক্সসন ফার্নান্ডেজ। সুধীরকে দুই বছরের চুক্তিতে এবং অঙ্কিতকে তিন বছরের চুক্তিতে সই করিয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি।

জুলাই ২৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

চুক্তিপত্রে সই না হওয়া পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগ করবে না ইমামি

শ্রী সিমেন্টের পর এবার ইমামি। লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে জট কিছুতেই কাটছে না। প্রাথমিক কথা হওয়ার প্রায় মাসখানেক পর ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে পৌঁছেছে ইমামির চুক্তির খসড়া। চুক্তিপত্র দেখে সই করতে বেঁকে বসেছেন লালহলুদ কর্তারা। এবার শুরু হয়েছে শেয়ার নিয়ে দর কষাকষি।ইমামি যে চুক্তিপত্র পাঠিয়েছে তাতে ৮০ শতাংশ শেয়ার চেয়েছে তারা। লালহলুদ কর্তারা এই পরিমান শেয়ার ছাড়তে রাজি নন। তাঁরা ইমামির সঙ্গে শেয়ার নিয়ে দর কষাকষির খেলায় নেমেছে। সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ৫০ শতাংশ শেয়ার নিজেদের কাছে রাখতে চান। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, ক্লাবের ৪ জন কর্তাকে বোর্ড অফ ডিরেক্টরে রাখতে হবে। লালহলুদ কর্তাদের দ্বিতীয় দাবিটা মেনে নিতে রাজি ইমামি। কিন্তু শেয়ারের ব্যাপারে তারা অনড়। ১০ জন সদস্যকে নিয়ে বোর্ড অফ ডিরেক্টর গঠন করা হবে। ১০ জন সদস্যের মধ্যে ৬ জন থাকবে ইমামির ও ৪ জন ইস্টবেঙ্গলের। চুক্তির খসড়া লালহলুদ তাঁবুতে পৌঁছনোর পর ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যান মজুমদার ইমামিকে একটা চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, দল গঠন প্রক্রিয়া দ্রুত সেরে ফেলার জন্য। প্রাকারান্তে তিনি চুক্তি নিয়ে ইমামির ওপর চাপ তৈরি করতে চাইছেন। চিঠিতে লালহলুদ সচিব লিখেছেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সামনে একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলাম। দল গঠনের প্রক্রিয়া যদি গতি না পায় তাহলে গত দুই তিন বছরের মতো আবার আমাদের লক্ষ্য অপূর্ণ থাকবে এবং ফুটবলপ্রেমীদের হতাশা ছাড়া আর কিছুই দেওয়া যাবে না। তাই চুক্তির প্রক্রিয়া সমান্তরালে চলুক যাতে দল গঠনের প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়।সূত্রের খবর, এই সপ্তাহে চুক্তিপত্রে সই হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। সামনের মাসের প্রথম সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করার পরই চুক্তিতেই সই করতে চান ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। এদিকে, ইমামি কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তিপত্রে সই না হওয়া পর্যন্ত তারা বিনিয়োগ করতে রাজি নয়।

জুন ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুই তরুণ ফুটবলারের সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি করল এটিকে মোহনবাগান

কথাবার্তা আগেই চূড়ান্ত হয়েছিল। সোমবার সরকারিভাবে এটিকে মোহনবাগানের চুক্তিপত্রে সই করলেন আশিক কুরুনিয়ান ও আশিস রাই। এই দুই ফুটবলারের সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি করেছে এটিকে মোহনবাগান। বেঙ্গালুরু এফসি থেকে সবুজমেরুণে এলেন আশিক কুরুনিয়ান। অন্যদিকে গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ এফসি থেকে যোগ দিনেল আশিস রাই।দীর্ঘদিন ধরেই এটিকে মোহনবাগানে খেলার স্বপ্ন ছিল আশিক কুরুনিয়ানের। অবশেষে সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে তোলার সুযোগ পেয়ে তিনি খুশি। এটিকে মোহনবাগানের চুক্তিপত্রে সই করার পর আশিক বলেন, কলকাতা ফুটবলের মক্কা। সব ফুটবলারেরই স্বপ্ন থাকে কলকাতায় খেলা। ফুটবলের প্রতি কলকাতার দর্শকদের অন্যরকম আবেগ রয়েছে। যুবভারতীতে এশিয়ান কাপে খেলতে এসে ফুটবলপ্রেমীদের আবেগ মন ছুঁয়ে গেছে। দেশের খেলা দেখতে এসেও সমর্থকরা নিজেদের ক্লাবের পতাকাও নিয়ে এসেছিল। এটিকে মোহনবাগান দেশের অন্যতম সেরা ক্লাব। এই ক্লাবের পরিকাঠামোও দুর্দান্ত। সমর্থকরাও আবেগপ্রবন। বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে যখন খেলতে এসেছিলাম, তখন মোহনবাগান সমর্থকদের আবেগ দেখে ভাল লেগেছিল। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সুযোগ পেলেই এই ক্লাবে খেলব। এটিকে মোহনবাগান কর্তারা সেই সুযোগ দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞ। চেষ্টা করব নিজের সেরা খেলা উপহার দিয়ে ক্লাবকে সাফল্য এনে দেওয়া।হায়দরাবাদের হয়ে আইএসএল জেতা আশিস রাইও সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। তিনি বলেন, সিকিমে জন্ম হলেও কলকাতায় খেলার আমার বহুদিনের স্বপ্ন ছিল। বাইচুংকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। এটিকে মোহনবাগানের প্রস্তাব পেয়ে দ্বিতীয়বার ভাবিনি। মোহনবাগান নামের সঙ্গে অনেক ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। সেই ক্লাবের জার্সি গায়এ তোলার সুযোগ পেয়ে আমি দারুণ উত্তেজিত।এটিকে মোহনবাগান থেকে প্রবীর দাস বেঙ্গালুরু এফসিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর পরিবর্ত হিসেবেই আশিস রাইকে দলে নিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। এদিন বেঙ্গালুরু এফসিও সরকারিভাবে প্রবীর দাসের চুক্তির কথা জানিয়েছে। এদিকে, মিলন সিংকে আরও এক মরসুমের জন্য ধরে রাখল মহমেডান স্পোর্টিং।

জুন ২০, ২০২২
রাজ্য

প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ইজরায়েলের কাছ থেকে পেগাসাস কিনেছে ভারত দাবি নিউইয়র্ক টাইমসের

মোবাইল ফোন আড়ি পাতার স্পাই সফটওয়্যার পেগাসাস নিয়ে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত। আমেরিকার প্রথম সারির ট্যাবলয়েড নিউইয়র্ক টাইমসের পেগাসাস সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি আলোড়ন ফেলে দিয়েছে ভারতের রাজনৈতিক মহলে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ সমরাস্ত্র অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও ভারত সরকার ২০১৭-তে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইসরায়েল থেকে এক বড় অঙ্কের চুক্তিতে পেগাসাস কিনেছিল। এবং প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে সেই চুক্তিটি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে নিষ্পত্তি হয়েছিল।নিউইয়র্ক টাইমস শুক্রবার গুপ্তচর সস্টওয়্যার পেগাসাস নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে তাঁরা আরও দাবি করেছে যে, ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনও (FBI) এই স্পাইওয়্যারটি সস্টওয়্যার কিনেছে এবং সেটা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে।প্রতিবেদনটিতে সবিস্তারে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কীভাবে বিশ্বব্যাপী স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে চুক্তির বিনিময়ে তাঁরা পেগাসাসের লাইসেন্স পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশকেও বিক্রি করেছে। এতে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইজরাইল সফরের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে। সেখানে উভয় দেশ ২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও গুপ্তচর সফটওয়্যার প্যাকেজ ক্রয় করার চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এতে পেগাসাস এবং মিসাইল সিস্টেমও রয়েছে। জুলাই ২০১৭তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইজরায়েলের ঐতিহাসিক সফরের কথা এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়। নরেন্দ্র মোদি-ই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইজরাইল সফর করেন। নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে যে, সফরটি যখন হয়েছিল তখন ভারত একটি নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করেছিল যা প্যালেস্তাইন বা ইজরায়েলের প্রতি প্রতিশ্রুতির কথা বলা হচ্ছিল। ইজরাইলের সাথে ভারত ঠান্ডা সম্পর্ক রেখে চলছিল।নিউইয়র্ক টাইমস তার প্রতিবেদনে আরও লিখেছে, মোদির সফর, যদিও উল্লেখযোগ্যভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ, তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইজরায়েলের একটি সমুদ্র সৈকতে ছিলেন। তাদের মধ্যে সম্পর্ক উষ্ণ বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু এই উষ্ণতার পেছনে কিছু কারণ ছিল। তাদের দুই দেশ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র এবং গুপ্তচর সরঞ্জামের একটি প্যাকেজ বিক্রি করতে সম্মত হয়েছিল। এই চুক্তির মূল ফোকাস ছিল পেগাসাস এবং একটি মিসাইল সিস্টেম।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সফরের মাত্র কয়েক মাস পরে, জুন ২০১৯-এ তৎকালীন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ভারতে একটি সরকারি সফর করেন, ভারত প্যালেস্তানিদের মানবাধিকারের অনুমতি দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলে ইজরায়েকে সমর্থনে করে ভোট দেয়।যদিও সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত ভারত সরকার স্বীকার করেনি যে তারা ইজরায়েলর থেকে পেগাসাস সফ্টওয়্যার কিনেছে বা ইজরায়েল সরকারও একইভাবে স্বীকার করেননি যে তারা এই গুপ্তচরবৃত্তির ব্যবস্থা ভারতের কাছে বিক্রি করেছে। ২০১৯ লোকসভা ভোট অতিক্রান্ত হবার পর থেকেই এই বিশেষ গুপ্তচর বৃত্তির সফ্টওয়্যার নিয়ে পার্লামেন্টে দুই কক্ষে-ই ঝড় চলেছে। পশ্চিবঙ্গের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে এর বিরেদ্ধে কমিশনও গঠন করেন। বিশেষজ্ঞ সুত্রে জানা যায়, পেগাসাস একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক স্পাই সফটওয়্যার। এটি তৈরি করেছে ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপ (NSO)। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://www.nsogroup.com/) অনুসারে, এটি শুধুমাত্র কোনও সরকারের কাছেই বিক্রি করা হয়। এটি খরচ সাধরণের ক্রয়ের উর্ধে।এর আগে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক পেগাসাসের গুপ্তচরবৃত্তির রিপোর্ট স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। ১৮ জুলাই লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেছিলেন যে নজরদারির ক্ষেত্রে ভারত এমন প্রোটোকল তৈরি করেছে যা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সময়ের সাথে সাথে এর উত্তর পাওয়া যাবে। তিনি পেগাসাস সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ভারতীয়দের গুপ্তচরবৃত্তির দাবি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই, যে এনএসও গ্রুপ-ও (স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক) বলেছে যে পেগাসাস ব্যবহার করা দেশের তালিকাটি ঠিক নয়। তালিকায় যাদের নাম দেখা যাচ্ছে, সব দেশ-ই আমাদের গ্রাহক নয়। এনএসও জানিয়েছে তাদের বেশিরভাগ গ্রাহক-ই পশ্চিমা-দেশ। এটা স্পষ্ট যে এনএসও-ও ভারতকে পেগাসাস বিক্রির ব্যাপারটা স্পষ্টভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে।বিজেপি বিরোধি রাজনৈতিক দলগুলি বারংবার পেগাসাসের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ করে চলেছে। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। ২৭ অক্টোবর ২০২১ সুপ্রিম কোর্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরভি রভেন্দ্রনের নেতৃত্বে দুই বিশেষজ্ঞ নিয়ে একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করে, এবং তারাই এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

East Bengal : বিদেশি বাছাইয়ের দায়িত্ব ফাউলারকে, দল গঠনে নেমে পড়লেন শ্রী সিমেন্ট কর্তারা

বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠকে জটিলতা কেটেছে। এই মরশুমে আবার আইএসএলে খেলবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন লালহলুদ সদস্যসমর্থকরা। স্বস্তির পাশাপাশি আশঙ্কাও রয়েছে। ৩১ আগস্ট ট্রান্সফার উইন্ডোর সময়সীমা শেষ। এত কম সময়ে আদৌও ভাল দল গড়া সম্ভব? এসসি ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা অবশ্য ভাল দল গড়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করছেন। যদিও দলগঠন নিয়ে লালহলুদ কর্তাদের কোনও ভুমিকা নেই। পুরোটাই দেখাশোনার দায়িত্ব শ্রী সিমেন্টে। বুধবার আইএসএলে খেলার ব্যাপারে জট কাটতেই শ্রী সিমেন্ট কর্তারা দলগঠনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। চুক্তিপত্রে সই করা নিয়ে টালবাহনা থাকলেও বেশকিছু ফুটবলারের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা বলে রেখেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দুএকদিনের মধ্যেই চুক্তি করা হবে। মহম্মদ রফিক, শঙ্কর রায়, মির্শাদ, জেজে, অঙ্কিত মুখার্জিরা গতমরশুমে এসসি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছে। এটিকে মোহনবাগান থেকে কয়েকজনকে নিতে পারে। প্রবীর দাসদের সঙ্গে কথা বলছেন লালহলুদ কর্তারা। অরিন্দম ভট্টাচার্যকেও প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছেন।আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আইএসএলে খেলবে ইস্টবেঙ্গল, কিন্তু জট এখনও কাটেনিবেশ কয়েকজন বিদেশি ফুটবলারের বায়োডাটা আগেই দেখে রেখেছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। কোচ রবি ফাউলারের ওপর বিদেশি ফুটবলার বাছাইয়ের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে শ্রী সিমেন্ট। গতমরশুমে খেলে যাওয়া ব্রাইট এনবাখারে, মাত্তি স্টেইনম্যানরা অন্য ক্লাবে সই করলেও জাক মাঘোমা এখনও কোনও ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হননি। তাঁর সঙ্গে চুক্তি করার কথা ভাবছেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। কোচ রবি ফাউলার বাকি বিদেশিদের সঙ্গে নিয়েই আসবেন।আরও পড়ুনঃ ঔদ্ধত্য ভেঙে চুরমার, লজ্জাজনক আত্মসমর্পন কোহলিদেরএদিকে, লালহলুদ কর্তারাও দল গঠনে শ্রী সিমেন্ট কর্তাদের সাহায্য করতে তৈরি। বুধবার রাতেই কর্মসমিতির জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, দল গঠনের কাজে শ্রী সিমেন্টকে সর্বোতভাবে সাহায্য করা হবে। ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা স্থানীয় ফুটবলারদের একটা তালিকাও তৈরি করেছেন। যাতে এই ফুটবলারদের নিয়ে কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগে খেলা যায়। যদিও কলকাতা লিগে খেলার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু বলেননি শ্রী সিমেন্ট কর্তারা।আরও পড়ুনঃ সমর্থকরা আবেগে ভাসলেও ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে কি ভাল দল গড়া সম্ভব?কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের নতুন সূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচে ভবানীপুরের বিরুদ্ধে খেলার কথা এসসি ইস্টবেঙ্গলের। তবে হাতে সময় মাত্র ৫ দিন। এর মধ্যে দল গঠন করে মাঠে নামা খুবই কঠিন। যদিও ক্লাবের অন্যতম ক্লাব কর্তা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের কাছে দল তৈরি আছে। আমরা সাহায্য করতে তৈরি। তবে এই ব্যাপারে আগে থেকে হস্তক্ষেপ করব না। যদি সাহায্য চায়, এগিয়ে যাব।

আগস্ট ২৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

East Bengal : সমর্থকরা আবেগে ভাসলেও ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে কি ভাল দল গড়া সম্ভব?‌

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন ইস্টবেঙ্গল ও শ্রী সিমেন্টের কর্তাদের নবান্নে বৈঠকে ডেকেছিলেন, তখনই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল, এবছর আইএসএলে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। সেই সম্ভাবনাই বাস্তবে রূপ পেল। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ মেনে শ্রী সিমেন্ট মেনে নিলেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে কি ভাল দল গড়া সম্ভব? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। তবে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে খেলার খবর পেয়ে সন্ধেবেলা ক্লাবে হাজির ছিলেন বেশ কিছু সমর্থক। লালহলুদ পতাকা, মশাল, স্লোগানে মেতে ওঠে ক্লাবের সামনে। তবে যে বিষযয়ে সমস্যা ছিল, সেই চূড়ান্ত চুক্তিপত্র আপাতত স্বাক্ষরিত হচ্ছে না।আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আইএসএলে খেলবে ইস্টবেঙ্গল, কিন্তু জট এখনও কাটেনি৩১ অগাস্ট ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ হয়ে যাবে। হাতে মাত্র ৬ দিন সময়। এত কম সময়ের মধ্যে ভাল দল গড়া যে সম্ভব নয়, সেকথা বোঝার জন্য ফুটবল বোদ্ধা হওয়ার দরকার নেই। লালহলুদ আইএসএলে খেললেও কতটা শক্তিশালী দল গড়া যাবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। স্বদেশি ভাল ফুটবলাররা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে। যেসব ফুটবলাররা পড়ে রয়েছেন আর যাইহোক তাঁদের নিয়ে ভাল দল গড়া সম্ভব নয়। তবে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের দাবি, আইএফএ প্রেসিডেন্ট অজিত ব্যানার্জি ভাল মানের স্বদেশি ও বিদেশি ফুটবলারের কথা ভেবে রেখেছেন। দল গঠনের ব্যাপারে অবশ্য ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কোনও হাত নেই। শ্রী সিমেন্ট দল গঠনে লালহলুদ কর্তাদের কতটা নাক গলাতে দেবেন, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।আরও পড়ুনঃ আজ নবান্নেই ঠিক হবে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যতদেবব্রত সরকার ব্যাপারটা নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তিনি বলেছেন, দল গঠনের ব্যাপারে শ্রী সিমেন্টের কাজে হস্তক্ষেপ করব না। তবে যে কোনও সহযোগিতার জন্য আমরা তৈরি। হাতে সময় কম থাকলেও ভাল দল গড়া সম্ভব। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেললেও চুড়ান্ত চুক্তিপত্র নিয়ে জট থেকেই গেছে। অর্থাৎ যে শর্তগুলো নিয়ে লালহলুদ কর্তাদের বিরোধিতা ছিল, তা রয়েই গেছে। পুরনো চুক্তিপত্রেই ইস্টবেঙ্গল খেলবে। তবে ক্লাব হস্তান্তরের বিষয়টা নাকি মিটে গেছে। এই ব্যাপারে লালহলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, অবশেষে ফুটবল বাঁচল। ক্লাবকেও হস্তান্তরের হাত থেকে বাঁচানো গেল। আগের চুক্তিতেই ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলবে। লক্ষ লক্ষ সমর্থকের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জট খুলল। লগ্নিকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গেছে, তারা চান এবছর দল গঠন করে আইএসএল খেললেও ভবিষ্যতে ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই হোক। ক্লাবের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত চুক্তিপত্র ইস্যুতে সমস্যা থেকেই গেল। এদিকে, ইস্টবেঙ্গলের কলকাতা লিগে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জি। তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী এসসি ইস্টবেঙ্গল কলকাতা লিগ খেলবে।

আগস্ট ২৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

E‌ast Bengal : মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আইএসএলে খেলবে ইস্টবেঙ্গল, কিন্তু জট এখনও কাটেনি

দীর্ঘদিনের টালবাহনার অবসান। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটল ইস্টবেঙ্গলের। কেটে গেল ক্লাবের সঙ্গে লগ্নিকারী শ্রী সিমেন্টের চুক্তি সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা। এবছর আইএসএলে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। অবশেষে সদস্যসমর্থকদের মুখে হাসি।ইস্টবেঙ্গল ও লগ্লিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের কর্তাদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন কোম্পানি সেক্রেটারি এস এস খাণ্ডেলওয়াল, চিফ ফিনান্স অফিসার এস জাজু ও সিনিয়র ম্যানেজার সন্দীপ কুমার। বৈঠকে অবশ্য আসেননি শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুর। ইস্টবেঙ্গলের তরফে ছিলেন সদানন্দ মুখোপাধ্যায়, দেবব্রত সরকার ও অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক ২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড চলার পরেই শ্রী সিমেন্ট জানিয়ে দেয় এবছর আইএসএলে খেলবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। বৈঠকে শ্রী সিমেন্টের কর্তা মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, টার্মশিটে স্বাক্ষর হলেও এক বছর ধরে চেষ্টা করেও চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করা গেল না। যেহেতু আপনি অনুরোধ করেছিলেন, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বছর আইএসএল খেলব।আরও পড়ুনঃ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন তৃণমূল কর্মী, উত্তপ্ত বর্ধমানবৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের বলেন, মোহনবাগান আইএসএলে খেলছে। শ্রী সিমেন্টের উদ্যোগে ইস্টবেঙ্গলও গত বছর আইএসএলে খেলেছে। এবছর একটা অনিশ্চয়তা ছিল যে খেলতে পারবে কিনা। আমিও হস্টাইল হয়ে পড়েছিলাম। পরে শ্রী সিমেন্টকে অনুরোধ করি। ওদের বলেছিলাম, শেষ মুহূর্তে খেলা বন্ধ হলে কোটি কোটি সমর্থক কোথায় যাবে? আমরা চাই ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান আইএসএল খেলুক, পরে মহমেডানও খেলুক। সারা বিশ্বজুড়ে এই দলগুলির ব্র্যান্ড ভ্যালু রয়েছে। শ্রী সিমেন্টের কর্তারা আশ্বাস দিতেই মুখ্যমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, খেলা হবে। ইস্টবেঙ্গল খেলবে। শেষ মুহূর্তে অনুরোধ মেনে নেওয়ায় আপনাদের ধন্যবাদ। অন্য কিছু বিষয় নিয়ে পরে আলোচনা হবে। শ্রী সিমেন্ট বাংলায় সিমেন্ট শিল্পে বিনিয়োগ করছে। সব ভাল যার শেষ ভাল।আরও পড়ুনঃ তপসিলি জাতি-উপজাতি উন্নয়নে উদারনীতি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীরএবছর ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে খেলা নিশ্চিত হলেও যে শর্তগুলি নিয়ে চুক্তিপত্রে সই করা আটকে রয়েছে, সেই শর্তগুলি সমাধানের রাস্তা এখনও বার হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেই শ্রী সিমেন্ট নমনীয় হয়েছে। শ্রী সিমেন্টের প্রতিনিধি যে এই বছর শব্দ ব্যবহার করেছেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেবব্রত সরকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ও রিলায়েন্স কর্তাদের কথাতেই ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলতে পারছে। যে শর্তগুলি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল, সেগুলি নিয়ে শ্রী সিমেন্টের কর্তারা কিছু বলতে চাননি। দেবব্রত সরকার বলেন, এবছর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেখান থেকে দিদি উতরে দিলেন। শ্রী সিমেন্টকেও অজস্র ধন্যবাদ।

আগস্ট ২৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

East Bengal : আজ নবান্নেই ঠিক হবে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যত

এটিকে মোহনবাগান পৌঁছে গেল এএফসি কাপের নক আউটে। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল পৌঁছে গেল নবান্নে। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ট্রোলড হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। শ্রী সিমেন্ট ও ইস্টবেঙ্গলের চুক্তিপত্র জট এমন জায়গায় পৌঁছেছে, ট্রোলড হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই পরিস্থিতি থেকে কি বেরিয়ে আসতে পারবে লালহলুদ? ইস্টবেঙ্গলের অগনিত সমর্থক তাকিয়ে নবান্নের দিকে। চুক্তিপত্র জট কাটতে নবান্নে আজ বিকেলে ইস্টবেঙ্গল ও শ্রী সিমেন্টের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।আরও পড়ুনঃ হেডিংলেতে তৃতীয় টেস্টে কি উইনিং কম্বিনেশন ভাঙছে ভারত?মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসতে পারে, মনে করছে লালহলুদ সমর্থকরা। সমর্থকদের আশা বাড়িয়ে দিয়েছেন শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুর। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, চুক্তিপত্র জট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি এই বৈঠক থেকেই সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে। আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি হাজির থাকবেন কিনা, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি হরিমোহন বাঙ্গুর। তবে সূত্রের, খবর তিনি বৈঠকে যেতে পারেন। এই মুহূর্তে তিনি কলকাতায় রয়েছেন।আরও পড়ুনঃ ৫ বছর পর আবার এএফসি কাপের নক আউট পর্বে এটিকে মোহনবাগানশ্রী সিমেন্ট কর্তাদের মতো ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও মনে করছেন আজকের বৈঠকে জট কেটে যেতে পারে। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আলোচনার জন্য ডেকেছেন। আমাদের সমস্যার কথা তুলে ধরব। উনি যা বলবেন, সেইমতো আমরা এগোব। মুখ্যমন্ত্রী যা চাইবেন, সেটাই করব। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে ক্লাবের মালিকানা হস্তান্তরের সমস্যার কথা তুলে ধরা হবে। তবে শ্রী সিমেন্টকে ক্লাব তাঁবু স্বাধীনভাবে ব্যবহার করার ব্যাপারে রাজি হতে পারে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, শ্রী সিমেন্ট মালিকানা হস্তান্তরের শর্তের ব্যাপারেও কিছুটা নমনীয় হতে পারে সূত্র মারফত জানা গেছে।আরও পড়ুনঃ সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন অজিঙ্কা রাহানেআজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যদি জট কেটে যায়, দ্রুত দল গঠনে নেমে পড়বেন শ্রী সিমেন্ট কর্তারা। হাতে বেশি সময় নেই। যদিও জানা গেছে অনেক ফুটবলারের সঙ্গে আগে থেকেই প্রাথমিক কথা সেরে রেখেছেন শ্রী সিমেন্ট কর্তারা। বেশ কয়েকজন বিদেশির সঙ্গেও কথা বলেছেন। যদি আজ নবান্নে বৈঠকের পর চুক্তিপত্রে সই করে দেন লালহলুদ কর্তারা, তাহলে কাল থেকেই ফুটবলারদের সই করাবে শ্রী সিমেন্ট। তবে সবকিছু নির্ভর করছে আজ নবান্নের ওপর।

আগস্ট ২৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

East Bengal : এ কী করল শ্রী সিমেন্ট!‌ চরম সঙ্কটে ইস্টবেঙ্গল

শ্রী সিমেন্টের আচরণে চরম সঙ্কটে পড়ল ইস্টবেঙ্গল। এই মরশুমে আইএসএলে খেলা নিয়েও তৈরি হল অনিশ্চয়তা। লালহলুদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়ে দিয়েছে লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট। তবে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সরাসরি তারা কিছু জানায়নি। সোমবার সন্ধে পর্যন্ত কোনও চিঠি দেয়নি কিংবা ইমেল করেনি। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা নবান্নে জানিয়ে দিয়েছে শ্রী সিমেন্ট।আরও পড়ুনঃ পুজোর পর কি খুলবে স্কুল? বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীরচূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করা নিয়ে কয়েক মাস ধরে লগ্নিকারী শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের চাপানউতোর চলছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোরে ১৬ আগস্ট খেলা হবে দিবসে জানিয়েছিলেন, জটিলতা কাটিয়ে ইস্টবেঙ্গলের খেলতে কোনো অসুবিধা হবে না। তারপর লগ্নিকারী সংস্থার পক্ষ থেকে সংশোধিত চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের খসড়া পাঠানো হয়। সেই সংশোধিত চুক্তিপত্রের বেশ কয়েকটা শর্ত নিয়ে আবার আপত্তি জানান ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। এরপর মধ্যস্থতাকারীদের সক্রিয়তায় কয়েকটা শর্তে নমনীয় হয় শ্রী সিমেন্ট। কিন্তু তাঁবু সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা কাটছিল না।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ত্রিপুরা-চ্যালেঞ্জে নতুন তাস দেবসংশোধিত চুক্তিপত্র আসার পরও ইস্টবেঙ্গলের কর্মসমিতি তাতে সই করতে রাজি ছিলেন না। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের তরফে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কথা বলা হয়। মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছিলেন, শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের রাস্তা খোঁজার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুর জানিয়ে দেন, ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের আচরণে তিনি বিরক্ত। তাই লালহলুদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান।আরও পড়ুনঃ অক্টোবরেই চরম আকার নেবে তৃতীয় ঢেউ!আজ, সোমবার নবান্নে চিঠি পাঠিয়ে শ্রী সিমেন্ট জানিয়ে দেয়, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তবে স্পোর্টিং রাইটস ফেরানো নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। বিকেল পর্যন্ত লাল হলুদের শীর্ষ কর্তারা লগ্নিকারীদের পদক্ষেপ সম্পর্কে ধোঁয়াশায় ছিলেন। তাঁরা নবান্ন থেকেই শ্রী সিমেন্টের সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানতে পারেন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে দেবব্রত সরকার জানান, আমাদের ক্লাবেও এরকম কোনও ইমেল এখনও আসেনি। তবে শুনেছি, ওরা আর থাকছে না। নতুন করে জটিলতা বাড়ানোর জন্য অনেকে মধ্যস্থতাকারী শ্রেনিক শেঠের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন। দেবব্রত সরকারও বলেন, যিনি মধ্যস্থতা করছিলেন, সেই শ্রেনিক শেঠ যদি আর একটু সহযোগিতা করতেন, সমস্যা মিটে যেত।আরও পড়ুনঃ অভিষেক বচ্চন হাসপাতালে, চিন্তায় পরিবার থেকে অনুরাগীরাশোনা যাচ্ছিল, কোনও ক্ষতিপূরণ ছাড়াই শ্রী সিমেন্ট স্পোর্টিং রাইটস ফেরত দেবে। কিন্তু শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এরকম কিছু জানানো হয়নি। শ্রী সিমেন্টের সিইও শিবাজি সমাদ্দার বলেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে কোনও ইমেল তিনি পাঠাননি। এখন প্রশ্ন, স্পোর্টিং রাইটস ফেরত পেলেও ৩১ অগাস্ট ট্রান্সফার উইন্ডো শেষের আগে কি দল গঠন করতে পারবে ইস্টবেঙ্গল? ভাল মানের ফুটবলারও পড়ে নেই। কলকাতা প্রিমিয়ার লিগেও খেলতে পারবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা। চলতি মরশুমে আইএসএল খেলাও বিশ বাঁও জলে। শোনা যাচ্ছে, বিনা শর্তে লাল হলুদকে শ্রী সিমেন্ট ছেড়ে দিলে আম্বানি গ্রুপ ইস্টবেঙ্গলে লগ্নি করতে পারে।

আগস্ট ২৩, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌East Bengal : ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে শ্রী সিমেন্ট?‌ সম্ভাবনা প্রবল

ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক কি ছিন্ন করতে চলেছে লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট? তেমনই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। লালহলুদের কর্তাদের টালবাহনা আর মেনে নিতে পারছেন না শ্রী সিমেন্টের কর্তারা। ক্ষতির সামনে পড়েও ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের আচরণে তিতিবিরক্ত হয়ে স্পোর্টিং রাইটস ফেরত দিতে চলেছেন। দুএকদিনের মধ্যেই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।আরও পড়ুনঃ বড় ঘোষণা নির্মলা সীতারামনেরচূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করা নিয়ে শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রিলায়েন্সের এক মধ্যস্থতাকারী। দীর্ঘ ৪ ঘন্টা ধরে বৈঠক হয়। সংশোধিত চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের কোন কোন জায়গায় আপত্তি রয়েছে, তা মধ্যস্থতাকারীদের জানান লালহলুদ কর্তারা। বৈঠক থেকেই মধ্যস্থতাকারী ফোন করেন শ্রী সিমেন্ট কর্তাদের। লালহলুদ কর্তাদের আপত্তির কথা জানান। কিন্তু শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে কোনও সদুত্তর না পাওয়ায় সেদিনের সন্ধের কার্যকরী কমিটির বৈঠক স্থগিত করে দেয় ইস্টবেঙ্গল। মধ্যস্থতাকারী শ্রী সিমেন্টের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে লালহলুদ কর্তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।আরও পড়ুনঃ তালিবান জমানায় আফগান ক্রিকেটের ভবিষ্যত কী?এদিকে, লালহলুদ কর্তাদের আচরণে রীতিমতো তিতিবিরক্ত শ্রী সিমেন্টের কর্তা হরিমোহন বাঙ্গুর। শোনা যাচ্ছে তিনি আর অপেক্ষা করতে রাজি নন। লালহলুদ কর্তাদের আচরণে অপমানিত বোধ করছেন শ্রী সিমেন্টের কর্তা। এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে এগোতে চান। ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের আর সুযোগ দিতে নারাজ তিনি। গতবছর প্রাথমিক চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে শ্রী সিমেন্ট। আর টাকা ঢালতে নারাজ শ্রী সিমেন্টের কর্তারা।আরও পড়ুনঃ বর্ধমান আদালতের লক্লার্ককে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি, গ্রেপ্তার অপহরণকারী৩১ আগস্টের মধ্যে ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ হয়ে যাবে। ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য কাগজপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনও ঘনিয়ে আসছে। তাই শ্রী সিমেন্ট আর সময় দিতে রাজি নয়। বিচ্ছেদের রাস্তা বেছে নিতে চলেছে। কয়েকদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইস্টবেঙ্গলকে স্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে দিয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করবে। তবে গত মরশুমে যে অর্থ লগ্নি করেছিল, সেই অর্থ হয়তো ফেরত চাইবে না। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা যদি শেষ মুহূর্তে সই করতে রাজি হয়, তাহলেও হয়তো মেনে নেবে না শ্রী সিমেন্ট। কারণ দল গড়ার মতো পর্যাপ্ত সময় পাবে না।

আগস্ট ২২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌East Bengal : মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে বৈঠকেও সমস্যা মিটল না ইস্টবেঙ্গলের

তারিখের পর তারিখ। বৈঠকের পর বৈঠক। একের পর এক চিঠি চালাচালি। তবুও জট কাটার লক্ষন নেই ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি বিতর্কে। শুক্রবার রিলায়েন্সের মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে বৈঠকেও সমস্যা মিটল না লালহলুদের।প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল সচিব পল্টু দাসের জন্মদিনে সংশোধিত চুক্তিপত্র পাঠানোর কথা ছিল লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের। কিন্তু কয়েকটা বিষয় আটকে থাকায় পাঠাতে পারেনি। পরে সোমবার সংশোধিত চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের খসড়া পাঠায় শ্রী সিমেন্ট। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের খসড়া দেখে সম্মতি জানিয়ে শ্রী সিমেন্টকে লিখিতভাবে সই করার বিষয়ে সম্মতি জানালে তবেই আইনানুসারে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই হবে। কিন্তু সংশোধিত চুক্তিপত্রেও দুটি শর্ত নিয়ে আপত্তি জানান লালহলুদ কর্তারা।আরও পড়ুনঃ সিএবির আপত্তিতে পিছিয়ে গেল রনজি ট্রফিলালহলুদ কর্তাদের পক্ষ থেকে আবার চিঠি দেওয়া হয় শ্রী সিমেন্টকে তাদের মতামত জানার জন্য। তারপর কর্মসমিতির বৈঠকে সই করার বিষয়টি অনুমোদন করানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শ্রী সিমেন্টের কোনও উত্তর না পাওয়ায় পরপর দুদিন কর্মসমিতির বৈঠক স্থগিত করে দেওয়া হয়। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে ৪ ঘন্টা ধরে বৈঠক হয়েছে। আমরা নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছি। যথাযথ জায়গায় আলোচনা করে মধ্যস্থতাকারীরা সিদ্ধান্ত জানাবেন। বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা জানান চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে কোন কোন বিষয়ে তাঁদের সমস্যা রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মধ্যস্থতাকারী বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে পরের পদক্ষেপ জানাবেন। তারপর ক্লাব নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবে। তাই শুক্রবার সন্ধ্যার কার্যকরী সমিতির বৈঠক বাতিল করে ইস্টবেঙ্গল।আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশলালহলুদ সূত্রের খবর, সম্পত্তি হস্তান্তরের বিষয়ে নো অবজেকশন দেওয়ার শর্তে তাঁদের সমস্যা রয়েছে। ক্লাবের দাবি, লগ্নিকারী সংস্থার পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হোক, ক্লাব তাঁবুর কোন অংশ ক্লাবের অধীনে থাকবে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে এই ব্যাপারে ইস্যুতে তাদের দাবি মানা না হলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করবে না। অন্যদিকে শুক্রবার ইনভেস্টর শ্রীসিমেন্টের প্রতিনিধি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, শেষ চুক্তিপত্রের কোন রকম পরিবর্তন হবে না। নতুন কোনও শর্ত মানা সম্ভব নয়।

আগস্ট ২০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

East Bengal : ‌পরিমার্জিত চুক্তিপত্র পাঠাচ্ছে শ্রী সিমেন্ট, আজই খুলতে পারে লালহলুদের জট

প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল সচিব পল্টু দাসের জন্মদিনেই কি খুলে যাবে লালহলুদের চুক্তিজট? সম্ভাবনা প্রবল। আজই ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে নতুন চুক্তিপত্র পাঠাচ্ছে লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার চুক্তিপত্রে সই করে দেবেন লালহলুদ কর্তারা।আরও পড়ুনঃ রাহুলরোহিতদের দাপটে লর্ডসে ইংরেজদের দর্প চূর্ণইস্টবেঙ্গল ও লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের মধ্যে চুক্তি বিতর্ক মেটাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সচিব ও আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্তকে। তিনি প্রাথমিক চুক্তিপত্র দেখে মত দেন যে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সাতটি শর্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। তাঁর সেই মতামত মেনে নিয়েছে লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের কর্তারা। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের ছেড়ে খেলার পরামর্শ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে লালহলুদ কর্তরা অনেকটাই নমনীয় হয়েছেন। লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের কর্তারা চাইছেন আজই পরিমর্জিত চুক্তিপত্র ইস্টবেঙ্গলের কাছে পাঠাতে।আরও পড়ুনঃ পাকিস্তান ক্রিকেটে আবার ডামাডোল, বোর্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বাবর আজমদেরশ্রী সিমেন্টের এক কর্তা বলেন, ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে যে সাতটি শর্ত পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছিল আমরা তা মেনে নিয়েছি। নতুন চুক্তিপত্র সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে। পরিমার্জিত চুক্তিপত্র আজই ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে পাঠাব। আশা করছি এবার চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করতে আর বাধা থাকবে না। চুক্তিপত্রে কী কী পরিবর্তন হচ্ছে সে ব্যাপারে কিছু বলেননি ওই কর্তা। আরও পড়ুনঃ অসুস্থ মায়ের কাছে যেতে পারলেন না লাভলিনা বরগোঁহাইএদিকে, আজই কর্মসমিতির জরুরি বৈঠকে বসছে ইস্টবেঙ্গলে। বৈঠকের আগে চূড়ান্ত চুক্তিপত্র দেখে তাতে সই করা হবে কিনা বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। লালহলুদ কর্তারা আর অপেক্ষা করতে চাইছেন না। অনেক কর্তাই চুক্তিপত্রে সই করার জন্য মত দিয়েছেন। প্রাক্তন কর্তাদের নিয়ে যে ১১ জনের কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেই কমিটিও সই করার কথা বলেছে। ১৬ আগস্ট ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের শেষ দিন। তার আগেই বিতর্ক মেটাতে চাইছে দুই পক্ষ। এর মধ্যেই যদি চুক্তিপত্রে সই হয়ে যায়, তাহলে শেষ মুহূর্তে দল গঠন করে কলকাতা লিগে নেমে পড়বে ইস্টবেঙ্গল। সেক্ষেত্রে শুধু স্বদেশি ফুটবলারদের নিয়ে দল গঠন করা হবে।

আগস্ট ১৩, ২০২১
বিদেশ

Baiden-Kadhimi: ইরাক থেকে সরবে মার্কিন সেনা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন, আমেরিকান যুদ্ধ বাহিনী (Combat Forces) চলতি বছরের শেষের দিকে ইরাক থেকে ফিরে আসবে। কিন্তু আমেরিকান বাহিনী ইরাকি সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রাখবে। সোমবার হোয়াইট হাউসে বাইডেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাদিমির সঙ্গে বৈঠক করার পরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর লড়াইয়ের মিশন শেষ করার কথা ঘোষণা করা হয়।আরও পড়ুনঃ দিল্লি রওনার আগে বড় ঘোষণা মমতারইরাকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে মার্কিন রাষ্ট্রপতি বলেছেন, আমরা ইরাকের গণতন্ত্রের শক্তিশালীকরণকে সমর্থন করি এবং আগামী অক্টোবরের নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা উদগ্রীব। তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের সুরক্ষা সহযোগিতা, আইএসআইএসের বিরুদ্ধে আমাদের যৌথ লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিডেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এই নতুন পর্বে সরে আসার পরেও তাঁদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ইরাকি প্রধানমন্ত্রী কাদিমী জবাবে বলেন, আজ আমাদের সম্পর্ক আগের চেয়ে আরও দৃঢ়। ইরাকের অস্থিরতা থামাতে কোনও বিদেশি যুদ্ধ সেনার আর প্রয়োজন নেই।আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের মমতার উপহার উৎসশ্রী আসলে কী? জানুনইরাকে বর্তমানে ২,৫০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ২০০৩ সালে রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হুসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং তাঁর বিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার ও ব্যাপক ধ্বংসলীলা নির্মূল করতে ইরাক আক্রমণ করেছিল। যার বাস্তবতা সেভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও সেনারা শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালে ইরাক থেকে সরে আসে। তবে তিন বছর পরে ইরাকি সরকারের অনুরোধে তারা আবার ফিরে এসেছিল। যখন আবার আইএসআইএস গ্রুপ ইরাকের বেশিরভাগ অঞ্চলে তাদের কার্যকলাপ শুরু করেছিল।আরও পড়ুনঃ নোরার হট ছবি, ইনস্টাগ্রামে ভাইরালমার্কিন-ইরাকি যৌথ বিবৃতিতে স্বাস্থ্য, জ্বালানি এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত অনেকগুলি অসামরিক ও সামরিক চুক্তির বিশদ প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তাঁরা ইরাককে বিশ্বব্যাপী কোভিড ভ্যাকসিন আদান-প্রদান নীতিকে মর্যাদা দিতে ফাইজার / বাইওএন্টেক তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোভাক্স-এর ৫০০,০০০০ ডোজ সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছে। বাইডেন জানিয়েছেন যে ডোজগুলি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরাকে পৌঁছে যাবে।আরও পড়ুনঃ শেষ হল ওগো নিরুপমার শুটিংইরাকের আগামী অক্টোবরের নির্বাচন পরিচালনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাককে সাহায্য করতে ৫.২ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য করবে। বাইডেন বলেন, অক্টোবরে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন দেখার অপেক্ষায় আছি।

জুলাই ২৭, ২০২১

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইলন মাস্ককে খোলা চিঠি ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রীর, এক্সে ‘নীরব সেন্সরশিপ’-এর অভিযোগ

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথ এবার সরাসরি এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানালেন। তাঁর অভিযোগ, ইমরান খানের গ্রেফতারি, জেলবন্দি জীবন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরার জন্য এক্স ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো কমিয়ে দিচ্ছে।জেমাইমার দাবি, ২০২২ সালে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর গত ২২ মাস ধরে ইমরান খান কার্যত একঘরে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর কথায়, এটি কোনও সাধারণ জেল নয়, বরং রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে নৃশংস নিঃসঙ্গ কারাবাস। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের দুই ছেলে বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। এমনকি মাসের পর মাস ফোনে কথা বলা বা চিঠি পাঠানোরও অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ।জেমাইমা আরও জানান, পাকিস্তানের টেলিভিশন ও রেডিও থেকে ইমরান খানের নাম কার্যত মুছে ফেলা হয়েছে। তাঁর মতে, একমাত্র স্বাধীন মঞ্চ হিসেবে এক্স-ই ছিল সত্য বলার জায়গা। কিন্তু এখন সেই প্ল্যাটফর্মেও তাঁর কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।এক্স-এ করা দীর্ঘ পোস্টে জেমাইমা জানান, প্ল্যাটফর্মটির নিজস্ব এআই টুল গ্রক-এর তথ্য অনুযায়ী তাঁর অ্যাকাউন্টে গোপন থ্রটলিং করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ইমরান খানের জেল পরিস্থিতি বা সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয় নিয়ে পোস্ট করলেই সেগুলি অ্যালগরিদমের মাধ্যমে আড়াল করে দেওয়া হচ্ছে। ইলন মাস্ককে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, আপনি মুক্ত বাক্স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কথা বললেও যদি কেউ না শোনে, তা হলে সেটি আদৌ স্বাধীনতা নয়।জেমাইমার দাবি অনুযায়ী, তাঁর প্রায় ৩৫ লক্ষ ফলোয়ার থাকা সত্ত্বেও এক্সে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো ভয়াবহ ভাবে কমে গিয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত প্রতি মাসে তাঁর পোস্টে ৪০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ইমপ্রেশন হতো। কিন্তু ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত মোট ইমপ্রেশন নেমে এসেছে মাত্র ২ কোটি ৮৬ লক্ষে, প্রায় ৯৭ শতাংশ পতন।তিনি জানান, ২০২৫ সালের মে মাসে পাকিস্তানে এক্সের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠতেই তাঁর একটি পোস্ট চার মিলিয়নের বেশি মানুষ দেখেন। কিন্তু তার পরই আবার হঠাৎ করে পোস্টের পৌঁছনো প্রায় শূন্যে নেমে যায়। জেমাইমার দাবি, গ্রক জানিয়েছে এই চাপ আসছে পাকিস্তানি প্রশাসনের দিক থেকেই, যারা ইমরান খানের পরিবারকে ঘনিষ্ঠ ভাবে নজরদারিতে রেখেছে।এই অভিযোগের পর পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান। তিনি বলেন, ইমরান খানের পক্ষে কথা বলার বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে চাপা দেওয়া হচ্ছে। মরগানের মন্তব্য, ইমরান খানের সঙ্গে যা ঘটছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং পাকিস্তান সরকারকে তাঁর মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।এই ঘটনার মধ্যেই ইমরান খানের পরিবারের তরফে নতুন করে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কয়েক দিন আগে তাঁর বোন আলিমা খান অভিযোগ করেন, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে ইমরান খানকে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং বেআইনি ভাবে একঘরে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, গত আট মাস ধরে পরিবার নিয়মিত জেলে গেলেও তাঁদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।জেলের বাইরে জড়ো হওয়া পিটিআই সমর্থকরাও ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলের চারপাশে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ক্ষমতা হারানোর পর একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে জেলে রয়েছেন ইমরান খান। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল জানায়, ইমরান খানের আটক বেআইনি এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চায়নি পাকিস্তান সরকার।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

মেক্সিকোর শুল্ক-বোমা! ভারতের রফতানিতে ৫০ শতাংশ কর, পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই এমন দেশগুলির পণ্যের উপর হঠাৎ আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে কড়া আপত্তি জানাল ভারত। মেক্সিকোর এই একতরফা সিদ্ধান্তে ভারতীয় পণ্যের উপর কর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ভারত জানিয়েছে, কূটনৈতিক আলোচনা চালু রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।ভারত সরকারের বক্তব্য, কোনও আগাম আলোচনা ছাড়াই এমন শুল্ক বৃদ্ধি দুই দেশের সহযোগিতামূলক বাণিজ্য সম্পর্কের পরিপন্থী। পাশাপাশি বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার স্বচ্ছতার নীতির সঙ্গেও এই সিদ্ধান্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মেক্সিকোর এই পদক্ষেপ ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি নয়, তা বোঝা গেলেও আগাম আলোচনা ছাড়া এমএফএন শুল্ক বাড়ানো বন্ধুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভাবনার সঙ্গে খাপ খায় না।মেক্সিকোর নতুন শুল্ক কাঠামোয় মোট ১,৪৬৩টি পণ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে ভারত ছাড়াও চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো একাধিক এশীয় দেশের উপর। বেশির ভাগ পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক প্রায় ৩৫ শতাংশ হতে পারে, যদিও কোথাও তা ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।অপ্রত্যাশিত ভাবে ২০২৫ সালের ৩ ডিসেম্বর মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রক ফের এই প্রস্তাব পেশ করে এবং আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেয়। এর আগে বিভিন্ন দেশের আপত্তি ও মেক্সিকোর শিল্পমহলের চাপে এই সিদ্ধান্ত ২০২৬ সালের অগস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।মেক্সিকো সরকার দাবি করেছে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে উৎসাহ দেওয়া এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমানোই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলের একাংশের মতে, আমেরিকার সঙ্গে ইউএসএমসিএ চুক্তি পর্যালোচনার সময় চিনের বিরুদ্ধে শুল্ক নীতি কঠোর করার চাপের সঙ্গেই এই সিদ্ধান্ত জড়িত। বিশেষ করে চিনা পণ্য ঘুরপথে আমেরিকার বাজারে ঢোকা ঠেকাতে মেক্সিকোর উপর চাপ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে ভারত দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রকের ভাইস মিনিস্টার লুইস রোসেন্দোর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করেছেন। খুব শীঘ্রই কারিগরি স্তরের বৈঠকও হতে পারে। এর আগেই, ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোয় ভারতীয় দূতাবাস এই শুল্ক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে ভারতীয় পণ্যের জন্য বিশেষ ছাড় চেয়েছিল।বাণিজ্য দফতর জানাচ্ছে, নতুন শুল্কের প্রকৃত প্রভাব কতটা পড়বে, তা নির্ভর করবে মেক্সিকোর সরবরাহ ব্যবস্থায় ভারতীয় পণ্যের গুরুত্বের উপর এবং ভারতীয় সংস্থাগুলি করের বোঝা ভোক্তাদের উপর চাপাতে পারে কি না, তার উপর। এখনও পর্যন্ত কোন কোন পণ্য এই তালিকায় পড়ছে, তার চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি।সরকারি সূত্রের স্পষ্ট বক্তব্য, ভারতীয় রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার ভারত রাখে। তবে একই সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথেই এগোতে চায়।সব মিলিয়ে টানাপড়েন তৈরি হলেও ভারত জানিয়েছে, মেক্সিকোর সঙ্গে অংশীদারিত্বকে তারা গুরুত্ব দেয় এবং দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য পরিবেশ বজায় রাখতে আগ্রহী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

৪৫ বছরের বাম দুর্গ ভাঙল বিজেপি! কেরলের রাজধানীতে ইতিহাস গড়ল এনডিএ

কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন। পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে। এর ফলে টানা ৪৫ বছর ধরে চলা বামফ্রন্টের দখল ভেঙে গেল রাজধানীর কর্পোরেশনে। এই ফলাফলকে কেরলের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক বলেই মনে করা হচ্ছে।১০১টি ওয়ার্ডের মধ্যে এনডিএ জিতেছে ৫০টিতে। শাসক বামফ্রন্ট এলডিএফ নেমে এসেছে মাত্র ২৯টি আসনে। কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ১৯টি ওয়ার্ড। দুটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। এক ওয়ার্ডে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট বাতিল হয়েছে।এই ফলের ফলে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে সরকার গঠনের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল এনডিএ। শহরের রাজনৈতিক সমীকরণে যে বড় পরিবর্তন এসেছে, তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।ফলাফলটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিরুবনন্তপুরম জেলা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ও সাংসদ শশী থারুরের নিজের এলাকা। তাঁর ঘাঁটিতেই বিজেপির এই সাফল্য কেরলের রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।এখানেই শেষ নয়। কেরলের স্থানীয় নির্বাচন শেষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছে এনডিএ। ত্রিপুনিথুরা পুরসভাতেও ক্ষমতা হারিয়েছে এলডিএফ, সেখানে দখল নিয়েছে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট।ফল প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শশী থারুর বলেন, কেরলের গণতন্ত্রের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য দিন। তিনি ইউডিএফ-এর সামগ্রিক ফলের প্রশংসা করেন এবং একই সঙ্গে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ের কথা স্বীকার করেন। থারুর বলেন, মানুষের রায়কে সম্মান জানানোই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, সে রায় বিরোধীদের পক্ষেও গেলে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনের শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের পরিবর্তনের ইচ্ছাই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। শশী থারুরের কথায়, এলডিএফের ৪৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে তিনি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন, কিন্তু ভোটাররা অন্য একটি দলকে সেই পরিবর্তনের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেটাই গণতন্ত্রের শক্তি।শেষে তিনি বলেন, কংগ্রেস কেরলের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং ভাল শাসনের পক্ষে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসি কাণ্ডে বড় ঘোষণা পুলিশের! টিকিটের টাকা ফেরাতে হবে, না হলে আইনি পদক্ষেপ

কেউ ৪ হাজার, কেউ ৮ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত প্রিয় ফুটবলার লিয়োনেল মেসিকে চোখের সামনে দেখতে পাননি তাঁরা। যুবভারতীতে তৈরি হওয়া চরম বিশৃঙ্খলার জন্য দর্শকদের ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে পুলিশ ও উদ্যোক্তাদের উপর।এই পরিস্থিতিতে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, যে টিকিট বিক্রি হয়েছে, তার টাকা দর্শকদের ফেরত দেওয়া উচিত। কারণ, বহু দর্শকই মেসিকে দেখতে পাননি।ডিজি জানান, অনুষ্ঠানে ন্যূনতম টিকিটের দাম ছিল ৩৫০০ টাকা। তার সঙ্গে স্টেডিয়ামের ভিতরে জলের বোতল থেকে শুরু করে পপকর্ন পর্যন্ত চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, উদ্যোক্তারা যদি টাকা ফেরতের বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা না নেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই মূল উদ্যোক্তাকে আটক করা হয়েছে এবং এই বিশৃঙ্খলার জন্য কাউকেই রেয়াত করা হবে না।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্টেডিয়ামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এডিডি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, সকল দর্শক নিরাপদে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন এবং ট্রাফিক পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়েছে।উল্লেখ্য, এদিন যুবভারতীতে আসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ফুটবল তারকা মেসির সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছনোর আগেই নিজের কনভয়ের দিক ঘুরিয়ে নেন তিনি। পরে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

ভিআইপি কালচারের বলি ফুটবলপ্রেমীরা? মেসি বিতর্কে বিজেপি-সিপিএমের তোপ

পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশা মুহূর্তে যেন জল হয়ে গেল। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকা লিয়োনেল মেসিকে ঠিকমতো দেখতে পেলেন না দর্শকরা। মেসি মাঠ ছাড়তেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাধারণ মানুষের মুখে ঘুরছে একটাই কথাভিআইপি কালচারের জন্যই বঞ্চিত হল সাধারণ দর্শক। ক্ষোভে ফেটে পড়ে তছনছ হয়ে যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। ভাঙা হয় চেয়ার, তোরণ। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর।অব্যবস্থার জেরে মাঠে ঢুকতেই পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তা থেকেই কনভয় ঘুরিয়ে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। পরে মেসির কাছে ক্ষমা চেয়ে গোটা ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি। একের পর এক তোপ দাগছে বিরোধীরা।বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষ সাড়ে তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন। একশো দিনের কাজের শ্রমিকের প্রায় এক মাসের মজুরি একটি টিকিটের দামের সমান। তাঁর অভিযোগ, একদল প্রভাবশালী মানুষ মেসিকে ঘিরে রেখে সাধারণ দর্শকদের বঞ্চিত করেছেন। গোটা ঘটনাকে তিনি দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন।বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তাঁর দাবি, টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে এবং পুরো ব্যবস্থাই ছিল চরম বিশৃঙ্খল। তিনি বলেন, যাঁরা বোতল ছুড়েছেন তাঁদের মধ্যেও শাসকদলের লোকজন রয়েছেন বলে তাঁর কাছে খবর আছে। পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।সিপিএমও এই ঘটনায় সরব। দলের নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, বাংলায় যেখানে অনুষ্ঠান হবে, সেখানে দুর্নীতি, কালোবাজারি আর বিশৃঙ্খলা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলাধুলো থেকে মেলাসব ক্ষেত্রেই একই ছবি দেখা যাচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।এ দিকে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আবেগে আঘাত করেছে এবং ফুটবলপ্রেমীদের অপমান করেছে। সব মিলিয়ে মেসিকে ঘিরে এই বিশৃঙ্খলা শুধু মাঠেই নয়, রাজ্য রাজনীতিতেও ঝড় তুলে দিয়েছে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

‘শুধু টাকা আর হ্যাংলামি?’ মেসি বিতর্কে আয়োজকদের তোপ কুণাল ঘোষের

দর্শকাসন থেকে একের পর এক জলের বোতল ছোড়া হল। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন লিয়োনেল মেসি। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকাকে দেখতে পেলেন না বহু ভক্ত। ক্ষোভে ফেটে পড়ে মাঠে নেমে ভাঙচুর শুরু করেন অনেকে। এই ঘটনার পর প্রকাশ্যে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকেই স্টেডিয়ামে থাকার কথা ছিল মেসির। মাঠ পরিক্রমাও করার কথা ছিল তাঁর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল শাহরুখ খানেরও। মেসি সময়মতো মাঠে পৌঁছলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়। গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় মাঠজুড়ে।দর্শকদের অনেকেই জানান, চার মাস আগে টিকিট কেটেছেন তাঁরা। কেউ আবার ভোর ৪টে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এত অপেক্ষা আর টাকা খরচ করেও মেসিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাননি বহু মানুষ।এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ লেখেন, আয়োজকদের ন্যূনতম পরিকল্পনাও ছিল না। তাঁর প্রশ্ন, সবটাই কি শুধু টাকা আর ব্যবসা? কেন মেসিকে ঘিরে এত লোকের ভিড় রাখা হল? কেন মাঠ পরিক্রমার সময় মেসিকে একা এগোতে দেওয়া হল না? কেন গ্যালারির দর্শকদের বঞ্চিত করা হল? কুণালের মন্তব্য, এই ঘটনা কলকাতার জন্য লজ্জাজনক।তিনি আরও লেখেন, কয়েকজনের আদিখ্যেতার জন্য পুরো আয়োজন নষ্ট হয়ে গেল। মেসিকে দেখার বদলে কেউ কেউ নিজেকে জাহির করতেই ব্যস্ত ছিলেন। কুণাল স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১১ সালে এই যুবভারতীতেই খেলতে এসেছিলেন মেসি। তখন কর্নার ফ্ল্যাগের পাশে বসে শান্তিপূর্ণভাবে খেলা দেখেছিলেন তিনি। সেদিন কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসিকে নিয়ে মঞ্চের স্বপ্ন ভেস্তে, গাড়িতেই আটকে রইলেন শাহরুখ

শহরে আসবেন লিয়োনেল মেসি। চোখের সামনে ফুটবলের ভগবানকে দেখবেন হাজার হাজার ভক্ত। একই মঞ্চে থাকার কথা ছিল শাহরুখ খান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও লিয়োনেল মেসির। সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সব পরিকল্পনাই ছিল তৈরি। নির্ধারিত সময়েই শনিবার যুবভারতীতে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মাঠে পৌঁছন মেসি। কিন্তু তার পরেই তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা, যা আগে কখনও দেখেননি ফুটবলপ্রেমী বাঙালি।এই অশান্ত পরিস্থিতির জেরে মাঠে ঢুকতেই পারলেন না বলিউড তারকা শাহরুখ খান। শনিবার সকালেই কলকাতায় আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে আব্রাম। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে আব্রামের সঙ্গে লিয়োনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডিপলের সঙ্গে ছবিও তোলেন শাহরুখ। তার পর যুবভারতীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।কিন্তু মেসি যখন মাঠ পরিক্রমা শুরু করেন, ঠিক তখনই গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিরাপত্তার কারণে মাঝপথেই মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় মেসিকে। সেই সময় গাড়িতে বসে স্টেডিয়ামের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন শাহরুখ খান। বিশৃঙ্খলার কারণে তিনি মাঠে ঢুকতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তাঁকে ফিরে যেতে হয়।এই ঘটনার পর শহরের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ-প্রশাসন ও আয়োজকদের ভূমিকা নিয়েও। পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মন্ত্রীরা মেসিকে দেখলেন, সেলফি তুললেন আর আমরা টাকা দিলাম! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দর্শকরা

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল। মাঠের ভিতরে ছোড়া হল চেয়ার, জলের বোতল। ক্ষুব্ধ দর্শকরা ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন। এমনকি একটি দিকের গোলপোস্টও ভেঙে ফেলা হয় বলে জানা গিয়েছে। মেসিকে সামনে থেকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাজার হাজার দর্শক।মাঠে উপস্থিত দর্শকদের কথায় উঠে এসেছে চরম হতাশা। এক দর্শক বলেন, মেসিকে নয়, আমরা শুধু অরূপ বিশ্বাসকেই দেখতে পেয়েছি। আর এক জনের অভিযোগ, আমাদের টাকায় সরকার মেসিকে দেখল, আমরা দেখলাম না। কেউ কটাক্ষ করে বলেন, অনিরুদ্ধ ধর আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলাম, আর কাউকে দেখতে আসিনি।এক দর্শকের ক্ষোভ, অরূপ বিশ্বাসকে দেখলাম সেলফি তুলতে ব্যস্ত। মনে হচ্ছিল মেসির জায়গায় উনিই এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। ৩ হাজার ৩৩৮ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলাম, কিন্তু এক ঝলকও মেসিকে দেখতে পেলাম না। কেউ ৪ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এসেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ দর্শকদের থেকে মেসিকে আড়াল করে শুধু নেতা-মন্ত্রীরাই তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন।অনেকেই প্রশাসনের ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন। এক জন বলেন, মাঠে পুলিশ, স্তাবক আর মিডিয়ার ভিড় ছিল। সাধারণ মানুষ কিছুই দেখতে পায়নি। পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটা এক যুবক জানান, আগের রাত থেকেই তিনি সেই হোটেলের কাছে অপেক্ষা করছিলেন, যেখানে মেসি ছিলেন। তবুও ভগবান দর্শন হয়নি তাঁর।দর্শকদের ক্ষোভ ক্রমেই তীব্র আকার নেয়। মাঠে ওঠে চোর চোর স্লোগান। কেউ বলেন, নেতা-মন্ত্রীরা মেসিকে দেখল, সেই টাকাই তো আমরা দিয়েছি। সাঁতরাগাছির এক দর্শকের আক্ষেপ, আমরা শুধু মেসির হাতটা দেখেছি। কেউ গোটা ঘটনাকে দুর্নীতির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এটা স্ক্যাম ২০২৫, শতদ্রু দত্তের উদ্যোগ।শুধু রাজ্যের দর্শকরাই নন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা এক প্রবাসী ভক্তও মেসিকে দেখতে না পেয়ে ভেঙে পড়েন। এমনকি এক রোনাল্ডো ভক্তও মেসিকে দেখতে এসে হতাশ হয়েছেন। কারও অভিযোগ, পুলিশও গালাগাল করেছে। এক দর্শকের কথায়, এত বড় লজ্জা ঢাকার জায়গা নেই। আর এক জন বলেন, মেসিকে দেখতে এসে শুধু ক্যামেরাম্যানই দেখে গেলাম।সব মিলিয়ে যুবভারতীর এই বিশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ এখন সর্বত্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, মেসিকে নিয়ে গোটা বিষয়টাই মেস করে দেওয়া হল।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal