• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Adhir Chowdhury

রাজ্য

বিক্ষোভের মুখে অধীর চৌধুরী, ‘গো-ব্যাক’ শুনে সপাটে কষালেন চড়?

ফের নিজের খাসতালুকে বিক্ষোভের মুখে বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শনিবার খোশমেজাজেই প্রচারে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন। বহরমপুর গান্ধী কলোনি থেকে বিটি কলেজ মোড় পর্যন্ত মিছিলের সময় বাধার মুখে পড়েন তিনি। পাঁচ বারের সাংসদকে শুনতে হল গো-ব্যাক স্লোগান। তখনই মেজাজ হারালেন অধীর। সপাটে একজনকে চড় কষানোর অভিযোগ উঠেছে অধীরের বিরুদ্ধে।যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পাল্টা স্বভাবসিদ্ধ রবিনহুড মেজাজে তিনি বলেছেন, তৃণমূলের চুল্লুখোররা আমাকে ডিস্টার্ব করছিল। প্রতিবাদ করেছি মাত্র। কিন্তু তৃণমূল ছাড়ার দল নয়। তারাও পাল্টা এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে। যার জেরে এলাকা উত্তপ্ত।এদিন ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ চলাকালীন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে গিরে গো-ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভের জেরে আটকে প়ড়ে কংগ্রেস সাংসদের গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে পড়েন অধীর। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। তখন এক তৃণমূল কর্মীকে হুমকি দিয়ে ধাক্কা মারেন অধীর। চড়ও মারেন। এই গন্ডগোলের খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী।বিক্ষোভের মধ্যে থেকে কংগ্রেস প্রার্থীকে উদ্ধার করে পুলিশ। বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে তারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, জনভিত্তি হারিয়ে মেজাজ হারাচ্ছেন অধীর চৌধুরি। অধীরকে গোটা ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তৃণমূলের। কেন কারও গায়ে অধীর হাত তুলবেন সে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।পাল্টা অধীরের দাবি, ছক কষে তাঁর প্রচারে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। বিক্ষোভকারীদের চুল্লুখোর বলে আক্রমণ করেছেন তিনি। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পুলিশ সুপারকে ফোন করে অভিযোগ জানান অধীর। তিনি বলেন, তৃণমূল ওদের চুল্লুখোরদের দিয়ে আমার প্রচার আটকাবে, তা মানব কেন? নেশা করে গো ব্যাক বলবে, প্রতিবাদ তো করবই। আর সেটাই করেছি। চার দিকে সিসিটিভি আছে, দেখলেই প্রমাণ পাবেন, আদৌ গায়ে হাত দিয়েছি কি না।বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় অধীরকে আক্রমণ করে বলেন, নিজের গড়ে তাঁর জনভিত্তি মাটিতে মিশে গেছে। তাই তিনি বার বার বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন এবং মেজাজ হারাচ্ছেন। এবার চড় মেরে সীমা ছাড়িয়েছেন।

এপ্রিল ১৩, ২০২৪
রাজনীতি

অধীর চৌধুরীকে বিজেপির দালাল বলে মারাত্মক অভিযোগ মমতার মন্ত্রীর

কংগ্রেসের গড়ে গিয়ে রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে বিজেপির দালাল বলে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটের কথা বললেও এরাজ্যে বিজেপিকে কংগ্রেস সাহায্য করছে বলে দাবি করলেন কলকাতার মেয়র। রবিবার মালদায় জেলার দুই তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে দলীয় কর্মীসভায় হাজির ছিলেন ফিরহাদ হাকিম (ববি)। তিনি বলেন, বরকতদার কংগ্রেস এখন আর নেই । উনি বলেছিলেন সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলতে হবে। সেই কাজ তৃণমূল করেছে। বরঞ্চ এখনকার কংগ্রেসের যিনি বাংলার হর্তাকর্তা সেই অধীর রঞ্জন চৌধুরী বিজেপির হয়ে সত্যিকারের দালালি করছেন। রবিবার দুপুরে মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, তাজমুল হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ, তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী, দলের সহ-সভাপতি বাবলা সরকার।এদিন নির্বাচনী কর্মী সভায় মালদার প্রতিটি ব্লকের বুথ স্তরীয় নেতাদের উপস্থিতিতে লোকসভার তৃণমূলের দুই প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করার আবেদন জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি নির্বাচনের কৌশল নিয়েও দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গেও মতামত বিনিময় করেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে এদিন দক্ষিণ মালদার তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রায়হান এবং উত্তর মালদার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জি উপস্থিত হয়েছিলেন। এদিন নির্বাচনী কর্মী সভা শেষ করার পর সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, এখন বরকতদার কংগ্রেস আর কোথায়? ওরা সিপিএমের হাত ধরেছে । বরকতদা যে কথা বলে গিয়েছিলেন, সেই সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলেছে তৃণমূল। বরঞ্চ বিজেপির নেতারা যে প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলছে, তাঁকে সমর্থন জানাচ্ছে সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আসলে উনি বিজেপির সত্যি কারের দালালি করছেন।রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিগত দিনে মালদার লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের অংকটা ছিল অন্যরকম। কিন্তু এবারে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে মালদার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে দুই প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রক্রিয়ার জন্য মালদার দুই আসনে জয় দেখছেন ববি হাকিম। পাশাপাশি মানুষ বিরোধী দলগুলির কার্যকলাপ সহ্য করতে পারছে না।

মার্চ ১৭, ২০২৪
রাজ্য

অধীরেই আটকে তৃণমূল? মুর্শিদাবাদ নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠকে বিশেষ নির্দেশ মমতার

পশ্মিম মেদিনীপুরের পর মুর্শিদাবাদ। শুক্রবার কালীঘাটে এই জেলার সাংসদ, বিধায়ক ও সাংগঠনিক নেতাদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই বৈঠক কার্যত হয়ে উঠল অধীরময়! যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম একবারও উচ্চারণ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নবাবের জেলা নিয়ে বৈঠকে অধীর চৌধুরীর নাম উঠবে সেটাই স্বাভাবিক। এদিনের বৈঠকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুক্রবারের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে অধীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন একদা তাঁরই শিষ্য হুমায়ুন কবীর। যদিও হুমায়ুন এখন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সূত্রের খবর, বৈঠকে হুমায়ুন মমতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দিদি বহরমপুরে অধীর চৌধুরী কিন্তু একটা চ্যালেঞ্জ।সূত্রের খবর, দলের বিধায়কের মুখে তা শুনেই তৃণমূল নেত্রী বলেন, মাথা থেকে এসব বের করে দাও। একসঙ্গে লড়াই করতে পারলে কিছুই চ্যালেঞ্জ নয়।২০১৯-এর ভোটে মুর্শিদাবাদ জোড়-ফুলের দখলে এলেও বহরমপুরে অধীর চৌধুরীকে হারাতে পারেনি তৃণমূল। বহরমপুরে ১৯৯৯ সাল থেকে পরপর পাঁচবারের সাংসদ অধীর। এবারও বহরমপুরে অধীর চৌধুরীকে হারানো চ্যালেঞ্জ মমতার দলের। ফলে এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম মুখে না নিলেও দিদির মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।নানা কার্যকলাপের জন্য হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে অসন্তুষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এদিন এই বিধায়ককে বেশি কথা না বলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিন দলের দুই সাংসদ আবু তাহের খান আর খলিলুর রহমানের কাজের প্রশংসা করেছেন মমতা। জানা গিয়েছে, বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়া নিয়ে দলের সাংসদ, বিধায়ক ও নেতাদের সতর্ক করে দিয়েছেন।

জানুয়ারি ১৯, ২০২৪
রাজনীতি

মমতাকে বড় চ্যালেঞ্জ অধীর চৌধুরীর, ইন্ডিয়া জোটে কি অশনি সংকেত?

বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের বিবাদে কি অশনি সংকেত? তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আগামী লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়া বা আসন রফার বিরোধিতা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলে নেত্রীর বিশ্বাসযোগ্যতার।২০১৯ লোকসভা ভোটে বাংলায় বহরমপুর ও মালদা দক্ষিণ আসনটি হাত শিবিরের দখলে গিয়েছিল। তৃণমূলের প্রস্তাব ওই দুই আসনই শুধু কংগ্রেসকে ছাড়া হবে। মমতা এবং কংগ্রেস হাই কমান্ডের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথা জানিয়ে তৃণমূলের প্রস্তাব বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যেই বলেছেন অধীর। রাজ্যের শাসক শিবিরের এই প্রস্তাবে সন্তুষ্ট নয় পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতৃত্ব। অধীর চৌধুরীর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, কংগ্রেসকে দুটো আসন (লোকসভা) দেব। কোন দুটো আসন (আসন) দেবেন? ওঁকে ও বিজেপিকে হারিয়েই তো ওই দুটো আসন নিয়েছি আমরা। ওরা আমাদের কি উপকার করছে? কে তাঁকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিশ্বাস করবে? আমাদের নিজেদের ক্ষমতায় আরও অনেক আসনে আমরা লড়তে পারি।অধীর চৌধুরী বলেছেন, কংগ্রেসকে জেতাতে মমতার দরকার নেই। কংগ্রেস নিজের দমে লড়তে পারে এবং এর থেকে (দুটো) বেশি আসন জিততে সক্ষম। আমরা দেখাবো। আমাদের এই দুটো আসনে মমতার দয়ার দরকার নেই।বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরারে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই প্রসঙ্গেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন অধীর চৌধুরী। বলেছেন, আসুন, আপনি নিজে আসুন। আপনি প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে বলছেন মোদীর বিরুদ্ধে লড়তে। আমি আপনাকে বলছি, আপনি আসুন এখানে আমার বিরুদ্ধে লড়তে। যে কোনও মামুকে এখানে পাঠিয়ে দাও। যদি হারাতে পারে, রাজনীতি ছেড়ে দেব। কত তাগদ আছে দেখছি আপনার। মালদায় চলুন দেখছি। আপনার দয়ায় আমরা এ সব আসন জিতিনি। কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতার দাবি, মমতা জোটে থাকতে পারবেন না, কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অপছন্দ করেন এমন কিছু তিনি কখনই করবেন না।বহরমপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) রাজ্যে জোটের সম্ভাবনা নষ্ট করছেন। তিনি যা বলেছেন তা শুনলে বোঝা যাবে তিনি জোট চাননি। তাঁর দল বলছে যে তারা জাতীয়ভাবে জোটে আগ্রহী, কিন্তু বাংলায় নয়। এটা স্পষ্ট যে মুখ্যমন্ত্রী এখানে জোট চান না।তৃণমূলের তরফে দেওয়া দুটি আসনের প্রস্তাব উড়িয়ে অধীর চৌধুরী। বহরমপুর, মালদা উত্তর ছাড়াও প্রদেশ কংগ্রেসের নজরে রয়েছে রায়গঞ্জ, পুরুলিয়া, দার্জিলিং, বসিরহাট সহ আরও বেশ কয়েকটি বাংলার লোকসভা আসন।অধীরের চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, অধীর চৌধুরী কেন এত দিন দক্ষিণ কলকাতায় এসে দাঁড়াননি? সুতরাং এ সব কথা অর্থহীন। আর ২০২১ সালে তৃণমূল আলাদা লড়ে সরকার গড়েছে। সিপিএমের সঙ্গে জোট করে অধীর পেয়েছিলেন শূন্য।

জানুয়ারি ০৪, ২০২৪
রাজনীতি

কংগ্রেস-সিপিএমে হঠাৎ ছন্দপতন, কি বললেন সেলিম? পাল্টা অধীর

রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাতে হাতে মিলিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিআইএম। মাঝে মধ্যেই একমঞ্চে দেখা যায় মহঃ সেলিম ও অধীর চৌধুরীকে। আগামী লোকসভাতেও বঙ্গে আসন সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়েছে এই দুই বিপরীত আদর্শের দল। বাংলায় ত্রিমুখী লড়াইয়ের আঁচ মধ্য-গগনে। এই অবস্থায় হাত ও কাস্তে-হাতুড়ির সমঝোতায় যেন আচমকা ছন্দপতন! কংগ্রেসকে বড় হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। জবাবে বুঝে নেওয়ার বার্তা দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।এদিন মুর্শিদাবাদের রানিনগরে দলীয় সভায় তৃণমূলকে নিশানা করেন সেলিম। সেই সূত্রেই উঠে আসে ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের প্রসঙ্গ, সম্প্রতি ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে গিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাতের বিষয়টি। সেই সূত্রেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মহঃ সেলিম। বলেন, আমরা বলছি চোর ধর, জেল ভরো। আর বড় চোর কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর পায়ে গিয়ে পড়ে বলছে দাদা আমায় বাঁচাও। কংগ্রেসকে বুঝতে হবে যে, ২০১১ সালে ওরা সমর্থন না করলে তৃণমূল ক্ষমতায় আসত না। আর ক্ষমতায় এসেই তৃণমূল ছমাসের মধ্যে কংগ্রেসকে লাথি মেরেছে। কেউ দেখে শেখে, কেই ঠেকে শেখে।অর্থাৎ সেলিমের ইঙ্গিতেই স্পষ্ট যে, বাংলায় বিরোধিতা করলেও কংগ্রেস হাইকমান্ড ইন্ডিয়া জোটের স্বার্থে তৃণমূলে নরম, তা মেনে নিতে পারছে না কাস্তে-হাতুড়ির নেতারা। আর সেটাই স্পষ্ট করে দিচ্ছেন সেলিমরা।জবাব দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। আমরা যা বোঝার বুঝেছি। কিন্তু কেউ কারোর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তো আমরা তো তাঁকে তাড়াতে পারব না। অর্থাৎ, সেলিমের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য বলেছেন, এটা ওদের ব্যাপার, কিন্তু, ওরা সকলেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে তৃণমূলকেই বকলমে সমর্থন করছেন।তৃণমূলের রাজ্য। সভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, ওরা এসবই করবে। তৃণমূল নিজের যোগ্যতা ফের প্রমাণ করে দেখাবে। আর কংগ্রেস, সিপিএমের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৩
দেশ

মিজোরামে মৃত শ্রমিকদের পরিবার পিছু একজনের চাকরি ও ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি অধীরের

মিজোরামের দুর্ঘটনায় মালদার শ্রমিকদের পরিবার পিছু একজনকে চাকরি। একইসঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে ফোনে পাননি, কিন্তু রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। অসহায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে যে করেই হোক সবাইকে একসঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে, বলেন বহরমপুরের সাংসদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদায় মৃত শ্রমিক পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন চাঁচল মহকুমার পুখুরিয়া থানার কোকলামারী চৌদুয়ারি গ্রামে যান সাংসদ অধীর চৌধুরী। এই গ্রাম থেকেই ১৬ জন শ্রমিক মিজোরামের কাজ করতে গিয়ে নির্মীয়মান রেল ব্রিজ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। মিজোরামের রেল ব্রিজ দুর্ঘটনায় মালদার মোট ২৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই রয়েছে চৌদুয়ারি গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়াও ইংরেজবাজার ব্লকের সাটটারি এবং নরহাট্টা গ্রামেরও শ্রমিকরাও রয়েছেন।এদিন চৌদুয়ারি গ্রামের মৃত শ্রমিক পরিবারদের সঙ্গে দেখা করার পর কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, মিজোরাম সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২ লক্ষ টাকা করে মোট চার লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেছে। কিন্তু এই সামান্য টাকায় ওইসব মৃত শ্রমিকদের পরিবারের ভবিষ্যৎ তৈরি হবে না। আমি ওইসব পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দেখলাম, ওরা খুব অসহায়। ওদের পাশে কেউ নেই। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁকে পাইনি। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বলেছি মৃত শ্রমিকদের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদিও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। আশা করি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মৃত শ্রমিকদের পরিবারের বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবেন।

আগস্ট ২৪, ২০২৩
রাজ্য

এখন বিজেপির সবচেয়ে বড় এজেন্ট অধীর চৌধুরী, তোপ অভিষেকের

মালদায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, বিজেপির সবচেয়ে বড় এজেন্ট অধীর চৌধুরি । কাজেই বাংলায় কংগ্রেস সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই ভালো। বাংলায় অধীর চৌধুরী শুভেন্দুর সুরে কথা বলে।পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস সিপিএমের সেটিং তত্ত্ব নিয়ে সোচ্চার হলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দুপুরে সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হাতিমারি মাঠে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন অভিষেক ব্যানার্জি। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসুম বেনজির নূর, জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী, চেয়ারম্যান সমর মুখার্জি, রাজ্যের সেচ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বলেন, আমরা মীরজাফর নযই, আমাদের মেরুদন্ড সোজা। সুতরাং ইডি-সিবিআই যতই আমাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হোক না কেন, তৃণমূলকে অপদস্ত করা যাবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের চরম বোঝাপড়া চলছে। এখনও পর্যন্ত ওরা কেউ কারোর বিরুদ্ধে নির্বাচন বিষয় নিয়ে এতটুকু অভিযোগ করেনি। সবাই দলনেত্রী মমতা বন্দযোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ নেই। যে উন্নয়ন সাধারন মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, তাতে মানুষকে ভুল বোঝানো যাবে না। তাই আবারও বলি আপনারা কানে শুনে নয়, চোখে দেখে ভোট দিন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেক বলেন, আপনারা তো টিভির পর্দায় দেখেছেন টাকার বান্ডিল হাতে কে নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যেখানে পরিষ্কার হয়ে গেল শুভেন্দু অধিকারী টাকা নিচ্ছে। সবাই দেখেছে টিভিতে। তাহলে প্রধানমন্ত্রী তাদের দলের ওই নেতার বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নিলেন না। আসলে প্রধানমন্ত্রী মুখে বড় বড় কথা বলেন। ৯ বছরের রাজত্বে কেন্দ্রের মোদি সরকার সাধারণ মানুষের জন্য কোন সুবিধাটুকু করে দিতে পারিনি। এরাজ্যে শুধু উন্নয়ন করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বাংলায় অধীর চৌধুরী শুভেন্দু ও মোদির সুরে কথা বলছে। এখন বিজেপির সবচেয়ে বড় এজেন্ট অধীর চৌধুরী। তাই ওদেরকে বিশ্বাস করা যায় না। অথচ পাটনায় দিদির পাশেই বসেছিলেন রাহুল গান্ধী। বলেছিলেন একজোট হয়ে লড়াই করার কথা। কিন্তু কোথায় কি। এখানে তো বিরোধীদের সবকিছুই হচ্ছে সেটিং-এর মাধ্যমে। কিছুদিন আগেই পাটনায় ১৬ দলের একজোট হয়ে বৈঠকের পর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে বিজেপির। তাই ওরা এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূলের মেরুদন্ড সোজা। কাউকে ভয় পায় না। মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই চলবে।এদিন মালদার উন্নয়নের প্রসঙ্গে সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, গত পাঁচ বছরে মালদার বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে ২,৫০০ কোটি টাকা প্রকল্পে পিএইচইর কাজ হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে মালদায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার সার্বিক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। মালদা শুধু নয়, গোটা রাজ্যের উন্নয়নের দায়িত্ব তৃণমূলের সরকারের।কেন্দ্রের মোদি সরকারের বকেয়া নিয়েও সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। তিনি বলেন , গত দুই বছর ধরে ১০০ দিন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। আবাস যোজনা টাকাও বন্ধ করে দিয়েছে। এভাবে গরিব মানুষের পেটে ভাত মারাটা উচিত নয়। গরিবের অধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই দিল্লিতে অবস্থান করার কথা জানিয়েছেন সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গেলে দশ লক্ষ লোক নিয়ে দিল্লিতে জমায়েত এবং অবস্থান করব। দেখি ওরা কিভাবে এরাজ্যের গরিবের অধিকার আটকে রাখতে পারে।এদিন পঞ্চায়েত প্রার্থী প্রসঙ্গে সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, আমি গত দুইমাস নবজোয়ার কর্মসূচির মাধ্যমে রাস্তায় সময় কাটিয়েছি। মানুষের জনমত সংগ্রহ করেছি। সাধারণ মানুষ তৃণমূলের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী যাদের চেয়েছিলেন তাদেরই করা হয়েছে। তাই আবারও বলি, ওরা যতই বলুক না কেন, বিরোধীদের ফাঁদে পা দিবেন না। তৃণমূল সরকারের হাত শক্ত করুন। উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে। কোনও মানুষ উন্নয়নের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না।

জুলাই ০২, ২০২৩
রাজনীতি

Congress: অধীরের ইচ্ছাবদল, মমতার বিরুদ্ধে জোট-প্রার্থী দিতে চায় কংগ্রেস

জোটের পক্ষ থেকে ভবানীপুরে প্রার্থী দিতে চায় কংগ্রেস। এই মর্মে এআইসিসি-কে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস। সোমবার এমনটাই জানিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আগে অধীরের মত ছিল ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়ার। সোমবার আমূল বদলে গেল বহরমপুরের সাংসদের সেই অবস্থান।আরও পড়ুনঃ সবরকম সাহায্য করব, ইডি অফিসে সুরবদল অভিষেকেরনির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে দিয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। দিন ঘোষণার পরই তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু মমতার বিরুদ্ধে কে লড়বেন তা নিয়ে এখনও দ্বিধাবিভক্ত বিরোধীরা। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকে ভবানীপুরে প্রার্থী দিতে চান তাঁরা। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এআইসিসি। এ জন্য দিল্লিতে প্রস্তাব পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অধীর। পাশাপাশি জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে বাম প্রার্থীদের সমর্থন করবে কংগ্রেস। প্রচারে আমন্ত্রণ জানালে তাঁরা যাবেন বলেও জানান অধীর। এর আগে অবশ্য ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়ার কথা বলেছিলেন অধীর। জানিয়েছিলেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত। কিন্তু সোমবার নিজের ব্যক্তিগত মতকে দূরে সরিয়ে রেখে জোট প্রার্থী চেয়ে এআইসিসি-র কাছে দরবার করলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর।রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, কংগ্রেস যদি ভবানীপুরে প্রার্থী দেয়, সেক্ষেত্রে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটেও নতুন প্রভাব পড়তে পারে। যে ভাবে গত মাসেই দিল্লি সফরে গিয়ে সনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধিদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করে আসেন। তারপর কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তেই পারে তৃণমূল শিবিরে।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
রাজনীতি

Rohan Mitra: অধীরকে কড়া চিঠি, প্রদেশ কংগ্রেস ছাড়লেন সোমেন-পুত্র

অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে শেষপর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সোমেন-পুত্র রোহন মিত্র। চিঠিতে লিখলেন, আপনার ইগো দলের এই বিপর্যয় ডেকে এনেছে। বুধবার সকালে তাঁর পদত্যাগপত্রটি জনসমক্ষে এসেছে। তিন পাতার ইস্তফাপত্রের প্রতি ছত্রে অধীরের প্রদেশ কংগ্রেস পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সোমেন-পুত্র। প্রদেশ সভাপতি হিসেবে অধীরের প্রথম ও দ্বিতীয় সময়কালে তাঁকে কী ভাবে অপমানিত করা হয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। পিতা সোমেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকা সত্ত্বেও যুব কংগ্রেসের নির্বাচনে তাঁকে কী ভাবে হারানো হয়েছিল, সে কথাও ক্ষোভের সুরে চিঠিতে তুলে ধরেছেন তিনি।আরও পড়ুনঃ দিল্লিতে লম্বা ছুটিতে গেলেন দিলীপতবে একইসঙ্গে রোহন চিঠিতে এ-ও লিখেছেন যে, তাঁর পিতার মৃত্যুর পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য অধীরই যোগ্যতম ব্যক্তি। তবে তাঁর সংগঠন পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে বেশ কিছু সংশোধনী আনার পরামর্শও দিয়েছেন পদত্যাগী প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। বিধানসভা ভোটের ফলাফল পর্যালোচনার বৈঠকে যাননি রোহন। ভবিয্যতেও অধীরের ডাকা কোনও বৈঠকে তিনি যাবেন না বলে জানিয়েছেন সোমেনের পুত্র। পদত্যাগপত্রে রোহন জানিয়েছেন, অধীরের নেতৃত্বে কাজ করতে তিনি কোনও আগ্রহ খুঁজে পাচ্ছেন না। প্রথম দফায় সভাপতি পদ হারানোর পর প্রতিহিংসাবশত অধীর তাঁর যুব কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বলেও রোহন তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। এ ক্ষেত্রে অধীর তৎকালীন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন সোমেনতনয়। তবে অধীরের তরফে ওই সমস্ত অভিযোগের কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।আরও পড়ুনঃ নিয়মে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসছে দ্য হান্ড্রেড ক্রিকেটদলের পদ ছাড়লেও তিনি কংগ্রেস ছাড়ছেন না বলেই জানিয়েছেন রোহন। বুধবার তিনি বলেন, আমি সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছি। কিন্তু দল ছাড়িনি। একজন কংগ্রেস কর্মী হিসেবে দলের কাজ করে যাব। ভোটে হেরে যাওয়ার পর অধীরবাবু যে বৈঠক ডেকেছিলেন, তাতে আমি যাইনি। আগামী দিনেও যে তাঁর ডাকা কোনও বৈঠকে যাব না, তা চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছি।

জুলাই ১৪, ২০২১
রাজনীতি

লোকসভায় দলনেতার দায়িত্ব থেকে সরলেন অধীর

সামনেই বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তাই সংসদে সময় দিতে পারছেন না। সেই কারণে আপাতত লোকসভায় অধীররঞ্জন চৌধুরীর জায়গায় দলনেতার পদে এলেন পঞ্জাবের লুধিয়ানার সাংসদ রভনীত সিং বিট্টু। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার জন্য বঙ্গের নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত অধীর। অন্যদিকে, নিম্নকক্ষে কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার গৌরব গগৈও ব্যস্ত অসমের নির্বাচন নিয়ে। একইভাবে দুই চিফ হুইপ মানিক্কম টেগোর ও কে সুরেশও ব্যস্ত তামিলনাড়ু এবং কেরলের নির্বাচন নিয়ে। তাই লোকসভায় অন্যতম অফিস বেয়ারার রভনীত সিং বিট্টুকেই এই দায়িত্ব দিয়েছেন লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা। যেহেতু তিনি আগে থেকেই অফিস বেয়ারার রয়েছেন, তাই এই নিয়ে নতুন করে কোনও অফিসিয়াল পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার হয়নি। শুধু ফোনে লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। ফলে আপাতত সংসদের এই গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলাবেন লুধিয়ানার সাংসদ। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ব্যস্ত থাকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। আর এটা করা হয়েছে অধীরের পরামর্শ মেনেই। তবে এটা একেবারেই সাময়িক সিদ্ধান্ত। বিট্টুকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্নমহল থেকে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। কংগ্রেস সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিন বারের সাংসদ বিট্টুকে দায়িত্ব দেওয়ার পিছনে আসল কারণ হল সংসদের প্রোটোকল। গত অগস্টে বিট্টুকে লোকসভায় অন্যতম হুইপ করে দলীয় প্রতিনিধি দলে নিয়ে আসা হয়।

মার্চ ১১, ২০২১
বিনোদুনিয়া

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সম্মান দেওয়ার কথা ভাবেনি রাজ্য সরকারঃ অধীর

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ নিয়ে এই বাংলায় অনেক নাটক হয়ে গেল , রাজনীতি হয়ে গেল। অথচ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যে যে অধিকার দেওয়া হয়, যে সব পদে বসানো হয়, ২০১১ সালের পর সমস্ত কিছু এক এক করে কেড়ে নেওয়া হয়। বুধবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে পৌ্লমী বসুর সঙ্গে দেখা করার পর এই মন্তব্য করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, ২০২০ সাল পর্যন্ত অনেক ছোটখাটো, মাঝারি, এপাড়ার-সেপাড়ার শিল্পীদের সম্মান দেওয়া হয়েছে। সৌমিত্রর মত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মানুষকে সম্মান দেওয়ার কথা এই সরকার ভাবেনি। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর যে সমস্ত জায়গায় তাঁকে সম্মানিত করার সুযোগ ছিল, তা থেকে শিল্পীকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এরপরেই তিনি রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিকে মানুষের মনে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করুন। একটা ভাল অডিটোরিয়াম করুন তাঁর নামে। আমরা খুশি হব। আমি নিজে ভারত সরকারের কাছে দাবি করতে চলেছি, এসআরএফটিআই-এ যেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে একটি চেয়ার উৎসর্গ করা হয়। সত্যজিৎ রায়ের অতি প্রিয় অভিনেতার নাম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাই একটি চেয়ার প্রদান করার আবেদন জানাব। আরও পড়ুন ঃ সাইবার ক্রাইম নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ সব্যসাচী তিনি আরও বলেন , সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় যে কত সাধারণ জীবনযাপন করতেন , তাঁর ঘরে ঢুকলেই বোঝা যায়। মনে হল , যেন তীর্থ দর্শন করলাম। এরকম একজন ব্যক্তিত্ব যিনি বাংলার প্রতীক। শুধু ভারতবর্ষের শিল্প জগৎ নয় , সারা বিশ্বে তাঁর পরিচিতি। সেইরকম একজন মানুষ এত সাধারণ জীবনযাপন করতে পারেন , সেটা এখানে না আসলে , না দেখলে বোঝা যেত না। আজও টেবিলের উপরে তাঁর আঁকা ছবি রয়েছে। যেন একটা তীর্থ দর্শন করে গেলাম।

নভেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

বিধানসভা নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়েই লড়বে বাম- কংগ্রেস

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেধে লড়বে বাম - কংগ্রেস। মঙ্গলবার জোট নিয়ে আজ আরও এক দফা বৈঠক ছিল বাম ও কংগ্রেসের। বৈঠক পর একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীর চৌধুরি ও বিমান বসু। বিমান বসু জানান, বাংলায় জোট শক্তিশালী হচ্ছে। অধীরবাবু বলেন , জোটকে অস্বীকার করা যাচ্ছে না। তবে আসন-বণ্টন কী হবে তা নিয়ে আজকের বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি। এই বিষয়ে আগামীদিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান অধীরবাবু। এছাড়াও ২৬ নভেম্বর বামেদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে শামিল হবে কংগ্রেসও। ধর্মঘটের সমর্থনে ২৩ নভেম্বর মিছিল করবে বাম ও কংগ্রেস। মেট্রো চ্যানেল থেকে হেদুয়া পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন অধীর-বিমানরা । ২৬ নভেম্বর বামেদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে শামিল হবে কংগ্রেসও । ধর্মঘটের সমর্থনে ২৩ নভেম্বর মিছিল করবে বাম ও কংগ্রেস। মেট্রো চ্যানেল থেকে হেদুয়া পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন অধীর-বিমানরা। আরও পড়ুন ঃ শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে বিজেপি সাংসদকে প্রবেশে বাধা , সমালোচনায় ধনকড় অন্যদিকে , এদিন জাঙ্গিপাড়ায় ফুরফুরা শরিফে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী এবং পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি এবং বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। ফুরফুরায় আসার আগে ডানকুনিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন অধীরবাবু । সেখানে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বার্থে বিজেপি ও তৃণমূলকে দূরে রাখতে হবে এবং সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে কংগ্রেস এবং বামেদের উপর। ফুরফুরায় দুই পীরজাদার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, সিদ্দিকী সাহেবরা বাংলার সর্বস্তরের, সর্বধর্মের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করেন। ফুরফুরা শরিফ একটি পীঠস্থান । বাংলার রাজনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি হিসেবে কংগ্রেস এবং বাম আগামী দিনে জোটবদ্ধভাবে লড়াই করতে চাইছে। বাংলাকে রক্ষা করার স্বার্থে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির হাত মজবুত করা দরকার। তাই পীরজাদাদের কাছে দোয়া করার আবেদন করেছি ।

নভেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

রেণুকা মাড্ডির কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিলেন অধীর

রেণুকা মাড্ডির কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বহরমপুরের মাজদিয়াপুরের বাসিন্দা রেণুকার কাছে ফোঁটা নিয়ে মিষ্টিমুখের পর বোনের হাতে শাড়ি, উপহার তুলে দেন অধীর। দাদাকে ব্লেজার উপহার দিয়েছেন রেণুকা। উল্লেখ্য , এই রেণুকা মাণ্ডি ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন ছেলের মৃত্যুর পরও অধীর চৌধুরী যাতে হেরে না যান, তার জন্য ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছিলেন। সেই খবর শুনে আগেও তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বহরমপুরের সাংসদ। এবার রাখির দিনেও রেণুকার বাড়িতে গিয়ে রাখি পরে এসেছিলেন। এ বার ভাইফোঁটার দিন সবার আগে বোন রেণুকার বাড়িতে পৌঁছে গেলেন দাদা অধীর। আরও পড়ুন ঃ মহিলাদের কটূক্তির প্রতিবাদ করায় দুই যুবককে বেধড়ক মারধর দুষ্কৃ্তীদের প্রসঙ্গত , গত লোকসভা নির্বাচনের দিন রেণুকার মেজ ছেলে রজত আত্মঘাতী হন। এদিকে সেদিনই ছিল বহরমপুর কেন্দ্রের নির্বাচন। ছেলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে যেতেই তিনি ভোট কেন্দ্রে চলে যান। প্রিসাইডিং অফিসারকে বলে আগে ভোটে দিয়ে ফের হাসপাতালের মর্গের সামনে এসে দাঁড়ান। রেণুকা জানান, এদিন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছি, দাদা যেন আগামী দিনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন।

নভেম্বর ১৬, ২০২০
দেশ

রাহুল গান্ধীকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য , ওবামার কড়া সমালোচনা অধীরের

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর নিজের লেখা বইতে রাহুল গান্ধী সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন , তা নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই বেড়ে চলেছে জাতীয় রাজনীতিতে। লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বারাক ওবামার সমালোচনা করে টুইটে লিখেছেন , মিস্টার বারাক ওবামা, আপনাকে বলব এই ধরনের রুক্ষ মন্তব্য করার আগে আমাদের প্রিয় নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একবার কথা বলে নিতে পারতেন। সামনাসামনি কিংবা ভারচুয়াল মাধ্যমে। তাহলেই তাঁর ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সঠিক অনুধাবন করতে পারতেন।আমাদের নেতার মূল্যায়ন করার আগে এরপর দুবার ভাববেন। নাহলে অজ্ঞতার মহাবিশ্বেই থাকতে হবে। আরও পড়ুন ঃ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের বসতে চলেছেন নীতিশ কুমার প্রসঙ্গত , ওবামা তাঁর বইতে লিখেছিলেন , প্রাক্তন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট এখনও ঠিক আকার নিয়ে উঠতে পারেননি। এবং এখন শিক্ষককে তুষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কোনও বিষয়ে সিদ্ধহস্ত হতে যে মানসিকতা বা যোগ্যতার প্রয়োজন হয়, সেটা হয়তো তাঁর নেই।

নভেম্বর ১৫, ২০২০
রাজ্য

অবিলম্বে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে রেলমন্ত্রীকে চিঠি অধীরের

অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গে লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি লিখলেন লোকসভার সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিমি আবেদন জানিয়েছেন, কোভিড বিধি মেনে অবিলম্বে রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু করতে হবে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করার জন্য আবেদন জানান তিনি। আরও পড়ুন ঃ মল্লারপুরের ঘটনায় পুলিশের বক্তব্যে সিলমোহর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কংগ্রেস সাংসদ এই চিঠিতে লেখেন, কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউন হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু কয়েকটি রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। কিন্তু বাংলায় লোকাল ট্রেন শুরু করা নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে। এর জেরে সাধারণ মানুষকে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত মানুষ রেল পরিষেবা গ্রহণ করে। দূরপাল্লার ট্রেন সহ রেলের বিভিন্ন পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ায় প্রবল অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে চাকরিজীবীরা। সম্প্রতি কলকাতায় শুরু হয়েছে মেট্রো পরিষেবা। কিন্তু কলকাতার মানুষ সেই পরিষেবা গ্রহণ করলেও শহরতলির অনেক সাধারণ মানুষ এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। তিনি আরও বলেন , সম্প্রতি লোকাল ট্রেন চালু করার দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। মারধর করা হয়েছে রেলকর্মীদের। চলতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার হাওড়া স্টেশনে লোকাল ট্রেনে উঠতে দেওয়ার দাবিতে জনতার বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। আরপিএফ লাঠিচার্জ করে।

নভেম্বর ০১, ২০২০
রাজ্য

রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে ব্যাপক রদবদল ঘটালেন অধীর

কয়েক মাস বাদেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নির্দেশে ব্যাপক রদবদল হল জেলা পর্যবেক্ষকের পদগুলিতে। মুর্শিদাবাদে জেলা পর্যবেক্ষকের পদে বসানো হয়েছে কলকাতার যুব নেত্রী সাইনা জাভেদকে। অন্যদিকে মধ্য কলকাতার পর্যবেক্ষক করা হয়েছে কান্দির বিধায়ক সইফুল আলম খানকে। বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীকে দলের সংগঠন ও প্রশাসন দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দেবীপ্রসাদ রায়কে কোচবিহারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় ধৃত ২ শার্প শুটার মায়া ঘোষ পেয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্ব। অন্যদিকে কৃষ্ণা দেবনাথকে হুগলির পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। শুভঙ্কর সরকারকে পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নেপাল মাহাতোকে ঝাড়গ্রা্মের দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়েছে। সর্দার আমজাদ আলিকে উত্তর ২৪ পরগনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রোহন মিত্রকে বাঁকুড়ার পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়কে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং আবদুস সাত্তারকে উত্তর ২৪ পরগনার দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে। মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দক্ষিণ কলকাতা ও ঋজু ঘোষালকে হাওড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অক্টোবর ৩০, ২০২০
রাজ্য

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে অশুভ আঁতাত করছেনঃ অধীর

বিমল গুরুংয়ের পার্টির একটাই অ্যাজেন্ডা , গোর্খাল্যান্ড চাই। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে একটাই প্রশ্ন , আপনি কি সেই দাবিকে সমর্থন করছেন ? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এমনই প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তায় চলে গেলেন। উত্তরবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটি দূর্বল হয়েছে। তাই নেপালি ভোট নিজের ঝোলাতে পুড়ে ফেলার জন্য তিনি এই ভয়ংকর খেলাটি খেলছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে অশুভ আঁতাত করছেন। নির্বাচনে আপনি নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আর কত নোংরা খেলা খেলবেন ? যখনই সমর্থন হারিয়ে ফেলছেন, তখনই তার রাজনৈতিক অস্থিরতা , চঞ্চলতা বাড়ছে। ইমাম ভাতা চালু করেছিলেন, পুরোহিত ভাতা চালু করেছেন। এই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একদিন জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের সঙ্গে আঁতাত করেছিলেন। কিষেণজি ও ছত্রধর মাহাতোকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। রাজনীতিতে ক্ষমতা দখলের জন্য আপনি আর কত নীচে নামবেন ? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। আরও পড়ুনঃ দুর্ঘটনার কবলে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের কনভয় বিজেপির সমালোচনা করে তার আরও বক্তব্য ,বিজেপি আসামে বলছে এনআরসি সেখানে নতুন করে চালু করা হবে। উত্তরবঙ্গে এসে বিজেপি নেতা বলছে এনআরসি আইন চালু হল বলে। একবছর আগে ওরা সংখ্যার জো্রে লো্কসভায় এনআরসি আইন পাশ করিয়ে নিয়েছে। কিন্তু ওরা সেই আইন চালু করতে পারছে না কারণ, ওরা রাজনীতি করতে চায়। আমরা ওই আইনের বিরোধীতা আগেও করেছি , এখনও করছি। ভোট এসে গেছে। নাগরিক আইন নিয়ে বিজেপি আবার আলোচনা শুরু করেছে। এখানে এনআরসির কথা বলে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের চেষ্টা হচ্ছে।

অক্টোবর ২২, ২০২০
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রী হাইকোর্টের রায় বলবৎ হতে দেবেন কিনা , সন্দেহ আছে : অধীর

হাইকোর্টের রায়কে কতটা বাস্তবায়িত করবেন মুখ্যমন্ত্রী ও তার পুলিশ প্রশাসন , তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বুধবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে নিজের ফেসবুক পেজে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি আরও লেখেন, এই রায় বাস্তব রূপ তখনই পাবে যখন রাজ্যের আমলা পুলিশ এই আইনকে বলবৎ করার চেষ্টা করবে। মুখ্যমন্ত্রী হাইকোর্টের রায় রাজ্যে বলবৎ হতে দেবেন কিনা , তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ মানুষের জীবনের চেয়ে তার কাছে ভোটের অঙ্কটাই বড়। মুখ্যমন্ত্রীর সমালো্চনা করে আরও লেখেন , রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মানুষের ভোটের অঙ্কটাই বড়। তাই মহামারীর সময়েও যে টাকা মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবায় খরচ হতে পারতো , সেই বিপুল টাকা আগামী বছরের ভোটপুজোর জন্য ক্লাবগুলোকে দিলেন, সরকারি খাত থেকে।চিকিৎসার খরচ চালাতে না পেরে , বেডের অভাবে, চিকিৎসার অভাবে যেখানে প্রতিদিন রাজ্যে মানুষ মরছে। তিনি আরও বলেন , রাজ্য সরকার আসন্ন দুর্গোৎসবে মানুষের ভিড়ে সংক্রমণ কিভাবে আটকাবে তার কোনো পথ বাতলাতে পারেনি। আরও পড়ুনঃ হিঙ্গলগঞ্জের বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূল ও রাজ্য প্রশাসনকে তোপ দিলীপ, সায়ন্তনের রাজ্য সরকারের হাইকোর্ট কে বোঝানো উচিত ছিল পুজোয় ভিড়ে সংক্রমণ আটকাতে সরকার এই এই ব্যবস্থা নিয়েছে, কিন্তু সরকার তা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে। উপরন্তু সরকার নিজেই স্বীকার করেছে করোনা গোষ্ঠী সংক্রমণ স্তরে চলে গেছে, এ অবস্থায় হাইকোর্ট এর কাছে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণ বাঁচাতে আর কোনো পথ ছিল না। তিনি পশ্চিমবঙ্গবাসীদের অনুরোধ করেন , মনে রাখতে হবে উৎসবের থেকে জীবন আগে। আজকের উৎসবের আনন্দ আগামীকাল করোনার বিভীষিকায় না পরিণত হয়।

অক্টোবর ২১, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

জঙ্গিপুর হাসপাতালের ব্লাড সেন্টারে ঢুকে পড়ল সাপ। আতঙ্কিত ব্লাড সেন্টারের কর্মীরা।

জানা যায়, মঙ্গলবার প্রথমে ব্লাড সেন্টারের সাফাই কর্মী প্রথমে সাপ দেখতে পান।এরপর তিনি ব্লাড সেন্টারের কর্মীদের খবর দেন।সাপ থাকায় ফলে ব্লাড সেন্টারের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ব্লাড সেন্টারে আসা রোগী সহ রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে।পরবর্তীতে বনদপ্তরের কর্মীরা আসে ব্লাডা সেন্টারে এবং তারা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাজারে ঢুকলো মরশুমের প্রথম ইলিশ

বর্ষা ঢুকতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠতে শুরু করল। বাজারে ঢুকলো মরশুমের প্রথম ইলিশ। একদিনের ফিসিংয়ে প্রায় ২৫ টন ইলিশ বাজারে এসেছে। সোমবার সকালে নামখানার খেয়াঘাটে প্রায় ২৫টি ট্রলার ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, মূলত আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ট্রলার গুলি ভালো ইলিশ পেয়েছে। এই রূপ আবহাওয়া থাকলে আগামী কয়েক দিনের ভিতরে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণের ইলিশ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।কাকদ্বীপ ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, প্রতিদিন কেউ কেউ দুই তিন টন ইলিস পাচ্ছে। ছশো থেকে আটসো গ্রামের ইলিশ মিলে

জুন ১৭, ২০২৫
বিদেশ

ইতিহাস গড়লেন ডোনা! কেমব্রিজে প্রথম ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের কর্মশালা সৌরভ জায়ার

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসাস কলেজের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ আজ ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের চিরকালীন ছন্দে মুখরিত হলো, যেখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ জায়া ডোনা গাঙ্গুলি পরিচালনা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শাস্ত্রীয় নৃত্য কর্মশালা।কেমব্রিজের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হলো এই কর্মশালার মাধ্যমে, যেখানে ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও শিল্পপ্রেমীরা ওড়িশি নৃত্যভারতের আটটি স্বীকৃত শাস্ত্রীয় নৃত্যধারার অন্যতমসম্পর্কে একটি গভীর ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। অংশগ্রহণকারীরা শিখলেন এই শিল্পরূপের মূল ভঙ্গিমা, অভিব্যক্তি এবং এর দার্শনিক ভিত্তি, যা এর আধ্যাত্মিক মূল এবং দুই হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।এই কর্মশালায় বিভিন্ন পটভূমি থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন, যাঁদের অনেকেই প্রথমবারের মতো ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রত্যক্ষ করেন। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দিয়ে এই অনুষ্ঠানটি এমন সকলকে স্বাগত জানায়, যাঁদের নৃত্যে পূর্বে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।এই উপলক্ষে শ্রীমতি ডোনা গাঙ্গুলি বলেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়িশির উত্তরাধিকার ভাগ করে নিতে পারা আমার জন্য এক গৌরবের ও আবেগঘন অভিজ্ঞতা। এই নৃত্য কেবল ভঙ্গিমা নয়এটি এক ধ্যান, ভক্তি ও গল্প বলা। আমি খুবই আনন্দিত এমন উৎসাহী অংশগ্রহণ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ দেখে। এটি কেবল একটি পরিবেশনা নয়, এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক সংযোগ যা শিল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়।এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় ঐতিহ্যের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে তুলে ধরে এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এটি কেবল শুরুভবিষ্যতে আরও এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় পারফর্মিং আর্টস নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে।কর্মশালাটি বিপুল সাড়া পায়; অংশগ্রহণকারীরা ডোনা গাঙ্গুলির উষ্ণতাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষা এবং নৃত্যের সৌন্দর্যের প্রতি অকুণ্ঠ প্রশংসা জানান। ভবিষ্যতের জন্য আরও সহযোগিতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে সম্প্রসারিত কর্মসূচির পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।ডোনা গাঙ্গুলি খ্যাতনামা ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ও দীক্ষা মঞ্জরি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, প্রখ্যাত গুরু পন্ডিত কেলুচরণ মহাপাত্রের শিষ্যা এবং ভারত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবে তাঁর নৃত্য পরিবেশনের জন্য প্রসিদ্ধ। ডোনা জানান তাঁর লক্ষ্য ওড়িশি নৃত্যের সৌন্দর্য ও দার্শনিক ভিত্তি আগামী প্রজন্মের কাছে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়া।

জুন ১৫, ২০২৫
রাজনীতি

২১ জুলাইয়ের পোস্টারে ছবি কার? কি সিদ্ধান্ত দলের?

২১ জুলাই শহীদ দিবস। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ২১ শে জুলাইকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সভা সফল করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। শনিবার ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে তৃণমূল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার ২১ জুলাইয়ের পোস্টারে থাকবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে না। এটা অভিষেক নিজেই চেয়েছেন। উল্লেখ্য, অভিষেক ২০১১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন এবং দলের যুব সংগঠনের সভাপতি হন। এরপর থেকে তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে উঠে আসেন। কিন্তু তাঁর ছবি পোস্টার থেকে বাদ যাওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার শেষ নেই। গত বছর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সমাবেশে অভিষেকের ছবি না-থাকায় তৃণমূলের ভিতরেই বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কুণাল ঘোষের মতো নেতারা সেই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এবার যাতে তেমন কোন বিতর্ক না হয় তা নিয়ে আগে ভাগেই সতর্ক অবস্থান নিল দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপবাবু বলেন, ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর থেকে যেসব পোস্টার পাঠানো হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অভিষেক নিজেই বলেছেন, যেহেতু তিনি ২১ জুলাইয়ের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না, তাই তাঁর ছবি পোস্টারে না থাকাই যুক্তিযুক্ত।রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বারবার দলীয় সভায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সরকার যেমন তাঁর হাতেই, সংগঠনেও তিনিও শেষ কথা। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, বাম সরকারের আমলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। সেই শহিদদের স্মৃতিতে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করে তৃণমূল। যেহেতু সেই সময় অভিষেক রাজনীতিতে ছিলেন না, তাই এবার তিনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এমনটাই দাবি সুদীপের-ফিরহাদদের।তবে এই ছবি বিতর্ক নতুন কোন ইস্যু নয়। ২০২৩ সালে নেতাজি ইন্ডোরের এক সভাতেও শুধু মমতার ছবি ছিল, অভিষেকের ছবি না-থাকায় কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন। আবার ২০২৫-এর শুরুতে অভিষেকের দফতর থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে তাঁর বিরাট ছবি ঘিরেও শুরু হয়েছিল বিতর্ক। পরে সেটি বদলে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। এরপর ফের ফেব্রুয়ারিতে নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় সভায় দেখা যায় শুধুই মমতার ছবি। সব মিলিয়ে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে ঘিরে যে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি হচ্ছে, তাতে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক নেতৃত্বকেই সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। আর অভিষেকের ছবি না-থাকা সেই বার্তাকেই আরও সুদৃঢ় করল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের ।

জুন ১৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal