• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Accident

রাজ্য

Tragic Accident: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা, কাঁদাজল থেকে উঠে আসছে পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহ

বুধবার গভীর রাতে রায়গঞ্জে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে গেল যাত্রীবোঝাই বাস। বাসটিতে ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬ জন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।। আশঙ্কাজনক ৩ জন। আহতরা রায়গঞ্জ রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে পুলিশ। আরও পড়ুনঃ সানরাইজার্সকে উড়িয়ে শীর্ষে উঠে এল দিল্লি ক্যাপিটালসজানা গিয়েছে, রাতে বাসটি ঝাড়খণ্ড থেকে লখনউ যাচ্ছিল। রায়গঞ্জের রূপাহারের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। বাসের চাকা পিছলে গিয়ে পাশের নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে। রাতে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে উদ্ধার কার্যে হাত লাগান স্থানীয়রা। নয়ানজুলিতে নেমে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন বাসিন্দা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী, দমকল বাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকার্য। গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলে উদ্ধার কাজ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জল-কাদায় ভর্তি নয়ানজুলিতে বাস পড়তেই দম বন্ধ হয়ে আসে বাসে থাকা যাত্রীদের। সেখানে একাধিক শিশু ও মহিলা ছিল বলেও জানা গিয়েছে। প্রায় ১০০ জনের কাছাকাছি যাত্রী ছিলেন বাসে। বাসটিকে জল থেকে তোলা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান, সম্ভবত বাসের চালক মদ্যপ ছিলেন। সেজন্যই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। একাংশের অভিযোগ, জাতীয় সড়কে প্রচুর গর্ত রয়েছে। সেটাও দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। ঘটনার পর থেকে পলাতক চালক। তাঁর খোঁজ শুরু হয়েছে। মৃত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেছে পুলিশ।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
বিদেশ

Bangladesh Trawler: রাত যত বেড়েছে, জল থেকে উঠে এসেছে একের পর এক মৃতদেহ

ফের মর্মান্তিক ট্রলার ডুবি বাংলাদেশে। ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় বাল্কহেডের ধাক্কায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনার জেরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা। শেষ পাওয়া খবরে, ৫০ জনের কিছু বেশি মানুষ সাঁতার কেটে পাড়ে উঠতে পেরেছেন। বাকিরা এখনও নিখোঁজ। উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলে খবর। আরও পড়ুনঃ কাটোয়ায় গ্রেপ্তার তিন আন্তরাজ্য গাঁজা পাচারকারী, উদ্ধার ১ কুইন্টল গাঁজাজানা গিয়েছে, ব্রাহ্মণবেড়িয়ার বিজয়নগরের চম্পকনগর থেকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে এই ট্রলারটি ছেড়ে আসে। শতাধিক যাত্রী ট্রলারটি শহরের আনন্দ বাজার ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু মাঝ নদীতে একটি বালিবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এরপরই ট্রলারটি ডুবতে শুরু করে। এই সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠে আসতে পারলেও অনেকে সেটা পারেননি। ফলে জলে ডুবে মৃত্যু হয় অনেকের।স্থানীয়রা জানান, বালির ট্রলারটি ধাক্কা মারার পরই যাত্রীবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। এলাকাবাসী সঙ্গে সঙ্গে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রায় ১৯ জনের দেহ উদ্ধার করেছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আহত যাত্রীরা জানিয়েছেন, ধাক্কা মারা ট্রলারটি দ্রুত এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। মৃতদের পরিবারের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই ২০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগস্ট ২৮, ২০২১
রাজ্য

Monkey: দুর্ঘটনায় মৃত্যু পবননন্দন হনুমানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল রাজকীয় মর্যাদায়

রামচন্দ্রের একনিষ্ঠ ভক্ত হনুমানকে একজন দেবতা হিসাবেই মানেন হিন্দুরা। রামায়নের বর্ণনা অনুয়ায়ী হিন্দুদের কাছে হনুমান পবননন্দন হিসাবে পূজনীয়। এহেন হুনুমানের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়ায় যারপরনাই ব্যাথিত হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের মাঝেরগ্রাম এলাকার হিন্দু ধর্মপ্রাণ মানুষজন। তাঁরা দেবতা হনুমানের শেষকৃত্যেও তাই কোন খামতি রাখলেন না। রীতিমতো খোল করতাল বাজিয়ে হরিনাম সহযোগে ভাগীরথীর ঘাটে তাঁরা সম্পন্ন করলেন পবননন্দন হনুমানের শেষকৃত্য।ভক্তিভাবের এখানেই শেষ নয়। ধর্মীয় উপাচার মেনে হনুমানের পরলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলে গ্রামের বাসিন্দা ঝাঁপু তরি পরিধান করেছেন সাদা কাপড়ের কাছা। মাজের গ্রামের বাসিন্দারের হনুমানের প্রতি এমন ভক্তিভাব সাড়া ফেলে দিয়েছে হনুমান ভক্ত মহলে।আরও পড়ুনঃ ফাঁকা পড়ে থাকা ভারতীয় দূতাবাসে কী খুঁজছে তালিবান?মন্তেশ্বরের মাঝেরগ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁদের গ্রামে হামেশাই হনুমানের আগমন ঘটে। গ্রামের যেখানে যা পায় তা খেয়ে হনুমানেরা অন্যত্র চলেও যায়। বৃহস্পতিবার বিকালে একটি হনুমান মালডাঙ্গা- মেমারির রোড ধরে স্থানীয় পুরগুনা মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময়ে একটি লরি হনুমানটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই হনুমানটিআরও পড়ুনঃ তালিবানি আতঙ্কের মাঝেই কেঁপে উঠল আফগানিস্তানমারা যায়। হনুমানটির এমন মর্মান্তিক মৃত্যু প্রত্যক্ষ করে মাঝের গ্রামের বাসিন্দারা ব্যাথিত হন। এলাকার যুবক চিরঞ্জিত রায়, রাজু হাজরা, কৌশিক মাঝি প্রমুখরা সড়কপথ থেকে হনুমানটিকে উদ্ধার করে মাঝের গ্রাম বাজারে নিয়ে যান। তাঁরাই হনুমানের মৃত্যুর কথা জানায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সুমন্ত রায়কে। এরপর উপ-প্রধান সহ গ্রামের সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা রাজকীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করবেন পবননন্দন হনুমানের শেষকৃত্য। সেই অনুযায়ী এদিন হনুমানটির শরীরের উপরে গেরুয়া কাপড় চড়িয়ে দিয়ে তার উপর ফুল ও মালা সাজিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সুগন্ধী ধূপ জ্বেলে খোল-করতাল বাজিয়ে হরিনাম সংকীর্তন সহযোগে হনুমানের মৃতদেহ কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে চলে গ্রাম প্রদক্ষিন। এরপর গ্রামবাসীরা কালনার ধাত্রীগ্রামে ভাগীরথীর ঘাটে হনুমানের শেষকত্য সম্পন্ন করেন। দেবতা পবননন্দনের পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলে মাঝেরগ্রামের বাসিন্দা ঝাঁপু তুরি ভাগীরথীতে স্নান সেরে কাছাও পরিধান করছেন।আরও পড়ুনঃ টাকা চুরি করে নয়, চটি পড়ে দেশ ছেড়েছি, মুখ খুললেন আসরাফবাড়ি ফিরে ঝাঁপু তুরি বলেন, আমরা হিন্দুরা হনুমানকে প্রভু রামচন্দ্রের বিশ্বস্ত সহযোগী এক দেবতা হিসাবেই মানি। সেই শ্রদ্ধা রেখেই আমরা হনুমানের পরলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করলাম। উপপ্রধান সুমন্ত রায় বলেন, এদিন হনুমানটির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনে হনুমানটির পারলৌকিক ক্রিয়া ধুমধাম করে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আগস্ট ২০, ২০২১
রাজ্য

Accident: একই দিনে পৃথক ৪টি পথ দুর্ঘটনায় মৃত ২, জখম ১২

একই দিনে পৃথক চারটি পথ দূর্ঘটনায় মৃত্যু হল ১ বাইক আরোহীর সহ ২ জনের। জখম হয়েছেন ১২ জন। সোমবার দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার, মঙ্গলকোট ও মন্তেশ্বরে. যা নিয়ে সারাদিন হিমসিম খেতে হয় পুলিশ কর্মীদের। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি গুলি আটক করে পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ ৪১ বছরের শাপমোচনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন মনপ্রীতরাপুলিশ জানিয়েছে, মৃত বাইক আরোহীর নাম প্রণব সাধু(৪৫) । তাঁর বাড়ি মঙ্গলকোট থানার নতুনহাট গ্রামে। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ প্রণব সাধু বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর পিছনে বসেছিলেন বাবু থান্ডার নামে এক ব্যক্তি। বাদশাহী রোড ধরে তিনি বাইক চালিয় যাওয়ার সময়ে দাসগর গ্রামের কাছে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক চালক প্রণব সাধুর। গুরুতর জখম হন বাইকের পিছনে বসে থাকা বাবু থান্ডার। দুর্ঘটনার পরেই লরি ছেড়ে পালায় চালক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাঁকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার পর এলাকার ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা বাদশাহী রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ বাসিন্দাদের বুঝিয়ে সড়কপথ অবরোধ মুক্ত করে।আরও পড়ুনঃ একনজরে টোকিও অলিম্পিক ভিলেজের অন্দরমহলএকই দিনে ভাতার ও মঙ্গলকোটের দুটি যাত্রীবাহী বাস দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে ভাতার থানার আলিনগর চৌমাথার কাছে। বাসটি বাদশাহী রোড ধরে নতুনহাট থেকে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল। আলিনগর মসজিদতলার কাছে আসতেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে নেমে যায়। তার জেরে ২ মহিলা সহ মোট ৫ জন বাসযাত্রী আহত হন।খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আহত বাস যাত্রীদের উদ্ধার করে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস স্পাইওয়্যার! ভাবের ঘরে চুরি? আপনি কতটা সুরক্ষিত? আক্রান্ত কারা?অপর দিকে এদিন সকাল ৮ টা নাগাদ দ্বিতীয় বাস দূর্ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলকোটের মাহার্তুবা বাস স্ট্যান্ডের কাছে। জঙ্গিপুর-কলকাতা রুটের একটি যাত্রিবাহী বাস বাদশাহী রোড ধরে দ্রুতগতীতে যাওয়ার সময়ে সামনে থাকা ডাম্পারের পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে। এই দূর্ঘটনায় বাসের চালক সহ কেবিনে বসে থাকা ৫ যাত্রী আহত হন। মঙ্গলকোট থানার পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মঙ্গলকোট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এই দুর্ঘটনা গুলি ছাড়াও এদিন দুপুরে মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটে। রড় বোঝাই একটি লরি বর্ধমানের দিক থেকে কুসুমগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময়ে সড়ক পথে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্র্যাক্টরে ধাক্কা মেরে লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় লরির ভিতরে থাকা একজনের মৃত্যু হয় এবং একজন আহত হন। দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ট্র্যাক্টর সহ তার চালককে আটক করেছে।

আগস্ট ০২, ২০২১
কলকাতা

Accident: বেপরোয়া গতি প্রাণ কাড়ল ৬ শ্রমিকের

বারুইপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ৬ শ্রমিক। কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য হাওড়ার স্টেশনের দিকে রওনা হয়েছিলেন ২৭ জন শ্রমিক। একই গাড়িতে ছিলেন তাঁরা। গাড়িটি সজোরে একটি ইলেকট্রিক পোস্টে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৬ জনের। আহত অবস্থায় ১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাত পৌনে ১২ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।আরও পড়ুনঃ দিল্লি দরবারে যেতে চান রাজ্য বিজেপি নেতারাবারু্ইপুরের কুলতলি এলাকার রাধা বল্লভপুর মল্লিকপুরের ঘটনা।জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরার কথা ছিল ওই ২৭ জন শ্রমিকের। একটি বোলেরো পিকআপ ভ্যানে সে দিকেই যাচ্ছিলেন তাঁরা। সজোরে একটি পোস্টে ধাক্কা মারে গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছজনের। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বকুলতলা থানার পুলিশ। আহতদের নিমপীঠ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কয়েকজনকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। ঘটনাস্থলে বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও-র নেতৃত্ব বিশাল পুলিশবাহিনী যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি উদ্ধার করে আনে বকুলতলা থানার পুলিশ। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তার তদন্ত শুরু করেছে বকুলতলা থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল, আর তার জেরেই এই দুর্ঘটনা।

আগস্ট ০২, ২০২১
রাজ্য

গলসিতে জাতীয় সড়কে বেপরোয়া গতির বলি ৩, জখম ১

জাতীয় সড়কে ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এবার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তিন মহিলা খেতমজুর। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও এক মহিলা খেতমজুর।বৃহস্পতিবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। মৃতদের নাম শিউলি লোহার(২৮), গায়ত্রী বাগ(৫০) ও জবা বাগ (২৮)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বছর ৩৫ বয়সী রুমা লোহার। মৃতদের মধ্যে শিউলির বাড়ি উত্তর গলসিতে। বাকি মৃত ও জখম মহিলার বাড়ি গলসির বাবলা গ্রামের লোহার পাড়ায় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ঘাতক গাড়ির খোঁজ শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল ভারতপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খেত মজুরির কাজে যাওয়ার জন্য এদিন ভোর ৫ টা নাগাদ এই চার মহিলা তাঁদের বাড়ি থেকে বের হন। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধার দিয়ে হেঁটে তাঁরা গলসি থেকে স্থানীয় গলিগ্রামে মাঠে কাজে করতে যাচ্ছিলেন। ওই সময় গলসি ও গলিগ্রামের মাঝামাঝি জায়গায় পিছন থেকে আসা দুর্গাপুর মুখী একটি বেপরোয়া গতির গাড়ি তাঁদের পিষে দিয়ে চলে যায়।ঘটনাস্থলেই তিন মহিলা খেতমজুর শিউলি লোহার, গায়ত্রী বাগ ও জবা বাগের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় সড়ক পথে পড়ে থাকেন অপর মহিলা খেত মজুর রুমা লোহার। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রুমা লোহারকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এলাকার বাসিন্দা সুবল লোহার বলেন, গলসিতে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। এদিন জাতীয় সড়কে বেপরোয়া গতির বলি হতে হল তাঁদের এলাকার তিন মহিলা খেত মজুরকে। গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। পুলিশ ঘাতক গাড়িটির সন্ধান চালাচ্ছে।

জুলাই ২৯, ২০২১
দেশ

Tragic Accident: ফের দুর্ঘটনার বলি ১৮ পরিযায়ী শ্রমিক

মঙ্গলবার গভীর রাতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মর্মান্তিক পরিণতি দেখল উত্তরপ্রদেশ। বারাবাঙ্কি এলাকায় প্রবল গতিতে ধেয়ে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে মৃত্যু হল ১৮ জনের। জখম হয়েছে আরও ২৪ জন। অযোধ্যা-লখনউ জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাম সানেহি পুলিশ স্টেশনের কাছে এই ঘটনায়। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই বাসে প্রায় ১৪০ জন যাত্রী ছিলেন। এরা সকলেই ছিলেন শ্রমিক। উত্তরপ্রদেশের এই জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময়ই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বাসটি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাস হরিয়ানার পালওয়াল থেকে বিহার আসছিল।লখনউ ঢোকার ২৮ কিলোমিটার আগে জাতীয় সড়কে খারাপ হয়ে যায় বাসের যন্ত্রাংশ। তা ঠিক করার জন্য রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল বাসটি। বাসে আসা কিছু শ্রমিক বাসের সামনে রাস্তার ধারে ঘুমোচ্ছিলেন। সে সময়ই ঘটে এই ভয়ানক দুর্ঘটনা।আরও পড়ুনঃ বাবার মৃত্যুর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বহুতল হাসপাতাল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী ছেলেখবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। মৃতদের দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারাল এসএন সাবাত বলেছেন, মঙ্গলবার রাতে বারাবঁকীতে এক পথ দুর্ঘটনায় বিহারের ১৮ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা দ্বারভাঙা, সীতামারি-সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। ঘটনায় আহত হয়েছে দুডজনেরও বেশি। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

জুলাই ২৮, ২০২১
রাজ্য

Accident: তেলের ট্যাঙ্কার হঠাৎ ব্রেক কষায় দুর্ঘটনার কবলে যাত্রীবাহী সরকারি বাস

সামনে থাকা তেলের ট্যাঙ্কার হঠাৎ ব্রেক কষায় দুর্ঘটনায় কবলে পড়লো যাত্রীবাহী সরকারি বাস। ঘটনায় এক মোটরবাইক চালক ও বাসের কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে গলসির গলিগ্রামে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িগুলি আটক করে পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ লম্বা চুল রাখা যাবে না, লক্ষ্মীর ফতোয়াপুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায় জানা গিয়েছে, যাত্রীবাহী সরকারী বাসটি দ্রুতগতিতে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমানের দিক থেকে দূর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় গলসির গলিগ্রামের কাছে সামনে থাকা একটি তেলের ট্রাঙ্কার রাস্তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য হঠাৎই ব্রেক কষলে বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারায়।আরও পড়ুনঃ নোরার হট ছবি, ইনস্টাগ্রামে ভাইরালবাসটি প্রথমে সড়ক পথের ডান দিক দিয়ে যাওয়া একটি ডাম্পারকে ধাক্কা দেয়, তারপর একটি বাইককে ধাক্কা মেরে তেলের ট্রাঙ্কারে সেঁটে যায়। বাসের ভিতরে আটকে পড়েন বাসের চালক। এই দুর্ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল থমকে যায়। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌ্ছায়। স্থানীয় মানুষজন ও পুলিশ ওই বাইক আরোহী ও আহত বাসের চালক সহ কয়েকজন বাস যাত্রীকে উদ্ধার করে। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পুলিশ দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে।

জুলাই ২৭, ২০২১
রাজ্য

Accident: আচমকা দ্রুত গতির বাসের সামনে গরু, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত ১ জখম বহু

আচমকা সামনে চলে আসা গরুকে বাঁচাতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলায় বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় যাত্রীবাহী বাস। শুক্রবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার নিচু চাঁপাহাটি এলাকায় কালনা -কাটোয়া রোডে।পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১ বাসযাত্রীর। জখম হয়েছে ৪ শিশু ও ৬ মহিলা সহ ১৬ জন যাত্রী। পুলিশ ও স্থানীয মানুষজন ছিঁড়ে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটির তার সরিয়ে জখম বাসযাত্রীদের উদ্ধার করে চাঁদপুর হাসপাতালে পাঠায়। দুজনের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক থাকায় তাদের নবদ্বীপের প্রতাপনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি আটক করে তদন্ত শুরু করেছে । পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুতগামী নবদ্বীপ-তারকেশ্বর রুটের বেসরকারী যাত্রীবাহী বাসটি এদিন সকাল সাড়ে ৯ নাগাদ তারকেশ্বর অভিমুখে যাচ্ছিল। পথে কালনা- কাটোয়া রোডে নিচু চাঁপাহাটি এলাকায় আচমকায় বাসটির সামনে একটি গরু চলে আসে। রোহিত মণ্ডল নামে বাসের এক যাত্রী জানিয়েছেন , গরুটিকে বাঁচাতে গিয়ে বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। বাসটি সড়ক পথের ধারে থাকা হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎবাহী তারের খুঁটিতে সজোরে ধাক্কা মেরে একেবারে উল্টে যায়। বাসযাত্রীদের আর্তনাদ শুনেই স্থানীয় মানুষজন সেখানে ছুটে আসেন। খবর পেয়ে নাদনঘাট থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ ও স্থানীর মানুষজন বাসে থাকা জখম যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, বাস দুর্ঘটনায় বছর ৪০ বয়সী এক যাত্রীর মৃত্যু হয়ে। তাঁর নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাঁর নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

জুলাই ২৩, ২০২১
রাজ্য

Accident: তারাপীঠ যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু কলকাতার যুবকের, বরাত জোরে রক্ষা বন্ধুর

বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে চড়ে তারাপীঠে পুজো দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতর নাম ধৃদীপ্ত শীল(২৩)। বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন মৃতর বন্ধু বিভাস দাস। রবিবার বেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার আঝাপুর এলাকায় ২ জাতীয় সড়কে। খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে পৌছায়। পুলিশ ক্রেনের সাহায্যে দুমড়ে মুচরে যাওয়া চারচাকা গাড়ি থেকে মৃত যুবকের দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি তাঁর বন্ধুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গড়িটি আটক করে পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা?পুলিশ জানিয়েছে, ধৃদীপ্ত শীলের বাড়ি কলকাতার হাতিবাগান এলাকায়। তাঁর বন্ধু বিভাস দাস শিলিগুড়ির বাসিন্দা। এদিন চার চাকা গাড়িতে চড়ে দুই বন্ধু তারাপিঠ যাচ্ছিল। পথে আঝাপুরে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিভাস জানিয়েছে, ধৃদীপ্তর সঙ্গে তারাপিঠে পুজো দিতে যাবেন বলে তিনি শনিবার শিলিগুড়ি থেকে ধৃদীপ্তদের কলকাতার বাড়িতে পৌছান।আরও পড়ুনঃ কান্দাহারে নিহত পুলিৎজার জয়ী ভারতীয় চিত্রসাংবাদিকএদিন সকালে তাঁরা দুজনে চারচাকা গাড়িতে চড়ে কলকাতা থেকে তারাপীঠের উদ্দেশ্যে রওনা হন। গাড়ি চালাচ্ছিল ধৃদীপ্ত। দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময়ে ধৃদীপ্ত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে সজোরে ধাক্কা মেরে বসে। তার জেরে গাড়িটির চালকের আসনের দিকের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। বিভাস জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় তাঁর বন্ধু ধৃদীপ্ত ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। বিপরীত পাশে বসে থাকার কারণে সামান্য আঘাত লাগলেও ভাগ্যের জোরে তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে।

জুলাই ১৮, ২০২১
রাজ্য

Tragic Accident: রথের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু বালকের

রথের চাকায় পিষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হলো প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রের। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা থানার মাধাইপুর এলাকায় রূপ সনাতন মন্দির সংলগ্ন মাঠে। করোনা সংক্রমণের মধ্যে মালদায় রথযাত্রায় সাধারণ মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, কিভাবে পুরাতন মালদার মাধাইপুর এলাকায় রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হলো তা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে । আর ওই এলাকাতেই রথের চাকায় পিষ্ট হয়ে সাত বছর বয়সী এক বালকের মৃত্যুর ঘটনার পর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।আরও পড়ুনঃ ভামিকার ৬ মাসের ছবি শেয়ার বিরুষ্কারএদিন রথযাত্রা উপলক্ষে মাধাইপুর এলাকার মাঠেই রূপ সনাতন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। আর সেই রথেই নাকি চেপে বসেছিল প্রথম শ্রেণির ওই বালক। এরপর বেসামাল হয়ে রথ থেকে পড়ে চাকার তলে ঢুকে যায় সে। সেই মুহূর্তেই শরীরের ওপর দিয়ে কাঠের চাকা চলে যাওয়ায় পিষ্ট হয়ে যায় ওই ছাত্রটি। ঘটনাস্থলে যায় পুরাতন মালদা থানার পুলিশ । করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রথ পরিচালনা করা নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে এব্যাপারে রূপ সনাতন মন্দির কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।আরও পড়ুনঃ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, ডোঙার সাহায্যে জল সেচ তৃণমূল বিধায়কেরপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বালকের নাম সঞ্জয় সাহা, বয়স সাত বছর । তার বাড়ি পুরাতন মালদা পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন বাচ্চাকলোনি এলাকায়। মৃত ছাত্রের বাবা সুমন সাহা, পেশায় রাজমিস্ত্রি। মা শিখা সাহা, গৃহবধূ । এদিন বিকেলে মাধাইপুর এলাকার রথযাত্রা দেখার জেদ ধরেছিল ওই বালক। এরপর মায়ের সঙ্গে সেই এলাকায় রথযাত্রা দেখতে যায়। আর সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।আরও পড়ুনঃ ইংল্যান্ডের স্বপ্ন চুরমার করে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিপ্রায় ১২ ফুট উচ্চতার রথের মাথা থেকে নিচে পড়ে চাকার তলে পিষ্ট হয় ওই বালক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এই দুর্ঘটনার পর মুহূর্তের মধ্যেই রথ চালানো বন্ধ হয়ে যায়। মাধাইপুর এলাকার মাঠের মাঝখানে রথ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। আতঙ্কের জেরে নিমেষের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায় গোটা এলাকা। পরে ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে যায় পুলিশ।আরও পড়ুনঃ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার দোসর জিকা ভাইরাসএদিকে রূপ সনাতন মন্দির কর্তৃপক্ষের এক সদস্য দিবাকর ঘোষ জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ মেনে রথে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহকে পূজা দেওয়া হয়েছিল। সেরকমভাবে রথ টানার কোনও ব্যবস্থা এদিন রাখা হয়নি । এরমধ্যে কোথায় কী ঘটে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না ।আরও পড়ুনঃ প্রয়াত বলিউড অভিনেতা ও মিমিক্রি শিল্পী মাধব মোঘেঅন্যদিকে, পুরাতন মালদা থানার আইসি হীরক বিশ্বাস জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে রথযাত্রা জমায়েত এবং রথ টানা হচ্ছিল কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটলো সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি রথযাত্রার যারা উদ্যোক্তা, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

জুলাই ১২, ২০২১
রাজ্য

Accident: বালি বোঝাই ট্রাকের সজোরে ধাক্কা পুলিশ গাড়িকে, আহত চার

বালি বোঝাই লরির সঙ্গে টহলদারি পুলিশ গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে জখন হলেন তিন পুলিশ কর্মী ও পুলিশ গাড়ির চালক। শনিবার মধ্য রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বলগোনা-গুসকরা রোডে ভাতারের এরুয়ার বাসস্ট্যান্ডের কাছে। জখমদের সবাইকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও অপর দুই পুলিশ কর্মী এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভাতার থানার পুলিশ বালির লরি আটক করে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ চোট নিয়ে ফাইনাল খেলেছেন মেসি! ফাঁস করলেন স্ক্যালোনিভাতার থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, থানার একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর ও দুই কনস্টেবল পুলিশ গাড়িতে চড়ে রাতে এলাকা টহল দিচ্ছিলেন। ওই সময়ে এরুয়ার হাই স্কুলের কাছে গুসকরার দিক থেকে আসা একটি বালি বোঝাই লরির সামানের ডানদিকের চাকা আচমকাই ফেটে যায়। এর ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরিটি রাস্তার ডাকদিকে চলে গিয়ে পুলিশ গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে।আরও পড়ুনঃ উইম্বলডনের নতুন রানি অ্যাশলে বার্টি, তৈরি করলেন অন্য নজিরসেই ধাক্কায় পুলিশ গাড়িটি দুমড়ে মুচরে যায়। এই দুর্ঘটনায় পুলিশ গাড়িতে থাকা ভাতার থানার এএসআই সুশান্ত রায়, কনস্টেবল পতিতপাবন ঘোষ, নরেন সোনার জখম হন। পুলিশ গাড়ির চালক বরুণ সামন্তও আহত হয়েছেন। সুশান্ত রায়ের মাথা ও শরীরের বেশ কিছু জায়গায় চোট লেগেছে। কনস্টেবল পতিতপাবন ঘোষের বাঁ পা ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি তাঁর মুখ ও শরীরের বাম দিকের অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তুলনামূলক ভাবে আঘাত কম থাকায় এএসআই সুশান্ত রায়কে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। জখম অপর দুই পুলিশ কর্মী এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জুলাই ১১, ২০২১
রাজ্য

Accident: মেমারিতে মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় মৃত ৩

বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু মা, ছেলে-সহ তিনজনের। বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির কালনা-দেবীপুর রোডের পলতা গ্রামের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ১১ জন। তাঁরা সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর,পাণ্ডুয়ার পায়রা চাঁদাইপাড়ার আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা বুধবার রাতে মেমারি থানার বুলবুলিতলা সংলগ্ন এলাকায় বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। এদিন সকালে তারা সকলে ট্র্যাক্টরে চড়ে পাণ্ডুয়া ফিরছিলেন। পথে মেমারির পলতা গ্রামের কাছে বিপরিত দিক থেকে আসা নিয়ন্ত্রণহীন একটি মালবাহী গাড়ির সঙ্গে ট্র্যাক্টরটির সংঘর্ঘ হয় । সংঘর্ষের পরেই যাত্রীসমেত ট্র্যাক্টরের ট্রলিটি সড়কপথে উল্টে যায় । এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান রুপালি বাস্কে। ঘটনার জেরে দেবীপুর- কালনা রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জখম অবস্থায় সড়কপথে পড়ে থাকা বিয়ে বাড়ির ১৩ জন যাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের সবাইকে পাঠানো হয় বর্ধমানের অনাময় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় জখম এক নাবালক ও নাবালিকার। দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি গাড়ি পুলিশ সড়ক পথ থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর দেবীপুর কালনা রোডে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান,মালবাহী গাড়ির চালক গাড়ি চলাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়াতেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে । দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মালবাহী গড়ির চালককে আটক করেছে ।

জুলাই ০৮, ২০২১
রাজ্য

Accident: বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন রাজ্যের মন্ত্রী

বরাত জোরে বেঁচে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের বিধায়ক বড়সড় পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সোমবার বিকেলে নিজের বিধানসভা এলাকা থেকে মেমারি-কাটোয়া রোড ধরে কাটোয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মেমারি থানার কামালপুর ব্রিজের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করানোর জন্য বাড়ি যাচ্ছিলেন। আহত মন্ত্রীকে রাতে পৌছে দেওয়া হয় কাটোয়ার কবজগ্রামের বাড়িতে।আরও পড়ুনঃ গানওয়ালার গান চুরির অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ সামাজিক মাধ্যমেজানা গিয়েছে, সাতগেছিয়ার আগেই বড়সড় বিপত্তি ঘটে। ওই সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটি ডানদিকে ঘুরে যাওয়া মেমারি মুখী একটি বোলেরো পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মন্ত্রীর গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই দুর্ঘটনায় সামান্য জখম হয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। মন্ত্রীর গাড়ির চালক এবং বোলেরো গাড়ির চালকও আহত হন । বোলেরো গাড়ির চালককে মেমারির পাহাড়হাটি স্বাস্থকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাওয়া হয় । আরও পড়ুনঃ বিপদসংকুল ও ভয়ঙ্কর সাচ পাস অভিযানের অভিজ্ঞতাগ্রন্থাগারমন্ত্রী বলেন, বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি। দুটি আঙুলে সামান্য চোট রয়েছে। তবে সুস্থ রয়েছি। তাঁর মায়ের শরীর খারাপ। মায়ের চিকিৎসা করানোর জন্য তিনি তাঁর কাটোয়ার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান সদর(দক্ষিণ) এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান জানান, মন্ত্রীর গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে এই বিপত্তি ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।

জুলাই ০৫, ২০২১
কলকাতা

Bus Accident: রেড রোডে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত ১, জখম ২০

রেড রোডে ফোর্ট উইলিয়ামের রাস্তায় মর্মান্তিক মিনিবাস দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে এক বাইক আরোহীর। জখম হয়েছেন আরও ২০ জন। জানা গিয়েছে, প্রথমে একটি বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে মিনিবাসটি। এরপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেটের পাশের পাঁচিলে গিয়ে ধাক্কা মারে বাসটি। আরও পড়ুনঃ দেশে কোভিডে দৈনিক মৃত্যু ছাড়াল ১ হাজার, বাড়ল দৈনিক সংক্রমণও জানা গিয়েছে, মেটিয়াবুরুজের দিক থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল বাসটি। ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে যেখানে রেড রোড বন্ধ, সেখানে আইল্যান্ড দিয়ে পার্ক স্ট্রিটের দিকে ঘুরতে গিয়ে হটাৎ ব্রেক ফেল করে। ডিভাইডারে গিয়ে ধাক্কা মারে মিনিবাসটি। সঙ্গে বাইক আরোহীকেও ধাক্কা মারে। বাইক আরোহী বাসের তলায় ঢুকে যায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি ওই বাইক আরোহীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বাসে ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী ছিলেন। বেশির ভাগই আহত। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। সকলকেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র। তিনিই জানান, ওই বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।

জুলাই ০১, ২০২১
বিদেশ

Mud Racing: টেক্সাসে কাদা রেসিং ইভেন্টে দুর্ঘটনায় মৃত ১, গুরুতর আহত ৮

রবিবার রাতে টেক্সাসের একটি কাদা রেসিং (Mud Racing) ইভেন্টে একটি গাড়ি ভিড়ের মধ্যে ঢুকে যাওয়ায় আটজন আহত হয়। এল পাসো কাউন্টি শেরিফ দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিকাল ৬টা ৩৫ মিনিট নাগাদ প্রতিযোগিতা চলাকালীন একটি গাড়ি মাটির ট্র্যাক ছেড়ে গার্ড রেল ভেঙ্গে দর্শকদের মধ্যে ঢুকে গিয়ে আঘাত করে। তিনজন দর্শককে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে এবং পাঁচজনকে স্থানীয় স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন মারা যান। আহতদের কাউকেই পুলিশ সনাক্ত করতে পারেনি।এল পাসো অঞ্চলের নিরাপত্তা সংস্থা রক সলিড প্রোটেকশন-র কর্নধার স্কট স্মিথ এক সাংবাদিক সন্মেলনে বলেছেন, আজ রেসের সময় যা ঘটল তা আমরা একেবারেই প্রত্যাশা করিনি। সাধারণত কাদামাটিযুক্ত রাস্তাতেই গাড়িগুলির চলে। প্রত্যক্ষদর্শী এক দর্শক কার্ল হুয়ের্তা এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হুয়ের্তা জানান, রেসটা ঠিকঠাক ভাবেই শুরু হয়েছিল এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা গাড়ি এবং দর্শকের মধ্যে গিয়ে পড়ে। তিনি আরও বলেন যে, পর্যাপ্ত সংখ্যায় অ্যাম্বুলেন্স থাকার জন্য খুব তাড়াতাড়ি আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করা গিয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতায় বোঝা যায়নি যে ঘাতক গাড়িটি আরও তিনটি গাড়ীকে ধাক্কা মেরে দর্শকদের আঘাত করবে। কাদাযুক্ত রেসের ট্র্যাকটি এল পাসো থেকে প্রায় 40 মাইল দক্ষিণ-পূর্বে এবং মেক্সিকান সীমান্ত থেকে এক মাইলেরও কম টেক্সাসের ফ্যাবেন্সে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে, আসল ঘটনা সামনে এলে জানানো হবে।

জুন ১৫, ২০২১
বিদেশ

ট্রেন দুর্ঘটনা : পাকিস্তানে দুই প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত ৩০

ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা পাকিস্তানের (Pakistan) সিন্ধু প্রদেশে। দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল অন্তত ৩০ জন যাত্রীর। আহত আরও ৫০ জন। এছাড়া দুর্ঘটনার জেরে লাইনচ্যুত হয়েছে দুটি ট্রেনের একাধিক কামরা। এর ফলে ওই এলাকায় স্তব্ধ রেল পরিষেবা। ইতিমধ্যে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটির খবর পেয়ে টুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (PM Imran Khan)।পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলার অন্তর্গত রেতি ও দাহরকি স্টেশনের মধ্যবর্তী জায়গায় মিল্লত ও স্যার সইদ এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ। ওই সময় দুটি ট্রেন মিলিয়ে প্রায় ১১০০ জন যাত্রী ছিলেন। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগে থেকেই লাইনচ্যুত হয়েছিল মিল্লত এক্সপ্রেস। সেই সময়ই করাচি থেকে সারগোধাগামী স্যার সইদ এক্সপ্রেস সোজা এসে ধাক্কা মারে মিল্লতকে। এখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলির মধ্যে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকার্যের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ঘোটকি, ধারকি, ওবারো এবং মীরপুর মাথেলো এলাকার সমস্ত হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই রুটে সমস্ত ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়েছে। বগিগুলিকে কাটতে ভারী কাটার আনা হচ্ছে। এছাড়া পাঠানো হয়েছে রিলিফ ট্রেনও।ইতিমধ্যে এই ঘটনায় টুইটে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। তিনি লেখেন, আজ সকালে ঘোটকিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে এবং নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করতে ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছি। রেল নিরাপত্তার গাফিলতি থাকলে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।

জুন ০৭, ২০২১
রাজ্য

অপসারিত রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা

নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়ার জের। অপসারিত রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়।পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েল ও পুলিশ সুপারকেও সরানোর নির্দেশ দিল কমিশন। ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে স্থানীয় দুই থানার ওসি ও এডিএমের বিরুদ্ধে। গত বুধবার সন্ধেয় নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় গিয়ে জখম হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ে গুরুতর চোট পান তিনি। অসুস্থ অবস্থায় রাতেই কলকাতায় ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। দেড়দিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জখম হওয়ার এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতির রং লেগেছিল। একাধিক অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। অন্যদিকে পর্যাপ্ত তদন্তের দাবিতে কমিশনে যায় বিজেপি। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জখম হওয়ার ঘটনায় মুখ্যসচিব ও সিইও-র কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে দুই বিশেষ পর্যবেক্ষককে নিজেদের মতামত জানানোর কথাও বলা হয়েছিল। তাঁদের রিপোর্ট নিয়ে রবিবার কমিশনের ফুলবেঞ্চ বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকেই রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা পদ থেকে বিবেক সহায়কে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগেই সরানো হচ্ছে তাঁকে। পাশাপাশি, সরানো হচ্ছে পূ্র্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েলকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পাচ্ছেন স্মৃতি পাণ্ডে। সরানো হচ্ছে পূ্র্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশকে। তাঁর জায়গায় আসছেন সুনীলকুমার যাদব। সূত্রের খবর, আরও কয়েকজনের অপসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বদলি যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে ওয়াকিবহলমহল।

মার্চ ১৪, ২০২১
রাজ্য

ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা বর্ধমানে, পর পর পিষতে থাকল ট্রাক

ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শিকার হল চারজন। বেপরোয়া ট্রাক টানা পিষে দিল একাধিকজনকে। মৃত চারজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। রিপন মণ্ডল (২০), অনিমেষ রায়(২২) ও বিকাশ শর্মা(৫৫)। বারে বারে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করে। অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পালসিটে যান এসডিপিও সাউথ আমিনুল ইসলাম খান। তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়েন।জানা গিয়েছে, বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পালসিট স্টেশনের কাছে একটি লরি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে টানা পিষে দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা চিৎকার চেচামেচি করলেও লরিটি পর পর মানুষজনকে ধাক্কা মারতে থাকে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজন মারা গিয়েছে। লরিটি কলকাতা থেকে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল।পালসিট স্টেশনের কাছে লরির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বাইকে প্রথমে ধাক্কা মারে।তারপর রাস্তার বাঁদিকে বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে একের পর একজনকে পিষে দিয়ে চলে যায়। এই দুর্ঘটনার ১৪ জন জখম হয়। তাঁদের উদ্ধার করে অনাময় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চারজন মারা যায়। মৃতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন মহিলা।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ভাগ্যের জোরে বাঁচলেন টাইগার উডস

ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে কিংবদন্তি গল্ফার টইগার উডস। লস অ্যাঞ্জেলসের রোলিং হিলস এস্টেট এবং র্যা ঞ্চো পালোসা ভার্দাসের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে টাইগারের গাড়ি। শরীরের একাধিক জায়গায় মারাত্মক আঘাত পান কিংবদন্তি গল্ফার। তাঁর পায়ের চোট রীতিমতো গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি তিনি। তাঁর শরীরে একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে আপাতত তিনি বিপন্মুক্ত।লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের উদ্ধৃতি অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে উডসের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেসময় ঘটনাস্থলে অন্য কোনও গাড়ি ছিল না। কিংবদন্তি গল্ফার নিজেই গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি গাছে ধাক্কা মারেন। ধাক্কা খাওয়ার পর রাস্তার ঢাল ধরে গাড়িতে গড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকবার গাড়িটি ডিগবাজিও খায়। গড়াগড়ি খাওয়ায় উডসের গাড়ি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রীতিমতো দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। তবে, সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন উডস। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। সেই সময় জ্ঞান ছিল উডসের। কথাও বলতে পারছিলেন। দমকল কর্মীরাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। তাঁরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় সিটবেল্ট বেঁধেছিলেন উডস। সম্ভবত সেকারণেই প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal