• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Tmc

রাজনীতি

Rajyasabha: রাজ্যসভার প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলের

রাজ্যসভার আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রাক্তন আমলা ও প্রসারভারতীর প্রাক্তন সিইও রাজ্যসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস টুইট করে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এর আগে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে অনেকের নাম নিয়েই জল্পনা চলছিল। যশবন্ত সিনহা, মুকুল রায়ের নাম নিয়ে যথেষ্ট গুঞ্জন ছড়িয়ে ছিল।নাম ঘোষণার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জহর সরকার। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, এটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য। আমার ৪২ বছরের সরকারি চাকরি জীবনে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, এখনও নেই। তবুও আমাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।We are delighted to nominate Mr. @jawharsircar in the Upper House of the Parliament.Mr. Sircar spent nearly 42 years in public service was also the former CEO of Prasar Bharati. His invaluable contribution to public service shall help us serve our country even better! All India Trinamool Congress (@AITCofficial) July 24, 2021নির্বাচন কমিশন গত ১৬ জুলাই এরাজ্যে রাজ্যসভার একটি আসনে ভোটের দিন ঘোষণা করেছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ২৯ জুলাই। ভোটগ্রহণ ৯ অগাস্ট। দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে নির্বাচন হবে। কিন্তু এখনও মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভার আসনেের ভোটের দিন ঘোষণা হয়নি।তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগ করায় এরাজ্য থেকে একটি আসন শূন্য হয়। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। সেই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে জল্পনা ছিল। যশবন্ত সিনহা, মুকুল রায়ের নাম নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে ছিল।

জুলাই ২৪, ২০২১
দেশ

Rajya Sabha: বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড শান্তনু সেন

বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে। শুক্রবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু অগণতান্ত্রিক এবং অসংসদীয় আচরণের জন্য শান্তনুকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন।শুক্রবার সকালে রাজ্যসভার নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল সাক্ষাৎ করেন বেঙ্কাইয়ার সঙ্গে। ওই বৈঠকে রাজ্যসভায় সরকারপক্ষের সহকারী দলনেতা মুখতার আব্বাস নকভি এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ভি মুরলীধরনও হাজির ছিলেন। এরপর অধিবেশন শুরু হলে শান্তনুর শাস্তির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন বেঙ্কাইয়া। তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক এবং অসংসদীয় আচরণের জন্য অভিযুক্ত সাংসদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৩ অগস্ট পর্যন্ত বাদল অধিবেশন চলবে। ততদিন সাসপেন্ড থাকবেন শান্তনু।আরও পড়ুনঃ রাজভবনে স্পিকারকে তলব রাজ্যপালেরবৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর হাত থেকে বক্তৃতার কাগজ ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শান্তনু। তারপর তা ছিঁড়ে ফেলে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের আসনের দিকে ছুড়ে দেন। সে সময় পেগাসাস স্পাইওয়্যারের সাহায্যে ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ নিয়ে বক্তৃতা করছিলেন অশ্বিনী।শান্তনুকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ওব্রায়েন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার কাগজ ছেঁড়ার ঘটনার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী নিজের আসন ছেড়ে শান্তনুর দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। অসংসদীয় বাক্যও প্রয়োগ করেছিলেন। ডেরেকের প্রশ্ন, অন্য অভিযুক্ত (হরদীপ) কেন ছাড় পেলেন? তৃণমূল-সহ বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে শুক্রবারও মুলতুবি হয় রাজ্যসভার অধিবেশন।

জুলাই ২৩, ২০২১
দেশ

Rajya Sabha: তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর হাতের কাগজ ছিঁড়লেন শান্তনু সেন

পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিতর্কে বৃহস্পতিবারও উত্তাল হল সাংসদ। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের বক্তব্য রাখার সময় তাঁর হাত থেকে কাগজ কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। ফলে বক্তব্য শেষ করতে পারেননি তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী। এর বদলে তিনি বক্তব্য জমা দেন।এদিন রাজ্যসভায় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী বক্তব্য শুরু করতেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলির সাংসদরা। এরই মধ্যে মন্ত্রী বলতে শুরু করেন, ১৮ জুলাই, ২০২১-তে একটি ওয়েব পোর্টালে অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে অনেক অভিযোগ আনা হয়েছে। বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগের দিন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়। এটা কাকতালীয় হতে পারে না। সংশ্লিষ্ট সবপক্ষই এই প্রতিবেদনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। আমি সব সদস্যকে বিস্তারিত রিপোর্ট দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। এরপরেই মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ কেড়ে নেন তৃণমূল সাংসদ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল ও বিজেপি সাংসদদের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মার্শালদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সব সদস্যকেই অসংসদীয় আচরণ থেকে বিরত থাকতে বলেন। এরপর হট্টগোলের জেরে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন তিনি। আরও পড়ুনঃ ফের লাগামহীন সংক্রমণ, একদিনে আক্রান্ত ৪১ হাজার২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজও বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। মমতা বলেছেন, পেগাসাস ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির চেয়েও বড় কেলেঙ্কারি। এভাবে হিটলারি কায়দায় কতদিন মানুষকে ভয় দেখিয়ে রাখবে? কাউকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। শুনেছি, আরএসএসের অনেকের ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। ফোনে প্লাস্টার লাগিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করছি। কালীঘাটের অফিসে সুব্রত বক্সি, অভিষেক, পিকের সঙ্গে মিটিং করছিলাম। আমরা ফোনে কথা বলিনি, তাও পুরো বিষয়টি রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। পিকের ফোন অডিট করে দেখেছে, মিটিংয়ে কী আলোচনা হয়েছে, সব রেকর্ডিং হয়েছে। আমরা ফোনে কথা বলিনি, তাও সব রেকর্ডিং হয়ে গিয়েছে। অভিষেক, পিকে, আমারও ফোন ট্যাপ করা হয়েছে। এত কিছুর পরেও লজ্জা নেই। তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধেই ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ করেছেন।

জুলাই ২২, ২০২১
রাজ্য

Memari: মেমারী শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে ২১জুলাই পালন

তৃতীয়বার বাংলা বিজয়ের পর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করার কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। করোনা পরিস্থিতিতে গতবছরের মতো এবারও ভার্চুয়ালি পালন করা হয় শহিদ দিবস। ভার্চুয়াল বক্তব্যে দিল্লি জয়ে বিরোধীদের সার্বিক জোটের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় বড় এলইডি স্ক্রিণের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাষণ। সেখানেই ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।আরও পড়ুনঃ শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসেই পদ্মশিবিরে বড়সড় ভাঙন, জামালপুরে যোগ তৃণমূলেমেমারী শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল বক্তব্য সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে। সেখানে শহরের যুব নেতৃত্ব হাজির ছিলেন। এদিন দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নেতৃত্ব শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন। মেমারী শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ সাঁতরা জানান, ২১ জুলাই উপলক্ষ্যে মেমারী বামুনপাড়া মোড়ে শতাধিক বাচ্চাকে দুধ, বিস্কুট প্রদান করা হয়েছে। তৃণমুল কংগ্রেসের চোটখণ্ড গ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি পল্লব সিংহরায় জনতার কথাকে জানান, মেমারী শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ সাঁতরার উদ্যোগে দুঃস্থ ও কর্মহীন অসহায় মানুষদের কম্যুনিটি-কিচেন তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন। যুব তৃণমূলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে মেমারীবাসী।

জুলাই ২২, ২০২১
কলকাতা

Birati Murder: একুশের রাতে বিরাটিতে তৃণমূল কর্মী খুনে চাঞ্চল্য

একুশে জুলাইয়ের রাতে খুন তৃণমূল কর্মী। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিরাটির বণিক মোড়ে। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম শুভ্রজিত দত্ত ওরফে পিকুন, বয়স ৩৮। তাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠছে বিজেপির দিকে। জানা গিয়েছে, ঘটনার ওই তৃণমূল কর্মী উত্তর দমদম পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎই বাইকে করে একদল দুষ্কৃতী এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মাথা ও বুক লক্ষ্য করে চার থেকে পাঁচটি গুলি করে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন শুভ্রজিৎ দত্ত। এই ঘটনার পরেই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়েই সেখানে যায় নিমতা থানার বিশাল পুলিশ। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে পুলিশ। সেখানে পৌঁছয় ব্যারাকপুর ও বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ বাহিনীও। আহত অবস্থায় তাকে উত্তর দমদম পুরসভার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতেই তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আরও পড়ুনঃ ফোন ট্যাপ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চান মমতাএলাকায় চাপা উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নিমতা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকার দুষ্কৃতী বাবুলাল সিংয়ের নাম উঠে আসছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওইদিন দুপুরে বাবুলাল সিংকে মারধর করে কয়েকজন। এতে বাবুলালের মাথায় আঘাত লাগে। সেই সময় নিমতা থানার পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবুলাল। আর এরপর রাতেই গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনার সঙ্গে দুপুরের ঘটনার কোন যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে নিমতা থানার পুলিশ।

জুলাই ২২, ২০২১
দেশ

TMC Mamata: দিল্লি অভিযানে মমতার নতুন স্লেগান

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় এক বছর আগে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিল তৃণমূল। পুরো নির্বাচনী প্রচারে এই স্লোগান দিয়েছে তৃণমূল শিবির। দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়ে ২১ জুলাই শহিদ দিবসে তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে নতুন স্লোগান। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে জয় হিন্দুস্থান স্লোগান। বাংলা ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে নতুন স্লোগান বেঁধে দিলেন মমতা।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে সামান্য বাড়লেও দেশে করোনা সংক্রমণে স্বস্তিএবারও করোনা আবহে ২১ জুলাই শহিদ স্মরণের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বক্তব্য শুরু করলেন জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম, জয় বাংলা, জয় হিন্দুস্থান ধ্বনি দিয়ে। ভাষণের শেষেও ছিল জয় হিন্দুস্থান ধ্বনি। একেবারে নতুন ধ্বনির স্লোগান দিয়েই মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন মমতা। তিন বার টানা বাংলা দখল সম্পূর্ণ করে এবার তাঁর নজর দিল্লির মসনদ। বিজেপি বিরোধী শক্তিকে এক জোটে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি।আরও পড়ুনঃ ফোন ট্যাপ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চান মমতাপ্রথম থেকেই জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে টানা প্রবল বিরোধিতা করে বিজেপি। গেরুয়া শিবির দাবি তোলে এটা বাংলাদেশের স্লোগান। বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে জুড়তে চাইছে তৃণমূল, তাই এই স্লোগান। এমনই দাবি ছিল বিজেপির। যদিও এই স্লোগান বিরোধী কোনও মন্তব্যকে পাত্তা দেয়নি তৃণমূল। প্রতিটি জনসভায় জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে দেশব্যাপী লড়াইয়ে জয় হিন্দুস্থান ধ্বনিকে সঙ্গী করেই এগোতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। শহিদ দিবসে সেই সুর বেঁধে দিলেন তৃণমূলনেত্রী।

জুলাই ২২, ২০২১
রাজনীতি

’শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ দিবসেই পদ্মশিবিরে বড়সড় ভাঙন, জামালপুরে যোগ তৃণমূলে

তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবস পালনের পাল্টা বুধবার শহীদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করে বিজেপি। আর বিজেপি নেতৃত্ব যখন শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালনে ব্যস্ত সেই ফাঁকে খেলা হবে শ্লোগান তুলে বিজেপি শিবিরে বড়সড় ভাঙন ধরালো পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে তৃণমূল নেতূত্ব। চোদ্দশোর আধীক বিজেপি কর্মী ও সমর্থক এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করলেন। যা নিয়ে তৃণমূল শিবির উৎফুল্ল। তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সন্ত্রাসের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই এখন তৃণমূলের ভিড়তে বাধ্য হচ্ছেন। আরও পড়ুনঃ সুযোগ পেয়েও প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামলেন না কোহলি, রাহানেরাতৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলের তরফে প্রতিবছর ২১ জুলাই পালিত হয়ে আসছে শহিদ দিবস। পূর্বে কলাকাতায় সমাবেশ করে শহিদ স্মরণ সভা হলেও এবছরও অতিমারির কারণে দল আর সমাবেশ করেনি। এই বছর ভার্চুয়াল মাধ্যম দল শহিদ স্মরণ করেছে। জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনের প্রাঙ্গনে এদিন ১৯৯৩ সালে নিহত হওয়া শহিদদের স্মরণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে হাজির হন ব্লকের চোদ্দশোর বেশী বিজেপি কর্মী ও সমর্থক। তাদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই ছিল বেশী। বড় স্ক্রিনের সামনে বসিয়ে প্রথমে তাদের তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনানো হয়।এরপর শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান স্থলেই ওই বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানো হয়। জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি, ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেহেমুদ খাঁন ও যুব সভাপতি ভূতনাথ মালিক দলত্যাগীদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরন করে নেন।আরও পড়ুনঃ টোকিওতে কেন গেমস ভিলেজে থাকছেন না ১ নম্বর মহিলা টেনিস তারকা?মেহেমুদ খাঁন বলেন ,বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে রাজ্যের অন্যান জায়গার পাশাপশি জামালপুরের অনেক মানুষজন বিজেপি নেতাদের কথায় বিজেপিতে গিয়েছিলেন। ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর সেইসব বিজেপি নেতারা নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বর্ধমানে থাকা জেলা পার্টি অফিসে প্রায় দিনই ওরা নিজেরা হাতাহাতি মারামারিতে জড়াচ্ছে। দলের কর্মী ও সমর্থকদের দিকে বিজেপি নেতারা এখন ফিরেও তাকাচ্ছেন না। এইসব দেখে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা ঘেন্নায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি ভূতনাথ মালিক বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে চেয়ে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের করা আবেদনের বিষয়টি জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়। দলের সবুজআরও পড়ুনঃ কফি ডেটে যেতে চান শ্রীলেখা! কিন্তু কার সঙ্গে?সংকেত মেলার পর এদিন চোদ্দশোর বেশী বিজেপি কর্মী ও সমর্থককে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানো হয়েছে। বিজেপি ত্যাগীদের মধ্যে মহাদেব মুর্মু এদিন বলেন, রান্নার গ্যাস সহ সমস্ত পেট্রোপণ্যের দাম প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। বাজারে সমস্ত জিনিসও অগ্নিমূল্য । অথচ কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এইসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। সংসার চালাতে তাঁদের মতো গরিব মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। তাই ধিক্কারে তারা বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সামিল হতে তাই এদিন তাঁরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করেছেন।আরও পড়ুনঃ পর্নোগ্রাফি ছবি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার বলিউড অভিনেত্রীর স্বামীজামালপুর বিধানসভার বিজেপি আহ্বায়ক জীতেন ডকাল বলেন ,মনে প্রাণে কেউ বিজেপি ছাড়েনি, ছাড়ছেনও না । তৃণমূলের সন্ত্রাসের হাত থেকে বাঁচতে সর্বত্র বিজেপির লোকজন এখন তৃণমূলে ভিড়তে বাধ্য হচ্ছেন। জীতেন বাবু দাবি করেন ,জামালপুরের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি বলেই তিনি মনে করছেন।

জুলাই ২২, ২০২১
রাজ্য

Harowa: হাড়োয়ায় শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে গুলি, নিহত ২

তৃণমূলের শহিদ দিবসে পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার-কাণ্ড হাড়োয়ায়। দলেরই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক মহিলা-সহ ২ জনের। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন উভয়পক্ষের ১২ জন।বুধবার গোটা রাজ্যের সঙ্গে হাড়োয়ার ট্যাংরামারি গ্রামেও আয়োজন করা হয়েছিল শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান। সেখানেই পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এর মধ্যেই চলে গুলি। পুলিশ সূত্রের খবর, নিহতরা হলেন লক্ষ্মী সর্দার(৬২) ও সন্যাসী সর্দার(৩৮)।আরও পড়ুনঃ শশাঙ্কের সঙ্গে কফি ডেটে গেলেন শ্রীলেখা, তারপর!পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার বেশ কয়েকজন তৃণমূলের নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দেয়। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ফের তারা দলের এক প্রভাবশালী নেতার হাত ধরে তৃণমূলে ফিরে আসে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে হাড়োয়ার বাছড়া মোহনপুর পঞ্চায়েত এলাকায় দলের আদি এবং নব্যদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। গুলি-বোমার লড়াইয়ে উত্তপ্ত ছিল এলাকা। তারই মধ্যে এ দিন সকালে এক পক্ষ দলীয় পাটি অফিসের সামনে ২১ শে জুলাই উপলক্ষে দলের পতাকা তোলায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়।এদিন দলীয় পতাকা তোলা হয়ে গেলে হইহুল্লোড় করার পর খাওয়া শেষে দুপুর আড়াইয়ে নাগাদ এক পক্ষ যখন বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেয় সে সময়ে অতর্কিতে তাদের উপর আক্রমণ অন্য গোষ্ঠীর সমর্থকেরা। শুরু হয় মুড়িমুড়কির মত গুলি ও বোমা বৃষ্টি। বাড়ি ফেরার পথে ওই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান লক্ষ্মী মণ্ডল। গুলি এসে লাগে লক্ষ্মীর পেটে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বুকে গুলি লাগে সন্যাসী সর্দারের। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জুলাই ২১, ২০২১
কলকাতা

Pegusas: ফোন ট্যাপ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চান মমতা

শহিদ দিবসের মঞ্চে ভাষণের শুরু থেকেই পেগাসাস কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো খড়গহস্ত হয়ে ওঠেন মমতা। সবার ফোনে সর্বক্ষণ আড়িপাতা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। ভাষণ চলাকালীন একসময় হাত জোড় করে তিনি বলেন, সম্মানীয় শীর্ষ আদালতের কাছে আমার বিনীত আবেদন, দেশের সকলে আপনাদের ভীষণ সমীহ করে। যখন বিচারপতিদের ফোনও ট্যাপ করা হচ্ছে, তখন আপনারা কি একটা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করতে পারেন না? আমি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কাছে এই আবেদন জানাচ্ছি। একমাত্র আপনারাই পারেন দেশকে বাঁচাতে। উল্লেখ্য, ফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে বলে মমতা নিজের ফোনের ক্যামেরা লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে আটকে দিয়েছেন বলেও জানান। এমনকী, তা তুলেও দেখান।আরও পড়ুনঃ অগস্টের প্রথমেই ৫ কেন্দ্রের ভোটযন্ত্র পরীক্ষার নির্দেশমমতা বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের ফোনও ট্যাপ করা হচ্ছে। ফোনটাই এখন রেকর্ডার হয়ে গিয়েছে। আপনারা যদি ঘরে থাকা স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন সেটাও রেকর্ড করা হচ্ছে। স্যর, দয়া করা এই দেশকে, এই গণতন্ত্রকে রক্ষা করুন। একটা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করুন। না হলে একটি তদন্তকারী দল গঠন করে দিন। যে আপনাদের অধীনে কাজ করবে। যারা মনিটর করবে যে কার কার ফোনে আড়িপাতা হয়েছিল। আমার ফোনে তো হয়েছে স্যর।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস স্পাইওয়্যার! ভাবের ঘরে চুরি? আপনি কতটা সুরক্ষিত? আক্রান্ত কারা?ফোন ট্যাপিং নিয়ে মমতার যুক্তি, যদি অভিষেকের ফোন ট্যাপ হয়ে থাকে, তবে তো আমার ফোনও হয়েছে। পিকে-র ফোনে হয়েছে। তাহলে তো আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলি, আমারও হয়েছে। এমন বহু সাংবাদিক আছেন যাঁরা আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন, তাঁদেরও হয়েছে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের উদাহরণ টেনে তাঁর অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদেরও রেয়াত করা হচ্ছে না। তাই এই অবস্থায় গণতন্ত্রকে যদি কেউ রক্ষা করতে পারে সেটা একমাত্র দেশের বিচারব্যবস্থা, বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

জুলাই ২১, ২০২১
রাজনীতি

21st July: শহিদ দিবসেই দেশ তথা বিশ্বের বাঙালি পাঠকের উদ্দেশে যাত্রা শুরু 'জাগো বাংলা'র

প্রতিবছরই ২১ জুলাই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে তৃণমূল। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এই দিন পালন করেছিল তারা। এবারও তার অন্যথা হবে না। যদিও জনসভা না করে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই দিন পালন করা হবে। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার তাঁর বক্তব্য শুধুমাত্র রাজ্যের গণ্ডির মধ্যেই থাকবে না। তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে রাজধানী দিল্লি-সহ ত্রিপুরা, অসম, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, ওডিশা, বিহার এবং পঞ্জাবে।আরও পড়ুনঃ বৃষ্টির মধ্যেও শুটিং করছেন অক্ষয়আর এদিনই তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রকে সাপ্তাহিক থেকে দৈনিক করার আনুষ্ঠানিক সূচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে কালীঘাটে তৃণমূলের ২১ জুলাই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তার লোগো উদ্বোধন করবেন তৃণমূলনেত্রী। একইসঙ্গে সামনে আসবে নতুন সংস্করণের প্রথম দিনের ইপেপার। কবে থেকে দৈনিক হিসাবে তা ছেপে বেরোবে, মমতা নিজে তার ঘোষণা করবেন।আরও পড়ুনঃ ছাত্রীর শ্লীলতাহানী, শ্রীঘরে ঠাই কীর্তিমান শিক্ষকেরদলের মুখপত্রের দৈনিক সংস্করণ শুরু করার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এই দৈনিক সংস্করণ নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাঠক হবেন গোটা দেশ তথা বিশ্বের বাঙালিরা। এ রাজ্যের পাশাপাশি থাকবে জেলার খবর, দলের প্রতিদিনের কর্মসূচি এবং তা নিয়ে খবর, প্রবন্ধ, দলের সাংসদবিধায়কদের লেখা। প্রতিদিন আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে থাকবে ফিচার পাতা। শনি ও রবিবার বিশেষ ক্রোড়পত্র। খেলার পাতাকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হবে। থাকবে দলের স্লোগান। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে সাপ্তাহিক জাগো বাংলার প্রকাশ শুরু হয়। প্রথমে এই মুখপত্রের সম্পাদক ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। বর্তমানে তার সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়।আরও পড়ুনঃ উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে স্থগিতাদেশ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই যুব কংগ্রেসের মহাকরণ অভিযান কর্মসূচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের। সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা নিজেই। সেই সময় তিনি ছিলেন যুব কংগ্রেস নেত্রী। এরপর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল গড়েন তিনি। কিন্তু, সেই দিনের কথা স্মরণ করে তৃণমূল গড়ার পরও শহিদ দিবস পালন করেন নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ব্রিগেড ময়দানে বড় করে ওই সমাবেশ করেছিলেন তিনি। তবে করোনার জন্য এবার আর তা জনসভা করে পালন করা হবে না। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন মমতা।;আরও পড়ুনঃ ২১ জুলাই থেকে দৈনিক হচ্ছে তৃণমূলের মুখপত্রআর এবার সেই দিবসের পাল্টা কর্মসূচির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। একুশের নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ করে আসছে তারা। এই কর্মসূচিকে সফল করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। রাজ্যের সব জায়গায় ইতিমধ্যেই বার্তা পাঠানো হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি জেলা দপ্তরে বড় স্ক্রিন লাগিয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে বলা হয়েছে। সব জায়গাতে এই কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই কর্মসূচি তারা কতটা সফল করতে পারে এখন সেটাই দেখার।

জুলাই ২০, ২০২১
রাজ্য

21st July: ২১ জুলাই এবার শহিদ স্মরণে বঙ্গ বিজেপি-ও

বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর ব্রিগেডে ২১ জুলাই বিজয় দিবস পালন করার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালি কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ২১ জুলাই শহিদ স্মরণ করবে বিজেপিও। একদিকে দিল্লির রাজঘাটে ধরনায় বসবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষসহ অন্য সাংসদরা। অন্যদিকে রাজ্যব্যাপী শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি পালন করবে বিজেপি।এদিন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য্য বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত মোট ১২৪ জন বিজেপি কর্মী খুন হযেছেন। তারপর ২ মে থেকে এখনও পর্যন্ত আরও ৩৮ জন খুন হয়েছেন। এখনও বহু মানুষ ঘরছাড়া। মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেওয়ার পর থেকে ৩০ জন খুন হয়েছেন। গতকাল রায়গঞ্জের বিজেপি কর্মী দেবেন বর্মনকে খুন করা হযেছে। মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করার জন্য খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।২১ জুলাই যুব কংগ্রেসের মিছিলের ওপর গুলি চালিয়েছিল বামফ্রণ্ট সরকার। ওই দিনটা তৃণমূল কংগ্রেস শহিদ দিবস হিসাবে পালন করে থাকে। এবার একই দিনে শহিদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবে বিজেপি নেতৃত্ব। শমীক ভট্টাচার্য্য বলেন, শহিদ স্মরণে ২১ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টার সময় রাজঘাটে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে ধরনায় বসবেন সাংসদরা। এদিকে হেস্টিংস অফিস, 6, মুরলিধর সেন অফিস ও রাজ্যের সর্বত্র আমরা শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করব। হেস্টিংসে রাজ্য নেতৃত্ব বক্তব্য রাখবেন। রাজ্যের সমস্ত জেলা, মন্ডল অফিস ও বুথে ভার্চুয়ালি সকলকে এক জাযগায় নিয়ে আসার চেষ্টা করব। ফেসবুক ও ইউটিউবের মধ্যমে সারা দেশে ও সারা বিশ্বের বাঙালীর কাছে এরাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।

জুলাই ২০, ২০২১
রাজ্য

Human Skulls: বৃক্ষরোপণ করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ, মিললো মানুষের মাথার আস্ত খুলি

বৃক্ষরোপণ করতে গিয়ে চক্ষু তো প্রায় চড়কগাছ। সেখানে মিললো মানুষের মাথার আস্ত খুলি। শুক্রবার বিকেলে হাওড়ার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সেইসময় তৃণমূল কর্মীদেরই প্রথমে নজরে আসে বিষয়টি। পাওয়া যায় মানুষের আস্ত একটা খুলি।খবর রটে যেতেই দালালপুকুর সংলগ্ন ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন ছুটে আসেন। তৃণমূলের কর্মীরাই চ্যাটার্জিহাট থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ আসে। খুলিটি পুলিশ উদ্ধার করে। এরপর আশপাশের এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। শরীরের আর কোনও অংশ পাওয়া যায় কিনা তা তল্লাশি করে দেখা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এরপর একটি ব্যাগের মধ্য থেকে উদ্ধার হয় পচাগলা কিছু অংশ। যদিও পুলিশের দাবি, শুধু একটা মানুষের মাথার খুলি উদ্ধার হয়েছে। আর বাকি কিছু পাওয়া যায়নি। তবে ওই জনবহুল এলাকায় মানুষের মাথার খুলি কিভাবে এলো তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। খুলিটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

জুলাই ১৭, ২০২১
রাজনীতি

Mukul -Suvendu: মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ শুনানি: "এবার আদালতেরও আশ্রয় নেব", বললেন শুভেন্দু

দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী করতে মরিয়া শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানিতে বিধানসভার অধ্যক্ষে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুনানি চলে সাড়ে ৩ মিনিট। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩০ জুলাই।আরও পড়ুনঃ পিএসি নিয়ে রাজনীতিকরণ-্এর বিরুদ্ধে রাজভবনে শুভেন্দু, প্রচার চলবে গোটা দেশেওঅধ্যক্ষের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁর সদস্য পদ বাতিলের জন্য আবেদন করেছিলাম। এখানে ভূয়ো ভ্যাকসিন চলে, শাসকের আইন এখানেই চলে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এখানে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী হয় না। আমরা আইনের আশ্রয় নেব। তথ্যপ্রমান, অডিও, ভিডিও, টুইটার হ্যান্ডেল সব প্রমাণ রয়েছে দলত্যাগের। তৃণমূলের ১৪ জন সদস্যের মধ্য থেকেই তিনি পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান হন।কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূল ভবনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন। তারপর ৬৪ পাতার নথি বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়ে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করেন শুভেন্দু অধিকারী। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার ছিল প্রথম শুনানি। অধ্যক্ষের ডাকা সেই শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর কাছে আরও নথি চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।আরও পড়ুনঃ মুকুলই পিএসির চেয়ারম্যানএদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, এর আগে দলবদলু এক বিধায়কের দলত্যাগের আবেদনের ২৩ বার শুনানি হয়েছিল। আগামী ৩০ জুলাই ফের শুনানিতে হাজির হলেও আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। এরাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী করে ছাড়ব।

জুলাই ১৬, ২০২১
রাজ্য

CID: মঙ্গলকোট-কাণ্ডে তদন্তভার সিআইডি-র

মঙ্গলকোটে তৃণমূলের লাখুরিয়া অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসকে খুনের ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি।আজই মঙ্গলকোটে ৫ সদস্যের সিআইডির একটি দল তদন্তে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় দুই দলীয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, সোমবার লাখুড়িয়ায় নিজের বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন স্থানীয় তৃণমূল সভাপতি অসীম দাস। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে সুর তোলে শাসক দল। যদিও সেই অভিযোগ বরাবর নস্যাৎ করে আসে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্টই জানান, তৃণমূলের লোকেরাই খুনের ঘটনায় জড়িত। পরবর্তীতে খোদ মৃত নেতার পরিবার দাবি করে, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূলের বি গোষ্ঠী।জানা গিয়েছে, এদিন সিআইডির তদন্তকারীরা মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন। মূলত কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তা জানবার চেষ্টা করবেন। উল্লেখ্য এর আগেও অসীমবাবুকে আক্রমণ করা হয়েছিল। সেই চেষ্টা বৃথা যায়। সিআইডির দলটি ঘটনাস্থলেও যাবেন।

জুলাই ১৬, ২০২১
রাজ্য

Mangalkote: মঙ্গলকোটে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২ দলীয় কর্মীই

গুলি করে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দলেরই দুই সক্রিয় কর্মী। ঘটনা জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক মহলে। গত সোমবার মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অসীম দাসকে খুনের ধৃতরা হলেন সাবুল শেখ ও সামু শেখ। প্রথমজনের বাড়ি মঙ্গলকোটের কল্যাণপুর গ্রামে। অপর ধৃত মঙ্গলকোটের কোটালঘোষ গ্রামের বাসিন্দা। সাবুল ও সামু দুজনেই সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। ধৃত সাবুলের দাবি সে লাখুরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের সহ-সভাপতি। পুলিশ দুই ধৃতকেই এদিন পেশ করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার এদিন দুই ধৃতকেই ১২ দিনের জন্য নিজেদের হেপাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। বিচারক ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ নিয়মে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসছে দ্য হান্ড্রেড ক্রিকেটমঙ্গকোটের লাখুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অসীম দাস গত সোমবার সন্ধ্যায় বাইকে চেপে সিউর গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে সিউর মোড়ে দুস্কৃতিরা অসীম দাসের বাইক দাঁড় করিয়ে খুব কাছ থেকে তার বুক লক্ষ করে গুলি চালিয়ে পালায়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসক অসীম দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর দিন মৃতর ছেলে সুনন্দ দাস অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের নামে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির দলও ঘটনার তদন্তে নামে। খুনের ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্ত কমিটি সিট গঠন করা হয়। এদিন রাজ্যের ফরেনসিক দলের বিশেষজ্ঞ চিত্রাক্ষ সরকার ও অভিজিৎ মাণ্ডির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য সিউর এলাকার খুনের ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন। তাঁরা ঘটনাস্থল সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি তাঁরা ওই দিনের ঘটনা পুনর্নির্মাণ করেন।আরও পড়ুনঃ কফি ডেটে যেতে চান শ্রীলেখা! কিন্তু কার সঙ্গে?অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস খুন হওয়ার পর মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছিলেন খুনের ঘটনায় বিজেপি জড়িত। কিন্তু মৃতের পরিবারের লোকজনই সেই দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন। তাঁরা অভিযোগ করেছিল, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই অসীম দাস খুন হয়েছেন। বুধবার নিহত অসীম দাসের পরিবার সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, অপরাধীরা যে দলেরই হোক ছাড়া হবে না। পুলিশকে তিন দিনের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।আরও পড়ুনঃ নতুন মেগা আসছে পিয়ালীরপুলিশ জানিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ধৃত দুজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলকোট থানায় আটটি করে অভিযোগ রয়েছে। মাদক পাচারের ঘটনায় দীর্ঘদিন জেলে ছিল খুনের ঘটনায় ধৃত সামু শেখ। মাস খানেক আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সামু গ্রামে ফেরে। পুলিশের দাবি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত দুজনই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা কবুল করেছে। ঘটনার এই দুই ধৃত ছাড়াও আরও অনেকের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পুলিশ কর্তারা মনে করছেন।আরও পড়ুনঃ ইচ্ছে ছবির ১০ বছর, আবেগে ভাসলেন পরিচালকমঙ্গলকোট ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী এদিন যদিও দাবি করেন, সাবুল তাঁদের দলের কোনও পদাধিকারী নয়। সমর্থক হতে পারে। অপর ধৃত সামুর সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। তবে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা (কাটোয়া) সহ-সভাপতি রাণাপ্রতাপ গোস্বামী বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকেই বলছিলাম তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। দুজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেটাই পরিষ্কার হয়ে গেল।

জুলাই ১৫, ২০২১
রাজ্য

Galsi: গলসিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম আনিসুর মণ্ডল ওরফে কালো, চণ্ডীচরণ দাস ও শেখ নূর আলম। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার বোলপুর গ্রামে চণ্ডীদাসের বাড়ি। অপর দুই ধৃত গলসির কড়কডাল গ্রামের বাসিন্দা। গলসি থানার পুলিশ বুধবার রাতে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।আরও পড়ুনঃ বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় জখম বিজেপি নেত্রীপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁশের তৈরি বসার মাচা ভেঙে দেওয়া নিয়ে বুধবার বিকালে কড়কডাল গ্রামে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ৪ মহিলা-সহ উভয়পক্ষে ১০ জন জখম হন।জখমদের মধ্যে ৭ জনকে পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর থাকায় সেখান থেকে কয়েকজনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।আরও পড়ুনঃ কেন দ্বিতীয় বিয়ে করলেন না পূজা ভাট!আক্রান্ত শেখ নূর আলম পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বিকাল ৪টে নাগাদ লাঠি, রড, শাবল প্রভৃতি নিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁর বোন, মা, স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয়দের মারধর করার পাশাপাশি তারা তাঁর বাড়িতে থাকা ২ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে পালায়। অপরদিকে সফিকুল মল্লিকের অভিযোগ, ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে খলসেগড় বাজারে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁর আর্তনাদ শুনে ভাই ছুটে আসেন। তাঁকেও মারধর করা হয়। দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে গলসি থানার পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। সিজেএম ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠিয়ে সোমবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।

জুলাই ১৫, ২০২১
রাজ্য

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাকে মারধরে গ্রেপ্তার ২ বিজেপি কর্মী

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বিজেপির দুই কর্মী। ধৃতদের নাম মুক্তিপদ কোলে ও চরণ দাস। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার বেরুগ্রাম অঞ্চলের হৈবতপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। জামালপুর থানার পুলিশ সোমবার রাতে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনার জেরে হৈবতপুর গ্রামে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়েছে। বেরুগ্রাম অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সেখ আব্দুস সালাম যদিও দাবি করেছেন, ধৃত দুইজনই তৃণমূলের কর্মী। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাঁদের বিজেপি কর্মী তকমা দেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুনঃ গুগল পিসেমশাই জন্মদিনের তারিখ ভুল বলছে মনামীরপুলিশ জানিয়েছে, জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা অঞ্জনা দলুই সোমবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ ১০০ দিনের কাজ নিয়ে এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। অভিযোগ সেই সময় বিজেপির লোকজন রড, লাঠি প্রভৃতি নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায়। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাকে মারধর করা হয়। চোখে আঘাত লাগলে তিনি সংজ্ঞা হারান। তাঁর সোনার হার, কানের দুল ও মোবাইল খোয়া যায়। আক্রান্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায় দলের কর্মীরা। ঘটনার কথা জানিয়ে ওই রাতেই অঞ্জনা দলুই জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিজেপির দুজনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তকারী অফিসারের কাছে সপ্তাহে ১ দিন হাজিরা এবং অভিযোগকারী ও ঘটনার সাক্ষীদের ভীতি প্রদর্শন না করার শর্তে সিজেএম ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

জুলাই ১৩, ২০২১
কলকাতা

Bhatpara: ভরসন্ধেয় ভাটপাড়ায় গুলি

ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া। মঙ্গলবার বিকেলে পুরসভা কম্পাউন্ডে চলল গুলি। পুরসভার ঠিক উল্টোদিকে রয়েছে ভাটপাড়া থানা। অভিযোগ উঠেছে, থানার নাকের ডগায় এক দুষ্কৃতী গুলি চালিয়ে চম্পট দিল, অথচ পুলিশ তাকে পাকড়াও করতে পারলো না! জানা গিয়েছে, পুরসভা কম্পাউন্ডে একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম কাউন্টার আছে। সেখানে তৃণমূল কর্মী সৌরভ অধিকারীর সঙ্গে এক যুবকের বচসা চলছিল। বচসা থেকে দুপক্ষের মধ্যে মারপিট বেঁধে যায়। সৌরভকে বেধড়ক মারে ওই যুবক। এমনকী, সৌরভকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ওই যুবক। যদিও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ওই তৃণমূল কর্মী।আরও পড়ুনঃ কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টেরআক্রান্ত তৃণমূল কর্মী সৌরভ অধিকারী ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর হিমাংশু সরকারের ছায়াসঙ্গী। ঘটনার সময় বিদায়ী কাউন্সিলর হিমাংশু সরকার পুরসভায় ছিলেন। আক্রান্ত সৌরভকে নিয়ে তিনি ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সৌরভকে ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গুলি কাণ্ডে জড়িত যুবকের পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে। যদিও ঘটনার কারণ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চায়নি আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী ও বিদায়ী কাউন্সিলর হিমাংশু সরকার। অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কাজিয়ায় জেরেই মারপিট এবং গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। যদিও গোষ্ঠী দ্বন্দের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য মুকসুদ আলম।

জুলাই ১৩, ২০২১
রাজ্য

Mongalkote: মঙ্গলকোটে শুটআউট -নিহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন। বাইক দাঁড় করিয়ে কাছ থেকে গুলি চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। মৃত ব্যক্তির নাম অসীম দাস। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের সিওর গ্রামে তাঁর বাড়ি। তিনি মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। গূলি লাগার পর রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন অসীমবাবু। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।আরও পড়ুনঃ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, ডোঙার সাহায্যে জল সেচ তৃণমূল বিধায়কেরএদিকে, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে মারার ঘটনা জানাজানি হতেই মঙ্গলকোটজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়েই মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী-সহ অন্য তৃণমূল নেতারা মঙ্গলকোট হাসপাতালে পৌঁছে যান। একইভাবে ঘটনার কথা জানার পর জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিশ পার্শ্ববর্তী জেলার সীমান্তে জোরদার নজরদারি চালানোর পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালানো শুরু করেছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।আরও পড়ুনঃ তিন রাজ্যে বজ্রপাতে মৃত ৬৮, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীরজানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মত এদিন সন্ধ্যায় কাশেমনগর বাজার থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে একাই সিওর গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন অসীম দাস। পথে বাড়ির কাছেই সিওর মোড়ের কাছে কেউ দাদা বলে ডেকে অসীম দাসের মোটরসাইকেল দাঁড় করায়। এরপরেই খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। উত্তেজনা চরমে ওঠায় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।আরও পড়ুনঃ ইংল্যান্ডের স্বপ্ন চুরমার করে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিতৃণমূল নেতা অসীম দাসকে খুনের ঘটনায় বিজেপির যোগসাজোস রয়েছে বলে দাবি করেছেন মঙ্গলকোটের তৃমূলের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। একই অভিযোগ করে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন, ভোটে হেরে যাওয়ার বদলা নিতে মঙ্গলকোটের বিজেপি কর্মীরা এখন সন্ত্রাস ও খুনের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে। খুনিরা কেউ পার পাবেনা বলে দেবু টুডু জানিয়েদেন। মঙ্গলকোট বিধানসভার পর্যবেক্ষক তথা বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন,অসীম দাস দক্ষ সংগঠক ছিলেন। বিজেপির লোকজনই পরিকল্পনা করে তাকে খুন করেছে। মৃতর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বুধবার মঙ্গলকোট যাচ্ছেন বলে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন। যদিও বিজেপির বর্ধমান পূর্ব (গ্রামীণ) জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অনীল দত্ত পাল্টা দাবি করেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তা ধাপাচাপা দিতেই তৃণমূলের নেতারা বিজেপির দিকে আঙুল তুলছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করেলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে বিজেপি নেতা অনিল দত্ত মন্তব্য করেছেন।

জুলাই ১২, ২০২১
রাজ্য

Petrol Hike: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, ’ডোঙার' সাহায্যে জল সেচ তৃণমূল বিধায়কের

জ্বালানির আঁচে জ্বলছে গোটা দেশ। ১০০ পেরিয়েছে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম। ডিজেলের দামও ১০০ ছুঁইছুঁই। জ্বালানির এই অগ্নিমূল্যের প্রভাবে সংকট তীব্র হবে রাজ্যের কৃষিক্ষেত্র। সেচের কাজে পাম্প মেশিন ছেড়ে চাষিদের ফের ডোঙা ব্যবহারেই ফিরতে হবে। সোমবার রথযাত্রার দিন ডোঙায় জল সেচ করে নিজের চাষজমি কর্ষণ কাজের শুভারম্ভ ঘটিয়ে সেই বার্তাই দিলেন বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক। বিধায়কের এই বার্তা রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষক মহলকেও ভাবিয়ে তুলেছে। তবে বিধায়কের এদিনের কর্মকাণ্ডকে নাটক বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।বর্ধমান ২ ব্লকের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের হাটকান্ডা গ্রামে বাড়ি বিধায়ক নিশীথ মালিকের। তাঁর পরিবারের সকলেই কৃষিজীবী। পরিবারের চাষবাস বিধায়ক নিজেই দেখেন । বরাবরই জমিতে নেমে চাষ-আবাদের কাজ তিনি নিজেই তদারকি করেন ।প্রতিবছরের মতো এবছরও রথযাত্রা উৎসবের দিন বিধায়ক নিশীথ মালিক তাঁদের পারিবাবিক চাষ জমির কর্ষণ কাজ শুরু করেন । এদিন বাড়িতে থাকা সাবেকি আমলের ডোঙা কাঁধে নিয়েই বিধায়ক জমির উদ্দেশ্যে রওনা নেন । বহুকাল পর ডোঙা নিয়ে নিশীথ মালিককে চাষের জমির দিকে যেতে দেখে এলাকার অন্য চাষিরা কার্যত তাজ্জব বনে যান । ডোঙা নিয়ে জমিতে পৌছে বিধায়ক নিশীথ মালিক প্রথমে ডোঙার সাহায্যে তাঁদের ধান জমিতে জল সেচ করেন। এর পরেই শুরু হয় তাঁর জমির কর্ষণ কাজ। কর্ষণ কাজ পুরোপুরি শেষ হবার পর জমিতে আউশ ধান রোয়ার কাজ শুরু হবে।বেশ কয়েক বছর ধরে পাম্প মেশিনের সাহায্যে জমিতে জল সেচ করে চাষাবাদের কাজ করে আসছেন নিশীথ মালিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু হঠাৎ করেই পাম্প মেশিন ছেড়ে বাবা ঠাকুরদার আমলের ডোঙা নিয়ে জমিতে কেন জল সেচ করতে হল? এই প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক নিশীথ মালিক বলেন, দেশে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাস এখন অগ্নিমূল্য। পেট্রোলের লিটার প্রতি মূল্য ১০০ পার হবার পর এখন ডিজেলও ১০০ ছুঁইছুঁই । অগ্নিমূল্য জ্বালানি তেল পাম্প মেশিনে ভরে জল সেচ করে ধান চাষ করতে গেলে চাষের খরচ বহুগুণ বেড়ে যাবে। খরচ বেড়ে গেলে চাষিরা চাষ করেও লাভের মুখ দেখতে পাবেন না। নিশীথ বলেন, পেট্রোপণ্যের এমন মূল্য বৃদ্ধির কারণে তিনি বাবা ঠাকুরদার আমলে সেচের কাজে ব্যবহৃত ডোঙা দিয়েই তাই জমিতে সেচের কাজ সারলেন ।একই সঙ্গে তিনি জেলার কৃষিজীবী মহলকে এই বার্তাও দিলেন, কেন্দ্রে মোদি সরকারের দৌলতে পেট্রোল, ডিজেলের দাম এখন যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে সবাইকেই এবার সেই ডোঙা নিয়েই চাষের কাজে ফিরতে হবে । ডোঙা নিয়ে জমিতে জল সেচ করাটা একপ্রকার তাঁর পেট্রৌপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ বলেও এদিন বিধায়ক নিশীথ মালিক মন্তব্য করেন। তৃণমূল বিধায়কের এমন প্রতিবাদকে নাটক বলে বলে কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি প্রবাল রায়। তিনি দাবি করেন, দেশের কৃষকদের স্বার্থের কথা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার ভাবে বলেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাচ্ছেন। কৃষকদের প্রতি দরদ থাকলে নাটক, প্রতিবাদ ছেড়ে এই রাজ্যের সরকার নিজেদের অংশের কর কমাচ্ছেন না কেন? পাল্টা সেই প্রশ্ন রেখেছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি।

জুলাই ১২, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 26
  • 27
  • 28
  • 29
  • 30
  • 31
  • 32
  • ...
  • 46
  • 47
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal