• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Tmc

রাজ্য

অনুব্রতর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত জারি রাখতে নির্দেশ হাইকোর্টের

বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তদন্ত জারি রাখতে সিবিআইকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলার শুনানি হয়। তখন বিচারপতি এই নির্দেশ দেন সিবিআইকে। একই সঙ্গে তিনি জানান, অনুব্রত মণ্ডল প্রধান অভিযুক্ত নন। তাঁর নাম এফআইআর-এ নেই। তবে তাঁকে বোলপুর বা দুর্গাপুরে ডেকে জিজ্ঞাসা করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।গত ২ মে একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন বীরভূমের গোপালনগর গ্রামে খুন হন বিপ্লব সরকার নামে এক বিজেপি কর্মী। অভিযোগ, বাড়ির অদূরেই তাঁর ওপর হামলা চালায় কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে চলে হামলা। রাস্তায় ফেলে বেপরোয়া মারধর করা হয় তাঁকে। মাথায়, বুকে পিঠে একাধিক ক্ষত তৈরি হয় বিপ্লব সরকারের। মাথায় অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকরা তেমনই জানিয়ে দেন রিপোর্টে। ঘটনায় উঠে আসে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয় দিলীপ মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে। তদন্ত যত এগোয়, উঠে আসে একাধিক তৃণমূল নেতার নাম। নোটিস পাঠানো হয় ইলামবাজারের তৃণমূলের সম্পাদককে। অনুব্রত মণ্ডলের নামেও জারি হয় নোটিস।গত শুক্রবার ২৮ জানুয়ারিও অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত। সিবিআইকে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ। তিনি সিবিআই-এর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তাঁর নেই। হাজিরা দেওয়ার জন্য বেশ কিছুটা সময় চেয়ে নেন তিনি।এর পরই বুধবার গ্রেপ্তারি থেকে রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। আদালতকে তিনি জানান, তদন্তে সিবিআইকে সমস্ত রকম সহায়তা করতে রাজি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ যেন না করা হয়।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তলব এড়ালেন 'অসুস্থ' অনুব্রত মণ্ডল

ভোট পরবর্তী হিংসা বীরভূমের বিজেপি কর্মী খুনে এ বার তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যদিও শুক্রবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকদের অনুব্রত মণ্ডল জানান, তাঁর শরীর ভাল নয়। তাই এই দিন তিনি দেখা করতে পারছেন না।উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের যে সমস্ত জায়গায় হিংসার অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা, তার মধ্যে অন্যতম বীরভূম। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের পর একাধিকবার বীরভূমে এসেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ঘটনাক্রমে ইলামবাজারে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার খুনের মামলায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করা হয়।বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের দিন অর্থাৎ, গত ২ মে গৌরব সরকারকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যে এই খুনের মামলায় বেশ কয়েক জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ-সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকে। এর পর বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় স্বয়ং দলের জেলা সভাপতিকে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
দেশ

গোয়ার ভোটে তৃণমূলের প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়ালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফেলেইরো

গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তৃণমূলের প্রার্থী তথা সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। শুক্রবার সকালে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে ফেলেইরো জানান, ফাতোরদা বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁর পরিবর্তে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন এক মহিলা। কিছুক্ষণ পরে তাঁর পরিবর্তে ফাতোরদা কেন্দ্রে আইনজীবী শেইলা অভিলিয়া ভাসের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল।Rumours of my resignation from @AITCofficial are false, mischievous malicious.This is propaganda being spread by those rattled by the support blessings that the people of Goa have showered on my party.Goa TMC is the only party that will fight for Goa emerge victorious! Luizinho Faleiro (@luizinhofaleiro) January 27, 2022সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে ফেলেইরো বলেছেন, আমি গোয়ার ফাতোরদা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করছি। আমার পরিবর্তে এক মহিলা সেখানে প্রার্থী হবেন। তিনি একজন পেশাদার। আমাদের দলের নীতি, মহিলাদের ক্ষমতায়ন।কংগ্রেসের বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে গত সেপ্টেম্বরে কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ফেলেইরো। তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়। পরে অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসনে তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদও হন।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
রাজনীতি

নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণে ৩ দিনের সফরে আজ গোয়ায় অভিষেক

নজরে বিধানসভা ভোট। সোমবার ফের তিন দিনের গোয়া সফরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।দলীয় সূত্রে খবর, সৈকত রাজ্যে নির্বাচন স্ট্র্যাটেজি নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন অভিষেক। এছাড়াও তৃতীয় দফার প্রার্থী তালিকা নিয়েও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে খবর। খতিয়ে দেখবেন গোয়ার ভোট প্রস্তুতিও। ২৬ জানুয়ারি রাজ্যে ফিরবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।নির্বাচনের প্রাক্কালে তিন দিনের এই গোয়া সফর স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দুদফায় ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন দিনের এই গোয়া সফরের মধ্যেই আরও বেশ খানিকটা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকাও প্রকাশিত হওয়ায় সম্ভাবনা থাকছে।অভিষেকের এই সফরে রয়েছে সাংগঠনিক কর্মসূচি। একইসঙ্গে কংগ্রেসের পি চিদাম্বরম বনাম তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বৈরথ গোয়ার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তাতে হতে পারে ঘৃতাহুতিও। কংগ্রেস বরাবর অভিযোগ করে আসছে, গোয়ায় আপ, তৃণমূল কংগ্রেসে ভোট লড়তে নেমে আসলে বিজেপি বিরোধী ভোটই ভাগ করতে চাইছে। অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়াবাসীকে বার্তা দিয়েছেন, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় নেই স্থানীয় বিধায়ক, দায়িত্বে কাকলি

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার (BDA) নতুন চেয়ারপার্সন ঘোষণা করলো রাজ্য পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতর। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তিতে একজন চেয়ারপার্সন ও ৯ জন সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু নতুন কমিটিতে সদস্য পর্যন্ত করা হয়নি বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসকে। এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।এর আগে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক রবিবঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুর পর পদটি দীর্ঘদিন ফাঁকা ছিল। বিডিএ-র দায়িত্ব দূরের কথা সদস্য়ও করা হয়নি বর্ধমানের বিধায়ক খোকন দাসকে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নতুন চেয়ারপার্সন হয়েছেন কাকলি তা গুপ্ত। ৯ জন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন, পুর্ব-বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি, রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের প্রতিনিধি, পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিনিধি, পুর্ব-বর্ধমান জেলাশাসক, পুর্ব-বর্ধমান পুলিশসুপার, বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান, বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নিশীথ মালিক, শুভব্রত মুখোপাধ্যায় ও বিডিএর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার।প্রসঙ্গত কাকলি তা গুপ্ত দীর্ঘদিন তৃণমূল দলের সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত। তিনি বর্ধমান-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত-কর্মাধক্ষের দ্বায়িত্ব সামলেছেন। বর্তমানে তিনি বর্ধমান-১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
রাজনীতি

কল্যানের মন্তব্যকে জোরালো সমর্থন অভিষেকের, এবার কমতে পারে বিতর্ক

তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত মন্তব্য ও ডায়মন্ডহারবার মডেল নিয়ে দলের বাইরে ঝড় উঠেছিল। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের মন্তব্যের কড়া সমলোচনা করেছিলেন। তবে একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী হিসাবে মানেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন ওই সাংসদ। শেষমেশ তা নিয়ে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের বাইরে মুখ খুলতে নিষেধ করে দেন। তা নাহলে কড়া পদক্ষের করা হবে বলেও সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপরও হুগলির নানা জায়গায় কল্যান-অকল্যান নিয়ে পোস্টার পড়ে। বিক্ষোভ চলে হাইকোর্ট চত্বরেও। মদন মিত্রও মাঝে মুখ খোলেন দলীয় ইস্যুতে। এবার গোয়ায় গিয়ে কল্যানইস্যুতে মুখে খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিজ্ঞ রাজনীতিকের মতো মন্তব্য করলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে অভিষেককে প্রশ্ন করা হয়। অভিষেক জবাবে বলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ওনার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ছাড়া উনি কাউকে মানেন না। আমিও তো তাই বলছি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলছেন ঠিক বলছেন। এতে অসুবিধার কী আছে? তবে এখানেই থামেননি তিনি। কল্যান ইস্যুতে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেসকে। তাঁর বক্তব্য, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে বলায় প্রমাণিত যে দলে হাইকমান্ড সংস্কৃতি নেই। এটা আমাদের জন্য তো ভালোই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সতর্ক করার পরও পোস্টার পাল্টা পোস্টার চলেছে, হাইকোর্টে চত্বরে বিক্ষোভ হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার হয় তো ডায়মন্ডহারবার বা কল্যান ইস্যুতে বিতর্ক কমতে পারে।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
রাজ্য

ক্ষমতায় এলে পুলিশ দিয়ে এনকাউন্টার করার হুমকি বিজেপি বিধায়কের

শাসকদলকে এনকাউন্টারের হুঁশিয়ারি দিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। ক্ষমতায় এলে পুলিশ দিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের এনকাউন্টার করার হুমকি দিয়েছেন তিনি।গয়েশপুরে বিজেপি-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামপদ দাসের উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার চাঁদপাড়ায় রাস্তা অবরোধ করেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। সেখানেই স্বপন বলেন, গত কাল তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর লোকেরা জেলা সভাপতির উপর আক্রমণ চালিয়েছে। এটা খুবই নিন্দনীয়। সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর অত্যাচার করছে তৃণমূল। এর পর বিজেপি বিধায়কের হুমকি, তৃণমূল তালিবানি শাসনে বিশ্বাসী। ওই দলের হার্মাদদের বলে দিতে চাই, আমরা ক্ষমতায় এলে এই পুলিশ দিয়েই আপনাদের এনকাউন্টার করা হবে।এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে এমন কথা কীভাবে বললেন! আশ্চর্য হতে হয়। ওরা আসলে উত্তরপ্রদেশের পুলিশদের দেখে অভ্যস্থ। যখন-তখন এনকাউন্টার হয় ওখানে। সেই জন্য এসব বলে। এদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে ভয়ের পরিবেশ তৈরির অভিযোগ তুলে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান শংকর দত্ত বলেন, বিজেপি একটি উচ্ছৃঙ্খল দল। ওদের বিষয়ে যত কম বলা যায়, ততই ভাল। ওরা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে৷ ওরা পালানোর পথ পাবে না, বাংলার মানুষ তৈরি আছে। স্বপন মজুমদার একজন জালিয়াত। ওর বিরুদ্ধে মামলা চলছে৷ বিধায়ক পদ খারিজ হবে।

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
সম্পাদকীয়

মেগা কোভিড-১৯ টেস্টিং ড্রাইভ' হোক রাজ্য জুড়ে, কেন বঞ্চিত বাকি অঞ্চল

বাংলায় করোনার পজিটিভিটি রেট ৩০ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। পাশাপাশি করোনা-আক্রান্তের মৃতের সংখ্যাও ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত কয়েক দিন ধরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে ২০ হাজারের বেশি। কিন্তু এখনও সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ সচেতন নয়। উৎসব, মেলা অনেক হল, এবার সরকারি উদ্যোগেও ঘাটতি থাকা উচিত নয়। ডায়মন্ডহারবারে এক দিনে ৫০ হাজার কোভিট টেষ্ট করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে রাজ্যের অন্য সংসদীয় এলাকায়ও এমন উদ্যোগ নেওয়া হোক। একটি লোকসভা কেন্দ্রে সরকার পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে বাকি কেন্দ্রে তা হবে না তা কোনও গণতান্ত্রিক দেশে হওয়া বাঞ্ছিত নয়। এক্ষেত্রে একই রাজ্যে তো নয়ই।করোনা আমাদের সামাজিক পরিকাঠামোর সর্বনাশ করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, ছোট-বড় বেসরকারি সংস্থার কর্মী, খেটে খাওয়া মানুষরা আজ বড় অসহায়। তবু করোনা বিধিকে তোয়াক্কা করছেন না একটা অংশ। কেন তাঁদের এই অনীহা এটা আজ প্রশ্ন। তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লেও অল্প দিনে সেরে ওঠায় অনেকে হালকা ভাবে নিচ্ছেন। কিন্তু পজিটিভিটি রেট ও মৃত্যুর সংখ্যা চিন্তায় রেখেছে চিকিৎসক মহলকে। অতএব করোনা নিয়ে সচেতন না হলে আগামি দিনে কী বড় বিপদ অপেক্ষা করছে তা কারও জানা নেই।বিশেষজ্ঞরা নানা আশার বানী শোনাচ্ছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একটা অংশের দাবি, ভ্যাকসিনের কাজ করবে ওমিক্রণ। তাহলে তো অতি উত্তম। কিন্তু যে ভাইরাসটা সম্পর্কে কোনও গবেষণা সম্পূর্ণ নেই, তা সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করা শ্রেষ্ঠ উপায় বলেই মনে করা হচ্ছে। কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচন ও শীতের উৎসবের পর তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে যায়। মুখে মাস্ক ও ভিড় এড়ানোই করোনা মোকাবিলার সেরা অস্ত্র বলে আসছেন, তা কেন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না সেটাই মূল প্রশ্ন। সরকারের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে করোনা মোকাবিলায় শরিক হতে হবে। আজ মনে হতে পারে আমার কিছু হবে না, ঘুরিয়ে সেই বিপদ কখন নিজের বাড়িতে হাজির হয়ে যাবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই।এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহাবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের নীচে কমিয়ে আনতে হবে। ডায়মন্ডহারবার সংসদীয় কেন্দ্রে একদিনে ৫০ হাজার মানুষের করোনা টেষ্ট করা হয়েছে। খুব ভালো উদ্য়োগ। কিন্তু কেন রাজ্যের বাকি ৪১টি কেন্দ্রে এই উদ্যোগ নেওয়া হল না সেটা বড় প্রশ্ন। ওই ৫০ হাজার মানুষের করোনা টেষ্ট তো সরকারি অর্থেই হয়েছে। এমন নয় তো বেসরকারি সংস্থা সমাজেসেবা করেছে। তাহলে একই রাজ্যের অন্য সংসদীয় কেন্দ্রেও এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত। প্রথমত এক রাজ্যে ভিন্ন নীতি হবে কেন? অন্য় সংসদীয় কেন্দ্রের নাগরিকরা কেন বঞ্চিত হবে? সংসদীয় কেন্দ্র ভিত্তিক না হোক জেলা ভিত্তিক, মহকুমা বা ব্লক ভিত্তিক করোনা পরীক্ষার করার ব্যবস্থাও করতে পারে সরকার।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
রাজনীতি

অভিষেকের 'ডায়মন্ডহারবার মডেল' নিয়ে তৃণমূল যুবনেতার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ডহারবার মডেল নিয়ে প্রকাশ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসে বিরোধ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সোশাল মিডিয়ায় দলের সাধারণ সম্পাদকের হয়ে গলা ফাটাতে শুরু করেছেন যুবনেতারা। তৃণমূলের রাজ্য যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের পর এবার তৃণমূল যুবর রাজ্য সহসভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় আই সাপোর্ট ডায়মন্ডহারবার মডেল লিখে ফেসবুক পোষ্ট করেছেন। ওই পোস্টে ইঙ্গিতে এক সাংসদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাবও দিয়েছেন শান্তনুবাবু।করোনা নিয়ে অভিষেকের কিছু ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক মহল তোলপাড়। বিরোধীরা তা নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনা করেছেন। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, দলে থেকে ভালো সাজার চেষ্টা হচ্ছে। সিপিএমের বক্তব্য, এখন করোনা মোকাবিলায় ২ মাস রাজনৈতিক, ধর্মীয় সভা-সমাবেশ বন্ধ করার কথা বলছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। কিন্তু ডায়মন্ডহারবারের এমপি কাপে ভিড়ের কথা কী ভুলে গিয়েছেন তিনি। তাছাড়া পুরভোট বন্ধ নিয়ে এখনও রাজ্য সরকারের কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। এদিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য কখনও ব্যক্তিগত হয় না। এটা একপ্রকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করা। তবে রাজনৈতিক মহল তৃণমূল কংগ্রেসের এসব কান্ডকে এখনই গুরুত্ব দিতে নারাজ। এটা আদি-নব্য মতানৈক্য নাকি দলের রণকৌশল তা নিয়ে জল্পনা চলছে। সময় এর জবাব দিয়ে দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে রাজ্য তৃণমূল যুব নেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁর ফেস বুক পোস্টে সরাসরি অভিষেকের ডায়মন্ডহারবার মডেলকে সমর্থন করেছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন-#I_Support_Diamond_Harbour_Modelরাজনীতি তে মানুষই শেষ কথা বলে।মমতা ব্যানার্জীর আদর্শে এবং তাঁর দেখানো পথে মানুষের পাশে অভিষেক ব্যানার্জী ছিল, আছে আর থাকবে। মানুষ এর আশীর্বাদ সাথে থাকলে কোনো অ-কল্যান কামি শক্তি কিছু করতে পারে না।মমতা ব্যানার্জী জিন্দাবাদ।।অভিষেক ব্যানার্জী জিন্দাবাদ।।#তফাৎছিল তফাৎআছে তফাৎ_থাকবে ।।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নামে জয়ধ্বনী দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ-কল্যান কামী শব্দটি নিয়েই রাজনৈতিক মহল তোলপাড়। কেন অকল্যান অ-কল্যান হল, তা নিয়েই গবেষণা চলছে তৃণমূলে। যদিও এনিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া তফাৎ কার সঙ্গে কার তা নিয়েও গুঞ্জন অব্যাহত।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

Covid Awarness: করোনা সচেতনায় মেমারির বিধায়ক মধূসুদন ভট্টাচার্যর বার্তা

রাজ্যে প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। করোনার বাড়বাড়ন্তের পরও মানুষের হুঁশ ফেরেনি। এখনও যত্রতত্র মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে বহু মানুষকে। জমায়েত করতেও দেখা যাচ্ছে বাজারগুলোতে। এই পরিস্থিতিতে বর্ধমানের মেমারির ২৬৫ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক মাননীয় মধূসুদন ভট্টাচার্য করোনা সচেতনতায় এলাকার মানুষের স্বার্থে বার্তা দিলেন। নিজের বিধানসভাকেন্দ্রের মানুষকে কোভিড বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। মাস্ক পরার পাশাপাশি দূরত্ববিধি মেনে চলার আবেদন জানিয়েছেন বিধায়ক। সঙ্গে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতেই জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল কামারপুকুর মঠএলাকার সমস্ত স্কুল-কলেজ-ক্লাবের শাখা নেতৃত্বদের কাছেও তিনি অনুরোধ করেন, এই কোভিডবিধি যাতে মেনে চলা হয় সেদিকে নজর রাখার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সাধারণের উদ্দেশ্যে যে করোনাবিধি মেনে চলার বার্তা দিয়েছেন তা যেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় সেকথাও বলেছেন তিনি। শুধুমাত্র সচেতনতা অবলম্বনের মাধ্যমেই করোনার বিরুদ্ধে জয়লাভ সম্ভব বলেও উল্লেখ করেছেন মাননীয় বিধায়ক।আরও পড়ুনঃ করোনায় আক্রান্ত বাহুবলীপ্রসঙ্গত, রাজ্যে এক লাফে কোভিড সংক্রমণ ২৪ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন দেশের কোভিড গ্রাফের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহতই। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। রবিবারের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ১২.৬ শতাংশ। পজিটিভিটি রেট ১৩.২৯ %। অ্যাকটিভ কেস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৬১৯।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

Covid Awareness Memari: করোনা সচেতনতায় পথে মেমারি শহর তৃণমূল

ফের করোনা সংক্রমণে তটস্থ সাধারণ মানুষ। বাইরে বেড়িয়েও অনেকেই এখনও মাস্ক পড়ছেন না। করোনা বিধিকে তোয়াক্কা করছেন না কেউ কেউ। এরই মধ্যে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে। মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন ঘোষাল সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে পথে নেমেছেন।আরও পড়ুনঃ পানীয় জলের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ, পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভশুক্রবার মেমারির ১৬টি ওয়ার্ডে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েকজন দলীয় কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরেছেন স্বপন ঘোষাল। তাঁরা মানুষকে মাস্ক পড়া নিয়ে সচেতন করেছেন। করোনা বিধি মেনে চলতে শহরের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এর আগে বামুনপাড়া মোড়েও মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে শহর তৃণমূল কংগ্রেস।স্বপন ঘোষাল বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়া থেকে আমরা মানুষের পাশে আছি। মেমারির বাসিন্দারা যে কোনও প্রয়োজনে আমাদের ডাকলেই কাছে পাবেন। আগেও তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে ছিল। এখনও মানুষের পাশে থাকবে।

জানুয়ারি ০৮, ২০২২
রাজ্য

Suicide: ফসলের ক্ষতি, আরও এক চাষি আত্মঘাতী শস্যগোলায়, শুরু রাজনৈতিক তর্জা

জাওয়াদের প্রভাবে হওয়া অসময়ের বৃষ্টিতে ধান ও আলু চাষে ক্ষতি হয়ে যাওয়ার হতাশায় ফের পূর্ব বর্ধমানে আত্মঘাতী হলেন চাষি। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে উদ্ধার হল জেলার মেমারি ২ ব্লকের সাতগেছিয়া সংলগ্ন পাহারহাটি গ্রামের বছর ৫৩ বয়সী চাষি ভাস্কর মণ্ডলের মৃতদেহ। এই নিয়ে বিগত এক মাসের মধ্যে রাজ্যের শস্যগোলার পাঁচ জন চাষি আত্মঘাতী হলেন। যা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক ও বিরোধীদের রাজনৈতিক তর্জা। মৃত চাষি ভাস্কর মণ্ডলের পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি জাওয়াদের প্রভাবে দুদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিপাত হয়। তার করণে ভাস্করবাবুর পাকা ধান জমি ও আলু চাষের জমি জলে ডোবে। মৃতর ভাই অরুপ সরকার বলেন, তাঁর দাদার জমির পাকা ধান গাছ জলে ডুবে গিয়ে পচে নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও তাঁর দাদা যে বিঘে পাঁচেক জমিতে আলু বীজ বসিয়েছিল তাও জলে ডুবে যাওয়ায় নষ্ট হয়ে যায়। চাষের জন্য মহাজনও ঋণ ছাড়াও অনেকের কাছে ভাস্কর বাবু দেনা করেছিলেন। কয়েক লক্ষ টাকা তাঁর দেনা ছিল। ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েন ভাস্করবাবু। দেনা কিভাবে শোধ করবেন তা বুঝে উঠতে না পেরে তিনি মানসিক হতাশা ও দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিলেন। মাঝে মধ্যেই আত্মহত্যা করব বলে বাড়ির লোকজনকে বলতেন। শেষ পর্যন্ত তিনি আত্মহত্যারই পথ বেছে নিলেন। একই কথা বলেছেন মৃতর স্ত্রী রীণাদেবী। এদিনই মেমারি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে পাঠায়। যদিও জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল দাবি করেছেন, চাষের কারণে ভাস্কর মণ্ডল আত্মঘাতী হননি। তিনি মানসিক রোগী ছিলেন। একই দাবি করেছেন জেলার সহ কৃষি আধিকারিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।কৃষি আধিকারিক এমনটা দাবি করলেও কৃষি দফতর সূত্রে খবর, সম্প্রতি হওয়া অসময়ের বৃষ্টিতে মেমারি ২ ব্লকে চাষের ভালোই ক্ষতি হয়েছিল। ১৭ হাজার হেক্টর আমন ধানের মধ্যে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর ধান ক্ষতির মুখে পড়ে। এছাড়াও ৮৬০০ হেক্টরের আলু চাষের মধ্যে ৫২০০ হেক্টর আলু চাষের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে মেমারি ২ ব্লকের পাহারহাটি এলাকায় ক্ষতির পরিমান ভালোই ছিল।এদিকে এই চাষির মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পোদ্দার বলেন, সাতগেছিয়া এলাকায় চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অথচ রাজ্য সরকারকে চাষিরা পাশে পেল না। তৃণমূলের মেমারি ২ ব্লকের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল অবশ্য বলেছেন, রাজ্য সরকার চাষিদের পাশে সবসময় রয়েছে।

জানুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

Group Clash: বালি খাদানের দখল নিয়ে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে চললো গুলি, জখম ১

বালিখাদানের দখল নিয়ে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হল এক তৃণমূল কর্মী। জখম ওই তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ পান্নালাল ওরফে ফটিক। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের ইদিলপুর এলাকায়। এই ঘটনা নিয়ে এদিন সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকার বাসিন্দাদের কথায় জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত শনিবার বিকালে। ওইদিন বর্ধমানের সদরঘাট এলাকায় পিকনিক করতে গিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কয়েকজনের মধ্যস্থতায় তখনকার মত অশান্তি মিটে গেলেও রবিবার সকালে ফের অশান্তি বাঁধে। অভিযোগ, শেখ ফটিক এদিন সকালে বালিখাদে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। এমনকি বিরুদ্ধ গোষ্ঠির সুনীল চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ফটিক জানিয়েছে, গুলি তাঁর পায়ে লাগে। ফটিককে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় বর্ধমান হাসপাতালে। এলাকায় দখলদারি কায়েম করতেই ছেলে ফটিকের উপরে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মা মদিনা বিবি। যদিও তিনি এই ঘটনাকে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বলে মানতে চাননি। মদিনা বিবি দাবি করেছেন, যাঁরা তাঁর ছেলেকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তারা বিজেপির লোক। ঘটনার পর স্থানীয় বালি ব্যবসায়ী রাজনাথ চৌধুরী জানিয়েছেন, শেখ ফটিক রবিবার সকালে দলবল নিয়ে তার ভাই অরুন চৌধুরীর বাড়িতে হামলা করে।এমনকি তাঁর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। বাড়িতে থাকা একটি মোটর সাইকেল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। রাজনাথ চৌধুরী দাবি করেন, হামলা চালানোর সময়ে শেখ ফটিক তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লক্ষভ্রষ্ট হয়। তবে পান্নালাল কিভাবে গুলিবিদ্ধ হল সে বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করে রাজনাথ চৌধুরী। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ যাই থাক বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। উত্তেজনা থাকায় এলাকাজুড়ে চলছে পুলিশি টহলদারি।জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগ্নেআস্ত্র কি ভাবে এল তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

জানুয়ারি ০২, ২০২২
রাজ্য

Ex-MLA: বর্ধমানে দলীয় কর্মীর বাড়ি তৈরিতে যুক্ত রাজমিস্ত্রিদের মারধরের অভিযোগ প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে

বিধায়ক পদে থাকুন বা না থাকুন সর্বদাই তিনি থাকেন রণংদেহী ভাবমূর্তি নিয়েই, এমন বিতর্ক রয়েছে। বিধানসভার ভিতরে বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিধায়ককে কুকথা বলা কিংবা থানায় ঢুকে পুলিশ আধিকারিকদের চমকানো সবেতেই মেমারির প্রাক্তন বিধায়ক নার্গিস বেগমের নাম জড়িয়েছে। এবার সেই নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে বর্ধমানের পীরবাহারাম এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি তৈরির কাজে যুক্ত রাজমিস্ত্রিদের মারধোরের অভিযোগ উঠলো। এই ঘটনা নিয়ে বুধবার সকালে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয় পড়ে। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাক্তন বিধায়কের এমন আচরণের নিন্দায় সরব হয়েছেন বর্ধমানের পীরবাহারাম এলাকার সকল তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক। বর্ধমান শহরের পীরবাহারাম ডাঙাপাড়া এলাকায় বাড়ি তৃণমূল কর্মী সেখ আনোয়ারের। তাঁর বাড়ির পাশেই রয়েছে মেমারির প্রাক্তন বিধায়ক নার্গিস বেগমের বাড়ি। সেখ আনোয়ার এদিন জানান, তাঁর বসত বাড়ির অবস্থা খারাপ থাকায় তিনি সরকারের কাছে একটি পাকা বাড়ির জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। কয়েকদিন ধরে তাঁর পাকা বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। আনোয়ার বলেন, নার্গিস বেগমের বাড়ির জানালার সোজা আমার বাড়ির জানালা হচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলে নার্গিস বেগম এদিন আমার বাড়িতে কর্মরত রাজমিস্ত্রীদের উপর চড়াও হয়। ইট নিয়ে রাজমিস্ত্রিদের উপর হামলা চালায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ পৌছায়। সেখ আনোয়ারের আরও অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রাক্তন বিধায়কের কথায় উল্টে তাঁদেরই শাসায়। এমনকি তাঁদের কোনও কথাই পুলিশ শুনতে চায়নি বলে আনোয়ারবাবু অভিযোগ করেছেন। যদিও এই বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন নার্গিস বেগম।এলাকার তৃণমূল নেতা সেখ ভীম জানান, নার্গিস বেগম ও তার পরিবারের সদস্যারা মিলে রাজমিস্ত্রীদের মারধর করেছে। যার বাড়িতে কাজ হচ্ছিল সেও একজন তৃণমূল কর্মী। নার্গিস বেগম যে ঘটনা ঘটালেন সেটা সত্যি লজ্জার বিষয়। দলের প্রাক্তন বিধায়কয়ের এমন আচরণের প্রতিবাদ করে এলাকার লোকজনও। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপত্র দেবু টুডু বলেন,কি হয়েছে জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তবে আইনের উর্ধে কেউ নন।সবাইকেই নিয়ম মেনেই কাজ করতে হবে। দলের নেতা-নেত্রী বলে আইন আলাদা হবে না।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
রাজনীতি

Goa-Abhishek: তিন দিনের সফরে গোয়ায় অভিষেক, পুজো দিলেন রুদ্রেশ্বর মন্দিরে

তিন দিনের গোয়া সফরে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই তিনি ওই রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছেন। সামনেই সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রণকৌশল ঠিক করতে তাঁর এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার বেশ কয়েকটি কর্মসূচি এবং বৈঠকের কথা রয়েছে অভিষেকের।Our National General Secretary Shri @abhishekaitc offered prayers at Shri Rudreshwar temple today. pic.twitter.com/ZNf4krguXM All India Trinamool Congress (@AITCofficial) December 29, 2021সকাল ১১টা নাগাদ তিনি যান সাঙ্কেলিমের রুদ্রেশ্বর মন্দিরে। সেখানে পুজো দেন তিনি। পুজো শেষে সাংবাদমাধ্যমে অভিষেক বলেন, রুদ্রেশ্বর মন্দিরে পরিদর্শনের সৌভাগ্য হল আমার। গোয়াবাসীদের উন্নতি এবং সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করেছি। নতুন বছরে পা রাখতে চলেছি। আমরা নিশ্চিত এক নতুন সূর্যোদয় দেখবে গোয়া। বিকেল ৫টা নাগাদ কানকোনার গোকর্ণ মঠ পরিদর্শনের কথা রয়েছে তাঁর।National General Secretary Shri @abhishekaitc offered prayers for all Goans at the historic Shri Rudreshwar temple in Sanquelim.He prayed for the progress and prosperity of Goa and as we step into the new year, we are certain that Goa will see a New Dawn rise!#GoenchiNaviSakal pic.twitter.com/D5yUN499oa All India Trinamool Congress (@AITCofficial) December 29, 2021গোয়ায় এখনও ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়নি। কিন্তু লড়াইয়ের জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। আসন্ন নির্বাচনে কী ভাবে, কোন পথে দল এগোবে তা খতিয়ে দেখতেই অভিষেকের এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে। মন্দির এবং মঠ পরিদর্শনের পাশাপাশি কয়েকটি দলীয় বৈঠকও করতে পারেন অভিষেক।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Burdwan Municipality: ২০ জন কাউন্সিলর চাই বিধায়কের, বর্ধমানে কর্মীসভায় তৃণমূল নেতার বক্তব্যে ব্যাপক শোরগোল

কলকাতা পুরসভার নির্বাচন সম্পন্ন। সোমবার বাকি চার পুরনিগমের ভোট ঘোষণা হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে বর্ধমান পুরসভায় ঘর গোছানো শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে চরমে তা তৃণমূলের প্রতিটি কর্মীসভায় নেতৃত্বের বক্তব্যে একেবারে স্পষ্ট। রবিবার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, দলের জেলা যুব সভাপতি তথা জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝির সামনেই বিষ্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা ইফতিকার আহমেদ।কর্মীসভায় প্রাক্তন আইএনটিটিউসি সভাপতি ইফতিকার আহেমদ বলেন, যাঁরা নিজের ওয়ার্ডে হেরে গেল-গোহারা, তাঁরা পুরস্কৃত হল বর্ধমানে প্রশাসকরূপে। আমি আমাদের বিধায়কের কাছে জানতে চাইব ফর্মূলা কী আছে ভাই। আমরা লড়াই করলাম। আমরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তোমাকে জেতালাম। শঙ্খশুভ্র ঘোষ ৫ বছর কাউন্সিলর হয়ে কোনও কাজ করেনি, ওয়ার্ডটা হেরে গেল, উমা সাঁইয়ের ওয়ার্ডে লোকসভায় হার, বিধানসভায় হার, অথচ পুরস্কৃত হচ্ছে পুরপ্রশাসক হিসাবে। ১৬ নম্বরে যুব লিডারের ওয়ার্ডেও হেরেছে। এভাবেই দলের বিরোধী গোষ্ঠীকে সরাসরি আক্রমণ শানানো হয় বিধায়ক ও জেলা যুব সভাপতিকে মঞ্চে বসিয়ে।বর্ধমানে পুরপ্রশাসকদের নিয়োগ করার পর থেকেই বিরোধিতা করে এসেছেন স্থানীয় বিধায়ক খোকন দাস। তিনি সরাসরি পুরসভার কাজ নিয়েও নানা সভায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। এদিন বিধায়কপন্থী তৃণমূল নেতা বলেন, আমি বলব খোকনদাকে ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৫টা কাউন্সিলর দরকার নেই। আপনি ২০টা কাউন্সিলর বের করে আনুন। বর্ধমান পুরসভা আপনার অঙ্গুলি হেলনে হিলবে। বর্ধমান পুরসভা আপনার কথায় চলবে। এই সময় অন্য কোনও আলোচনায় যেতে চাই না।বিধায়কপন্থী নেতার বক্তব্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে। পুর-প্রশাসক নিয়ে লাগাতার বিধায়ক সহ তাঁর অনুগামীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনৈক জেলা নেতার মন্তব্য, বর্ধমান পুরসভায় প্রশাসকদের কে নিয়োগ করেছে? বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম পরিচালিত রাজ্যপ্রশাসন! এখন ক্ষমতায় তো তৃণমূলই। তাহলে এভাবে পুরপ্রশাসকদের বিরোধিতা করার অর্থ কি? দলের একাংশের বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচনে খোদ বিধায়ক নিজের এলাকার ওয়ার্ডে ব্যাপক ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। এর জবাব কে দেবে? তাছাড়া ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে দল অল্প ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। বিধায়কের সঙ্গে থেকে যাঁরা এখন দৌড়ঝাঁপ করছেন তাঁদের বহু ওয়ার্ডেই বিধানসভায় পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। তৃণমূলের গোষ্ঠীকলহ কোন পর্যায়ে পৌঁছালে বিধায়কের ঝুলিতে ২০ জন কাউন্সিলর-এর দাবি ওঠে, সেই চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। এই অংশের বক্তব্য, এখনকার পুরপ্রশাসক সংঘমিতা চৌধুরীও তো লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
রাজনীতি

Binoy Tamang: তৃণমূলে যোগ দিলেন বিনয় তামাং

পাহাড় রাজনীতিতে নয়া মোড়। শুক্রবারই তৃণমূলে যোগ দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি বিনয় তামাং। ক্যামাক স্ট্রিটে একটি হোটেলে তৃণমূলে যোগ দেন বিনয়। একই সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিলেন রোহিত শর্মাও। তিনি কার্শিয়াংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক। জিটিএ নির্বাচনের আগেই বিনয় তামাংয়ের তৃণমূলে যোগদান নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিনয় তামাং বলেন, গত ১৫ জুলাই আমি আমার দল থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। পদও ছেড়েছিলাম। এরপর আজ ১৬৪ দিন হয়ে গেল। এই সময়ের মধ্যে আমি কিন্তু অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হইনি। যোগাযোগও করিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিলই। উনি একজন ডায়ানামিক লিডার। এক সময় স্থানীয় পার্টি করতাম। এখন জাতীয় দল করে মানুষের সেবা করতে চাই। আমরা চাই ২০২৪ সালে জাতীয় রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে। সর্বভারতীয় তৃণমূলে থেকেই আমরা পাহাড়বাসী, গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষের সেবা করতে চাই।বিনয় তামাং বলেন, বিমল গুরুং আগে কলকাতায় এসেছিলেন। কথাবার্তাও হয়েছে। আমরাও এরপর সাক্ষাৎ করেছি। আমরা মিলেমিশেই কাজ করব। কলকাতা থেকে যা নির্দেশ দেওয়া হবে সে কাজই আমরা করব। গোর্খাল্যান্ড একটি সাংবিধানিক ইস্যু বলে এদিন তুলে ধরেন বিনয় তামাং। বিনয়ের দাবি, ভারতীয় জনতা পার্টি এই ইস্যুকে ললিপপ করে তিনবার সাংসদ জিতিয়ে নিয়ে গেল। এই ইস্যুকে নিয়ে আমাদের ইমোশনালি ব্ল্যাকমেল করে গিয়েছে। এটা রাজ্যের বিষয় না। আলাদা রাজ্যের বিষয় নয়। আমরা চাই সকলে মিলেমিশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাহাড়ের উন্নয়ন করতে। শিক্ষা হোক বা স্বাস্থ্য বা পর্যটন। যেখানেই আমরা কাজ করতে পারি, সেখানে কাজ করব। এই জন্য সর্বভারতীয় দল তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
দেশ

Derek o' Brien: চেয়ারের দিকে রুলবুক ছুড়ে মারার অভিযোগে শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড ডেরেক

শীতকালীন অধিবেশনে এবার সাসপেন্ড তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। রাজ্যসভার ১২ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে অভব্যতা করেছেন বলে অভিযোগ ডেরেকের বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার রাজ্যসভায় নির্বাচনী আইন সংস্কার বিল নিয়ে আলোচনার সময় ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গ টেনে গর্জে ওঠেন বিরোধীরা। অভিযোগ, সেই সময় উচ্চকক্ষের চেয়ারপার্সনের দিকে রুলবুক ছুড়ে মারেন ডেরেক।The last time I got suspended from RS was when govt. was BULLDOZING #FarmLawsWe all know what happened after that.Today, suspended while protesting against BJP making a mockery of #Parliament and BULLDOZING #ElectionLawsBill2021Hope this Bill too will be repealed soon Derek OBrien | ডেরেক ওব্রায়েন (@derekobrienmp) December 21, 2021সাসপেন্ড হওয়ার পর টুইটে ডেরেক লেখেন, এর আগে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সাসপেন্ড হয়েছিলাম। সেই সময় কী হয়েছিল, তা আমরা সকলেই জানি। সংসদকে প্রহসনে পরিণত করেছে বিজেপি। আজ এর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। আর নির্বাচনী আইন সংস্কার বিলের বিরোধিতা করেছিলাম। এই বিলটিও শীঘ্রই বাতিল হবে।এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারকে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। ডেরেকের বক্তব্য, প্রতিটি নিয়ম এবং নজির ভাঙার পরে, বিজেপির এখন রুল বুক নিয়ে কথা বলছে। এটাই সবথেকে বেশি হাস্যকর। রাজ্যসভার ভিতরে নিজের বক্তব্যের একটি ভিডিও মঙ্গলবার বিকেলে টুইট করেন ডেরেক ওব্রায়েন।TODAY. BULLDOZING of Election Laws.Attempted to stop the mockery being made of #ParliamentMy 5-min intervention for @AITCofficial pic.twitter.com/BDFylWAZKP Derek OBrien | ডেরেক ওব্রায়েন (@derekobrienmp) December 21, 2021গত বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদে হইহট্টগোল করার জন্য তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রী-সহ মোট ১২ জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শিবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী ও অনিল দেসাই, সিপিএমের এলামারাম করিম, কংগ্রেসের ফুলোদেবী নেতাম, ছায়া বর্মা, আর বোরা, রাজামণি প্যাটেল, সৈয়দ নাসির হুসেন, অখিলেশ প্রসাদ সিং।

ডিসেম্বর ২১, ২০২১
কলকাতা

Abhishek Bannerjee: বিপুল জয়ে কলকাতাবাসীকে ধন্যবাদ অভিষেকের

সকাল থেকেই শহরজুড়ে ঝোড়া ব্যাটিং করছে তৃণমূল। ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুরনিগমে তৃণমূলের বোর্ড গঠন এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিজয়োল্লাসে মেতেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। আর এরই মধ্যে কলকাতাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।People of Kolkata have once again proven that politics of HATE VIOLENCE have NO PLACE in BENGAL!I thank everyone for blessing us with such a huge mandate. We are truly humbled and shall always remain committed in our goals towards YOUR BETTERMENT!Thank you Kolkata 🙏 Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) December 21, 2021তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক টুইটে লেখেন, কলকাতার মানুষ আবারও প্রমাণ করে দিয়েছেন, বাংলায় ঘৃণা এবং হিংসার রাজনীতির কোনও জায়গা নেই। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের রায়ের জন্য আমি প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের উন্নয়নের যে লক্ষ্য আমরা নিয়েছি, তার প্রতি আমরা সবসময় নিয়োজিত থাকব এবং কখনও এই পথ থেকে বিচলিত থাকব না।ভোটে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় মোটামুটি নিশ্চিত হতেই কলকাতার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৩শে ডিসেম্বর নতুন মেয়রের নাম প্রস্তাব করা হবে। সেদিন দুপুরে কলকাতায় মহারাষ্ট্র ভবনে এই অনুষ্ঠান হবে। কলকাতা বিমানবন্দরে এ কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২১
কলকাতা

TMC: লালবাড়ি দখলে বিশাল জয় তৃণমূলের, একনজরে দেখে নিন কোন ওয়ার্ডে কে জিতলেন

পুরসভা নির্বাচনে রীতিমতো রেকর্ড গড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি করে ছোট লালবাড়ি দখল করেছে ঘাসফুল শিবির। বিধানসভা ভোটের হিসেবে, কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ড অঞ্চলে তৃণমূলের ভোট ছিল ৫৯.০৩ শতাংশ। সেখানে বিজেপির ভোট ছিল ৩২.৯২ শতাংশ। কলকাতা পুরভোটের ফলাফলের ট্রেন্ডে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের ভোট বেড়ে হয়েছে ৭১ শতাংশ এবং বিজেপির ভোট কমে হয়েছে ৮.৯ শতাংশ। অর্থাৎ বিজেপি-র ভোট কমেছে প্রায় ২৩ থেকে ২৪ শতাংশ। এই ২৩ থেকে ২৪ শতাংশ ভোটের একটা সিংহভাগ অংশ তৃণমূলের দিকে গেলেও একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এসেছে বামেদের দিকে। ফলত বামেদের ভোট ৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১১.৪ শতাংশ।কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর ১৪৪টি ওয়ার্ডের ভোট গণনা। রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে সাড়ে ৯০০ প্রার্থীর। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন ওয়ার্ডে জিতেছেন কোন প্রার্থী-১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের কার্তিক মান্না।২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের কাকলি সেন।৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের দেবীকা চক্রবর্তী ।৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের গৌতম হালদার।৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের তরুণ সাহা ।১১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের অতিন ঘোষ।১২ নম্বর বরোর সব ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস।১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের অনিন্দ রাউত।১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের অমল চক্রবর্তী।২০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের বিজয় উপাধ্যায়।২১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের মীরা হাজরা।২২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিত।২৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপি প্রার্থী বিজয় ওঝা।২৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের তারক চক্রবর্তী ।২৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী অয়ন চক্রবর্তী ।২৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের ইকবাল আহমেদ।৩০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের পাপিয়া ঘোষ বিশ্বাস।৩১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের পরেশ পাল।৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের অলকানন্দা দাস।৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের শচিন সিং।৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের সোমা চৌধুরী ।৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের মহম্মদ জসিমুদ্দিন।৪০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের সুপর্ণা দত্ত।৪১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের রীতা চৌধুরী ।৪২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী মহেশ শর্মা।৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী নির্দল প্রার্থী আয়েশা কানিজ।৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক।৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের বিমল সিং।৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের বিশ্বরূপ দে।৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়।৫০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ।৫১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী ইন্দ্রনীল কুমার।৫২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের সোহিনী মুখোপাধ্যায়।৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের সবিতারানি দাস।৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী স্বর্ণকমল সাহার ছেলে সন্দীপন।৬৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সুস্মিতা ভট্টাচার্য চট্টোপাধ্যায়।৬৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী শাম্মি জাহান বেগম।৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের নিবেদিতা শর্মা।৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের বিজনলাল মুখোপাধ্যায়।৭২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের সন্দীপ বক্সী।৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৬,৪৯৩ ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়।৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের দেবলীনা বিশ্বাস।৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী নিজামুউদ্দিন শামস।৭৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের ষষ্ঠী দাস।৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের শামিমা রেহান খান।৭৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের সোমা দাস।৭৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের রামপেয়ারে রাম।৮০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী আনোয়ার খান।৮১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী জুঁই বিশ্বাস।৮২ নম্বর ওয়ার্ডে ১৪,৮৬৭ ভোটে জয়ী ফিরহাদ হাকিম।৮৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী প্রবীর মুখোপাধ্যায়।৮৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী পারমিতা চট্টোপাধ্যায়।৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের দেবাশিস কুমার।৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সৌরভ বসু।৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী মালা রায়।৮৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী মমতা মজুমদার।৯১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়।৯২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সিপিএম প্রার্থী মধুছন্দা দেব।৯৬ ওয়ার্ডে জয়ী বসুন্ধরা গোস্বামী।১০১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত।১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৬ ভোটে জয়ী সিপিএম প্রার্থী নন্দিতা রায়।১০৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তারকেশ্বর চক্রবর্তী ।১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের অরিজিৎ দাস ঠাকুর।১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের লিপিকা মান্না।১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সুশান্ত কুমার ঘোষ।১১১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী স্বরাজ মণ্ডল।১১২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী গোপাল রায়।১১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী অনিতা কর মজুমদার।১১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল১১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী রত্না শূর।১১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণা সিং।১১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের অমিত সিং।১১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের তারক সিং।১১৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের কাকলি বাগ।১২০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের সুশান্ত ঘোষ।১২১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের রূপক গঙ্গোপাধ্যায়।১২২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের সোমা চক্রবর্তী।১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়।১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী নির্দল প্রার্থী রুবিনা নাজ।১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেসের ওয়াসিম আনসারি।১৪০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের আবু মহম্মদ তারিক।১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী নির্দল প্রার্থী পূর্বাশা নস্কর।

ডিসেম্বর ২১, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 20
  • 21
  • 22
  • 23
  • 24
  • 25
  • 26
  • ...
  • 47
  • 48
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

অজানা ফোন কল থেকে সাবধান! ১ কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার পান্ডা

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নামে পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের নাম করে প্রতারণা। গ্রেপ্তার এক। গ্রেপ্তার করলে বিধানগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চৌধুরী একটি ফোন কল আসে। সেখানে তাকে বলা হয় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আপনি ঘর বন্ধ থাকবেন। কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। এবং ধাপে ধাপে চারদিন ধরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে নির্মল বিজয় নামে রাজস্থানের বাসিন্দার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতকাল নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

কসবা কাণ্ডে মদন মিত্র ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা, তৃণমূলের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল বলছে, দল দুই নেতার মন্তব্য সমর্থন করে না। কার্যত এই দুই নেতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করছে। বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অপরাধীদের সমর্থন করতে চাইছে এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে হবে না। আইন বা পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। স্টুডেন্টরা যদি তাঁদের সহপাঠিনীকে রেপ করা তা প্যাথিটিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি পুলিশ থাকবে? মূল অভিযুক্ত যে প্রাক্তনী তা এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যান। এদিকে এই দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।তৃণমূল বলছে আমাদের অবস্থান স্পষ্টমহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
নিবন্ধ

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে রসুনের উপকারিতা জানুন

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সাধারণত বেড়ে যায় এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক এক চক্র। কয়েকটি কারণে বর্ষাকালে সাপের আনাগোনা বাড়ে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বন্যা ও জল জমা, সাপ সাধারণত মাটির গর্তে বাস করে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে যাওয়ায় তারা শুকনো জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় খোঁজা, বৃষ্টিতে সাপ আশ্রয় নিতে খোঁজে শুকনো ও উষ্ণ জায়গাযেমন: বাড়ির বারান্দা, রান্নাঘর, গ্যারেজ, বা স্টোররুম। এছাড়াও সাপ খাবারের খোঁজে বসতিতে ঢুকে পরে। ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব বর্ষাকালে উঁচু ডাঙ্গা জমি, বসত বাড়িতে উঠে আসে, তাদের অনুসরন করে সাপ মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকা বনাঞ্চল বা জলাভূমির পাশে, সেখানে বর্ষায় সাপ চলাচল বেশি হয়।সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদে দূরে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক স্প্রে করেন কেউ কেউ। কিন্তু আমাদের বাড়িতেই এক ভেষজ সবসমই থাকে সেই রসুন ব্যাবহার করে সাপ থেকে দূরে থাকা যায় বলে অনেকের-ই ধারণা। সাপের আসা-যাওয়ার পথে রসুন দেওয়ার পেছনে একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস রয়েছে। এটি মূলত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:কেন রসুন দেওয়া হয়?তীব্র গন্ধ: রসুনের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র এবং এটি অনেক প্রাণীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর। কিছু মানুষের ধারণা যে সাপ তাদের সংবেদনশীল জিহ্বা (জ্যাকবসন অঙ্গ) দিয়ে পরিবেশের গন্ধ বোঝে, আর রসুনের তীব্র গন্ধ তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।রসুনে অ্যালিসিনের মতো সালফার সমৃদ্ধ যৌগ থাকে, যা তীব্র গন্ধ তৈরি করে। এই গন্ধ সাপের সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলিকে (বিশেষ করে জ্যাকবসন অঙ্গ, যা তারা তাদের জিহ্বার মাধ্যমে পরিবেশকে ঘ্রাণ নিতে ব্যবহার করে) জ্বালাতন করতে পারে বা অভিভূত করতে পারে।লোকবিশ্বাস ও অভ্যাসঃ গ্রামাঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রসুন, পেঁয়াজ, নিমম বা কর্পূর ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ দূরে রাখার চেষ্টা চলে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই, তবুও অনেকেই এটাকে কার্যকর মনে করেন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে রসুন ব্যবহার একটি বিকল্প পদ্ধতি।বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এখনও সরাসরি প্রমাণ নেই যে রসুন সাপকে নিশ্চিতভাবে তাড়াতে পারে। তবে কিছু গবেষণা বলেছে, সাপ সাধারণত তীব্র গন্ধ বা ঝাঁঝালো রাসায়নিক এড়িয়ে চলে, তাই কিছু ক্ষেত্রে রসুন কার্যকর হতে পারে।রসুন ব্যবহার পদ্ধতিঃ১। রসুন থেঁতো করে সাপের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন।২। রসুন ও লবণের মিশ্রণ একটি কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।৩। রসুন তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ব্যবহার করেন অনেকে (সতর্কতার সঙ্গে)।তবে মনে রাখবেনঃ১। সাপ তাড়ানোর জন্য রেসকিউ টিম বা স্থানীয় বন দপ্তরে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়।২। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার, ঘাসছাঁটা রাখা, ইঁদুর-মুরগির আনাগোনা কমানোএসব বেশি কার্যকর।সাপ তাড়ানোর জন্য কিছু নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো, যা আপনি রসুনের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন:পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়)১। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড়, লম্বা ঘাস, ময়লা, কাঠের গুঁড়ি বা ইটের স্তূপ থাকলে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।২। পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।৩। ইঁদুর বা ছোট প্রাণী থাকলে সাপ আসতে পারে, এদের নিয়ন্ত্রণ করুন।প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো করে মিশিয়ে সাপের চলাচলের পথে ছড়িয়ে দিন। আপনি চাইলে সেগুলোর রস করেও স্প্রে করতে পারেন।২. লবণ ও চুনঃ চুন ও লবণ (নুন) মিশিয়ে দেয়ালে বা জানালার আশপাশে ছিটিয়ে রাখুন৩. নিমের পাতা ও তেলঃ নিমের তেল সাপদের প্রচণ্ড অপছন্দের জিনিস। এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাপের আসা যাওয়ার পথে স্প্রে করতে পারেন।৪. সাদা ভিনিগারঃ ভিনিগার ও লবণ মিশিয়ে সাপের চলার পথে স্প্রে করুন। মাটির গন্ধ নষ্ট হওয়ায় সাপ এড়িয়ে চলে।কম্পন ও শব্দ ব্যবহারঃসাপ শব্দ-সংবেদনশীল (কম্পনে সাড়া দেয়)। মাটি কাঁপায় এমন যন্ত্র (যেমন: হাতুড়ি দিয়ে ঠোকাঠুকি), বা ব্যাটারিচালিত কম্পন-ডিভাইস সাপ দূরে রাখতে পারে।পোষা প্রাণীঃ কুকুর (দেশী বা বিদেশি) সাপের উপস্থিতি টের পেলে ঘন ঘন ডাকতে থাকে। গ্রামের অনেক বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার ফলে সাপ আসার সম্ভাবনা কমে যায়।যা করবেন নাঃসাপ দেখলে নিজে রিস্ক নিয়ে তাড়াতে যাবেন না।, পেট্রোল, অ্যাসিড বা আগুন ব্যবহার করবেন না। সাপটিকে না মেড়ে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপতভাবে বিষাক্ত মনে হলেও সাপ সামাজের ভারসাম্য রাখতে বিরাট ভুমিকা নেয়। সাপ দেখলে বা সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় বন দফতর বা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলের (snake rescuer) সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার বনদপ্তরে ফোন করে সাহায্য নিন। এছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যাঁরা বসতি থেকে সাপ গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে অরণ্যে পৌছাতে সাহায্য করেন। যেমন, বর্ধমান জেলায় তথাগত পাল আছেন, যিনি তাঁর দৈনন্দিন পেশার কঠিন চাপের ফাঁকেও এই ধরনের নোবেল জব করতে ভালবাসেন।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

এলাকায় মদের দোকান তৈরির প্রতিবাদে গাইঘাটার ইছাপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ইছাপুরে গোল্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানের উদ্বোধন হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দাবি মানুষকে বোকা বানাতে রেস্টুরেন্ট বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে হবে মদের দোকান, একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে এমই দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এবং ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিছিল করে এসে দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, দোকান মালিক পাশের জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্ট কাম বারের লাইসেন্স বানিয়েছে।এলাকায় মদের দোকান হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, নারী নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে ধ্বংস হবে যুবসমাজ। ফলে তারা কোনভাবেই মদের দোকান হতে দেবেন না। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভে শামিল হন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর । কোনভাবেই এখানে মদের দোকান হতে দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে মালিক পক্ষের দাবি, তাদের যেকোনো লাইসেন্স থাকতে পারে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্টই তৈরি হবে।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী ও মডেল 'কাঁটা লাগা গার্ল'-এর অকাল মৃত্যু, শোকের ছায়া শিল্পী মহলে

মাত্র ৪২ বছরে মৃত্য়ু হল মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী মডেলের। শেফালি জারিওয়ালা শুক্রবার মুম্বাইয়ে মারা গেছেন। জানা গিয়েছে, তার স্বামী পরাগ ত্যাগী এবং আরও তিনজন তাকে বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।মুম্বাই পুলিশের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আন্ধেরি এলাকায় নিজের বাসভবনে মেডেলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ রাত ১টায় এই খবর পেয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।শেফালি জারিওয়ালা ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকের হিট কাঁটা লাগা গানের মিউজিক ভিডিওতে তার অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান। এমনকি এই গানটি তাকে কাঁটা লাগা গার্ল উপাধিও এনে দেয়। এরপর তিনি সলমান খানের মুঝসে শাদি কারোগিতে অভিনয় করেন। পরে, তিনি সলমানের সঞ্চালনায় রিয়েলিটি শো, বিগ বস ১৩-তেও অংশ নেন। ২০০৪ সালে, শেফালি মিট ব্রাদার্স খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হরমিত সিংয়ের সাথে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০০৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৫ সালে, তিনি অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সেলিব্রিটিরা শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। আমি গভীরভাবে মর্মাহত, শোকাহত। আমাদের প্রিয় তারকা এবং আমার প্রিয় বন্ধু @শেফালিজারিওয়ালা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার অনুগ্রহ, হাসি এবং চেতনার জন্য তোমাকে সর্বদা স্মরণ করব। ওম শান্তি,। গায়ক মিকা সিং X-তে তার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। রাজীব আদাতিয়া, কাম্যা পাঞ্জাবি, আলি গনি সহ আরও সেলিব্রিটিরা অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠি লিখেছেন, এটা অবিশ্বাস্য। আমরা পরিবারের জন্য মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমার বন্ধু শেফালি জারিওয়ালা আর নেই শুনে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম। শেষবার আমি তার সঙ্গে একটি পার্টিতে দেখা করেছিলাম। জীবন এত ছোট। সে আমার সাথে #BiggBoss13 তে ছিল।

জুন ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal