• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Murshidabad

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

নৌকো ডুবিতে প্রাণ বাঁচল ১৩ জনের, নিখোঁজের তল্লাশিতে ডুবুরি

মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান ফেরিঘাটে মধ্যরাতে নৌকায় পারাপারে ঘটলো বড়সড় বিপত্তি। ১৩ জন প্রাণে বাঁচলেও নিখোঁজ এক শ্রমীক। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ১২ জন শ্রমীক ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট আসে মালদা যাওয়ার জন্য। ঘাটের নৌক রাত ৯ টার পর বন্ধ থাকায় দুই জন মৎস্যজীবীকে বলে নদী পারাপার করারা জন্য।জানা গিয়েছে, দুই মৎস্যজীবী রাজি হয়ে যায় ৮০০ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু তাঁদের নিজের নৌক না থাকায়, রঞ্জন মন্ডলকে না জানিয়ে তাঁর নৌকা নিয়ে তাঁদের পারাপার করতে যায়। প্রশাসনের নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নৌকা ঘাট বন্ধ থাকায় ছোট নৌকা করে প্রায় ১২ জন শ্রমীক নিয়ে ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে পারলালপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় হঠাৎ নৌকা উল্টে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটি আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ, বিএসএফ ও স্থানীয় মাঝিরা। রাতে জীবিত ১৩ জনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ হয়ে যায় এক ব্যাক্তি। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার সুত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর শেখ। বয়স ৩৫ বছর। বাবার নাম লিয়াকত আলি। বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার বাখরাবাদ গ্রাম। সকাল থেকে নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগ ডুবুরি টিম গঙ্গায় তল্লাশি চালাতে থাকে।পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দুই জন মৎসজীবীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ও বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। সকালে ডুবরির টিম তল্লাশি করছে। ইতিমধ্যে ডুবে যাওয়া নৌকা টিকে উদ্ধার করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ । পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

পোল্ট্রি ফার্মে তাজা বোমা উদ্ধার, রাণীনগরে চাঞ্চল্য

এবার রানীনগরে দুই ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল। মুর্শিদাবাদে রানীনগরের ডেপুটিপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ির পিছনে একটি পরিত্যক্ত পোল্ট্রি মুরগির ফার্মে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা সকেট বোমা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। সূত্রের খবর, গতকাল রাতে প্রায় বারোটা নাগাদ মুকুল শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়ির পিছনে পুলিশ একটি পরিত্যক্ত পোল্ট্রি ফার্মে দুই ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। পরিবার সূত্রে খবর, রাত্রি প্রায় বারোটা নাগাদ রানীনগর থানার পুলিশ এসে মুকুল শেখের বাড়ির সদস্যদের বোমা রাখার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে পরিবারের সদস্যরা বোমা রাখার বিষয়ে কোনও কিছুই জানে না বলে জানা যায়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাত জেগে ওই জায়গাটিকে পাহারা দেয়। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। তবে কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এই বোমা গুলি রেখেছিল? তা বলতে পারছে না কেউ। তবে এই ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছে বলে জানান। ওই দুই ব্যাগে মোট আটটি বোমা রয়েছে বলে জানা যায়। তবে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

জুন ১৩, ২০২৫
রাজ্য

জমি বিবাদের মিমাংসা চলাকালীন ধুন্ধুমার, তৃণমূল বিধায়কের অফিসেই এই কান্ড!

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা ও উত্তেজনায় ধুন্ধুৃমার কান্ড মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। এই ঘটনায় জখম একাধিক।শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে খোদ জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের কার্যালয়ে। জানা গিয়েছে, জমি সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে মীমাংসা বৈঠক চলছিল। আর তখনই তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে বচসা ও মারপিট হয়। এতেই একাধিক আহত হয়। জখমদের মধ্যে রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের রানীনগর অঞ্চলের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খাইরুল ইসলামের ছেলেও রয়েছে।জানা গিয়েছে, একটি জায়গা রেকর্ড করা নিয়ে দফরপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মঞ্জুর আলির লোকজনের সঙ্গে রানীনগর অঞ্চলের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খাইরুল ইসলামের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদ চলছিল। শুক্রবার সেই বিবাদের মিমাংসা করার জন্য রঘুনাথগঞ্জে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের কার্যালয়ে এসেছিল উভয়পক্ষ।আর সেখানে এসেই উভয় পক্ষের বচসা বেধে যায়। এরপর শুরু হয় হাতাহাতি, মারপিট।লোহার রড দিয়েও মারধর চলে বলে অভিযোগ। উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জুন ০৬, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

পঞ্চাশ লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার উদ্ধার, হাতবদলের অপেক্ষায় ছিল

পাচারের আগেই ৫২৩ গ্রাম সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করল সাগরপাড়া থানার পুলিস। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক চোরাকারবারিকে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মিলন শেখ। বাড়ি সাগরপাড়া থানার চর কাকমারি এলাকায়। ধৃতকে সোমবার বহরমপুর জেলা আদালতে হলে বিচারক সাত দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। ডোমকল মহকুমা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, ধৃত যুবক সোনার বিস্কুটগুলি হাত বদলের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। তার আগেই ওই যুবককে সোনা সহ গ্রেপ্তার করা হয়। বাজেয়াপ্ত সোনার বাজারমূল্য পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। সাগরপাড়া থানার পুলিস জানিয়েছে, সোর্স মারফত আগাম খবর ছিল, রবিবার রাতে নওদাপাড়া ব্রিজ মোড় এলাকায় সোনার বিস্কুটের হাত বদল হবে। খবর মোতাবেক নওদাপাড়া ব্রিজ এলাকায় পুলিসের একটি টিম অপেক্ষা করছিল। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই যুবক বাইক নিয়ে ব্রিজে আসে। পুলিস তাকে ঘিরে ধরতেই সে পালানোর চেষ্টা করে। তবে পুলিস তাকে পাকড়াও করে তল্লাশি চালানোর সময় তার কাছ থেকে তিনটি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃত যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, এক ব্যক্তিকে সোনার বিস্কুটগুলি হাত বদলের জন্য সে এসেছিল।

মে ২৬, ২০২৫
রাজ্য

এবার সামশেরগঞ্জে বোমা ফেটে জখম দুই নাবালক

ফের খবরের শিরোনামে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ। মঙ্গলবার বিকেলে সামসেরগঞ্জ থানার চকসাপুরে বোমা ফেটে জখম হয় দুই বালক। জখম দুজনের হল রবিজুল শেখ (১১) এবং রাকিব শেখ(১১)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের অন্য ছেলেদের সঙ্গে ওই দুইজন চকসাপুরের মাঠে খেলা করছিল। খেলার সময় বল মাঠের পাশে ঝোঁপে চলে যায়। ওই দুইজন বল আনতে গেলে ঝোঁপের মধ্যে রাখা বোমা ফেটে যায়। বোমা ফাটার শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং দেখেন দুইজন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সামসেরগঞ্জ থানার জনৈক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

এপ্রিল ২৯, ২০২৫
রাজ্য

আদালতের নির্দেশে মেনে মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু, দিলেন নিরাপত্তার আশ্বাস

শর্তসাক্ষেপে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি মিলতেই শনিবার মুর্শিদাবাদে সফরে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন প্রথমে তিনি ধূলিয়ান গঙ্গা স্টেশনে নামেন। সেখানে দলীয় নেতা ও কর্মীরা তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা ও শুভেচ্ছা জানান। তারপরে তিনি স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনের জেরে হিংসার ঘটনায় জাফরাবাদে বাবা হরগোবিন্দ দাস ও ছেলে চন্দন দাসকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। বিরোধী দলনেতা আজ দাস বাড়িতে যান। সেখান মৃত হরগোবিন্দ ও চন্দন দাসের স্ত্রী এবং অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা করেন। তিনি দুই পরিবারের সদস্যদের হাতে ১০ লক্ষ ১ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেন। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, হিংসার ঘটনার পর থেকে জাফরাবাদে ভয়ঙ্কর অবস্থা। গ্রামবাসীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্প ও এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে। তিনি এই বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, দাস পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর ১০ লক্ষ টাকা প্রত্যাখ্যান করেছে কিন্ত আমার ১০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেছে। কাজেই দাস পরিবারের কাছে মুখ্যমন্ত্রী ব্রাত্য, আমাকে গ্রহণ করেছেন। জাফরাবাদ থেকে বেরিয়ে দিঘির পাড়ে যান। সেখান থেকে বেতবোনায় পৌঁছন। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং হিংসা বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। গ্রামবাসীরা তাঁকে নিরাপত্তার দাবি জানায়। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু।

এপ্রিল ২৬, ২০২৫
রাজ্য

শনিবার মুর্শিদাবাদে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শনিবার মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ থানার জাফরাবাদে মৃত বাবা-ছেলে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়িতে যান। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। ওইদিন ঠিক কি হয়েছিল সেই বিষয়ে জানতে চান। এদিকে রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে দাস পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি তাদের কথা মন দিয়ে শোনেন এবং বোঝার চেষ্টা করেন। রাজ্যপাল তাদের সান্ত্বনা দেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। দাস বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল জাফরাবাদের আরও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর ঘুরে দেখেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন বলে আশ্বাস দেন। প্রায় ৪০ মিনিট তিনি জাফরাবাদ গ্রামে ছিলেন। এরপরেই তিনি জাফরাবাদ থেকে বেরিয়ে যান। এদিকে শনিবার রাজ্যপাল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ আসছেন এই খবর পেতেই সকাল থেকে বেতবোনা গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তায় জমায়েত হয়ে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু রাজ্যপাল জাফরাবাদ থেকে বেরিয়ে বেতবোনায় না দাঁড়িয়ে বহরমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এই ঘটনায় বেতবোনার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাজ্যপালের কনভয়ের নিরাপত্তা রক্ষীদের গাড়ি আটকে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে রাজ্যপাল বেতবোনায় ফিরে আসেন এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের অভিযোগের কথা শোনেন। তারপর বহরমপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। রাজ্যপাল বলেন, সামসেরগঞ্জে যা ঘটে গেছে সেটা যেকোন সভ্য সমাজের পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাজনক। কিছু দুর্বৃত্ত এটা ঘটিয়েছে। বহু পরিবার ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা আতঙ্কের মধ্যে ছিল। তবে রাজ্য পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি এই মুহুর্তে তাদের প্রধান তিনটি দাবি হল- ন্যায়বিচার, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং বিএসএফ ক্যাম্প। একজন রাজ্যপাল হিসেবে রাজ্য ও কেন্দ্রের সমন্বয় করে ওখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও শান্তি ফিরিয়ে আনা আমার দায়িত্ব। বিকেলে বহরমপুর কোর্ট স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাজ্যপাল।এদিকে এদিন সকালে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান সহ ছয় সদস্যের দল বেতবোনা, জাফরাবাদে যায়। মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান বিজয়া কিশোর রোহতকার বলেন, ওই এলাকার পীড়িতদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সমস্ত ঘটনা তুলে ধরেছেন। সত্যি কয়েকদিন তাদের ভয়ঙ্কর ও বিভীষিকাময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর রায় এবং মালদার কংগ্রেস সাংসদ ইশা খান সামসেরগঞ্জে দাস পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রথমে দাস পরিবারের সদস্যরা কংগ্রেস নেতাদের বাড়িতে ঢুকতে না দিলেও পরে তারা বাড়িতে ঢোকেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সামসেরগঞ্জ ও সূতির ঘটনার পিছনে তৃণমূল ও বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেন। মৃত হরগোবিন্দ দাসের জামাই বিশ্বজিৎ দাস হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি গ্রামে বিএসএফ ক্যাম্পের দাবি জানিয়েছেন।

এপ্রিল ২০, ২০২৫
রাজ্য

ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, জঙ্গিপুরের পর এবার রণক্ষেত্র সূতি

ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় লাগাতার বিক্ষোভ অবরোধ চলছে। এদিন জুম্মার নামাজের পর ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা সুতি থানার সাজুর মোড় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর বিক্ষোভ আন্দোলন করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু করে আন্দোলনকারীরা। ফলে জাতীয় সড়ক রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। ঘটনায় জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় এবং লাঠি চার্জ করে। সূত্রের খবর, আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিসের গাড়ি, বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় সড়কে দাউ দাউ করে পুলিসের গাড়ি জ্বলতে থাকে। আন্দোলনকারীদের ছোড়া পাথর, ইটের ঘায়ে বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হয়। অভিযোগ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। আন্দোলনকারী ও পুলিসের সংঘর্ষে জাতীয় সড়কে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এদিকে ওয়াকফ আইন বিরোধীরা সামসেরগঞ্জের ধূলিয়ানে একাধিক দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় বলে জানা গিয়েছে। পূর্বরেল সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ধূলিয়ানে গঙ্গা স্টেশনে ঢোকার মুখে রেললাইনে জমায়েত হন। ফলে কামাক্ষ্যা-পুরি এক্সপ্রেস সহ বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস কয়েক ঘন্টা আটকে থাকে। পরে কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয় এবং কয়েকটি যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসএফ নামানো হয়েছে। পুরো এলাকা বিএসএফ দখল নিয়েছে। এই মুহুর্তে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক বলে জানা গিয়েছে।

এপ্রিল ১১, ২০২৫
রাজ্য

অতীতের ঘটনা ভেবে সাবধান রেল, সুরক্ষায় নজর জঙ্গিপুর স্টেশনে

এবার রেল তার সুরক্ষা বাড়ালো জঙ্গিপুর রোড রেল স্টেশনে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৪০ জন নিউ জলপাইগুড়ি ডিভিশনের RPSF স্পেশাল ফোর্সের জওয়ানদের মোতায়েন করলো জঙ্গিপুর স্টেশনে। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ধুন্দুমার কান্ড ঘটে। জঙ্গিপুর মহকুমার রঘুনাথগঞ্জের ওমরপুর মোড় এলাকায়। রীতিমত আন্দোলনকারীরা দুটি পুলিশ গাড়ি সহ একাধিক গাড়ির আগুন লাগিয়ে দেয়। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় পুলিশ উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে টি আর গ্যাস, লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো জেলা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরবর্তী ক্ষেত্রে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপর থেকেই জঙ্গিপুর মহকুমা জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা এবং ১৪৪ ধারার বিএনএস আইন প্রয়োগ করে ১৬৩ ধারা লাগু করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধে ছটা পর্যন্ত এই ইন্টারনেট পরিষেবা এই এলাকাগুলো জুড়ে বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন। তার মধ্যেই রেলওয়ের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের পক্ষ থেকে স্টেশন চত্বরে সুরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ালো রেল বিভাগ। উল্লেখ্য গত পাঁচ বছর (2019, DECEMBER)আগে গোটা দেশ জুড়ে CAA NRC-র প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করেছিল। এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি রেলওয়ে স্টেশনে রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়েছিল। যার ফলে সেই মেরামতি করতে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রায় দুই থেকে তিন মাসের বেশি সময় লেগেছিল। পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছিল যাত্রী সাধারণকে। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর রোড রেলওয়ে স্টেশন সহ আরও দুটি রেলওয়ে স্টেশনে ১২০ জন আরপিএফএসএফ স্পেশাল জামান মোতায়ন করল রেলওয়ে দপ্তর।

এপ্রিল ১১, ২০২৫
রাজ্য

জীবিত তরুণীর শ্রাদ্ধ, পাত পেড়ে ভুরিভোজ, কেন এমন আজব ঘটনা বাংলায়?

চোপড়ার বাস্তব চিত্র সিনেমাকেও হার মানাবে। চোপড়া থানার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন এক তরুণী। সেই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি তাঁর পরিবারের লোকজন। জীবিত মেয়ের নামে ল শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করলেন বাড়ির লোকজন। পাত পেড়ে করালেন ভুরিভোজও।পছন্দের পুরুষের হাত ধরে সংসার পাততে চেয়ে তরুণীকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। সেই শুরু কাহিনীর। তবে সেখানেই শেষ নয়। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মেয়ে পরিবারের অমতে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করায় তাঁরা গভীরভাবে মর্মাহত। তাঁরা মনে করছেন, মেয়ে পরিবারের সামাজিক মর্যাদা হানি করেছে। সেই তরুণীর আত্মীয়-পরিজনও নাকি এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছেন না। তাই মেয়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতেই এই শ্রাদ্ধের আয়োজন।তরুণী কলেজ-পড়ুয়া। তাঁর বাবা কৃষিজীবী। আর তাঁর প্রেমিক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। কলেজের পড়াশোনার পাঠ সাঙ্গ করেছেন খুব বেশিদিন হয়নি। চলতি মাসের ৮ তারিখে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়েন সেই তরুণী। তারপর ৯ মার্চ চোপড়া থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করে মেয়েটির পরিবার। পুলিশ দুজনকে আটক করে নিয়ে আসে রায়গঞ্জ থেকে। মামলা আদালতে ওঠে। কিন্তু ধোপে টেকেনি। কারণ আদালতে মেয়েটি পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে তিনি সাবালিকা। তিনি স্বেচ্ছায় সেই তরুণের সঙ্গে গিয়েছেন। এদিকে, ছেলেটির বাড়ি থেকে কিন্তু প্রাথমিক আপত্তির পর সম্পর্ক মেনে নিয়েছে।তরুণীর বাড়িতে ঠিক উলটো চিত্র। মেয়ের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে এদিন রীতিমতো পুরোহিত ডেকে নিয়ম মেনে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গ্রামবাসীর পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনদের আমন্ত্রণ করে ভুরি ভোজ করানো হয়। শনিবারের অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০ জন অতিথি দিব্য পাত পেড়ে খেয়েছেন জীবন্ত তরুণীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে। প্রতিবেশীরা, যাঁরা নিমন্ত্রিত ছিলেন, তাঁরাও মেয়েটির সম্পর্ক মানছেন না। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের উদ্দেশ্য, এটা একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে গ্রামের উঠতি বয়সি ছেলেমেয়েদের কাছে।

মার্চ ১৬, ২০২৫
রাজ্য

জঙ্গি সন্দেহে ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত, বাংলায় স্লিপার সেলের সন্ধানে জোরদার তদন্ত

বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নওদা থেকে ধৃতদের মঙ্গলবার বহরমপুর সিজেএম আদালতে তোলা হয়। রাজ্য পুলিশের এসটিএফের পক্ষ থেকে ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল। বিচারক দিলওয়ার হোসেন ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতদের নাম সাজিবুল ইসলাম ও মুস্তাকিম মণ্ডল। ধৃতদের বিরুদ্ধে জঙ্গি যোগ সন্দেহ আরও মাত্রা পেল।বাংলাদেশে ইউনুসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসতেই সীমান্তের পশ্চিমপাড়ে জঙ্গিদের স্লিপার সেলের একের পর এক সন্ধান মিলেছে। এবার এপারে জেএমবি অপেক্ষা আনসারুল্লা বাংলা টিমের দাপট অনেক বেশি।দিন কয়েক আগে আসম পুলিশ হঠাৎ হানা দেয় হরিহরপাড়ায়। হরিহরপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আব্বাস শেখ ও মিনারুল শেখ। আব্বাস শেখ স্থানীয় মসজিদের ইমাম ছিলেন। মিনারুল এলাকায় একটি খাদিজিয়া মাদ্রাসা চালাতেন। দুজনেই এবিটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তাদের জেরা করে আসাম পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের এসটিএফ রবিবার রাত তিনটে নাগাদ নওদা থানার দুর্লভপুর থেকে সাজিবুল ইসলামকে ও পরে ভেলো গ্রাম থেকে মুস্তাকিম মণ্ডলকে জঙ্গিযোগ সন্দেহে আটক করে। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর দুজনকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ১১৩-৩/৪/৫/৬, ৬১ বিএনএস ও ১৪-সি ফরেনার অ্যাক্টে মামলা রুজু করে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়। দুজনকেই ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। সাজিবুল ইসলাম ও মুস্তাকিম মণ্ডল কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সাধারণ দুই যুবকের সঙ্গে বাংলাদেশি জঙ্গিযোগ রয়েছে শুনে এলাকার মানুষ হতবাক হয়ে পড়েন। পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ জেলায় একাধিক স্লিপার সেল রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্লিপার সেল থেকে এবিটির হয়ে কাজ করছিল আব্বাস, মিনারুল, সাজিবুল, মুস্তাকিরা। সাজিবুল কেরল থেকে ধৃত শাদ রবি ওরফে সাব শেখের পিসতুতো ভাই। আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান জসিমুদ্দিন রহমাণির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সাব শেখ বহুবার নওদায় তার আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছে বলেই তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। জেলায় বাংলাদেশি জঙ্গিদের একাধিক ডেরা থাকলেও কেন জেলা পুলিশ কিছুই জানতে পারল না। এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
রাজ্য

মুর্শিদাবাদে প্রচারে রাজনাথ সিং, তুলোধোনা তৃণমূল নেত্রীকে, দার্জিলিংয়ের সভায় ফোন-বার্তা শাহর

নরেন্দ্র মোদী- অমিতনশাহের পর এবার রাজনাথ সিং। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে তৃণমূলনেত্রী মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়কে ঝাঁঝালো আক্রমণ করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবার মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা। নির্বাচনী সভামঞ্চ থেকে বাংলার আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকে নিশানা করেছেন রাজনাথ।মমতাদিদি খাদি পড়েন, আর আড়ালে লুঠ চলছে। চৈতণ্যদেব, রাজা রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর, সুভাষচন্দ্রের বাংলায় মমতার আমলে কী হল? বাংলায় এখন আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। পুরো বাংলাজুড়ে অরাজক একটা পরিবেশ। এখন সাম্প্রাদয়িকতার জন্য বাংলার নাম উঠে আসছে। এখানে ইডি-সিবিআই তদন্তে এলে গুন্ডারা হামলা চালায়। এখানে আইনশৃঙ্খলা নেই।সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজনাথ বলেন, সন্দেশখালির ঘটনা ভারতের নয়, গোটা দুনিয়ার যে দেখেছে সেই বলেছে এটা মানবতার লজ্জা। মমতাদিদি খাদি পড়েন, আর খাদির আড়ালে বাংলায় লুঠ চলছে। এখানে চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতি হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি। আপনার নামেই শুধু মমতা, আচার-ব্যবহারে মমতা পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আপনার মনের মমতা কোথায় গেল?অন্যদিকে, দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার সমর্থনে সভা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টরমন্ত্রী অমিত শাহের। তবে সেই সভা আজ বাতিল হয়ে গিয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে শিলিগুড়ি থেকে উড়তেই পারেনি শাহের কপ্টার। তবে সভায় না এলেও ফোনে বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ।রাজু বিস্তার ফোনে শাহ বলেন, গোর্খাদের পাশে আছি আমরা। খারাপ আবহাওয়ার কারণে যেতে পারিনি। দেশের ইতিহাসে গোর্খাদের বড় অবদান আছে। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে একমাত্র বিজেপিই। আপনারা মোদিজীর পাশে থাকুন। ২৬ তারিখ রাজু বিস্তাকেই পদ্ম চিহ্নে ভোট দিন।

এপ্রিল ২১, ২০২৪
রাজ্য

সংখ্যালঘু দেখলেই এনআইএ সক্রিয়, ভয়ঙ্কর অভিযোগ মমতার

কেন অস্ত্র নিয়ে মিছিল করবেন? সংখ্যালঘু দেখলেই এনআইএ নিয়ে ঢুকে পড়ার অধিকার কে দিয়েছে? হরিহরপাড়ায় সভা থেকে তোপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি কংগ্রেস ও সিপিএমকে বিজেপির দালাল বলেও তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। এখানে ইন্ডিয়া জোট নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।দক্ষিণবঙ্গে ভোটের প্রচারে তৃণমূল সুপ্রিমো। রামনবমীর দিনে অস্ত্র-মিছিল নিয়ে নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনের দিনেই ফের একবার রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হওয়া বিক্ষিপ্ত কিছু গন্ডগোলের ঘটনা তুলে ধরে নাম না করে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা তৃণমূলনেত্রীর। বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের হয়ে এদিন নির্বাচনী প্রচার সারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রচার মঞ্চ থেকেই বিজেপিকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূলনেত্রী।শর্ত সাপেক্ষে রামনবমীর শোভাযাত্রার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও কয়েকটি জায়গায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় অস্ত্র নিয়ে বের হতে দেখা যায় রাম-ভক্তদের। সেই প্রসঙ্গ তুলেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পরশুদিন ছোট্ট একটা ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল আবারও ঘটিয়েছিল। তাতে ওসি ও আমার এক ভাই আহত হয়েছে। ১৯ জন আহত হয়েছেন। কেন অস্ত্র নিয়ে মিছিল করবেন আপনারা? কে অধিকার দিয়েছে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার? কে অধিকার দিয়েছে সংখ্যালঘুদের বাড়ি এনআইএ নিয়ে ঢুকে পড়ার?এরই পাশাপাশি এদিন ফের একবার ইন্ডিয়া জোট নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই ইস্যুতে বাম-কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন তিনি। তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপিকেও। মমতার কথায়, বাংলায় ইন্ডিয়া জোট নেই। আমরা আছি। কেন্দ্রে সরকার হলে ইন্ডিয়া জোটকে আমরাই সাহায্য করব। আমরাই নেতৃত্ব দেব। বাংলা নেতৃত্ব দেবে। এখানে সিপিএম ও কংগ্রেস বিজেপির দালালি করে। তাই আমাদের সাথে ওদের কোনও সম্পর্ক নেই। কংগ্রেস-সিপিএম তো কেরালাতেই লড়াই করছে। এখানে কংগ্রেস ও সিপিএম আসন ভাগাভাগি করেছে। বিজেপির কাছ থেকে কিছু কিছু নিচ্ছে আর দিচ্ছে।গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনেছেন তৃণমূলনেত্রী। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, বিজেপির এত বড় সাহস যে বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মহিলাদের অধিকার। ৩ মাসের মধ্যে বিজেপিকে দেশ থেকে গুটিয়ে দেব। ইডি।সিবিআইকে যারা ভয় করে তারাই বিজেপি করে। বাংলায় NRC হবে না। CAA করতে দেব না।

এপ্রিল ১৯, ২০২৪
রাজ্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা অব্যাহত, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুর্শিদাবাদে

এর আগে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার খড়গ্রামে নিহত কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ সেখের বাড়িতে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে গিয়ে নিহত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিন ৯ জুন নিহত হয়েছিলেন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ সেখ। অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিন রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে বিচার চাইল নিহত কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদের পরিবার। তাঁরা রাজ্যপালকে জানালেন নিরাপত্তাহীনতার কথা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেন মৃত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের। সিবিআই তদন্তের আর্জি জানান ফুলচাঁদ শেখের স্ত্রী এসমিনা খাতুন।ফুলচাঁদ শেখের দাদা বাণি ইসরাইলের দাবি, হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। ভোট দিতে গেলে অশান্তি হবে বলে ভয় দেখাচ্ছে। এদিন পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল, দিয়েছেন পাশে থাকার আশ্বাস। শুক্রবার দুপুরে খড়গ্রাম ও নবগ্রামের সফর শেষ করেই মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যান্য প্রান্তেও যাবেন।

জুলাই ০৭, ২০২৩
রাজনীতি

ধর্মতলায় ডিওয়াইএফআই এর অনুমতিহীন সভা ঘিরে চাঞ্চল্য

ভারতের গণতান্ত্রিক ছাত্র ফেডারেশনের (ডিওয়াইএফআই) ধর্মতলা অভিযানের ডাকে সারা দিতে ইসলামপুর আলুয়াবাড়ি রোড জংশন স্টেশন থেকে কর্মী সমর্থকরা সোমবার ট্রেনে চেপে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। ডিওয়াইএফআই নেতা গৌতম বর্মন ও সামী খান জানান আনিস খানের ইনসাফ সবাই যোগদানের জন্য তারা যাচ্ছেন। কলকাতার ধর্মতলায় সেখানে উপস্থিত থাকবেন বামফ্রন্টের রাজ্য সভাপতি মঃ সেলিম ও ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষী মুখার্জী সহ একাধিক নেতৃত্ব। উলেখ্য ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে এই সভার কোনও অনুমতি কলকাতা পুলিসের তরফের দেওয়া হয়নি। অনুমতিহীন এই সভা ঘিরে আবার কলকাতায় গোলমালের আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

অজানা ফোন কল থেকে সাবধান! ১ কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার পান্ডা

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নামে পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের নাম করে প্রতারণা। গ্রেপ্তার এক। গ্রেপ্তার করলে বিধানগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চৌধুরী একটি ফোন কল আসে। সেখানে তাকে বলা হয় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আপনি ঘর বন্ধ থাকবেন। কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। এবং ধাপে ধাপে চারদিন ধরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে নির্মল বিজয় নামে রাজস্থানের বাসিন্দার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতকাল নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

কসবা কাণ্ডে মদন মিত্র ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা, তৃণমূলের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল বলছে, দল দুই নেতার মন্তব্য সমর্থন করে না। কার্যত এই দুই নেতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করছে। বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অপরাধীদের সমর্থন করতে চাইছে এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে হবে না। আইন বা পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। স্টুডেন্টরা যদি তাঁদের সহপাঠিনীকে রেপ করা তা প্যাথিটিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি পুলিশ থাকবে? মূল অভিযুক্ত যে প্রাক্তনী তা এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যান। এদিকে এই দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।তৃণমূল বলছে আমাদের অবস্থান স্পষ্টমহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
নিবন্ধ

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে রসুনের উপকারিতা জানুন

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সাধারণত বেড়ে যায় এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক এক চক্র। কয়েকটি কারণে বর্ষাকালে সাপের আনাগোনা বাড়ে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বন্যা ও জল জমা, সাপ সাধারণত মাটির গর্তে বাস করে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে যাওয়ায় তারা শুকনো জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় খোঁজা, বৃষ্টিতে সাপ আশ্রয় নিতে খোঁজে শুকনো ও উষ্ণ জায়গাযেমন: বাড়ির বারান্দা, রান্নাঘর, গ্যারেজ, বা স্টোররুম। এছাড়াও সাপ খাবারের খোঁজে বসতিতে ঢুকে পরে। ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব বর্ষাকালে উঁচু ডাঙ্গা জমি, বসত বাড়িতে উঠে আসে, তাদের অনুসরন করে সাপ মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকা বনাঞ্চল বা জলাভূমির পাশে, সেখানে বর্ষায় সাপ চলাচল বেশি হয়।সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদে দূরে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক স্প্রে করেন কেউ কেউ। কিন্তু আমাদের বাড়িতেই এক ভেষজ সবসমই থাকে সেই রসুন ব্যাবহার করে সাপ থেকে দূরে থাকা যায় বলে অনেকের-ই ধারণা। সাপের আসা-যাওয়ার পথে রসুন দেওয়ার পেছনে একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস রয়েছে। এটি মূলত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:কেন রসুন দেওয়া হয়?তীব্র গন্ধ: রসুনের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র এবং এটি অনেক প্রাণীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর। কিছু মানুষের ধারণা যে সাপ তাদের সংবেদনশীল জিহ্বা (জ্যাকবসন অঙ্গ) দিয়ে পরিবেশের গন্ধ বোঝে, আর রসুনের তীব্র গন্ধ তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।রসুনে অ্যালিসিনের মতো সালফার সমৃদ্ধ যৌগ থাকে, যা তীব্র গন্ধ তৈরি করে। এই গন্ধ সাপের সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলিকে (বিশেষ করে জ্যাকবসন অঙ্গ, যা তারা তাদের জিহ্বার মাধ্যমে পরিবেশকে ঘ্রাণ নিতে ব্যবহার করে) জ্বালাতন করতে পারে বা অভিভূত করতে পারে।লোকবিশ্বাস ও অভ্যাসঃ গ্রামাঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রসুন, পেঁয়াজ, নিমম বা কর্পূর ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ দূরে রাখার চেষ্টা চলে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই, তবুও অনেকেই এটাকে কার্যকর মনে করেন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে রসুন ব্যবহার একটি বিকল্প পদ্ধতি।বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এখনও সরাসরি প্রমাণ নেই যে রসুন সাপকে নিশ্চিতভাবে তাড়াতে পারে। তবে কিছু গবেষণা বলেছে, সাপ সাধারণত তীব্র গন্ধ বা ঝাঁঝালো রাসায়নিক এড়িয়ে চলে, তাই কিছু ক্ষেত্রে রসুন কার্যকর হতে পারে।রসুন ব্যবহার পদ্ধতিঃ১। রসুন থেঁতো করে সাপের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন।২। রসুন ও লবণের মিশ্রণ একটি কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।৩। রসুন তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ব্যবহার করেন অনেকে (সতর্কতার সঙ্গে)।তবে মনে রাখবেনঃ১। সাপ তাড়ানোর জন্য রেসকিউ টিম বা স্থানীয় বন দপ্তরে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়।২। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার, ঘাসছাঁটা রাখা, ইঁদুর-মুরগির আনাগোনা কমানোএসব বেশি কার্যকর।সাপ তাড়ানোর জন্য কিছু নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো, যা আপনি রসুনের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন:পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়)১। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড়, লম্বা ঘাস, ময়লা, কাঠের গুঁড়ি বা ইটের স্তূপ থাকলে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।২। পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।৩। ইঁদুর বা ছোট প্রাণী থাকলে সাপ আসতে পারে, এদের নিয়ন্ত্রণ করুন।প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো করে মিশিয়ে সাপের চলাচলের পথে ছড়িয়ে দিন। আপনি চাইলে সেগুলোর রস করেও স্প্রে করতে পারেন।২. লবণ ও চুনঃ চুন ও লবণ (নুন) মিশিয়ে দেয়ালে বা জানালার আশপাশে ছিটিয়ে রাখুন৩. নিমের পাতা ও তেলঃ নিমের তেল সাপদের প্রচণ্ড অপছন্দের জিনিস। এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাপের আসা যাওয়ার পথে স্প্রে করতে পারেন।৪. সাদা ভিনিগারঃ ভিনিগার ও লবণ মিশিয়ে সাপের চলার পথে স্প্রে করুন। মাটির গন্ধ নষ্ট হওয়ায় সাপ এড়িয়ে চলে।কম্পন ও শব্দ ব্যবহারঃসাপ শব্দ-সংবেদনশীল (কম্পনে সাড়া দেয়)। মাটি কাঁপায় এমন যন্ত্র (যেমন: হাতুড়ি দিয়ে ঠোকাঠুকি), বা ব্যাটারিচালিত কম্পন-ডিভাইস সাপ দূরে রাখতে পারে।পোষা প্রাণীঃ কুকুর (দেশী বা বিদেশি) সাপের উপস্থিতি টের পেলে ঘন ঘন ডাকতে থাকে। গ্রামের অনেক বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার ফলে সাপ আসার সম্ভাবনা কমে যায়।যা করবেন নাঃসাপ দেখলে নিজে রিস্ক নিয়ে তাড়াতে যাবেন না।, পেট্রোল, অ্যাসিড বা আগুন ব্যবহার করবেন না। সাপটিকে না মেড়ে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপতভাবে বিষাক্ত মনে হলেও সাপ সামাজের ভারসাম্য রাখতে বিরাট ভুমিকা নেয়। সাপ দেখলে বা সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় বন দফতর বা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলের (snake rescuer) সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার বনদপ্তরে ফোন করে সাহায্য নিন। এছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যাঁরা বসতি থেকে সাপ গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে অরণ্যে পৌছাতে সাহায্য করেন। যেমন, বর্ধমান জেলায় তথাগত পাল আছেন, যিনি তাঁর দৈনন্দিন পেশার কঠিন চাপের ফাঁকেও এই ধরনের নোবেল জব করতে ভালবাসেন।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

এলাকায় মদের দোকান তৈরির প্রতিবাদে গাইঘাটার ইছাপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ইছাপুরে গোল্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানের উদ্বোধন হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দাবি মানুষকে বোকা বানাতে রেস্টুরেন্ট বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে হবে মদের দোকান, একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে এমই দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এবং ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিছিল করে এসে দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, দোকান মালিক পাশের জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্ট কাম বারের লাইসেন্স বানিয়েছে।এলাকায় মদের দোকান হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, নারী নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে ধ্বংস হবে যুবসমাজ। ফলে তারা কোনভাবেই মদের দোকান হতে দেবেন না। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভে শামিল হন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর । কোনভাবেই এখানে মদের দোকান হতে দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে মালিক পক্ষের দাবি, তাদের যেকোনো লাইসেন্স থাকতে পারে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্টই তৈরি হবে।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী ও মডেল 'কাঁটা লাগা গার্ল'-এর অকাল মৃত্যু, শোকের ছায়া শিল্পী মহলে

মাত্র ৪২ বছরে মৃত্য়ু হল মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী মডেলের। শেফালি জারিওয়ালা শুক্রবার মুম্বাইয়ে মারা গেছেন। জানা গিয়েছে, তার স্বামী পরাগ ত্যাগী এবং আরও তিনজন তাকে বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।মুম্বাই পুলিশের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আন্ধেরি এলাকায় নিজের বাসভবনে মেডেলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ রাত ১টায় এই খবর পেয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।শেফালি জারিওয়ালা ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকের হিট কাঁটা লাগা গানের মিউজিক ভিডিওতে তার অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান। এমনকি এই গানটি তাকে কাঁটা লাগা গার্ল উপাধিও এনে দেয়। এরপর তিনি সলমান খানের মুঝসে শাদি কারোগিতে অভিনয় করেন। পরে, তিনি সলমানের সঞ্চালনায় রিয়েলিটি শো, বিগ বস ১৩-তেও অংশ নেন। ২০০৪ সালে, শেফালি মিট ব্রাদার্স খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হরমিত সিংয়ের সাথে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০০৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৫ সালে, তিনি অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সেলিব্রিটিরা শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। আমি গভীরভাবে মর্মাহত, শোকাহত। আমাদের প্রিয় তারকা এবং আমার প্রিয় বন্ধু @শেফালিজারিওয়ালা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার অনুগ্রহ, হাসি এবং চেতনার জন্য তোমাকে সর্বদা স্মরণ করব। ওম শান্তি,। গায়ক মিকা সিং X-তে তার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। রাজীব আদাতিয়া, কাম্যা পাঞ্জাবি, আলি গনি সহ আরও সেলিব্রিটিরা অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠি লিখেছেন, এটা অবিশ্বাস্য। আমরা পরিবারের জন্য মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমার বন্ধু শেফালি জারিওয়ালা আর নেই শুনে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম। শেষবার আমি তার সঙ্গে একটি পার্টিতে দেখা করেছিলাম। জীবন এত ছোট। সে আমার সাথে #BiggBoss13 তে ছিল।

জুন ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal