• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Chief

কলকাতা

Dhankhar: কার নির্দেশে এলেন না? ফের মুখ্যসচিব ও ডিজির জবাব তলব রাজ্যপালের

রাজ্যপালের তলব পেয়েও রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ প্রধান সোমবার বেলা ১১টার মধ্যে হাজির হননি রাজভবনে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি লিখে রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্দেশ মেনেই করোনা পরিস্থিতিতে এই পদক্ষেপ করছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল এ বার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং ডিজি মনোজ মালব্যর কাছে জানতে চাইলেন, কার কাছ থেকে তাঁরা ওই নির্দেশ পেয়েছেন।নেতাইয়ে যেতে না পারায়, অভিযোগ জানিয়ে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের কাছে অভিযোগপত্র পাঠান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে রাজভবনে তলব করেন তিনি। সোমবার, সকাল ১১টার মধ্যে তলব করেছিলেন তিনি। এ দিন ১১টার কিছু আগেই আসতে না পারার কথা জানিয়ে দেন মুখ্যসচিব ও ডিজি।এই চিঠি পাঠানোর পিছনে কার নির্দেশ রয়েছে? সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যসচিব এবং ডিজি কী ভাবে বৈঠক বাতিল করলেন, তাতে হতবাক তিনি। সোমবারই তাঁদের এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার কথা বলেছেন রাজ্যপাল।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

Covid-19 Graph: করোনা ঝড়ে তোলপাড় রাজ্য, ছাড়িয়ে গেল ১৫ হাজারের গন্ডি

করোনা সংক্রমণের ঝড় উঠেছে বাংলায়। গত ২৭ ডিসেম্বর রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৩৯। ১০ দিন পার করে আজ, বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১৫,৪২১-এ। বিশেষজ্ঞদের মতে এই তুফান এখন থামার কোনও লক্ষ্মণ নেই। মুখ্যমন্ত্রী আগামি ১৫ দিন রাজ্যবাসীকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ হাবড়া স্টেশনে কেন ভেঙে দেওয়া হল এমএ ইংলিশ চায়েওয়ালির দোকান?রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বৃহস্পতিবারের বুলেটি অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় ১৫,৪২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিড ১৯ পরীক্ষা করা হয়েছিল ৬২,৪১৩ জনের। পজিটিভিটি রেট ২৪.৭১ শতাংশ। বুধবার একধাক্কায় ১৪ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ৯ হাজারের কিছু বেশি। আগামিতে এই সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে তা নিয়ে শঙ্কায় চিকিৎসক মহল।আরও পড়ুনঃ ১৫ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজনে আরও কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত মমতারএদিনও আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী মহানগরে আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৫৬৯জন। এরপরেই রয়েছে কলকাতা লাগোয়া জেলা উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২,৫৬০জন৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার হাল তুলনামূলক ভালো। এই জেলায় ৭৮৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘন্টায়। হাওড়ায় ১২২৮ জন কোভিড ১৯-এ সংক্রমিত হয়েছেন। রাজ্যের অন্য জেলাতেও বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পূর্ব বর্ধমানে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৩৯৪-এ। পশ্চিম বর্ধমানে ৯১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘন্টায়। রাজ্যজুড়ে করোনা ঝড় চলছে।আরও পড়ুনঃ শহরে ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করবেন মোদিগত ২৪ ঘন্টায় করেনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। মৃতের সংখ্যাটাও ক্রমশ বাড়ছে। সচেতন নাহলে সমস্যা আরও বাড়বে। এখন বিধিনিষেধ জারি করে সংক্রমণ রোখার চেষ্টা চলছে। এরপর কড়া পদক্ষেপ করতে দ্বিধা করবে না রাজ্য সরকার, এদিনই জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানুয়ারি ০৬, ২০২২
কলকাতা

Mamata Bannerjee: ১৫ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজনে আরও কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত মমতার

করোনার দৈনিক বুলেটিন থেকে স্পষ্ট, পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। প্রত্যেক দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তা, করোনার থাবা থেকে বাদ যাচ্ছেন না কেউ। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আগামী ১৫ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতির অবনতি হলে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।আরও পড়ুনঃ কলকাতা কাবু কোভিডে, ফের খুলছে সেফ হোমএ দিন নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রশাসনের তরফে চাপ দিয়ে মাস্ক পরানো সম্ভব নয়। নিজেদের স্বার্থে যাতে প্রত্যেকে মাস্ক পরেন সেই অনুরোধই করেন মমতা। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে তিনি বলেন, হাতে গ্লাভস পরুন। গ্লাভস না থাকলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। ছেলেরা যদি বাজারে বা কোথাও বেরোন তাহলে টুপি পরুন, মেয়েরা কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। আর অবশ্যই মাস্ক পরুন।আরও পড়ুনঃ শহরে ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করবেন মোদিমমতা এ দিন উল্লেখ করেন, এবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা অনেক কম। মৃতের হারও কম। তবে তিনি জানান, প্রয়োজন না থাকলে কেউ যেন হাসপাতালে ভর্তি না হন। তিনি বলেন, অনেকের প্রয়োজন নেই তাও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে, এটা ঠিক নয়। লোকাল ট্রেনের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ট্রেন না চালালে বলবে ট্রেন বন্ধ রেখেছে। আর ট্রেন চালালে ভিড় হবে। বলুন আমরা কোন দিকে যাব? এগোলেও দোষ, পিছলেও দোষ। তিনি উল্লেখ করেন, জীবন- জীবিকার কথাও ভাবা প্রয়োজন। তাই সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য করোনা বিধি তৈরি করেছে বলে জানান তিনি।আরও পড়ুনঃ করোনা উদ্বেগে স্থগিত কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, খুব প্রয়োজন না থাকলে অফিসে না যাওয়াই ভালো। তিনি নিজেও বাড়ি থেকে কাজ করারই চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার থেকে শুরু করে পুরসভার সচিব প্রত্যেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি চান না যে প্রশাসনিক আধিকারিকদের মধ্যে করোনা আরও ছড়িয়ে পড়ুক।

জানুয়ারি ০৬, ২০২২
কলকাতা

Governor: বিএসএফ-রাজ্য পুলিশ সমন্বয়ে পদক্ষেপের নির্দেশ রাজ্যপালের

রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়ের ডাকে সাড়া দিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং স্বরাষ্ট্র সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা শনিবার বিকালে রাজভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপাল নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন সেকথা । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাম্প্রতিক নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় সাধন নিয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছে বলে টুইট করে জানান রাজ্যপাল।প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাঁদের এই বৈঠক চলে।সম্প্রতি বিএসএফ এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নয়া বিজ্ঞপ্তির পর তা নিয়ে আপত্তি জানান পশ্চিমবঙ্গ ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রীকে। সম্প্রতি দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে মন্তব্য করেন।তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল এদিন মুখ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন,বিএসএফ-এর সঙ্গে রাজ্য পুলিশের সমন্বয়ের লক্ষ্যে পদক্ষেপ করুন।কলকাতার পুরভোটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য হিসাবে তাঁর সুপারিশ কতটা কার্যকর হয়েছে প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তার কাছে তাও জানতে চান রাজ্যপাল।

ডিসেম্বর ১১, ২০২১
রাজ্য

School Opening: ১৫ নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলবে, বড় ঘোষণা মমতার

শিলিগুড়িতে সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজ খোলার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বৈঠক শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখ্যসচিবকে বলেন, পুজোর মরশুম শেষ হতেই, অর্থাৎ ছট পুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর পর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়। তার আগে প্রস্তুতির জন্য সময় দেওয়ার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ খোলার আগে প্রস্তুতির সময় দিতে হবে। দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ ছিল। তাই কিছুটা সময় দিতে হবে স্কুলগুলিকে যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিকাঠামোগত কাজ সেরে ফেলতে পারেন। তার পরেই স্কুল শুরু হবে।গত বছর ১৬ মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর করোনা সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় আর স্কুল-কলেজ খোলা হয়নি। বন্ধ করা হয় বেশ কিছু পরীক্ষাও। তার পর করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ২০ মাস পর স্কুল খোলার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে একাধিক পরিকাঠামো গত সমস্যা তৈরি হয়েছে স্কুল কলেজগুলির। সেগুলি আগামী কয়েকদিনে যাতে সামলে নেওয়া যায়, তার জন্যও বেশ কিছুটা সময় নির্দিষ্ট করে রাখার কথা বলেছেন তিনি।স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে অবশ্য ভিন্ন মত পোষণ করছে চিকিৎসকমহল। আরও বেশ কিছুটা সময় দেখে নেওয়া উচিত ছিল বলে মত অনেকেরই।আবার অনেকেই মনে করছেন, স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত একেবারেই ঠিক।

অক্টোবর ২৫, ২০২১
রাজনীতি

Mamata: স্বাধীনতা সংগ্রামী বাবার অনুপ্রেরণায় ১২-১৩ বছর বয়স থেকে রাজনীতি শুরু, স্মৃতিচারণা মুখ্যমন্ত্রীর

শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মেলনীতে স্মৃতিচারণায় ভাসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জীবনের নানা দিকের কথা বললেন খোলামেলা ভাবে। মুখ্যমন্ত্রীর বাবা যে স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন সেকথাও জানালেন তিনি। তাঁর কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়ে 12-13 বছর থেকে রাজনীতি হাতেখড়ি বলেও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।রবিবার বিজয়া সম্মেলনীতে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা যখন ছোটো থেকে বড় হয়েছি বিবেকানন্দ, নেতাজি ও রবীন্দনাথ ঠাকুরের বই পড়ে। আমিও জীবনে ১২-১৩ বছর থেকে শুরু রাজনীতি শুরু করেছিলাম। এত ছোট বয়স থেকে রাজনীতি কেউ কেরেছে কিনা জানি না। আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। বাবার কাছে শুনে শুনে একটা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম বলতে পারেন। মমতা কথায়, তারপর থেকে এই সারাটা জীবন পরার হয়ে এলাম। জীবনে ক্ষতবিক্ষত হয়ে বেঁচে আছি। আমি জীবন্ত লাশ বলেত পারেন। আমার শরীরের কোনও অংশ বাদ নেই যেখানে আঘাত লাগেনি। অস্ত্রোপচার হয়নি। আজও মনের জোরে কাজ করে চলি।এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে যথেষ্ট আবেগ-প্রবণ হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সেকথাও বলে ফেলেন মমতা। তিনি বলেন, গত ২০ বছর আমার জ্বর হয়নি। এখন ঠান্ডাটা লাগলে বেশি লাগে। পঞ্চমীর দিন গলাটাই চোকড হয়ে যায়। তবে এরই মধ্য়ে বিজেপিকে বিঁধতে ছাড়েননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শান্তিতে কেটেছে পুজো। এ শান্তি কোথায় পাবেন। বাংলা ত্রিপুরা হয়ে যায়নি এখনও। আমরা থাকাকালীন কোনও দিন হয়ে যাবেও না। বাংলার সংস্কৃতি আমরাই আগলে রাখব। ত্রিপুরায় গেলেই মাথায় মারো। একে তো মারছে, মারবার পরে হাসপাতালে চিকিৎসা করতেও দিচ্ছে না। একটা ইনজেকশন দিচ্ছে না। তাঁরা বড় বড় কথা বলে। মানবাধিকারের কথা বলে। কটা হিংসা হয়েছে, নির্বাচনের পরে কটা বিজয় উৎসব হয়েছে, কতজনকে মার হয়েছে হয়েছে উত্তরবঙ্গে। রোজ হিংসার কথা বলছে বিজেপি। ত্রিপুরার দিকে তাকিয়ে দেখো। উত্তরপ্রদেশে চলে যান লোক ঢুকতেই পায় না।

অক্টোবর ২৪, ২০২১
রাজ্য

By-Election: রাজ্যের উপনির্বাচনের প্রচারে অসমের মুখ্যমন্ত্রী, ৭ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসহ একাধিক সাংসদ

বঙ্গ বিজেপিও চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে স্টার ক্যামপেইনারের তালিকা প্রকাশ করেছে। ২০ জনের এই তালিকায় বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা, ত্রিপুরার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। এছাড়া একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন তালিকায়, রয়েছেন সাংসদ, বিধায়ক ও সংগঠনের কর্তারা।ভবানীপুরের উপনির্বাচনের প্রচারে স্টার ক্যামপেইনার হিসাবে নাম ছিল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু সেই প্রচারে একদিনও ভবানীপুরে হাজির হননি লকেট। তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টিও হয়েছিল। কুণাল ঘোষের টুইট দেখে রাজনৈতিক মহলের মনে হয়েছিল তাহলে লকেটও কি তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়েছেন? যে ভাবে বিজেপি থেকে তৃণমূলের দিকে যোগ দেওয়ার ঢল নামছে তা ভাবা খুব স্বাভাবিক। পরে জানা গিয়েছিল দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগতপ্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। তারপর যথারীতি দলের কাজ শুরু করেছেন লকেট।আরও পড়ুনঃ উপনির্বাচনের চার কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী সহ একাঝাঁক মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন হবে গোসাবা, দিনহাটা, খড়দহ ও শান্তিপুরে। বিজেপির তালিকায় রয়েছেন ১৩ জন সাংসদের নাম, যার মধ্যে ৭ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর নাম বিশেষ ভাবে উল্লেযোগ্য। হেমন্ত বিশ্বশর্মা উপনির্বাচনের প্রচারে আসবেন বাংলায়। উত্তরবঙ্গের দিনহাটায় তিনি প্রচারে আসতে পারেন বলে খবর। ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন বৃদ্ধির কাজ করে চলেছে। সেদিক থেকে ত্রিপুরার সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের এরাজ্যে প্রচারে আসাটা গুরুত্বের দাবি রাখে।একনজরে দেখে নেওয়া যাক কারা রয়েছেন বিজেপির স্টার ক্যামপেইনারের তালিকায়- স্মৃতি ইরানী, ডাঃ সুভাষ সরকার, জন বার্লা, হিমন্ত বিশ্বশর্মা, শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিক, গিরিরাজ সিং, প্রতিমা ভৌমিক, লকেট চট্টোপাধ্যায়, ডঃ সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য, অগ্নিমিত্রা পাল, অমিতাভ চক্রবর্তী, রাহুল সিনহা, দেবশ্রী চৌধুরী, অর্জুন সিং ও মাফুজা খাতুন।

অক্টোবর ০৮, ২০২১
রাজ্য

Flood : পূর্ব বর্ধমানে বন্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তুললেন অরুপ বিশ্বাস

রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য শনিবার আরামবাগে গিয়েও কেন্দ্রকে দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিনই পূর্ব বর্ধমানের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধানের কথা ডিভিসি কর্তৃপক্ষকেই ভাবতে হবে। মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসও পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতিকে ম্যানমেড বন্যা বলেই অবিহিত করেন। জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে খোঁজ খবর নেন মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস।পরে তিনি জেলার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাপরিষদ সভাধিপতি শম্পা ধারা, সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু সহ জেলার অন্যান্য নেতাদের কাছেও বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে খোঁজ খবর নেন। এরপর দুপুরে তিনি যান বর্ধমান টাউনস্কুলে। সেখানে জেলার জল প্লাবিত এলাকার মানুষদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী বোঝাই দুটি গাড়ি নিয়ে এরপর মন্ত্রীরা কাটোয়া মহকুমার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এখানে মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দলের কর্মীরা সর্বত্র বানভাসি মানুষজনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। রাজ্যে কোথায় কোথায় সাধারণ মানুষের কী কী ক্ষতি হয়েছে সেইসব প্রশাসনিক বিষয়গুলি প্রশাসনিক স্তরে দেখা হবে। আপাতত দলনেত্রীর নির্দেশে তাঁরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন।এরপরেই কেন্দ্রকে নিশানা করে অরুপ বিশ্বাস বলেন, রাতের অন্ধকারে একতরফা ভাবে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কাটোয়ার বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখার পর মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস কাটোয়ার ভারতীভবন উচ্চ বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরে যান। সেখানে বন্যা দুর্গত মানুষের পরিস্থিতি দেখার পর মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস ত্রাণ শিবিরে থাকা মানুষজনকে আশ্বস্ত করে বলেন, কোন অসুবিধা হবে না। উপরে ভগবান। আর নিচে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন । ত্রাণশিবিরে গিয়ে বন্যাদুর্গত মানুষদের পরিস্থিতি দেখেন। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া পরিবারের শিশুদের হাতে দুধ ও বিস্কুটের প্যাকেট তিনি তুলে দেন। ভারতী ভবন বিদ্যালয়ের পাশাপাশি কাটোয়া পৌরসভা এলাকায় অন্যান্য ফ্লাড সেন্টারেও বন্যা কবলিত পরিবারগুলিকে রাখা হয়েছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস কাটোয়ার অন্যান্য ত্রাণ শিবিরগুলি ঘুরে দেখেন ও ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের সঙ্গেও কথা বলেন। এদিনই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে জেলার বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বন্যা দুর্গতদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই নির্দেশও তিনি বিধায়কদের দেন।এদিকে জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়া কমতেই শনিবার থেকে জেলায় বন্যার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ায় জলস্তর কমেছে দামোদরে। একই ভাবে অজয় নদে জল কমায় ধীরে ধীরে জেলার মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ও আউশগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। শুক্রবার দুই দফায় ডিভিসি জলাধার থেকে ৪ লক্ষেল কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছিল। এদিন ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে ১লক্ষ ৫৫ হাজার ৩০০ কিউসেকে নামে। তেনু ঘাট থেকে ১৩ হাজার কিউসেক, মাইথন থেকে ৫০ হাজার কিউসেক ও পাঞ্চেত ড্যাম থেকে ৬০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার হয়। জলাধার থেকে জল ছাড়া কমার সঙ্গে সঙ্গেই অজয় নদের তীরবর্তী মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম, লাখুড়িয়া, ঝিলু ১, মাঝিগ্রাম, ভাল্যগ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রাম ও কেতুগ্রামের পাণ্ডুগ্রাম, পালিটা, নবগ্রাম, বিল্লেশ্বর, তেওরা, চরখি প্রভৃতি গ্রামে বন্যার জল নামতে শুরু করেছে। তবে কাটোয়া ও মঙ্গলকোটের কয়েক হাজার হেক্টর ধান জমি এখনও জলের তলায় রয়ে আছে। কাটোয়া-সিউড়ি রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে এদিন সকালেও জল বয়ে যেতে দেখা যায়। অন্যদিকে জল কমলেও আউসগ্রামের ভেদিয়া অঞ্চলের মানুষজনের দুর্দশা কমেনি। অজয় নদের বাঁধ ভেঙে গিয়ে আউসগ্রামের সাঁতলা, ধুকুর বাগবাটি, বঙ্গপল্লী সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম জলপ্লাবিত হয়ে পড়ে। জল ঢুকে পড়ায় বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে কেউ ভয়ে বাঁধে অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নেন। শিশু সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে এখন তাঁরা বিষধর সাপের সঙ্গেই সহাবস্থান করছেন। চিড়ে, গুড় ও জল খেয়েই সেখানে তাঁদের দিন কাটছে। বাঁধে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের অনেকেরই ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে জমির ফসলও। এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান অজিত কুমার মণ্ডল এদিন যদিও জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ভেঙে যাওয়া বাড়ির বাসিন্দাদের জন্য কিছু একটা ব্যবস্থা করা হবে ।

অক্টোবর ০২, ২০২১
রাজ্য

Bye Election: ভবানীপুরের উপনির্বাচনের অভিঘাত ভিন্ন, তবে মনে করাচ্ছে ৬৫ বছর আগের বাংলার রাজনীতির কথা

তিরিশে সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ছাপা সংবাদ মধ্যম থেকে বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে এই উপনির্বাচন নিয়ে নানা গালগল্প ও বিশ্লেষন চলছে। সংসদীয় গনতন্ত্রে নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি বিষয় হলেও সাধারণত উপনির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্ৰহ ভোঠদাতাদের থাকে না। তাই উপনির্বাচনে ভোটদানের হার কম থাকে। কিন্তু, বঙ্গ রাজনীতিতে ভবানীপুরের উপনির্বাচন এবার অন্য মাত্রা পেয়েছে। তার কারন এই উপনির্বাচনের ফল বলে দেবে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই পদে থাকবেন কি না।বাংলায় এই নজির অতীতে নেই। তবে ইতিহাস বলছে এমনই এক উপনির্বাচনে বাংলার ভূ-রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারিত হয়েছিল। পাঁচের দশকে নেহেরু সরকার ভাষা ভিত্তিক রাজ্যগঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সময় বাংলা, বিহার সংযুক্ত করে পূর্বপ্রদেশ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। তখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কৃষ্ণ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে, পূর্বপ্রদেশ গঠনে প্রস্তুতি শুরু করেন। অখন্ড কমিউনিষ্ট পার্টি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় পথে নামে।কমিউনিষ্ট পার্টির নেতৃত্বে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়। প্রতিবাদী মিছিল ও সমাবেশে উত্তাল হয় বাংলা।আরও পড়ুনঃ পূজার ছলে ভুলে থাকিসেই সময় কলকাতা উত্তর-পূর্ব কেন্দ্রের সাংসদ বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা-র মৃত্যু হয়। বাম সমর্থিত সাংসদের মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তখন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ও কমিউনিষ্ট পার্টির রাজ্য সম্পাদক ছিলেন জ্যোতি বসু। উপনির্বাচন ঘোষণা হতে বিধানচন্দ্র রায় বিধানসভায় জ্যোতিবসুকে বলেন, তোমরা পূর্বপ্রদেশ গঠনের বিরোধিতা করছ। কলকাতা উত্তর-পূর্ব কেন্দ্রে উপনির্বাচনকে আমি গনভোট হিসেবে নিচ্ছি। এই উপনির্বাচনে যদি তোমরা জেতো তাহলে আমি তোমাদের মত মেনে নেব। জ্যোতি বসু সেই চ্যালেঞ্জ গ্ৰহন করেছিলেন। ১৯৫৬ সালে সেই নির্বাচনে বাম প্রার্থী ছিলেন মোহিত মিত্র। কংগ্রেস রার্থী ছিলেন বিখ্যাত আইনজীবী অশোক সেন।সেই সময় দক্ষিণ ভারতে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির পার্টি কংগ্রেস ছিল। কিন্তু উপনির্বাচন পরিচালনার দ্বায়িত্ব থাকায় জ্যোতি বসু পার্টি কংগ্রেসে যাননি। উপনির্বাচনের ফলে অশোক সেন বিপুল ভোটে পরাজিত হন। একই দিনে মেদিনীপুরে খেজুরি কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় কংগ্রেসী গড় খেজুরিতেও কংগ্ৰেস হেরে গিয়েছিল। উপনির্বাচনের ফল মেনে নিয়ে পূর্বপ্রদেশ গঠনের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলেন বিধানচন্দ্র রায়। সেদিন কংগ্রেস জিতলে বাংলার ভূ-রাজনীতির চালচিত্র হয়ত অন্য রকম হতো। প্রায় ৬৫ বছর পরে পশ্চিমবঙ্গে আবার একটি উপনির্বাচন নিয়ে রাজনীতির আঙিনায় আলোড়ন পড়েছে। তবে দুটি উপনির্বাচনে রাজনৈতিক অভিঘাত সম্পূর্ণ আলাদা। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের বিরুদ্ধে বাম ও বিজেপি দুইদল-ই নবীন প্রার্থী দিয়েছে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার বিচারে দুই বিরোধী প্রার্থীর সঙ্গে মমতার আসমান-জমিন পার্থক্য থাকলেও একটি সাধারণ অবস্থান রয়েছে। তিনজনেই আইনজীবী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনকে পেশা হিসেবে নেননি। বাকি দুই প্রার্থী পেশাগতভাবে আইনজীবী।বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য্য(রাজনৈতিক বিশ্লেষক)

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
দেশ

Priest Suicide: আত্মহত্যা না খুন? আখড়া পরিষদ প্রধানের মৃত্যুতে ঘুরছে নানা তত্ত্ব

অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের প্রধান নরেন্দ্র গিরির মৃত্যুর ঘটনায় তাঁরই তিন শিষ্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে এক জন তাঁর অন্যতম প্রধান শিষ্য ছিলেন বলেই জানিয়েছে পুলিশ।সোমবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে উদ্ধার হয় নরেন্দ্রর দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা করেছেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়। কিন্তু সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে কয়েক দিন আগেই নরেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর অন্যতম প্রধান শিষ্য আনন্দ গিরির ঝগড়া হয়েছিল। আনন্দর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ এনে তাঁকে আখড়া থেকে বার করেও দেওয়া হয়। এখন প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কী এটা আত্মহত্যা? না কি এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে? আরও পড়ুনঃ নভেম্বরে ইডেনে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটতদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ঝগড়ার ঘটনার পরে আনন্দ এসে নরেন্দ্রর কাছে ক্ষমাও চান। কিন্তু তাতে তাঁদের সম্পর্কের বিশেষ উন্নতি হয়নি। সেই রাগে আনন্দ আখড়া প্রধানকে খুন করে থাকতে পারেন বলে পুলিশের অনুমান। আনন্দ ছাড়া বাকি যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের নাম সন্দীপ তিওয়ারি ও আদ্য তিওয়ারি। তাঁরা আনন্দর সঙ্গে থাকতেন। প্রয়াগরাজ পুলিশের এক আধিকারিক কে পি সিংহ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, নরেন্দ্রর মৃতদেহের কাছে যে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে তাতে তিনি মানসিক অবসাদের কথা লিখেছেন। তাঁর মৃত্যুর পরে আখড়ার দায়িত্ব কে নেবেন সে কথাও লিখে গিয়েছেন তিনি। আধিকারিক আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও এটি খুনের ঘটনাও হতে পারে। আনন্দকে জেরা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।সন্ন্যাসী সমাজের অন্যতম বড় সংগঠন হল অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ। সেই সংগঠনের সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিলেন মহন্ত নরেন্দ্র গিরি। তাঁর এই রহস্যজনক মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই সন্ন্যাসীকূলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকবিহ্বল উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। টুইটারে এক শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত নরেন্দ্র গিরির মৃত্যু আধ্যাত্মিক জগতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি ভগবান রামের কাছে প্রার্থনা করি যেন তাঁর আত্মাকে তাঁর চরণে স্থান দেন। এই কঠিন সময়ে নরেন্দ্র গিরির শিষ্য ও অনুগামীদের আরও শক্তি দিক।টুইটারে শোক প্রকাশ করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা-সহ আরও একাধিক রাজনৈতিক নেতা।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
শিক্ষা

College Open: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করেই খুলে গেল বর্ধমানের কলেজ

রাজ্যে এখনও জারি রয়েছে কোভিড বিধি। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোভিড বিধি জারি থাকায় বন্ধ রয়েছে সমস্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তবেই পুজোর পর রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন।মুখ্যমন্ত্রী এমনটা ঘোষনা করলেও বূহস্পতিবার থেকে খুলে গেল বর্ধমানের এম বি সি ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এণ্ড টেকনলোজি। অফলাইনে ক্লাস চালু করার কথা ১ সেপ্টেম্বর ছাত্রছাত্রীদের Whatsapp গ্রুপের মাধ্যমে কলেজ চালুর কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করার জন্য এদিন কলেজে আসতেও বলা হয়। সেই নির্দেশ পেয়ে এদিন সকাল থেকেই বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ক্লাস করতে কলেজে উপস্থিত হয়। যেসব পড়ুয়া দূরবর্তী এলাকার বাসিন্দা তাঁরাও কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেয়ে এদিনই কলেজ হোস্টেলে পৌঁছে যায়। পরে তাঁরা জানতে পারে কলেজ কর্তৃপক্ষ হস্টেল ও ক্যান্টিন খোলার কোন অনুমতি দেয়নি।পড়ুয়া রামকৃষ্ণ কর্মকার, বিকাশ মাণ্ডি এদিন বলেন, সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কলেজ খুললে ভাল হত। তাহলে সকল ছাত্রছাত্রী একসঙ্গে কলেজে আসতে পারতো।বিধিনিষেধের কারণে সব পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় এদিন তাঁদের কলেজ খুললেও অল্পসংখ্যক ছাত্র নিয়েই পঠন-পাঠন শুরু করতে হল কলেজ কতৃপক্ষকে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুজোর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হতে পারে বলে জানিয়ে দিলেও এম বি সি ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এণ্ড টেকনলোজি একদিনের নোটিসে কীভাবে এদিন থেকে তাঁদের প্রতিষ্ঠান চালু করলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়ে কলেজের ইনচার্জ উৎপল সামুইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনও কথা বলতে অস্বীকার করেন। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
রাজ্য

Vinay Tamang: কেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছাড়লেন বিনয় তামাং?

পাহাড়ের রাজনীতিতে বদল। দল ছাড়লেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিনয় তামাং। বৃহস্পতিবার নিজেই এই কথা ঘোষণা করলেন তিনি। দলের সভাপতি পদ তো বটেই, প্রাথমিক সদস্যপদও ছেড়েছেন তিনি। এককথায় পাহাড়ের রাজনীতিতে বিনয়পন্থী মোর্চা বলে আর কিছু রইল না। সূত্রের খবর, বিনয় হাত মেলাতে পারেন বিমল গুরুয়েংর সঙ্গে। আরও পড়ুনঃ শ্রীলেখা মিত্র ভাল চুমু খেতে পারেন!মোর্চা নেতা অনীত থাপাকে একটি চিঠি দিয়ে এই পদ ছাড়েন বিনয় তামাং। নির্বাচনে দলের ব্যর্থতার দায় নিয়েই চিঠি লিখে সবরকম দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি। খবর পাওয়া গিয়েছে, পদত্যাগপত্রের প্রতিলিপি গুরুং ও রোশন গিরির কাছে ইতিমধ্যে পাঠিয়েছেন বিনয়। সেই কারণেই আড়াআড়ি বিভক্ত মোর্চার ফের একমঞ্চে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিনয়ের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানার পর স্বাগত জানিয়েছেন গোর্খা নেতা বিমল গুরুং। পদত্যাগ পত্রে বিনয় তামাং দাবি করেছেন, ২০১৯ সাল থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর অভ্যন্তরীণ সমীকরণে সমস্যা তৈরি হয়। একই সঙ্গে এই দলের আসল নেতা বিমল গুরুং। তাঁকেই এই দলের পরিচালনা করতে দেখতে চান বিনয়, এমনটাও জানাচ্ছে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র। কিন্তু, তাঁর রাজনীতি থেকে অবসর না নেওয়ার মন্তব্য অন্য জল্পনার জন্ম দিয়েছে। পাহাড়ের রাজনীতিতে জল্পনা, বিনয় তামাং নতুন রাজনৈতিক দলের সূচনাও করতে পারেন।

জুলাই ১৫, ২০২১
রাজনীতি

Suvendu-Mamata: "২৩৫-এর দম্ভের মতো ২১৩-এর দম্ভ", তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

বামেদের ২৩৫-এর দম্ভ যেন তাড়া করছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এমনই দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি রাজ্যে ভূয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসক, বিধায়ক, আইপিএস, আইএএসরা যুক্ত বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। সেই বিষয়ে বৃহস্পতিবার মূলতুবি প্রস্তাব অধ্যক্ষ বাতিল করে দেওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে বাড়িতে গিয়ে সৌরভকে শুভেচ্ছা মমতার, দিদিকে দাদার দুর্দান্ত উপহার২০০৬-তে ২৩৫টি আসন পেয়ে বামফ্রণ্ট সরকার বাংলায় ক্ষমতায় ফিরে এসেছিল। সেই বিপুল জনসমর্থনে মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিল বামফ্রণ্টকে, বিশেষত সিপিএমকে। মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন, আমরা ২৩৫, আপনারা ৩০। এভাবেই ক্ষমতা জাহির করেছিলেন তিনি। এবার সিপিএম বা বাম প্রতিনিধি বিধানসভায় শূন্য। সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, সব কথায় ক্ষমতা দেখাচ্ছেন। ২৩৫-এর দম্ভের মতো ২১৩-এর দম্ভ যদি দেখান, তাহলে বিএ কমিটিতে গিয়ে সহযোগিতার হস্ত প্রসারিত করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবন্ধকতা আছে। তাই বিএ কমিটির বৈঠকে যাইনি। এটা আমাদের বয়কট নয়। এটা বলতে না দেওয়ার প্রতিবাদ। আরও পড়ুনঃ জেলাশাসক থেকে সফল ব্যবসায়ী, মেধাবী অশ্বিনী এখন দেশের বড় দায়িত্বেভূয়ো টিকা নিয়ে এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে ভূয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। শুভেন্দু সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আজ আমাদের বিধায়ক ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে আলোচনার জন্য মূলতুবি প্রস্তাব দেয়। কেন আলোচনা হবে না ভূয়ো টিকা নিয়ে? ভূয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে মূলতুবি প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। ভূয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে কলকাতা কর্পোরেশনের পুরপ্রশাসক থেকে একাধিক বিধায়ক, আইপিএস, জনপ্রতিনিধি, ছোট থেকে বড় নেতা সকলেই যুক্ত। তা প্রমাণিত।

জুলাই ০৮, ২০২১
নিবন্ধ

Bidhan Chandra Roy: বিরোধী বিধান'-র জ্যোতি স্নেহ

ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের মুখ্যমন্ত্রী সময়কাল ও তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা নিয়ে বহু কথা আলোচিত হয়। কিন্তু তাঁর আপাত গম্ভীর চেহারার মধ্যে অসম্ভব রসবোধ নিয়ে সেভাবে চর্চা হয়না। মানুষটির অসামান্য ব্যক্তিত্বের আড়ালে যে অনবদ্য রসবোধ সম্পন্ন একটি চরিত্র লুকিয়ে থাকত তা ওনার মুখের অভিব্যক্তি দেখে একেবারেই আন্দাজ করা যেতনা। তাঁর রসবোধ নিয়ে বহু কাহিনি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। শোনা যায় বিধান রায় প্রায়ই মজার ছলে তাঁর রোগীদের বলতেনঃ# ডাক্তারবাবুরা যে যে ওষুধ লিখে দেবে তা অবশ্যই কিনবেন, কেননা দোকানদারদেরও তো বাঁচতে হবে।# ওষুধ কিনে বাড়ি ঢুকেই ওইগুলি ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন কারণ আপনাকেও তো বাঁচতে হবে! তাঁর গম্ভীর ভাবে রসিকতা শুনে ডাক্তাখানার উপস্থিত সকলে হেসে অস্থির হতেন।জানা যায় তিনি ঘনিষ্টমহলে বলতেন, রোগ সারাতে হাসি খুব দরকার। হাসি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেক গুন বাড়িয়ে দেয়। মন প্রফুল্ল থাকলে অসুখ বোধ কম থাকে। তাঁর মতে আমাদের অসুখের সত্তর ভাগ শারীরিক বাকিটা মানসিক। বিধাসভায় মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়চিকিৎসক হবার বিশেষ ইচ্ছা ছোটবেলায় বিধান রায়ের ছিল না, তিনি একই সাথে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ফর্মের জন্য আবেদন করেছিলেন। ডাক্তারির ফর্মটা আগে আসায় ওটাতেই আবেদন করেন। কলেজ স্ট্রিট ওয়াইএমসিএ-তে তিনি থাকতেন। প্রবল অর্থাভাবের মধ্যেই তিনি ডাক্তারি পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। রোগীর বাড়িতে বারো ঘণ্টায় আট টাকা পারিশ্রমিকে মেল নার্সের কাজ অবধি করেছেন। মেল নার্স কথাটি আজকাল তেমন শোনা যায় না। অর্থাভাবে কলকাতার রাস্তায় ট্যাক্সিও চালিয়েছেন। কাজের গুরুত্ব বোঝাতে একথা তৎকালীন রাইটার্সের কর্মীদের প্রায়সই তিনি বলতেন। আজকের সমাজিক মাধ্যম সেই সময়ে থাকলে তাঁকে ট্যাক্সি ড্রাইভার মুখ্যমন্ত্রী আখ্যা দিতে খুব বেশী দেরী করত না।বিধান চন্দ্র রায় ও জ্যোতি বসু-র রাজনৈতিক ভাবধারা ও রাজনৈতিক দল সম্পুর্ণ দুই মেরু তে অবস্থিত ছিল। একজন ডান পন্থী আরেকজন কট্টর বামপন্থী। কিন্তু তাদের একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সন্মানবোধ ছিল দেখার মত। এই সম্পর্ক নিয়ে বহু কাহিনী লোক মুখে ছড়িয়ে পড়ে।জগদীশ চন্দ্র বোসের জন্ম শতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর সাথে বিধান রায়জানা যায়, ১৯৫৪-তে বিধান চন্দ্র রায় তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা জ্যোতি বসু। তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষকদের জঙ্গি আন্দোলনে বেসামাল সরকার। বিধানসভায় প্রতিদিন বিরোধীদের ওয়াক আউট। স্তব্ধ বিধানসভার কাজ। বিড়ম্বনায় পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা অবস্থা তথৈবচ। জঙ্গি আন্দোলনের জন্য বিরোধী দলনেতা জ্যোতি বসুর বিরুদ্ধে জারি হল গ্রেফতারি পড়োয়ানা। জ্যোতি বসু তখন বিধানসভায়। বিধানসভার বাইরে পুলিশ তাঁর অপেক্ষায়। বেরোলেই গ্রেফতার করবে জ্যোতি বসুকে। খবরটা বিধান চন্দ্রর কানে যেতেই তিনি তাঁকে আলাদা করে ডেকে বললেন, রাতে বিধানসভায় থেকে যেতে। যাতে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার না করতে পারে। আর তাঁর কোনো অসুবিধা না হয় তার ব্যবস্থাও তিনি করলেন। বিধান রায়ের এহেন আচরণে কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা খুশি হননি। বিধান রায়ের বক্তব্য, আমার বিরোধী দলের হলেও উনি খুব বড়ো রাজনীতিবিদ। ওঁকেও প্রয়োজন। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতীক নেতাদের কাছে সৌজন্যবোধের এই নিদর্শন মানুষ আশা করেনা। শোনা যায়, বিধান রায় পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন যে, কোনও বিক্ষোভ হলেই জ্যোতিকে গ্রেপ্তার করে আগে জেলে ভরে দেবে। জ্যোতি বসু বারবার গ্রেপ্তার হয়ে আর জেলে গিয়ে তিতিবিরক্ত হয়ে একদিন বিধানচন্দ্রকে বললেন, আপনার পুলিশ যে কোনও আন্দোলন হলেই আমাকে ধরে কেন? বিধান রায় এতটুকু বিচলিত না হয়ে সহাস্যে উত্তর দিলেন তুমি তো জানো একটা প্রবাদ আছে When the storm came, tallest tree are the first hit. তা তুমিই তো একমাত্র সেই নেতা, তোমাকে গ্রেপ্তার করবে না তো, কাকে করবে? জ্যোতি বসু চুপচাপ শুনে চলে গেলেন। এইরকমই, জ্যোতি বসুকে আরেকটি বিতর্কে লজ্জিত করে দিয়েছিলেন বিধান রায়। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায় প্রচুর টাকা খরচ করে একটা নতুন অফিস বানান, তাতে আনা হয় সেগুন কাঠের এক রাজকীয় চেয়ার। জ্যোতি বসু বিধানসভায় এর তীব্র প্রতিবাদ করলে মুখ্যমন্ত্রী উঠে দাঁড়িয়ে বলেন তুমি এতে প্রতিবাদ করছ কেন? তুমিই তো এই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে একদিন বসবে। তরুণ বিরোধী দলনেতা সাংঘাতিক লজ্জা পেয়ে বসে পড়লেন।সৌজন্যের এক অনন্য নজীর ১৯৫২-র বিধানসভা ভোটের কিছু আগে নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে একে অপরকে তীব্র আক্রমণ করছেন বিধানচন্দ্র রায় এবং জ্যোতি বসু। একদিন ধর্মতলাতে বিধান রায়ের জনসভা। সেখানে পৌঁছে গাড়ি থেকেই তিনি দেখেন, জ্যোতি হেঁটে যাচ্ছেন। তাঁর সেক্রেটারি দিয়ে জ্যোতিকে ডেকে পাঠিয়ে বিধান রায় জানতে চান, তিনি কোথায় যাচ্ছেন? প্রত্যুত্তরে জ্যোতি বসু বলেন, আপনার সরকার ট্রামের ভাড়া বাড়িয়েছেন। আজ প্রতিবাদ মিছিল আছে, সেখানেই যাচ্ছি। শুনে বিধান রায় বলেন, খালি পেটে বিধান রায় আর কংগ্রেসকে হারানো যাবে না। গাড়িতে এসো, খানকয়েক লুচি আছে, দুজন মিলে উদ্ধার করি। তারপর তুমি গিয়ে বিধান রায়কে গালাগালি কর।রাধাকৃষ্ণান,সরোজিনি নাইডু ও প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর সাথে বিধান রায়১৫৫৩-এ গণনাট্য সংঘের জমিদারিপ্রথা উৎখাত নিয়ে ৫৯ টি নাটক চলাকালীন কংগ্রেস সরকার নিষিদ্ধ করে দেন। যদিও শোনা যায়, এতে বিধান রায়ের সায় ছিলনা। সেই বিবাদ শেষ অবধি বিধানসভা পর্যন্ত গড়ায়। বিধানসভা হলে বিরোধী দলনেতা জ্যোতি বসু বিধান রায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি হিটলারের মত আচরণ করছেন। এর উত্তর দিতে গিয়ে বিধান রায় স্মিত হেসে বলেন হ্যাঁ হিটলার স্তালিনের উত্তর দিচ্ছে। এই উত্তরের প্রত্যুত্তর না দিয়ে জ্যোতি বসু নিজের আসনে বসে পরেন। তবে বিধান রায়ের ব্যক্তিগত সচিব সরোজ চক্রবর্তী লিখেছেন, দুজনের মধ্যে সমঝোতা ছিল যে, ভোটের সময় কেউই একে অন্যের নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে জনসভা করবেন না। ১৯৫২ সালের সাধারণ নির্বাচন ছাড়া আর কখনও কেউ এই চুক্তি ভাঙেননি। ডাঃ রায়ের বাড়িতে জ্যোতি বসু যখন কফি খেতে আসতেন ওঁর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সমস্যাবলী নিয়ে আলোচনা করতেন, তখন দুজনে একেবারে অন্য মানুষ। আমি এই ঘটনা বহুবার দেখেছি।ইদানীং রাজনীতিতে ছোট বড়ো সব নেতাকর্মী ও মন্ত্রীদের মুখে কারণে অকারণে কটুক্তি আর অশ্রাব্য ভাষার বন্যা বইছে। অনেকের অশ্রাব্য ভাষা কানে পাতা দায়। একে অপরের প্রতি ন্যূনতম সৌজন্যবোধ নেই বললে অত্যুক্তি হবেনা। অথচ এটা তো হওয়ার ছিলনা। সল্টলেক উপ-নগরী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিধান চন্দ্র রায় ২৪ জুন ১৯৬২। রাইটার্সে বিধান রায়ের শেষ দিন। সেদিন এক সন্ন্যাসী তাঁর সাথে দেখা করতে এলে তাঁকে বলছিলেন, শরীর তেমন ভালো ঠেকছে না, কাল নাও আসতে পারি। মাথায় তখন অসহ্য যন্ত্রণা। পরের দিন বাড়িতে ডাক্তার শৈলেন সেন ও যোগেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হল। তাঁদের সিদ্ধান্ত হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। ৩০ জুন ডাক্তার রায় তাঁর প্রিয় বন্ধু ললিতমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বললেন, আমি তিরিশ বছর হৃদরোগের চিকিৎসা করে আসছি, আমার কতটা কী হয়েছে আমি তা খুব ভাল করেই বুঝতে পারছি। কোনও ওষুধই আমাকে ভাল করতে পারবে না।১ লা জুলাই তাঁর জন্মদিন। সেদিনই তাঁর তিরোধান দিবস। ওই দিন তাঁর আত্মীয়স্বজনরা এলেন। পরিচারক কৃত্তিবাসের হাত থেকে এক গ্লাস মুসুম্বির রস খেলেন। বন্ধু সার্জেন ললিতমোহনকে দেখে খুশি হয়ে বললেন, ললিত আমার গুরুও বটে, ওর কাছ থেকে কত কিছু শিখেছি।তার পর এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে বললেন, আমি দীর্ঘ জীবন বেঁচেছি। জীবনের সব কাজ আমি শেষ করেছি। আমার আর কিছু করার নেই। এর পর বললেন, আমার পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। তাঁর পরেই নাকে নল, ইঞ্জেকশন এবং ১১টা ৫৫ মিনিটে নাগাদ শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দুঃসংবাদ পেয়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের স্ত্রী বাসন্তীদেবী বলেছিলেন, বিধান পুণ্যাত্মা, তাই জন্মদিনেই চলে গেল। ভগবান বুদ্ধও তাঁর জন্মদিনে সমাধি লাভ করেছিলেন। দেহাবসানের কয়েক বছর আগে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লির উদ্বোধন করতে এসে বিধানচন্দ্র বলেছিলেন, ওহে আমাকে এই ইলেকট্রিক চুল্লিতে পোড়াবে। ২ জুলাই ১৯৬২ তাঁর সেই ইচ্ছা পূর্ণ করা হয়েছিল।আর যাঁরা তাঁর নিন্দায় সদা মুখর ছিলেন তাঁদের সম্বন্ধে জীবনসায়াহ্নে বলেছিলেন, আমি যখন মরব তখন ওই লোকগুলোই বলবে, লোকটা ভাল ছিল গো, আরও কিছু দিন বাঁচলে পারত।বিধান রায়ের মৃত্যুর পর ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে লেখা হয় first medical consultant in the subcontinent of India, who towered over his contemporaries in several fields? at his professional zenith he may have had the largest consulting practice in the world, news of his visit to a city or even railway station bringing forth hordes of would-be patients.জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

জুলাই ০১, ২০২১
দেশ

Twitter Distorted map: টুইটার ইন্ডিয়ার প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর

ফের ভারত সরকারের সঙ্গে সংঘাতে টুইটার (Twitter)। আর এর ফলে বিপাকে পড়লেন এদেন টুইটারের প্রধান কর্তা মণীশ মাহেশ্বরী। আরও একবার ভারতের (India) বিকৃত মানচিত্র প্রকাশ করায় তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআরও।নিজেদের ওয়েবসাইটে ভারতের ভুল মানচিত্র প্রকাশ করায় টুইটারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বুলন্দশহরের এক বজরং দল নেতা। জানা গিয়েছে, টুইটার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মণীশ মাহেশ্বরীর নামে থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধি ৫০৫ (২) এবং আইটি অ্যাক্ট ৭৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের তরফ থেকেও একই কারণে টুইটারকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুনঃ অতীত টেনে রাজ্যপালকে পালটা দুর্নীতিগ্রস্ত বললেন মমতা প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে ভারতের বিকৃত মানচিত্র প্রকাশ করে টুইটার। ওই মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক দেশ হিসাবে দেখানো হয়। টুইটারের টুইপ লাইফ বিভাগে থাকা ভারতের মানচিত্রই বিকৃত করে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ জানান জনৈক নেটিজেন। তারপরই এই নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই গোটা ঘটনায় টুইটারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। জানা যায় মাইক্রো ব্লগ সাইটের বিরুদ্ধে একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করার প্রস্তুতিও শুরু হয় রাজধানীতে। এই তালিকায় ছিল আর্থিক জরিমানা, আধিকারিকদের জন্য সাত বছরের জেল প্রভৃতি। এমনকী, আইটি আইনের ৬৯এ ধারায় টুইটারকে ব্লক করাও হতে পারে বলে জানা যায়। এমনিতেই নয়া ডিজিটাল আইন নিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসা চলছে কেন্দ্রের। তার উপর এই নয়া মানচিত্র বিতর্কের জেরে সেই বচসা যে আরও বাড়ছেই, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে তাতে যতি টেনে তড়িঘড়ি ভুল শুধরে নেয় টুইটার। তাতেও অবশ্য ঝামেলা শেষ হচ্ছে না। যার প্রমাণ টুইটার ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর মনীশ মাহেশ্বরীর নামে থানায় অভিযোগ দায়েরের ঘটনা। যদিও এর আগেও একবার মানচিত্র বিতর্কে জড়িয়েছিল টুইটার। ওই সময় তাদের প্রদর্শিত ভারতের মানচিত্রে লে-কে জম্মু-কাশ্মীরের অংশ এবং লাদাখকে চিনের অংশ হিসেবে দেখানো হয়।

জুন ২৯, ২০২১
রাজ্য

Bar Council: রাজেশ বিন্দলের অপসারণের চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি রাজ্য বার কাউন্সিলের

কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta HC) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির অপসারণ চেয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য বার কাউন্সিলের। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি (CJI) এনভি রামানাকে চিঠি লিখলেন বার কাউন্সিলের সদস্যরা। তাঁদের আবেদন, একাধিক মামলার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত রাজ্য সরকারের মামলাগুলির ক্ষেত্রে তা বেশি দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বদলের আবেদন রাজ্য বার কাউন্সিলের।আরও পড়ুনঃ জম্মু বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণ, উপত্যকায় আতঙ্কসূত্রের খবর, এদিন চিঠিতে একের পর এক পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন বার কাউন্সিলের সদস্যরা (Bar Council Of West Bengal)। তাতে একের পর এক নারদ (Narada case), নন্দীগ্রামের (Nandigram case) মতো রাজ্য সরকারের মামলাগুলিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ভূমিকা খুব একটা সন্তোষজনক নয়। এর সপক্ষেও তাঁরা যুক্তি সাজিয়েছেন। চিঠি পাঠনো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার কাছে। প্রসঙ্গত, নারদ মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টেও। গত সপ্তাহে তার শুনানিতে হাইকোর্টকে ভর্ৎসনা করে নতুন করে নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত। সেসব প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে বার কাউন্সিলের চিঠিতে।সূত্রের খবর, মূলত নারদ মামলায় প্রধান বিচারপতির ভূমিকাতেই অসন্তোষ এবং সংশয় প্রকাশ করেছে রাজ্যের বার কাউন্সিল। বিশেষত যেভাবে ধৃত চার হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীর জামিন সিবিআই আদালত মঞ্জুর করার পর হাইকোর্ট তার বিরোধিতা করে, মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর দায়ের করা হলফনামা গ্রহণ অরাজি হন, তাতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিরপেক্ষ, তা বলা যায় না। এমনই মনে করছেন রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্যরা। আর তাই তাঁর অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে রবিবার।

জুন ২৭, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যে কবে পুরভোট? কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে ১১২টি পুরসভার নির্বাচন বাকি রয়েছে। এরমধ্যে ৬টি কর্পোরেশনও আছে। পুরপ্রশাসক নিয়োগ করে পুরসভাগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। কবে পুরভোট হতে পারে বৃহস্পতিবার নবান্নে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।২০১৮-তেই বেশ কয়েকটি পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের পরিচালনের মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। তারপর ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১২টিতে। তার মধ্যা কলকাতা, হাওড়া, বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের নির্বাচন বাকি রয়েছে। এবার রাজ্য অপেক্ষা করছে বিধানসভার ৭টি আসনে কবে উপনির্বাচন হবে। এর মধ্যে যে কোনও একটি আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়ী হতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আরও পড়ুনঃ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডরাজ্যে পুরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইলেকশন কমিশন আগে উপনির্বাচনের কথা বলুক, আমাদের সময়মতো পুর নির্বাচন করব। আমরা অপক্ষো করছি। আমরা তৈরি। আমাদের নির্বাচন করতে কোনও ভয় নেই। আমাদের দেখতে হবে ৭ টি আসনে কবে উপনির্বাচন হয়। বাদ বাকিগুলো করে নেব।আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিতলোকসভা ভোটের পর থেকেই রাজ্যে পুরসভাগুলোর মেয়াদ শেষ হতে থাকে। নানা কারণে নির্বাচন পিছোতে থাকে। শেষমেশ কোভিড পরিস্থিতি এসে পড়ে এরাজ্যেও। এরইমধ্যে ৮ দফায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবার দেখার বিষয় কবে উপনির্বাচন ঘোষণা করে। রাজ্য চাইছে যত দ্রুত সম্ভব উপনির্বাচন যেন হয়। সেক্ষেত্রে তারপরই পুরনির্বাচনও সম্পন্ন করে ফেলতে চায় রাজ্য।

জুন ২৪, ২০২১
দেশ

NCP-Opposition: শরদ পাওয়ারের বাড়িতে বিরোধীদের 'অরাজনৈতিক' বৈঠক

জল্পনা ছিল, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাসভবনে বিরোধী শিবিরের বৈঠক তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের লক্ষ্যে। কিন্তু সেই বৈঠক শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সমাজবাদী পার্টির (সপা) ঘনশ্যাম তিওয়ারি জানান, এই বৈঠক একেবারেই রাজনৈতিক নয়। দেশজুড়ে যে অবস্থা চলছে তা নিয়ে আলোচনায় বসেছিল তাঁদের রাষ্ট্রমঞ্চ।সকাল থেকেই শরদ পাওয়ারের বাড়ির এই বৈঠকে নজর ছিল দেশের। ২০২৪-এ দিল্লি দখলের লক্ষ্যে জোটবদ্ধ ভাবে বিজেপি বিরোধীরা এককাট্টা হতেই এই বৈঠক বলেই মনে করা হয়েছিল। এদিনের বৈঠক থেকে জাতীয় রাজনীতির নতুন কোনও মোড়ের হদিশও মিলতে পারে বলে মনে করছিল রাজনৈতিক মহল।এদিন বৈঠক শেষে এনসিপি নেতা মজিদ মেনন বলেন, এখানে দলীয় রাজনীতি নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। দেশের উন্নতিতে কী কী করণীয় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠক শরদ পাওয়ার ডাকেননি, ডেকেছিলেন যশবন্ত সিনহা। জাভেদ আখতার সাহেব এবং প্রাক্তন বিচারপতি এপি শাহ তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ শুনানি থেকে সরলেন সুপ্রিম কোর্টের বাঙালি বিচারপতিমূলত আটটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের এদিনের বৈঠকে থাকার কথা ছিল। তৃণমূল কংগ্রেস, এনসিপি, রাষ্ট্রীয় লোকদল, সিপিআই, সিপিএম, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি ও ন্যাশনাল কংগ্রেস। যদিও বৈঠকে কংগ্রেসের কাউকে দেখা যায়নি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে মজিদ মেননের দাবি, কংগ্রেসের পাঁচ সাংসদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। দিল্লিতে না থাকায় তাঁরা থাকতে পারেননি। এটা কংগ্রেসকে বয়কট করে বৈঠক, এমন নয়।বৈঠক থেকে সিপিএম নেতা নীলোৎপল বসু বলেন, এই বৈঠককে রাজনীতির মঞ্চ বলে ভাবলে হবে না। সাধারণ মানুষের সমস্যা, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি সবকিছু নিয়েই কথা হয়েছে। সম চিন্তার কিছু মানুষের সাক্ষাৎ বলেই এই বৈঠককে দেখছেন তিনি।

জুন ২২, ২০২১
কলকাতা

রাজ্যের নতুন মুখ্য সচিবকে তলব করলেন রাজ্যপাল

রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা এবং ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে টুইটারে ফের শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় । সেই সঙ্গে আগামিকাল, সোমবার মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজভবনে।বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় প্রাণ গিয়েছিল অন্তত ১৬ জনের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তৃণমূল-বিজেপি দুই রাজনৈতিক দলের কর্মীরই মৃত্যু হয়েছিল। যদিও সে সময় দায়িত্বে কমিশন ছিল বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন তুলে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। রাজ্যে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ভোটের পর থেকে বিরোধীরা যে অত্যন্ত ভয়ের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন, সে কথাও টুইটে উল্লেখ করেন ধনখড়। তিনি লেখেন, রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। এহেন অবস্থায় তাই মুখ্য সচিবকে সোমবার রাজভবনে ডাকা হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসা ঠেকাতে রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে? আইন শৃঙ্খলা নিয়ে তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হবে।Extremely alarming law order scenario @MamataOfficial. Security environment is seriously compromised.In such a grim situation called upon Chief Secretary to brief me on the law and order situation on Monday 7th June and indicate all steps taken to contain post poll violence. pic.twitter.com/REf0JDTpcQ Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 6, 2021তিনি আরও লেখেন, বিরোধীদের ভোট দেওয়ার সাহস দেখানোর শাস্তি পাচ্ছেন অনেকে। বিরোধীদের সামাজিক বয়কট করা হচ্ছে। এখনও পুরোদমে ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে। যা মানবতার লজ্জা। অথচ প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। পুলিশও নীরব দর্শকে পরিণত হয়েছে। জগদীপ ধনখড়ের মন্তব্যের পরই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলে দেন, বিজেপির দালালের মতো কথাবার্তা বলছেন রাজ্যপাল। যা তাঁর একেবারেই শোভা পায় না। নির্বাচনের আগে বারবার পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। রাজ্যপাল হিসেবে তা করা যায় না। কুণাল ঘোষের পালটা দিয়ে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, রাজ্যপাল বর্তমানে বাংলার আসল পরিস্থিতিটা তুলে ধরছেন। আর সেটাই সহ্য হচ্ছে না শাসকদলের।

জুন ০৬, ২০২১
দেশ

করোনায় প্রয়াত প্রাক্তন এনএসজি প্রধান

২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হামলার সময় দেশকে রক্ষা করতে সামনে থেকে লড়াই করেছিলেন তিনি। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)-এর প্রাক্তন প্রধান, সেনা অফিসার জেকে দত্ত হৃদরোগে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর করোনা সংক্রান্ত জটিলতাও ছিল বলে পরিবার সূত্রে খবর। তিনি এনএসজি-র শীর্ষ পদে ছিলেন ২০০৬-০৯ সাল পর্যন্ত। এ ছাড়াও তিনি সিবিআই-এর যুগ্ম অধিকর্তার ভার সামলেছেন।বুধবার দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। মুম্বইয়ে হামলার সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। উদ্ধার কাজেও দিনরাত পরিশ্রম করেন। তাঁর সহকর্মী বেঙ্গল ক্যাডারের অপর এক অফিসার জুলফিকার হাসান, এডেজি (সিআরপিএফ) জানিয়েছেন, জেকে দত্ত এমন একজন সেনা আধিকারিক ছিলেন, যিনি সর্বদা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতেন। ১৯৭১ সালের আইপিএস জেকে দত্ত ছিলেন বেঙ্গল ব্যাচের ক্যাডেট। সিবিআই-এর বিভিন্ন পদে থাকা ছাড়াও তিনি ছিলেন সিআইএসএফ-এর বিভিন্ন পদেও। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তের দায়িত্বভার সামলেছেন তিনি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর করেছিলেন তিনি। পুলিশ মেডেল গ্যালান্ট্রি পুরষ্কার, রাষ্ট্রপতির পুলিশ মেডেল পেয়েছিলেন।

মে ২০, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

অজানা ফোন কল থেকে সাবধান! ১ কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার পান্ডা

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নামে পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের নাম করে প্রতারণা। গ্রেপ্তার এক। গ্রেপ্তার করলে বিধানগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চৌধুরী একটি ফোন কল আসে। সেখানে তাকে বলা হয় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আপনি ঘর বন্ধ থাকবেন। কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। এবং ধাপে ধাপে চারদিন ধরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে নির্মল বিজয় নামে রাজস্থানের বাসিন্দার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতকাল নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

কসবা কাণ্ডে মদন মিত্র ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা, তৃণমূলের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল বলছে, দল দুই নেতার মন্তব্য সমর্থন করে না। কার্যত এই দুই নেতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করছে। বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অপরাধীদের সমর্থন করতে চাইছে এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে হবে না। আইন বা পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। স্টুডেন্টরা যদি তাঁদের সহপাঠিনীকে রেপ করা তা প্যাথিটিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি পুলিশ থাকবে? মূল অভিযুক্ত যে প্রাক্তনী তা এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যান। এদিকে এই দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।তৃণমূল বলছে আমাদের অবস্থান স্পষ্টমহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
নিবন্ধ

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে রসুনের উপকারিতা জানুন

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সাধারণত বেড়ে যায় এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক এক চক্র। কয়েকটি কারণে বর্ষাকালে সাপের আনাগোনা বাড়ে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বন্যা ও জল জমা, সাপ সাধারণত মাটির গর্তে বাস করে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে যাওয়ায় তারা শুকনো জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় খোঁজা, বৃষ্টিতে সাপ আশ্রয় নিতে খোঁজে শুকনো ও উষ্ণ জায়গাযেমন: বাড়ির বারান্দা, রান্নাঘর, গ্যারেজ, বা স্টোররুম। এছাড়াও সাপ খাবারের খোঁজে বসতিতে ঢুকে পরে। ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব বর্ষাকালে উঁচু ডাঙ্গা জমি, বসত বাড়িতে উঠে আসে, তাদের অনুসরন করে সাপ মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকা বনাঞ্চল বা জলাভূমির পাশে, সেখানে বর্ষায় সাপ চলাচল বেশি হয়।সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদে দূরে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক স্প্রে করেন কেউ কেউ। কিন্তু আমাদের বাড়িতেই এক ভেষজ সবসমই থাকে সেই রসুন ব্যাবহার করে সাপ থেকে দূরে থাকা যায় বলে অনেকের-ই ধারণা। সাপের আসা-যাওয়ার পথে রসুন দেওয়ার পেছনে একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস রয়েছে। এটি মূলত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:কেন রসুন দেওয়া হয়?তীব্র গন্ধ: রসুনের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র এবং এটি অনেক প্রাণীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর। কিছু মানুষের ধারণা যে সাপ তাদের সংবেদনশীল জিহ্বা (জ্যাকবসন অঙ্গ) দিয়ে পরিবেশের গন্ধ বোঝে, আর রসুনের তীব্র গন্ধ তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।রসুনে অ্যালিসিনের মতো সালফার সমৃদ্ধ যৌগ থাকে, যা তীব্র গন্ধ তৈরি করে। এই গন্ধ সাপের সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলিকে (বিশেষ করে জ্যাকবসন অঙ্গ, যা তারা তাদের জিহ্বার মাধ্যমে পরিবেশকে ঘ্রাণ নিতে ব্যবহার করে) জ্বালাতন করতে পারে বা অভিভূত করতে পারে।লোকবিশ্বাস ও অভ্যাসঃ গ্রামাঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রসুন, পেঁয়াজ, নিমম বা কর্পূর ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ দূরে রাখার চেষ্টা চলে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই, তবুও অনেকেই এটাকে কার্যকর মনে করেন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে রসুন ব্যবহার একটি বিকল্প পদ্ধতি।বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এখনও সরাসরি প্রমাণ নেই যে রসুন সাপকে নিশ্চিতভাবে তাড়াতে পারে। তবে কিছু গবেষণা বলেছে, সাপ সাধারণত তীব্র গন্ধ বা ঝাঁঝালো রাসায়নিক এড়িয়ে চলে, তাই কিছু ক্ষেত্রে রসুন কার্যকর হতে পারে।রসুন ব্যবহার পদ্ধতিঃ১। রসুন থেঁতো করে সাপের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন।২। রসুন ও লবণের মিশ্রণ একটি কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।৩। রসুন তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ব্যবহার করেন অনেকে (সতর্কতার সঙ্গে)।তবে মনে রাখবেনঃ১। সাপ তাড়ানোর জন্য রেসকিউ টিম বা স্থানীয় বন দপ্তরে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়।২। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার, ঘাসছাঁটা রাখা, ইঁদুর-মুরগির আনাগোনা কমানোএসব বেশি কার্যকর।সাপ তাড়ানোর জন্য কিছু নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো, যা আপনি রসুনের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন:পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়)১। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড়, লম্বা ঘাস, ময়লা, কাঠের গুঁড়ি বা ইটের স্তূপ থাকলে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।২। পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।৩। ইঁদুর বা ছোট প্রাণী থাকলে সাপ আসতে পারে, এদের নিয়ন্ত্রণ করুন।প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো করে মিশিয়ে সাপের চলাচলের পথে ছড়িয়ে দিন। আপনি চাইলে সেগুলোর রস করেও স্প্রে করতে পারেন।২. লবণ ও চুনঃ চুন ও লবণ (নুন) মিশিয়ে দেয়ালে বা জানালার আশপাশে ছিটিয়ে রাখুন৩. নিমের পাতা ও তেলঃ নিমের তেল সাপদের প্রচণ্ড অপছন্দের জিনিস। এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাপের আসা যাওয়ার পথে স্প্রে করতে পারেন।৪. সাদা ভিনিগারঃ ভিনিগার ও লবণ মিশিয়ে সাপের চলার পথে স্প্রে করুন। মাটির গন্ধ নষ্ট হওয়ায় সাপ এড়িয়ে চলে।কম্পন ও শব্দ ব্যবহারঃসাপ শব্দ-সংবেদনশীল (কম্পনে সাড়া দেয়)। মাটি কাঁপায় এমন যন্ত্র (যেমন: হাতুড়ি দিয়ে ঠোকাঠুকি), বা ব্যাটারিচালিত কম্পন-ডিভাইস সাপ দূরে রাখতে পারে।পোষা প্রাণীঃ কুকুর (দেশী বা বিদেশি) সাপের উপস্থিতি টের পেলে ঘন ঘন ডাকতে থাকে। গ্রামের অনেক বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার ফলে সাপ আসার সম্ভাবনা কমে যায়।যা করবেন নাঃসাপ দেখলে নিজে রিস্ক নিয়ে তাড়াতে যাবেন না।, পেট্রোল, অ্যাসিড বা আগুন ব্যবহার করবেন না। সাপটিকে না মেড়ে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপতভাবে বিষাক্ত মনে হলেও সাপ সামাজের ভারসাম্য রাখতে বিরাট ভুমিকা নেয়। সাপ দেখলে বা সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় বন দফতর বা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলের (snake rescuer) সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার বনদপ্তরে ফোন করে সাহায্য নিন। এছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যাঁরা বসতি থেকে সাপ গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে অরণ্যে পৌছাতে সাহায্য করেন। যেমন, বর্ধমান জেলায় তথাগত পাল আছেন, যিনি তাঁর দৈনন্দিন পেশার কঠিন চাপের ফাঁকেও এই ধরনের নোবেল জব করতে ভালবাসেন।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

এলাকায় মদের দোকান তৈরির প্রতিবাদে গাইঘাটার ইছাপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ইছাপুরে গোল্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানের উদ্বোধন হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দাবি মানুষকে বোকা বানাতে রেস্টুরেন্ট বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে হবে মদের দোকান, একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে এমই দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এবং ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিছিল করে এসে দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, দোকান মালিক পাশের জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্ট কাম বারের লাইসেন্স বানিয়েছে।এলাকায় মদের দোকান হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, নারী নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে ধ্বংস হবে যুবসমাজ। ফলে তারা কোনভাবেই মদের দোকান হতে দেবেন না। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভে শামিল হন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর । কোনভাবেই এখানে মদের দোকান হতে দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে মালিক পক্ষের দাবি, তাদের যেকোনো লাইসেন্স থাকতে পারে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্টই তৈরি হবে।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী ও মডেল 'কাঁটা লাগা গার্ল'-এর অকাল মৃত্যু, শোকের ছায়া শিল্পী মহলে

মাত্র ৪২ বছরে মৃত্য়ু হল মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী মডেলের। শেফালি জারিওয়ালা শুক্রবার মুম্বাইয়ে মারা গেছেন। জানা গিয়েছে, তার স্বামী পরাগ ত্যাগী এবং আরও তিনজন তাকে বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।মুম্বাই পুলিশের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আন্ধেরি এলাকায় নিজের বাসভবনে মেডেলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ রাত ১টায় এই খবর পেয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।শেফালি জারিওয়ালা ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকের হিট কাঁটা লাগা গানের মিউজিক ভিডিওতে তার অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান। এমনকি এই গানটি তাকে কাঁটা লাগা গার্ল উপাধিও এনে দেয়। এরপর তিনি সলমান খানের মুঝসে শাদি কারোগিতে অভিনয় করেন। পরে, তিনি সলমানের সঞ্চালনায় রিয়েলিটি শো, বিগ বস ১৩-তেও অংশ নেন। ২০০৪ সালে, শেফালি মিট ব্রাদার্স খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হরমিত সিংয়ের সাথে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০০৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৫ সালে, তিনি অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সেলিব্রিটিরা শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। আমি গভীরভাবে মর্মাহত, শোকাহত। আমাদের প্রিয় তারকা এবং আমার প্রিয় বন্ধু @শেফালিজারিওয়ালা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার অনুগ্রহ, হাসি এবং চেতনার জন্য তোমাকে সর্বদা স্মরণ করব। ওম শান্তি,। গায়ক মিকা সিং X-তে তার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। রাজীব আদাতিয়া, কাম্যা পাঞ্জাবি, আলি গনি সহ আরও সেলিব্রিটিরা অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠি লিখেছেন, এটা অবিশ্বাস্য। আমরা পরিবারের জন্য মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমার বন্ধু শেফালি জারিওয়ালা আর নেই শুনে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম। শেষবার আমি তার সঙ্গে একটি পার্টিতে দেখা করেছিলাম। জীবন এত ছোট। সে আমার সাথে #BiggBoss13 তে ছিল।

জুন ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal