• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Rally

রাজনীতি

কেউ আমার মতো কাজ করে দেখাক, পদত্যাগ করবঃ মমতা

রাজ্যের সাড়ে ৯ কোটি মানুষ সরকারের কোনও না কোনও প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। ১০ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাবেন। জীবন থেকে মৃত্যু প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে সরকার। তাঁরপরেও কুৎসা ছড়াচ্ছে বিজেপি। কেউ আমার মতো কাজ করে দেখাক, পদত্যাগ করব। বনগাঁর জনসভা থেকে কিছুটা অভিমানী সুরে এমন কথাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সভা চলাকালীন কয়েকজন মহিলা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে নিজেদের দাবি জানাতে থাকেন। এই ঘটনায় কিছুটা ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। পরে তিনি কিছুটা সামলে নিয়ে বলেন, এরকম ভাবে আমার দলীয় পাবলিক মিটিংয়ে দাবি জানাবেন না। কিছু বলার থাকলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যান। আমাদের চিঠি দিন। সবটা করা সম্ভব নয়, যতটা পারি করে দেব। অন্যায় দাবি করবেন না। সরকারেরও কিছু লিমিটেশন আছে, নিয়ম মেনে চলতে হয়। এরকম ঘটনায় কিছুটা দুঃখই পেলাম। আরও পড়ুন ঃ দিলীপ ঘোষ একটা ফোর টোয়েন্টি, দালালঃ অনুব্রত এদিনের সভা থেকে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বলেন, মোদিবাবু গায়ের জোরে তিনটি কৃষি আইন করেছেন। কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে আলুর দাম ৬০টাকা কেজি, পেঁয়াজের দাম ১৮০ টাকা কেজি হয়ে যাবে। ডাল, আলুভাতও খাওয়া যাবে না। কিছু করার থাকবে না। কৃষকদের জিনিস কেড়ে বিজেপি চাইছে কর্পোরেটদের দিয়ে দিতে। মজুতদার, মুনাফাখোড়েদের সুবিধা করে দিতে। কৃষকরা ফসলের কত দাম পাবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই। কৃষকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে ফের তৃণমূল সরকার আসবে এবং বিনামূল্যেই রেশন দেওয়া হবে সবাইকে বলেও এদিন জানিয়েছেন মমতা। মমতা এদিন বলেন, আমফানের পর হেলিকপ্টারে চড়ে নাটক করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কোনও টাকা দেয়নি। আমাদের টাকাই এক হাজার কোটি অ্যাডভান্স দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। আমাদের টাকাই আমাদের দিয়েছে।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
রাজ্য

মতুয়ারা সকলেই নাগরিক, ঘোষণা মমতার

ক্যা ক্যা বলে প্রতারণা করা হচ্ছে। এদের একবার সুযোগ দিলেই ঠাকুমার বাবা, ঠাকুরদাদার জন্ম তারিখ চাইবে। দিতে পারবেন? রাজ্য সরকার আপনাদের নাগরিক বলে দিয়েছে। বনগাঁর গোপালনগরের সভা থেকে কেন্দ্রকে পালটা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার উদ্বাস্তু কলোনিগুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দাঁড়িয়ে বলছি মতুয়ারা সকলে নাগরিক। রাজ্যে যারা থাকেন, তাঁরা সবাই এরাজ্যের বাসিন্দা। আপনাদের কোনও প্রমাণপত্রের প্রয়োজন নেই। এনআরসি, এনপিআর করতে দেব না। মতুয়াদের উন্নয়নের স্বার্থেও রাজ্য সরকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, এর আগেই ১০ কোটি টাকা মতুয়াদের উন্নয়নের স্বার্থে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা কমিটি তৈরি করলেই কাজ শুরু হবে। মমতা বলেন, ৩০ বছর ধরে বড়মার চিকিৎসা করিয়েছেন। মতুয়া মন পেতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেচ্ছেন হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুরের জীবনী স্কুল পাঠ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে। গুরুচাঁদ-হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে ছুটি ঘোষণা করবে রাজ্য সরকার। এদিনের সভা থেকে একথাও তিনি ঘোষণা করেন। মমতা এদিন বলেন, রাজ্যে কে থাকবে তা রাজ্য ঠিক করবে। এটা রাজ্যের বিষয়। বিজেপি বাংলা থেকে বাঙ্গালীদের তাড়িয়ে গুজরাত বানাতে চাইছে। কিন্তু বহিরাগত গুন্ডা নয় বাংলায় বাংলার বাসিন্দারাই থাকবেন। বাইরে থেকে আরএসএসের গুণ্ডাদের নিয়ে আসছে বিজেপি। নজর রাখতে হবে। সিপিএম এর হার্মাদ, বিজেপির ওস্তাদ। আরও পড়ুন ঃ কৈলাস-দিলীপের নামে এফআইআর শিলিগুড়ি পুলিশের দলনেত্রী আরও বলেন, আমরা কথা দিলে কথা রাখি। আমরা বিজেপি পার্টি নয় যে ভোটের সময় কথা দিয়ে পালিয়ে যাব। বাইরে থেকে আরএসএস নিয়ে এসেছে। তারা মতুয়াদের ধর্ম সম্পর্কে শেখাচ্ছে। হিন্দু ধর্ম কী তা স্বামী বিবেকানন্দের থেকে শিখব। তোমরা কোন হরিদাস? পাড়ায় পাড়ায় বহিরাগত দেখলে এফআইআর করবেন। না নিলে আমাদের কার্যালয়ে জানাবেন।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
রাজনীতি

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার অফার আছে আমার কাছেওঃ উদয়ন

এবার দলের কয়েকজন নেতা- কর্মীর ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। রবিবার দিনহাটায় দলের এক সভায় তিনি দাবি করেন, পদ্মশিবির যোগের অফার রয়েছে তাঁর কাছেও। তিনি বলেন, আমি তৃণমূলের আদর্শ দেখে দলে আসিনি। আমি এসেছি একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিন বিজেপিতে গেলে আমিও যাব, নাহলে নয়। এদিনের সভায় দলবদল প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের নিশানা করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ অম্বেডকর নয়, রাজ্যজুড়ে চলছে ভাইপোর সংবিধানঃ কৈলাস বলেন, তৃণমূলের লোকেরাই দলের ক্ষতি করছেন। তাঁদের একাংশের উপর ক্ষোভ থেকেই দলত্যাগের ঘটনা ঘটছে। যদিও এই দলবদল কোচবিহার তৃণমূলে অন্তত প্রভাব ফেলতে পারবে না বলেই দাবি বিধায়কের। তাঁর কথায়, দল ছেড়ে যে-ই যাক না কেন, যেখানেই যাক না কেন, কোচবিহারে তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। তাঁর কথায়, দলত্যাগে নয়, দলে থেকেই দলের ক্ষতি করার সুযোগ বেশি! এদিনের সভায় কারা অনুপস্থিত তাঁদের চিহ্নিত করার কথাও বলেন তিনি। সরাসরি স্থানীয় তৃণমূল নেতত্বকে আক্রমণ করে বলেন, গত ১০দিন কলকাতায় ছিলাম, এখানে তৃণমূল কর্মীরা রটিয়েছে উদয়ন গুহ বিজেপিতে যেতে পারে। এমনও হতে পারে, উদয়ন গুহ টিকিট পাবে না, তাঁকে কোচবিহার দক্ষিণে দিতে পারে, তাই ধরাধরি করতে গিয়েছে, টাকাপয়সা দিতে গিয়েছে, যাতে দিনহাটায় পেতে পারে।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
রাজ্য

আমি বাংলার ছেলে, মানুষের কাজ করবঃ শুভেন্দু

নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে মুখ খুললেন না বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতি্বার শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিন উপলক্ষে এক পদযাত্রায় অংশ নেন তিনি। ১৩১ তম জন্মদিনে বৃহস্পতিবার তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন বিধায়ক শুভেন্দু অদিকারী। সেখান থেকে হেঁটে যান শহিদের স্মৃতি বিজড়িত হ্যামিলটন স্কুলে। পদযাত্রা সেরে হ্যামিলটন হাইস্কুলে একটি সভা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ক্ষুদিরাম বসু উদযাপন কমিটির আয়োজনে প্রত্যেক বছরই এই অনুষ্ঠানে আসি, এবারও এসেছি। হাতে জাতীয় পতাকা, পিছনে অনুগামীদের বুকে শহিদ ক্ষুদিরামের ছবি, গলায় বন্দেমাতরম স্লোগান। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় কোনও রাজনৈতিক কথা বলেননি ্তিনি। আরও পড়ুন ঃ আর নয় অন্যায় কর্মসূচির ঘোষণা বিজেপির শুভেন্দু বলেন, হ্যামিলটন স্কুলের বক্তব্যে ক্ষুদিরাম বসু ও মাতঙ্গিনী হাজরাকে স্মরণ করেন তিনি। ১৯০১-১৯০৪, এই ৪ বছর ক্ষুদিরাম বসু এই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। সাংসদ থাকাকালীন দেখেছি, স্কুলে ক্ষুদিরামের হাতের লেখা ইত্যাদি সংরক্ষণ করেছেন। তার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। এরপরেই ক্ষুদিরাম বসুকে নিয়ে লেখা দুটি বইপ্রকাশ করে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা বেরিয়ে যান শুভেন্দু। অনুষ্ঠান শেষ হতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিধায়ক। প্রশ্ন করা হয়, তাঁর বর্তমান অবস্থান নিয়ে। তিনি সাফ বলেন, আমি বাংলার সন্তান, ভারতের সন্তান। বাংলার সন্তান হিসেবেই মানুষের পাশে, মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করবেন।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
রাজ্য

সেবক হিসেবে বরাবর আপনাদের সঙ্গে থাকবঃ শুভেন্দু

আপনাদের সেবক শুভেন্দু বরাবর আপনাদের সঙ্গে ছিল, থাকবে। নন্দীগ্রামে রাস উৎসবের সূচনা করে এই মন্তব্য করেন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর সোমবার প্রথম তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে যান শুভেন্দু। সেখানে তিনি প্রথমে পুজোপাঠ করেন। এদিনের অরাজনৈ্তিক সভায় তিনি বলেন, আমি নন্দীগ্রামে সব অনুষ্ঠানে আসি। বড়দিন থেকে ইদ, সবসময় আমি আসি। দীপাবলিতেও এসেছি। তাঁর অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে তুলে ধরেন রাস উৎসবের মাহাত্ম্যের কথা। এর পাশাপাশি প্রত্যেকের করোনামুক্ত জীবনেরও কামনা করেছেন। এদিন তিনি বক্তব্য শেষে হরেকৃষ্ণ ধ্বনি দেন। রবিবার মহিষাদলের মতোই এদিনও তার মুখে কোনও রাজনৈতিক কথা শোনা যায়নি। আরও পড়ুন ঃ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু সম্পর্কে যা বলছেন, তা ঠিক নাঃ শিশির এদিন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃ্ত্বে রেয়াপাড়া থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত হলুদ পতাকা নিয়ে বাইক মিছিল হয়। শয়ে শয়ে বাইক এদিনের মিছিলে অংশ নেন। তৃণমূলের বহু কর্মী এদিনের এই মিছিলে অংশ নেন। নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লক তৃণমূলের ব্লক সভাপতিও এদিনের এই মিছিলে অংশ নেন। সেই পতাকায় ওঁ চিহ্ন ছিল। এই চিহ্নকে কেন্দ্র করে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈ্তিক জল্পনা। দলীয় কর্মীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

নভেম্বর ৩০, ২০২০
রাজ্য

কেন্দ্রের টাকা দিদির ভাইয়েরা লুটেপুটে নিচ্ছেঃ দিলীপ

বাঁকুড়ার জনসভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির উদ্দেশে হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, ক্ষমতা থাকলে আমায় গ্রেফতার করে দেখাক। জেল থেকে ওদের বিরুদ্ধে লড়ব। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের তিন ঘণ্টার মধ্যে এদিন মুর্শিদাবাদের কান্দির জনসভা থেকে তার পাল্টা দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, চুরি না করে থাকলে জেলে যাওয়ার ভয় কিসের? আমি দুর্নীতি করিনি তাই জেলে যাওয়ার ভয় নেই। কেন্দ্রের টাকা দিদির ভাইয়েরা লুটেপুটে নিচ্ছে। চালের টাকা, ত্রিপলের টাকা চুরি করছে। যারা চালের টাকা চুরি করেছে তারা জেলে যাবে। চুরি করার সময় মনে ছিল না। দিদি গেলে দিদির ভাইয়েরাও জেলা যাবেন। দিলীপবাবু আরও বলেন, ওরা তো গান্ধীজিকে মানেন, উনিও কী তবে বহিরাগত? শাহরুখ খান, প্রশান্ত কিশোর বহিরাগত নয়? নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ এলেই তাঁরা বহিরাগত। অন্যদিকে, ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে পিকে কে বিহার থেকে নিয়ে এসেছে তৃণমূল। ওই টাকা উন্নয়নের কাজে লাগানো যেত। আরও পড়ুন ঃ করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় বন্ধ হচ্ছে সেফ হোম তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রের উন্নয়নের টাকা খরচ হচ্ছে না। উন্নয়নের পথে স্পিডব্রেকার তৃণমূল সরকার। ভোট চাইতে এলে জানতে চাইবেন কী করেছে রাজ্য সরকার? ভালো করে মুখে ঝামা ঘষে দেবেন। ক্ষমতায় এলে দলীয় কর্মীদের উপর থেকে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন দিলীপ বাবু। বলেছেন, বিরোধীতা করলেই মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, কংগ্রেসকে মুর্শিদাবাদে অসুস্থ মুরগীর সাথেও তুলনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে, দুপুরে সিউড়ির জনসভা থেকে তিনি বলেন, কখনও কখনও মনে হয় কাশ্মীরের পরিস্থিতিও এরাজ্যের থেকে শান্ত। উপত্যকাও শান্ত, কিন্তু এরাজ্যে শান্তি নেই। খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, বিস্ফোরণ হচ্ছে এরাজ্যে। এদিনের সভা থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজ্যের পুলিশকেও একহাত নেন। তিনি বলেন, আমাদের কর্মীদের মিথ্যে কেসে, গাঁজা কেসে ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁদের দশ হাজার টাকা করে দিয়ে আদালত থেকে জামিন নিতে হচ্ছে। মে মাসের পর সব বদলাবে। যাঁরা যাঁরা ফাসাচ্ছেন সেই পুলিশকর্মীদের নাম লিখে রাখুন। বিজেপি ক্ষমতায় এলে যেখানেই পোস্টিং হোক সেখান থেকে তুলে এনে ওই পুলিশকর্মীদের কাছ থেকে জামিনের টাকা আদায় করা হবে।এদিন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশেও হুমকি দিয়েছেন দিলীপ। বলেছেন, যে নেতারা ফুটানি করছেন, তাঁদের গামছা পরিয়ে ঘোরাব, জামা-প্যান্টও পরতে দেব না। দিলীপ ঘোষের দাবি, এরাজ্যে মুসলিমদের অবস্থা সবথেকে খারাপ। রাজ্যের মুসলিমরা, কাজের জন্য, শান্তিতে থাকার জন্য ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন। এখানে যাঁরা থাকছেন তাঁরা সমাজ বিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ছেন। দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে এরাজ্যে সকলের জন্য আইন সমান হবে।

নভেম্বর ২৫, ২০২০
রাজনীতি

সিপিএম ও বিজেপি লোভী ও ভোগী, তৃণমূল ত্যাগীঃ মমতা

বাঁকুড়ার সভা থেকে একযোগে সিপিএম ও বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ী ময়দানে ছিল দলের কর্মীসভা। সেখানে তিনি বলেন, সিপিএম হল লোভী, বিজেপি হল ভোগী ও তৃণমূল হল ত্যাগী। লোকসভা ভোটের সময় জগাই-মাধাই-গদাই এক হয়েছিল। সিপিএম-এর হার্মাদরাই আজ রং পরিবর্তন করে বিজেপি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আপনারা কি সিপিএম-এর সেদিনের অত্যাচার ভুলে গেছেন। সেদিনের লড়াইয়ের কথা ভুলে গেছেন। আমি কিন্তু ভুলিনি। বাঁকুড়ার ছেলেমেয়েরা আগে ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারত না। কিন্তু আজ সেই বাঁকুড়া শান্তিতে আছে। বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্য সময় পাত্তা নেই। আর আজ যখন বাংলার মানুষ শান্তিতে বাস করছে তখন মানুষের শান্তি কেড়ে নেওয়ার জন্য দিল্লি কা লাড্ডু কয়েকজনকে বাংলায় পাঠিয়েছে। তাঁরা কেউ বাংলার লোক নয়। বাইরের লোক। আপনাদের সব লুটে নেবে। কিন্তু যখন নির্বাচন আসবে তখন দেখবেন আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিচ্ছে। এলাকায় লুকিয়ে লুকিয়ে টাকা দিচ্ছে। পুলিশের বিভিন্ন এজেন্সিতে যারা কাজ করে তাদের মাধ্যমেও টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে শুনেছি। আরও পড়ুন ঃ অনুব্রতর গড়ে চ্যালেঞ্জ দিলীপের বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ১০০ দিনের কর্মীরা সঠিক সময় টাকা পাচ্ছেন না। কারণ সেই টাকা সুদে খাটাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁর কথায়, কেন্দ্র বাংলা থেকে করের টাকা নিয়ে যায়। সেই টাকাই আবার রাজ্যকে দেয়। আলাদা করে কিছুই দেয় না। জনসভা থেকে নাম না করে দিলীপ ঘোষকেও কটাক্ষ করতে পিছপা হননি মমতা। তাঁর খোঁচা, কেউ কেউ বলছেন গোমূত্র খেলে করোনা হবে না। তিনি তো খেয়েছিলেন. তাহলে তাঁর কীভাবে করোনা হল? বিজেপির রাজ্য সভাপতির গোমূত্র থেকে সোনা তৈরির মন্তব্য নিয়েও কটাক্ষ করলেন তিনি। বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বাঁকুড়া সফর নিয়ে মমতার খোঁচা, বাঁকুড়ায় এসে পাঁচতারা হোটেলের খাবার খেয়েছেন তিনি। এভাবে কি মানুষের কাছে আসা যায়? এছাড়াও নাম না করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও বিঁধলেন তিনি। তাঁর কথায়, কিছু মানুষের কোনও কাজ নেই সকাল থেকে শুধু টুইট করে যান। উল্লেখ্য,বাংলা কৃষকদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা না দেওয়ার নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছিলেন রাজ্যপাল। পালটা মমতার দাবি, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, কৃষকদের প্রকল্পের টাকা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, রাজ্যকে টাকা পাঠিয়ে দিন, আমরা কৃষকদের দিয়ে দেব। কিন্তু তাঁরা টাকা পাঠায়নি।

নভেম্বর ২৫, ২০২০
রাজ্য

গোটা রাজ্যে আমিই পর্যবেক্ষকঃ মমতা

শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে থাকবেন কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা চলছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন বিধায়ক ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন। এবার দলের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ী ময়দানে দলীয় কর্মীসভার মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, গোটা রাজ্যে আমিই দলের পর্যবেক্ষক। দলের কর্মী হিসেবে আমি নজর রাখছি। সব নজরে আছে, দলে থেকেও কে কোথায় কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এ টু জেড খবর রাখি। দলের কর্মীদের থেকেই জানতে পারি। তিনি এদিন এই প্রসঙ্গে বলেন, একটা কথা বলতে চাই, অনেকে ভাবেন বাঁকুড়া জেলার পর্যবেক্ষক কে, পুরুলিয়ার কে, আসানসোল কে দেখবে? মেদিনীপুর কে দেখবে? আগে দলকে মেসেজ দিই, গোটা রাজ্যে আমিই পর্যবেক্ষক। প্রত্যেকটা ব্লকে ব্লকে কে কী করছে, কার সাথে যোগাযোগ করছে, এর সব আমি জানি। দল আমায় সাহায্য করছে। আরও পড়ুন ঃ কেন্দ্রের পাঠানো টাকা কৃষকরা না পাওয়ায় সরব ধনকড় এরপরেই তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ সংযোজন, একটু ঢিলে দিয়ে দিয়েছিলাম। আর দেব না। দু-একজন তৃণমূল করে আবার অন্য দলেও যোগাযোগ রাখছে। ভাববেন না আমি জানি না। সব জানি। মাঝেমাঝে একটু ছাড় দিতে হয়, ছাগলের তিন নম্বর সন্তানদের ছেড়ে রাখতে হয়, যাতে খবর পেতে সুবিধা হয়। নজর রাখুন। রাতের অন্ধকারে গাড়ি করে কে কার বাড়ি যাচ্ছে। কার সঙ্গে ফোনে কথা বলছে। ফোন তো ট্যাপ করতে পারি না। ধান্দাবাজদের একটা গোষ্ঠী আছে। দলের যুবদের দায়িত্ব নিতে হবে। নজর রাখতে হবে। তারাই ভবিষ্যত। নতুন ছেলে তৈরি করে নেব। টাকার কাছে আমরা মাথা নত করি না। তৃণমূল করলে ত্যাগী হতে হয়। বিজেপি কাঁচকলা আসবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, কেউ কেউ ভাবছে বাইচান্স যদি ওরা ক্ষমতায় চলে আসে। আরে চান্সই নেই তো বাই চান্স! বাঁকুড়ার একটি একটি করে আসন বুঝে নেব।এদিন বাম ও বিজেপিকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওরা বলছে হয় ঘরে থাকো-নয় জেলে থাকো। আমি বলছি পারলে আমাকে জেলে ভরো। চ্যালেঞ্জ করছি জেল থেকে আমি তৃণমূলকে জিতিয়ে দিব। একটিতেও বিজেপি, সিপিএম থাকবে না।

নভেম্বর ২৫, ২০২০
কলকাতা

বিজেপির চার নেতার বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

নবান্ন অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অর্জুন সিং, মুকুল রায়, রাকেশ সিংদের বিরুদ্ধে তদন্তের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকো্র্ট। নির্দেশ , আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজ শেখর মানথার। আরও পড়ুন ঃ কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোয় লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখলে ভাল হয়ঃ হাইকোর্ট প্রসঙ্গত , গত ৮ অক্টোবর ছিল বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির পর ভারতীয় জনতা পার্টির প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিপর্যয় মোকাবিলা, অস্ত্র আইন, দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল হেস্টিংস থানায়। সেই অভিযোগ খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপির এই চার নেতা।

নভেম্বর ১০, ২০২০
কলকাতা

বিজেপির মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ

বিজেপির মিছিলকে কেন্দ্র করে বুধবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কলকাতার রাজপথ। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগ ও বিজেপি নেতা-কর্মী খুনের প্রতিবাদে এদিন মিছিলের ডাক দেয় বিজেপি যুবমোর্চা । মুরলীধর লেনের বিজেপির পার্টি অফিস থেকে মিছিল বেরিয়ে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। মিছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে পৌছতেই সেখানে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। আরও পড়ুন ঃ আগামীকাল বাজি ব্যবসায়ী সমিতিকে তলব নবান্নে এরপর পুলিশের সঙ্গে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙারও চেষ্টা করে গেরুয়া বাহিনী। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন যুবমোর্চার সদস্যরা। চলে স্লোগানও। পরে ১৫০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছেন কল্যাণ চৌবে, রিমঝিম মিত্র, কাঞ্চনা মৈত্র। মিছিলে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র। তিনি একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, পুলিশের সঙ্গে মিছিলে ধস্তাধস্তিতে শাড়ি খুলে যায়। তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা পুলিশকে একাধিকবার বললেও তারা শোনেনি। উপরন্তু সম্মানহানির চেষ্টা করে পুলিশ।

নভেম্বর ০৪, ২০২০
দেশ

বিহার ভোটের প্রচারে ৩৭০ ধারা হাতিয়ার মোদির

ভারত মাতার সুরক্ষা ও ত্রিরঙ্গার সম্মান রক্ষায় গালওয়ানে শহিদ হয়েছেন বিহারের যুবকরা। পুলওয়ামাতেও বিহারী জওয়ানরা শহিদ হয়েছিলেন। আমি তাঁদের নতমস্তকে শ্রদ্ধা জানাই। বিহার ভো্টের আগে শুক্রবার সাসারামের জনসভায় এসে এই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, এনডিএ সরকার ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছে। ক্ষমতায় ফিরলে বিরোধিরা দাবি করেছে ওই ধারা আবার বলবৎ করবে। এরপরও কিভাবে বিহারবাসীর ভোট চায় ওরা? এটা কি বিহারীদের অপমান নয়? এই রাঝ্যের বহু যুবক-যুবতী দেশ রক্ষার কাজে সীমান্তে যায়। তাঁরা কি শুধু শহিদ হতে সেখানে যাবেন? আরও পড়ুনঃ মুম্বইয়ের মলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড , আহত ২ রাজ্যের দুর্নীতি দমনে নীতীশ কুমারের সাফল্যেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে অপরাধ এবং দুর্নীতির শিকার ছিল বিহার। যাঁরা বিহারকে রোগগ্রস্ত রাজ্যে পরিণত করেছে তাঁদের আর ক্ষমতায় না ফেরাতে সংকল্প নিয়েছেন বিহারবাসী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে হাজির ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। উল্টো্দিকে এদিন রাহুল গান্ধী তেজস্বী যাদবের সমর্থনে এক জনসভায় গিয়ে জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, মোদী জি কা ভাষণ ক্যায়সা লাগা ? তারপর তিনি বলেন, করোনা সংকটে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশায় কংগ্রেস এগিয়ে এসেছে। কিন্তু বিজেপি আসেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ২২ দিনে করোনা আয়ত্বে আনবেন। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। রাহুল আরও বলেন, যে সব রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় সেখানে কৃষকদের জন্য বিশেষ সুবিধা নেওয়া হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যের চেয়ে ভালো আছেন পাঞ্জাব, ছত্তিসগড়, রাজস্থানের কৃষকরা।

অক্টোবর ২৩, ২০২০
রাজ্য

মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাল্লাবোল মিছিল বিজেপি' র

মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে শুক্রবার হাল্লাবোল মিছিল করল বিজেপি। টিটাগড় থেকে ব্যারাকপুরের চিড়িয়ামোড় পর্যন্ত এদিন এই মিছিল আয়োজন করা হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, সাংসদ লকেট চট্টো্পাধ্যয়, সাংসদ অর্জুন সিং , বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত সহ আরও অনেকে। কৈলাস বিজয়বর্গীয় সাংবাদিকদের বলেন, সিআইডিকে দিয়ে এই তদন্ত করলে কো্নওদিনও ্প্রকৃত দোষী ধরা পড়বে না। তাই সিবিআইকে দিয়ে এই তদন্ত করাতে হবে। মণীশের পরিবার ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়ছে। আরও পড়ুনঃ বলবিন্দরকে মুক্তি না দিলে আগামীকাল নবান্নের সামনে অনশনে বসবেন স্ত্রী ও পুত্র অন্যদিকে , টিটাগড়ের বিজেপি কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা খুনের তদন্তে এখনও সিআইডির উপরই ভরসা রাখছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে তদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা করেন সিআইডি আধিকারিকরা। সেই রিপোর্ট দেখে বিচারপতিরা জানান যে আপাতত রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত চলুক। পরে এই তদন্তে কোনও ত্রুটি দেখা গেলে সিবিআই তদন্তের কথা ভাবা যাবে। আগামী ১০ নভেম্বর মামলাটির পরবর্তী শুনানি।

অক্টোবর ১৬, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

অজানা ফোন কল থেকে সাবধান! ১ কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার পান্ডা

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নামে পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের নাম করে প্রতারণা। গ্রেপ্তার এক। গ্রেপ্তার করলে বিধানগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চৌধুরী একটি ফোন কল আসে। সেখানে তাকে বলা হয় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আপনি ঘর বন্ধ থাকবেন। কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। এবং ধাপে ধাপে চারদিন ধরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে নির্মল বিজয় নামে রাজস্থানের বাসিন্দার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতকাল নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

কসবা কাণ্ডে মদন মিত্র ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা, তৃণমূলের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল বলছে, দল দুই নেতার মন্তব্য সমর্থন করে না। কার্যত এই দুই নেতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করছে। বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অপরাধীদের সমর্থন করতে চাইছে এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে হবে না। আইন বা পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। স্টুডেন্টরা যদি তাঁদের সহপাঠিনীকে রেপ করা তা প্যাথিটিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি পুলিশ থাকবে? মূল অভিযুক্ত যে প্রাক্তনী তা এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যান। এদিকে এই দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।তৃণমূল বলছে আমাদের অবস্থান স্পষ্টমহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
নিবন্ধ

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে রসুনের উপকারিতা জানুন

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সাধারণত বেড়ে যায় এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক এক চক্র। কয়েকটি কারণে বর্ষাকালে সাপের আনাগোনা বাড়ে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বন্যা ও জল জমা, সাপ সাধারণত মাটির গর্তে বাস করে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে যাওয়ায় তারা শুকনো জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় খোঁজা, বৃষ্টিতে সাপ আশ্রয় নিতে খোঁজে শুকনো ও উষ্ণ জায়গাযেমন: বাড়ির বারান্দা, রান্নাঘর, গ্যারেজ, বা স্টোররুম। এছাড়াও সাপ খাবারের খোঁজে বসতিতে ঢুকে পরে। ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব বর্ষাকালে উঁচু ডাঙ্গা জমি, বসত বাড়িতে উঠে আসে, তাদের অনুসরন করে সাপ মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকা বনাঞ্চল বা জলাভূমির পাশে, সেখানে বর্ষায় সাপ চলাচল বেশি হয়।সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদে দূরে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক স্প্রে করেন কেউ কেউ। কিন্তু আমাদের বাড়িতেই এক ভেষজ সবসমই থাকে সেই রসুন ব্যাবহার করে সাপ থেকে দূরে থাকা যায় বলে অনেকের-ই ধারণা। সাপের আসা-যাওয়ার পথে রসুন দেওয়ার পেছনে একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস রয়েছে। এটি মূলত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:কেন রসুন দেওয়া হয়?তীব্র গন্ধ: রসুনের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র এবং এটি অনেক প্রাণীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর। কিছু মানুষের ধারণা যে সাপ তাদের সংবেদনশীল জিহ্বা (জ্যাকবসন অঙ্গ) দিয়ে পরিবেশের গন্ধ বোঝে, আর রসুনের তীব্র গন্ধ তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।রসুনে অ্যালিসিনের মতো সালফার সমৃদ্ধ যৌগ থাকে, যা তীব্র গন্ধ তৈরি করে। এই গন্ধ সাপের সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলিকে (বিশেষ করে জ্যাকবসন অঙ্গ, যা তারা তাদের জিহ্বার মাধ্যমে পরিবেশকে ঘ্রাণ নিতে ব্যবহার করে) জ্বালাতন করতে পারে বা অভিভূত করতে পারে।লোকবিশ্বাস ও অভ্যাসঃ গ্রামাঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রসুন, পেঁয়াজ, নিমম বা কর্পূর ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ দূরে রাখার চেষ্টা চলে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই, তবুও অনেকেই এটাকে কার্যকর মনে করেন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে রসুন ব্যবহার একটি বিকল্প পদ্ধতি।বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এখনও সরাসরি প্রমাণ নেই যে রসুন সাপকে নিশ্চিতভাবে তাড়াতে পারে। তবে কিছু গবেষণা বলেছে, সাপ সাধারণত তীব্র গন্ধ বা ঝাঁঝালো রাসায়নিক এড়িয়ে চলে, তাই কিছু ক্ষেত্রে রসুন কার্যকর হতে পারে।রসুন ব্যবহার পদ্ধতিঃ১। রসুন থেঁতো করে সাপের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন।২। রসুন ও লবণের মিশ্রণ একটি কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।৩। রসুন তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ব্যবহার করেন অনেকে (সতর্কতার সঙ্গে)।তবে মনে রাখবেনঃ১। সাপ তাড়ানোর জন্য রেসকিউ টিম বা স্থানীয় বন দপ্তরে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়।২। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার, ঘাসছাঁটা রাখা, ইঁদুর-মুরগির আনাগোনা কমানোএসব বেশি কার্যকর।সাপ তাড়ানোর জন্য কিছু নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো, যা আপনি রসুনের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন:পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়)১। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড়, লম্বা ঘাস, ময়লা, কাঠের গুঁড়ি বা ইটের স্তূপ থাকলে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।২। পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।৩। ইঁদুর বা ছোট প্রাণী থাকলে সাপ আসতে পারে, এদের নিয়ন্ত্রণ করুন।প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো করে মিশিয়ে সাপের চলাচলের পথে ছড়িয়ে দিন। আপনি চাইলে সেগুলোর রস করেও স্প্রে করতে পারেন।২. লবণ ও চুনঃ চুন ও লবণ (নুন) মিশিয়ে দেয়ালে বা জানালার আশপাশে ছিটিয়ে রাখুন৩. নিমের পাতা ও তেলঃ নিমের তেল সাপদের প্রচণ্ড অপছন্দের জিনিস। এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাপের আসা যাওয়ার পথে স্প্রে করতে পারেন।৪. সাদা ভিনিগারঃ ভিনিগার ও লবণ মিশিয়ে সাপের চলার পথে স্প্রে করুন। মাটির গন্ধ নষ্ট হওয়ায় সাপ এড়িয়ে চলে।কম্পন ও শব্দ ব্যবহারঃসাপ শব্দ-সংবেদনশীল (কম্পনে সাড়া দেয়)। মাটি কাঁপায় এমন যন্ত্র (যেমন: হাতুড়ি দিয়ে ঠোকাঠুকি), বা ব্যাটারিচালিত কম্পন-ডিভাইস সাপ দূরে রাখতে পারে।পোষা প্রাণীঃ কুকুর (দেশী বা বিদেশি) সাপের উপস্থিতি টের পেলে ঘন ঘন ডাকতে থাকে। গ্রামের অনেক বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার ফলে সাপ আসার সম্ভাবনা কমে যায়।যা করবেন নাঃসাপ দেখলে নিজে রিস্ক নিয়ে তাড়াতে যাবেন না।, পেট্রোল, অ্যাসিড বা আগুন ব্যবহার করবেন না। সাপটিকে না মেড়ে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপতভাবে বিষাক্ত মনে হলেও সাপ সামাজের ভারসাম্য রাখতে বিরাট ভুমিকা নেয়। সাপ দেখলে বা সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় বন দফতর বা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলের (snake rescuer) সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার বনদপ্তরে ফোন করে সাহায্য নিন। এছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যাঁরা বসতি থেকে সাপ গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে অরণ্যে পৌছাতে সাহায্য করেন। যেমন, বর্ধমান জেলায় তথাগত পাল আছেন, যিনি তাঁর দৈনন্দিন পেশার কঠিন চাপের ফাঁকেও এই ধরনের নোবেল জব করতে ভালবাসেন।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

এলাকায় মদের দোকান তৈরির প্রতিবাদে গাইঘাটার ইছাপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ইছাপুরে গোল্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানের উদ্বোধন হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দাবি মানুষকে বোকা বানাতে রেস্টুরেন্ট বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে হবে মদের দোকান, একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে এমই দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এবং ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিছিল করে এসে দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, দোকান মালিক পাশের জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্ট কাম বারের লাইসেন্স বানিয়েছে।এলাকায় মদের দোকান হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, নারী নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে ধ্বংস হবে যুবসমাজ। ফলে তারা কোনভাবেই মদের দোকান হতে দেবেন না। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভে শামিল হন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর । কোনভাবেই এখানে মদের দোকান হতে দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে মালিক পক্ষের দাবি, তাদের যেকোনো লাইসেন্স থাকতে পারে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্টই তৈরি হবে।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী ও মডেল 'কাঁটা লাগা গার্ল'-এর অকাল মৃত্যু, শোকের ছায়া শিল্পী মহলে

মাত্র ৪২ বছরে মৃত্য়ু হল মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী মডেলের। শেফালি জারিওয়ালা শুক্রবার মুম্বাইয়ে মারা গেছেন। জানা গিয়েছে, তার স্বামী পরাগ ত্যাগী এবং আরও তিনজন তাকে বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।মুম্বাই পুলিশের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আন্ধেরি এলাকায় নিজের বাসভবনে মেডেলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ রাত ১টায় এই খবর পেয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।শেফালি জারিওয়ালা ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকের হিট কাঁটা লাগা গানের মিউজিক ভিডিওতে তার অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান। এমনকি এই গানটি তাকে কাঁটা লাগা গার্ল উপাধিও এনে দেয়। এরপর তিনি সলমান খানের মুঝসে শাদি কারোগিতে অভিনয় করেন। পরে, তিনি সলমানের সঞ্চালনায় রিয়েলিটি শো, বিগ বস ১৩-তেও অংশ নেন। ২০০৪ সালে, শেফালি মিট ব্রাদার্স খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হরমিত সিংয়ের সাথে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০০৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৫ সালে, তিনি অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সেলিব্রিটিরা শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। আমি গভীরভাবে মর্মাহত, শোকাহত। আমাদের প্রিয় তারকা এবং আমার প্রিয় বন্ধু @শেফালিজারিওয়ালা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার অনুগ্রহ, হাসি এবং চেতনার জন্য তোমাকে সর্বদা স্মরণ করব। ওম শান্তি,। গায়ক মিকা সিং X-তে তার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। রাজীব আদাতিয়া, কাম্যা পাঞ্জাবি, আলি গনি সহ আরও সেলিব্রিটিরা অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠি লিখেছেন, এটা অবিশ্বাস্য। আমরা পরিবারের জন্য মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমার বন্ধু শেফালি জারিওয়ালা আর নেই শুনে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম। শেষবার আমি তার সঙ্গে একটি পার্টিতে দেখা করেছিলাম। জীবন এত ছোট। সে আমার সাথে #BiggBoss13 তে ছিল।

জুন ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal