• ১৩ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Purba Bardhaman

রাজ্য

মৃত ব্যক্তির নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর অনুমোদন করিয়ে টাকা লুট - ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত

কেউ মারা গিয়েছেন প্রায় আট বছর আগে। আবার কেউ পাঁচ বছর আগে মারা গিয়েছেন। কিন্তু তাতে আর কি যায় আসে বাংলা আবাস যোজনার অর্থ লুটেরাদের।কাগজে কলমে এই সকল মৃত ব্যক্তিদের নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর অনুমোদন করিয়ে লুট কে নেওয়া হল সেই ঘরের টাকা। এমন ঘটনা জানাতে পরেই সোমবার পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১ ব্লকের বিডিও-র দ্বারস্থ হলেন মৃতর পরিজনরা। তাঁরা এই দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত স্থানীয় নান্দাই গ্রাম পঞ্চায়েতকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। ব্লক প্রসাসন অভিযোগের তদন্ত করে কি ব্যবস্থা নেয় সে দিকেই এখন তাকিয়ে মৃতর পরিজনরা।বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এই প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো এমটা নয়।চার দিন আগেই কিছু প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালানো ব্যক্তি বাংলা আবাস যোজনার ঘরের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিডিও কে অভিযোগ জানান। নান্দাই পঞ্চায়েতের দুপসা গ্রাম নিবাসী প্রতিবন্ধী মহসীন মণ্ডল ওই দিন প্রশাসনকে জানান ,কাগজে কলমে তিনি বাংলা আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন ঠিকই।কিন্তু ঘরের টাকা তিনি পান নি। দুর্নীতি করে তাঁর আই ডি নম্বর ব্যবহার করে ঘরের টাকা অন্য ব্যক্তি হাতিয়ে নিয়েছে। এই দুর্নীতিতে নান্দাই পঞ্চায়েতের প্রধান ও গ্রাম সদস্য যুক্ত বলেও ওই দিন প্রশাসনকে জানান মহসীন মণ্ডল। একই দিনে নান্দাই পঞ্চায়েতের আশ্রম পাড়া নিবাসী বুলু দেবনাথও একইরকম অভিযোগ এনে ওই বিডিওর দ্বারস্থ হন। তিনিও বাংলা আবাস যোজনায় এই আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান ও ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার কে কাঠগড়ায় তোলেন।এই ঘটনার পর চার দিন কাটতে না কাটতে এদিন ফের বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে নান্দাই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে আরো চঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন একাধীক বাসিন্দা। স্থানীয় দুপসা গ্রাম নিবাসী ভ্যাবল মোল্লা এদিন বিডিওকে জানান, তাঁর মা নুরনাহার বিবি ১০১৪ সালের ৩০ জুলাই মারা গিয়েছেন। তার পর কাগজে কলমে তাঁরা মায়ের নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর অনুমোদন হয়। কিন্তু ঘরের টাকা তাঁরা কেউ পান নি। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, তাঁর মায়ের নামে অনুমোদিত হওয়া ঘরের টাকা অন্য জন হাতিয়ে নিয়েছেন। ভ্যাবল মোল্লা ছাড়াও স্থানীয় কুতিরডাঙা মিবাসী শিখা মধু এদিন বিডিওকে অভিযোগে জানান, তাঁর বাবা মহাদেব মধু ২০১৭ সালে মারা যান। তার পরে তাঁর বাবার নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর অনুমোদন হলেও ঘরের টাকা তাঁরা পান নি। জালিয়াতি করে অন্যজন তাঁর বাবার নামে অনুমোদিত হওয়া ঘরের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই দুই জন ছাড়াও কুতিরডাঙা নিবাসী সুশীলা বিশ্বাসও একই ধরণের অভিযোগ করেছেন। এমন কি প্রকৃত গৃহহীন কে বঞ্চিত রেখে দোতলা বাড়িতে বসবাস করা অঞ্চলের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি নিজের স্ত্রীর নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘরের টাকা তুলে নিয়েছেন বলে এদিন অনেকে অভিযোগ করেছেন।এদিকে বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে একের পর এক এমন বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে আসতেই মুখ লুকিয়েছেন নান্দাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমুর ঘোষ ও উপ-প্রধান লিয়াকত শেখ। বিষয়টি নিয়ে এদিও তাঁরা কেউই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হতে চান না । বিডিও (কালনা- ১) সেবন্তী বিশ্বাস এদিন জানান, অভিযোগের তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশাকরা যাচ্ছে তদন্তে খুব তাড়া তাড়ি সত্য সামনে আসবে। তদন্তে অনিয়ম কিছু ধরা পড়লে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এপ্রিল ২৬, ২০২২
রাজ্য

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হস্টেলে ব্যাপক তান্ডব সুপার ও ৪ দুষ্কৃতীর, শেষমেশ ঠাঁই শ্রীঘরে

নিম্নমানের খাবার খেতে দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করেছিল হোস্টেলে থাকা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা। সেই প্রতিবাদী পড়ুয়াদের উপর বদলা নিতে যাওয়া হোস্টেল সুপার ও তাঁর মস্তান বাহিনীর হাতেই শেষে পড়লো পুলিশের হাতকড়া। বহিরাগত মস্তানদের সঙ্গে নিয়ে হোস্টেলে থাকা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন হোস্টেল সুপার সহ পাঁচ জন। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। আহত পড়ুয়ারা সকলেই মেমারির দুর্গাডাঙা এলাকায় থাকা আল আমিন মিশন স্কুলের হোস্টেলের আবাসিক। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হল সেখ হাসিবুল আলম,মোজাফর সেখ,সেখ কিতাবুল,সেখ আব্বাস ও সেখ সফিকুল। ধৃতরা মেমারির দুর্গাডাঙা সহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে হাসিবুল আলম হলেন আল আমিন মিশন হোস্টেলের সুপারেনটেনডেন্ট। জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শুক্রবার পাঁচ ধৃতকেই পেশ করে বর্ধমান আদালতে।বিচারক সকল ধৃতকে জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবী করেছে আক্রান্ত পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকরা। আহত পড়ুয়ারা জানিয়েছেন,তাঁরা মেমারির আল আমিন মিশন স্কুলের ছাত্র। মিশনের হোস্টেলে থেকেই তাঁরা পড়াশুনা করেন।তাঁদের কেউ এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থী,আবার কেউ দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন । এই পড়ুয়ারা অভিযোগে জানিয়েছেন,বেশ কিছুদিন যাবৎ তাঁদের হোস্টেলে নিম্নমানের খাবার খেতে দেওয়া হচ্ছে। নিম্নমানেয় খাবার খেতে দেওয়া নিয়ে তাঁরা প্রতিবাদ করেন। সেই প্রতিবাদ মেনে নিতে পারেননি হোস্টেলের সাপারেনটেনডেন্ট। তাই বদলা নিতে হোস্টেল সুপার শেখ হাসিবুল আলম বৃহস্পতিবার রাতে বহিরাগত একদল মস্তানকে হোস্টেলে ঢুকিয়ে দেন। হোস্টেল সুপারের নেতৃত্বে ওই বহিরাগতরা রড, লাঠি দিয়ে হোস্টেলে থাকা ১৫-২০ জন উচ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে মারধোর করে আহত করে। এমনকি বহিরাগত মস্তানরা হোস্টেলে ভাঙচুরও চালায়। তা নিয়ে রাতে হোস্টেলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ ও স্থানীয় সহৃদয় মানুষজন হোস্টেলে ছুটে আসেন। তাঁরাই সকল আহত পড়ুয়াদের উদ্ধার করে মেমারি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান। ছাত্রদের তোলা এই অভিযোগের বিষয়ে আল আমিন মিশন স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ সংবাদ মাধ্যমে কোন প্রতিকৃয়া দিতে চান নি।তবে আহত পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে মেমারি থানার পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নেওয়ায় আপাতত স্বস্তিতে পড়ুয়ারা। বর্ধমান দক্ষিণ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) সুপ্রভাত চক্রবর্তী জানিয়েছেন,পড়ুয়াদের মারধোরের ঘটনায় পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। হোস্টেল সুপার সহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এপ্রিল ২২, ২০২২
রাজ্য

সল্প পরিশ্রমে বেশী আয়ের নেশায় চোলাই মদ পাচার করতে গিয়ে গ্রেপ্তার তিন মহিলা

খেতমজুরি বা পরিচারিকার কাজ কোনটাই পছন্দ নয়। আবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অর্থেও মন পোষাচ্ছে না।তাই বেশী রোজগারের ধান্দায় তিন মহিলা নিপাট গৃহবধূর ছদ্মবেশে শুরু করেছিলেন চোলাই মদ পাচারের কাজ।তবে অবশ্য বেশীদিন তাঁরা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এই কাজ চালিয়ে যেতে পারলেন না। পূর্ব বর্ধমানের রায়নার সেহারাবাজার ফাঁড়ির পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে প্রচুর চোলাই মদ সহ ওই তিন মহিলা কে ধরে ফেলে। পুলিশের দাবী চম্পা দাস, পুতুল দাস ও চাঁপা দাস নামের তিনি মহিলার কাছ থেকে প্রচুর চোলাই মদ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ এদিনই পেশ করে বর্ধমান আদালতে। রায়না থানা এলাকার আর কোন গ্রামের মহিলা চোলাই মদ পাচারের কাজে যুক্ত হয়েছে কিনা সেই ব্যাপারেও পুলিশ খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে ছানা গিয়েছে, চোলাই মদ পাচারে অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া তিন মহিলার বাড়ি দক্ষিণ সেহারাবাজার এলাকায়। একেবারে নিপাট সাধারণ পরিবারের গৃহবধূর বেশে প্রতিদিন সাতসকালে ব্যাগে কিছু নিয়ে এই মহিলারা আসতেন সেহারাবাজার ফাঁড়ির অধীন শ্রীধর এলাকায়। তাঁরা যে আসলে চোলাই মদ পাচারকারী তা পুলিশের কেউ কল্পনাও করতে পারেন নি। কিন্তু গোপন সূত্রে সেহারাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য রাজেশ মাহাতো জানতে পারেন ওই তিন মহিলা চোলাই মদ পাচার করতেই প্রতিদিন সকালে শ্রীধর বাজারে আসেন। এরপরেই এদিন সকালে রাজেশ মাহাতোর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী শ্রীধর বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে চোলাই মদ সহ বমাল পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় চম্পা দাস, পুতুল দাস এবং চাঁপা দাস নামের তিন মহিলা। রায়না থানার পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, ধৃত মহিলাদের কাছ থেকে ৭৫ লিটারের মত চোলাই মদ উদ্ধার হয়েছে। ওই মদ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট ধরায় মামলা রুজু করে ধৃত তিন মহিলাকেই এদিন বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে।দক্ষিণ সেহারাবাজার এলাকার বাসিন্দাদের কথায় জানা গিয়েছে, অল্প পরিশ্রম করে বেশী রোজাগারের নেশাতেই এই মহিলারা চোলাই মদ পাচারে কাজে নেমে পড়েছিলেন। তবে মহিলাদের এই কাজে নামানোর পিছনে যাঁরা জড়িত রয়েছে তাঁদেরও খুঁজে বার করা দরকার। এলাকাবাসীর আশঙ্কা চোলাই মদ বিক্রী বন্ধে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে পুলিশী অভিযান বাড়ানো হয়ে। সর্বত্র চলছে চোলাই মদের কারবারীদের ধরপাকাড়। এইসবের কারণে চোলাই মদের পুরুষ কারবারীরা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মহিলাদের চোলাই মদ পাচারের কাজে সামিল করে থাকতে পারে।

এপ্রিল ২১, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে হঠাৎ একইসঙ্গে ১২ জন স্কুলপড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য

শনিবার বর্ধমান দুনম্বর ব্লকের সামন্তী উচ্চ বিদ্যালয় হঠাৎ করে একইসঙ্গে ১২ জন স্কুলপড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রাথমিক অনুমান স্কুলের সামনে বিক্রি হওয়া বরফ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা। এরপরে ওই স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে আসা হয় পাহাড়হাটী ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে।তবে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কোনওরকম খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্কুল পড়ুয়ারা। মূলত ডিহাইড্রেশনের কারণেই এ দিন তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।এদিনের এই ঘটনার পর হাসপাতালে অসুস্থ স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করলেন মেমারি দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মামনি মর্মু।

এপ্রিল ১০, ২০২২
রাজ্য

গাড়িতে সরকারি স্টিকার ব্যবহার করে ছাগল চুরির অভিযোগ বর্ধমানে, গাড়ি ভাংচুর-আটক দুই

সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়ি ব্যবহার করে চলছে ছাগল চুরি। মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে চুরি করতেই গাড়িতে ব্যবহার সরকারি স্টিকার বলে অভিযোগ। অভিনব এই ছাগল চুড়ির ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার সড়াইটিকর পঞ্চায়েতের শান্তিপাড়ায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ।গাড়িতে থাকা দুই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানাগেছে, বেশ কিছু দিন ধরে সড়াইটিকর পঞ্চায়েতের শান্তিপুর থেকে এক এক করে ছাগল গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এলাকা তন্নতন্ন করে খুঁজলেও তা মিলছে না, এই বিষয়ে কেউ কেউ বর্ধমান থানায় ছাগল হারানোর অভিযোগও দায়ের করে। শাকিব হোসেন খান ও রেহেনা বিবি বলেন, ছাগল চুরির পাশাপাশি প্রত্যেকদিন এলাকাতে কালো কাঁচ ও সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়ি ঘোরাফেরা করছে। তাতেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। বৃহস্পতিবার ফের এলাকাতে ওই সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়ি দেখা যায়। তা আটকাতে গেলে পালানোর চেষ্টা করে। কোনওক্রমে স্থানীয়রা গাড়িটা আটকালে গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় চারটি ছাগল। তারপর স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে গাড়িটিতে ভাঙচুর চালায় এবং গাড়ির চালক ও তার সঙ্গে থাকা একজনকে বর্ধমান থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি স্টিকার লাগিয়ে সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে ছাগল চুরির চলছিল।

এপ্রিল ০৭, ২০২২
রাজ্য

গাড়িতে সরকারি স্টিকার ব্যবহার করে ছাগল চুরির অভিযোগ বর্ধমানে, গাড়ি ভাংচুর-আটক দুই

সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়ি ব্যবহার করে চলছে ছাগল চুরি। মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে চুরি করতেই গাড়িতে ব্যবহার সরকারি স্টিকার বলে অভিযোগ। অভিনব এই ছাগল চুড়ির ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার সড়াইটিকর পঞ্চায়েতের শান্তিপাড়ায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ।গাড়িতে থাকা দুই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানাগেছে, বেশ কিছু দিন ধরে সড়াইটিকর পঞ্চায়েতের শান্তিপুর থেকে এক এক করে ছাগল গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এলাকা তন্নতন্ন করে খুঁজলেও তা মিলছে না, এই বিষয়ে কেউ কেউ বর্ধমান থানায় ছাগল হারানোর অভিযোগও দায়ের করে।শাকিব হোসেন খান ও রেহেনা বিবি বলেন, ছাগল চুরির পাশাপাশি প্রত্যেকদিন এলাকাতে কালো কাঁচ ও সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়ি ঘোরাফেরা করছে। তাতেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। বৃহস্পতিবার ফের এলাকাতে ওই সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়ি দেখা যায়। তা আটকাতে গেলে পালানোর চেষ্টা করে। কোনওক্রমে স্থানীয়রা গাড়িটা আটকালে গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় চারটি ছাগল। তারপর স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে গাড়িটিতে ভাঙচুর চালায় এবং গাড়ির চালক ও তার সঙ্গে থাকা একজনকে বর্ধমান থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি স্টিকার লাগিয়ে সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে ছাগল চুরির চলছিল।

এপ্রিল ০৭, ২০২২
রাজ্য

ফের গলসির গ্রামে বোমা উদ্ধার, এলো সিআইডির টিম

পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি ১ নং ব্লকের সুন্দলপুর গ্রামে একটি পুকুর পাড়ের পাশের জমিতে উদ্ধার হল তাজা বোমা। একটি ঘি এর জারে তাজা বোমা উদ্ধার করে গলসি থানার পুলিশ। গলসি এলাকার একের পর এক গ্রামে বোমা উদ্ধারের ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। এই নিয়ে গলসি এলাকায় বেশ কয়েকবার বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটল।গতকাল রাতে পুকুর পাড়ে বোমার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় গলসি থানার পুলিশ। রাত থেকেই এলাকা ঘিরে রাখে গলসি থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় সিআইডি বোম ডিস্পোজাল টিমকে। সিআইডি বোম ডিস্পাজাল টিমের প্রতিনিধিরা বোমাগুলি পাশেই একটি নির্জন জায়গায় নিস্ক্রিয় করে।কোথা থেকে কিভাবে এল ওই তাজা বোমা তার তদন্ত গুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে, গ্রামের মোড়ের খানিক দুরে নাপিত বাগান পুকুর। সেই পুকুরের পশ্চিম পাড়ে ইট গাদার পাশে একটি জারে উদ্ধার হয় ৮ টি তাজা বোমা।

এপ্রিল ০৭, ২০২২
রাজ্য

ঘটনার তিন দিন পরেও স্বামীর পারলৌকিক কর্ম হল না, সিবিআই তদন্ত চায় সন্তোষপুরও

খুনের বাদলা নিতে বগটুইয়ের কায়দায় খুনি ও তাঁর পরিজনদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। সোমবার বিকালে পূর্ব বর্ধমানের গলসির সন্তোষপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ এমন ঘটনা ঘটানোর পরেই পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় অভিযানে নামে। পুলিশ ৩৯ জনকে গ্রেফতারের পর থেকে এখন কার্যত পুরুষ শূণ্য রামগোপালপুর পঞ্চায়েতের সন্তোষপুর গ্রাম। আর তাতেই বিপাকে পড়ে গিয়েছেন উৎপল ঘোষ (৩৩) এর স্ত্রী সাধনা ঘোষ ও তাঁর পরিবার। কারণ গ্রামে এখন নাপিত, ব্রাহ্মণ কেউ নেই।স্বামীর পারলৌকিক কাজ সম্পাদনের জন্য ক্ষৌরকর্ম পর্যন্ত তাঁরা করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য বুধবার পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষেভ উগরে দিয়েছেন সাধনাদেবী। পাশাপাশি তিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর ঘটনার সিবিআই তদন্তও দাবি করেছেন।ছেলের সাথে অসহায় উৎপল ঘোষ-র স্ত্রী সাধনা ঘোষকৃষি প্রধান গলসির সন্তোষপুর গ্রাম হঠাৎ করে এই ভাবে খবরের শিরণামে জায়গা করে নেওয়ার নেপথ্য কারণটাও যথেষ্ট শিহরণ জাগানো। স্ত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করেছিলেন এই গ্রামেরই বাসিন্দা উৎপল ঘোষ (৩৩)। শুধু প্রতিবাদ করাই নয়, স্ত্রীকে উত্যক্ত করার ঘটনায় জড়িত প্রতিবেশী মনোজ ঘোষের বিরুদ্ধে তিনি গলসি থানায় অভিযোগও জানিয়ে ছিলেন। তারই বদলা নিতে রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুড়ুর দিয়ে কুপিয়ে উৎপল ঘোষকে নৃশংস ভাবে খুন করে মনোজ ঘোষ। রাতে মাথায় কুড়ুল গেঁথে থাকা অবস্থায় এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় উৎপলের মৃতদেহ। মৃতর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনার তদন্তে নেমে গলসি থানার পুলিশ ওই রাতেই মনোজ কে আটোক করে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। উৎপলকে নৃশংস ভাবে খুন করার কথা জেরায় মনোজ পুলিশের কাছে স্বীকারও করে নেয়। পুলিশ মনোজ ঘোষকে গ্রেফতারের পর সেমবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে তদন্তের প্রয়োজনে ৪ দিন পুলিশি হেপাজতে নিয়েছে।ভষ্মীভুত গাড়িএই পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও মনোজের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকালে উৎপলের মৃতদেহ বাড়িতে ফেরার পর। তা আঁচ করে গ্রামে পুলিশও চলে যায়। তারই মধ্যে গ্রামের উত্তেজিত মানুষজন মনোজ ও তাঁর জ্যাঠা এবং কাকার বাড়িতে চড়াও হয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পোড়ে মনোজ ও তাঁর জ্যাঠা, কাকার বাড়িতে থাকা একাধিক গাড়ি ও খড়ের পালুই। আগুন নেভানোর জন্য খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌছে বেশ কিছু সময়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও খুনের ঘটনার বদলা নিতে বাগটুইয়ের কায়দায় খুনি ও তার পরিজনদের বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে গ্রামের ৩৯ জনকে গ্রেফতার করে।ভষ্মীভুত ট্রাকটারপুলিশের এই গ্রেপ্তারি নিয়ে এদিন প্রশ্ন তুলেছে নিহত উৎপল ঘোষের স্ত্রী সাধনাদেবী। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুলিশ নিরপরাধ গ্রামবাসীদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে। অথচ অপরাধীরা এখনও দিব্যি গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। খুনি মনোজ ঘোষকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও তার বাবা কার্তিক ঘোষ ও কাকা হারাধন ঘোষকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। এখনও গ্রেফতারির ভয়ে গোটা গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে রয়েছে।গ্রামে ব্রাহ্মণ নেই, নাপিত নেই। স্বামীর মৃত্যুর তিন দিন পরও পারলৌকিক কাজ সম্পাদনে জন্য ক্ষৌরকর্ম করার রীতি থাকলেও তা করতে পারা গেল না। এইসবের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ সাধনাদেবী এদিন বলেন, আমি চাই সিবিআই আমার স্বামীকে খুনের ঘটনার তদন্তু করুক। নিহত উৎপল ঘোষের কাকা ভরত ঘোষও বলেন, পুলিশ ঠিক মত কাজ করছে না। যার বাড়ি থেকে অস্ত্র গেল উৎপলকে খুন করার জন্য তাকে পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনিও সিবিআই তদন্ত চাইছেন। যদিও জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন বলেন, পুলিশ খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সব দিক বিবেচনা করেই পুলিশ তদন্ত করছে।

এপ্রিল ০৭, ২০২২
রাজ্য

পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তা বর্ধমান জিআরপিতে, জোর করে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ

পাঞ্জাব থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তা ও জোর করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠলো জিআরপির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ভোরে লুধিয়ানা থেকে বর্ধমান স্টেশনে নামেন ৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা মালদার কাঞ্চননগরের বাসিন্দা।তাঁদের অভিযোগ, স্টেশনের বাইরে বসে থাকার সময় জিআরপি থানায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজন লক্লার্ক মাস্ক না পড়ার জন্য তাদের প্রত্যেককে ৪৫০ টাকা ফাইন করে। সেই ছবি তাঁরা নিজেদের মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে। সেই ভিডিওতে দেখা যায় টাকা নেওয়ার সময় গালিগালাজ করছেন জিআরপির লক্লার্ক ওই শ্রমিকদের।শ্রমিকদের অভিযোগ, টাকা দিলেও তাঁদের এর জন্য কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি। সামসুল হক নামে ওই লক্লাকের এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে বাধা দেওয়া হয়।

এপ্রিল ০৫, ২০২২
রাজ্য

গলসি-অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে সিআইডির বিশেষ দল

পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার অন্তর্গত সন্তোষপুরে অগ্নিকান্ডের তদন্তে কলকাতা সিআইডির ফরেন্সিক ফিঙ্গার টিমের বিশেষ দল। এই দলে রয়েছেন সিআইডির ইন্সপেক্টর সৈবাল বাগচিসহ চার জন। এঁদের মধ্যে একজন ফোটগ্রাফার ও দুজন ফিঙ্গারপিন্ট এক্সপার্ট রয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে এই টিম গলসি থানায় আসে। তারপর থানার একজন অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা সন্তোষপুট গ্রামের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ি ও গাড়িগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।সন্তোষপুর এলাকা থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩৯জন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করেছে গলসী থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে পাঁচজনকে পুলিশ হেফাজত নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ৩৯ জন ধৃতের মধ্যে অনেকেই নির্দোষ। তাঁদের অবিলম্বে ছেড়ে দিতে হবে এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাঁরা মূল অভিযুক্ত তাদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসীরা।

এপ্রিল ০৫, ২০২২
রাজ্য

ভয়াবহ খুন ও তার প্রতিবাদে আগুন লাগানোর পরের দিন শুনশান সন্তোষপুর গ্রাম

থমথমে গলসির সন্তোষপুর গ্রাম। কানপাতলেই পুলিসের রুটমার্চের ভারি বুটের আওয়াজ। খুনের বদলা আগুনের পর শুনশান সন্তোষপুর গ্রাম। রাতভর পুলিশের তল্লাশিতে আগুন লাগানোর অভিযোগে পুলিশ ৩১ জনকে আটক করেছে। উল্লেখ্য পূর্ব বর্ধমানের গলসির সন্তোষপুর গ্রামে সোমবার স্ত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদে স্বামী উৎপল ঘোষকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তাঁর বন্ধু মনোজ ঘোষ। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্তোষপুরে। পুলিশের জেরায় ধৃত মনোজ উৎপল ঘোষকে খুনের কথা স্বীকার করেছে।অন্যদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই গলসি থানায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মহিলারা। তাদের দাবি, পুলিশ নির্দোষ ব্যক্তিদের গ্রাম থেকে তুলে এনেছে। মৃত উৎপল ঘোষের কাকা ভরত ঘোষ দাবী করেন, প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার বহিরাগত লোক নিয়ে এসে বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। তিনি বলেন, আগুন লাগানো আমরা সমর্থন করি না। আইনি পথেই আমরা চাইছি দোষী শাস্তি পাক। বাড়িতে আগুন লাগানোর সময় পুলিশ উপস্থিত ছিল বলেই অভিযোগ। পুলিশের চখের সামনেই বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। পুলিশের ধরপাকড়ের ভয়ে এই মুহুর্তে পুরুষশূন্য সন্তোষপুর। গ্রামে চলছে র্যাফের টহল।

এপ্রিল ০৫, ২০২২
রাজ্য

বগটুইয়ের ছায়া গলসিতে, প্রতিবাদী স্বামীকে নৃশংস হত্যা, গ্রেফতার 'বন্ধু', আগুন ধরাল ক্ষিপ্ত জনতা

স্ত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় স্বামীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল বন্ধু। ধৃতের নাম মনোজ ঘোষ। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্তোষপুরে। প্রতিবেশী উৎপল ঘোষ(৩৩)কে নৃশংস ভাবে খুনের অভিযোগে গলসি থানার পুলিশ সোমবার দুপুরে মনোজকে গ্রেপ্তার করে।পুলিশের দাবি, ধৃত মনোজ জেরায় উৎপল ঘোষকে খুনের কথা কবুলও করেছে।এই খুনের ঘটনায় আর কেউ মনোজের সহযোগী ছিল কিনা তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। মৃতের পরিবার পুলিশের কাছে অভিযুক্ত মনোজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। গলসির সন্তোষপুরের বাসিন্দা উৎপল ঘোষ পেশায় মৎসজীবী। গ্রামের পুকুরে তিনি মাছ চাষ করতেন।তাঁদেরই প্রতিবেশী মনোজ ঘোষ।মৃতের আত্মীয় শম্ভুনাথ পাণ্ডে জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতেই নিজের ৬ বছর বয়সী ছেলেকে পড়াচ্ছিলেন উৎপল। ওই সময়ে পরিচিত কেউ উৎপলকে ফোন করে ডাকে। সেই ফোন আসার পর উৎপল তাঁর ছোট ছেলেকে বাড়িতে স্ত্রীর কাছে রেখে বাইরে বের হয়।এরপর রাত আনুমানিক ৯ টা নাগাদ এলাকার লোকজন দেখেন গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে উৎপল। আর একটা কুড়ুলের ধারালো অংশ তাঁর মাথায় গেঁথে রয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌছায়। কুড়ুলটি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি পুলিশ উৎপলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এলাকারই যুবক মনোজ ঘোষের সঙ্গে পুরানো শত্রুতা ছিল উৎপলের। কি কারণে শত্রুতা তৈরি হয়েছিল তা জানার জন্য পুলিশ মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। পুলিশ জানতে পেরেছে, উৎপলের স্ত্রীকে প্রায়সই উত্যক্ত করতো মনোজ। সেটা মেনে নিতে না পেরে উৎপল প্রতিবাদ করে। আর তার কারণেই উৎপলের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে মনোজের। এমনটা জানার পরেই পুলিশ মনোজের খোঁজ চালানো শুরু করে। রাতেইএলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ মনোজকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।এদিন সকালে পুলিশ উৎপলের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে পাঠিয়ে মনোজকে মারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জেরায় মনোজ স্বীকার করে নেয়, ফোন করে উৎপলকে পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে সে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে তাকে খুন করেছে। জেরায় এই কথা কবুল করার পরেই গলসি থানার পুলিশ এদিন বিকালে মনোজ ঘোঘকে গ্রেপ্তার করে। উৎপলকে খুনের ঘটনার মনোজকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এই খবর সন্তোষপুরে পৌছাতেই গ্রামে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। তারইমধ্যে ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে উৎপল ঘোষের মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরলে এলাকাবাসীর ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। উত্তেজিত এলাকার লোকজন এর পরেই চড়াও হয় মনোজ ও তাঁর জ্যাঠা এবং কাকার বাড়িতে। তারা মনোজের বাড়িতে থাকা একটি বাইক ও মনোজের জ্যাঠার বাড়িতে থাকা একটি চারচাকা গাড়ি ও বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমনকি মনোজের কাকার বাড়ির একটি ট্র্যাক্টর ও খড়ের পালুইতেও উত্তেজিত এলাকাবাসী আগুন ধরিয়ে দেয়।দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌছে বেশ কিছু সময়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। মৃতের আত্মীয় শম্ভুনাথ পাণ্ডে জানান, উৎপলের স্ত্রীকে নানা ভাবে উত্যক্ত করতো মনোজ। স্ত্রীর কাছ থেকে সেই কথা জানার পর উৎপল তার প্রতিবাদ জানিয়ে মনোজকে শোধরানোর কথা বলে। কিন্তু শোধরানো দূরের কথা, উল্টে মনোজ উত্যক্ত করেই যেত উৎপলের স্ত্রীকে। এই ঘটনা মেনে নিতে না পেরে উৎপল কিছু দিন আগে গলসি থানায় গিয়ে মনোজের বিরুদ্ধে অভিযোগও জানিয়ে ছিল। পুলিশ মনোজকে ধমক দিয়ে শোধরানোর কথা বলে তখনকার মতো ছেড়ে দেয়।তবে থানায় অভিযোগ জানানোর চটে গিয়ে মনোজের বাড়ির লোকজন উৎপলের বাড়িতে চড়াও হয়ে উৎপলকে প্রাণে মেরে দেবার হুমকি দিয়ে যায়। শম্ভুনাথ পাণ্ডে বলেন, সেই থেকে দুই পরিবারের মধ্যে তৈরি হয় বিবাদ। তবে হুমকি মতোই মনোজ যে এত পরিকল্পনা করে নৃশংস ভাবে উৎপলকে প্রাণে মরে দেবে তা আমরা ও পাড়া প্রতিবেশীর কেউ কল্পনাও করতে পারেননি।

এপ্রিল ০৪, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু একই পরিবারের চার সদস্যসহ পাঁচজনের

সোমবার ভোরে ডাম্পারের সঙ্গে টোটোর সংঘর্ষে বর্ধমান বোলপুর জাতীয় সড়কের ঝিঙ্গুটিতে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। ভয়াবহ এই পথ দুর্ঘটনাই মৃত্যু হল একই পরিবারের চার সদস্যের। স্থানীয় মানুষের কথা অনুযায়ী সকলেই দুর্ঘটনা স্থলেই মারা যান। মৃতরা হলেন গঙ্গা সাঁতরা(৬৫), সরস্বতী সাঁতরা(৫৯), সীমা সাঁতরা(৪০),মামণি সাঁতরা(৩২) এবং টোটোচালক মইনউদ্দিন মিদ্যা(৩৬)।ভোর পাঁচটা নাগাদ একটি একটি টোটোতে চেপে একই পরিবারের চারজন মাছ ধরার উদ্দ্যেশ্যে যাচ্ছিলেন। এদের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের পালিতপুর গ্রামে। টোটোচালক মইনউদ্দিনের বাড়ি সিজেপাড়া এলাকায়। জানা গেছে গ্রাম থেকে টোটোটি বর্ধমান সিউড়ি রোডে উঠতেই গুসকরার দিক থেকে একটি পাথর বোঝাই ডাম্পার সজোরে ধাক্কা মারে টোটোটিকে। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় টোটোচালক সহ পাঁচ জনের। পুলিশ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে। আটক করা হয়েছে ঘাতক ডাম্পারটিকে। তবে এই দুর্ঘটনার পর পলাতক ডাম্পারের চালক ও খালাসি।

এপ্রিল ০৪, ২০২২
রাজ্য

সারা ভারত আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় জিমনাস্টিক প্রতিযোগীতায় স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক জয় রাজমিস্ত্রির মেয়ে রোজিনার

সরা ভারত আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় জিমনাস্টিক প্রতিযোগীতায় অংশনিয়ে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলো পূর্ব বর্ধমানের কন্যা রোজিনা মির্জা। ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই প্রতিযোগীতা ২৯ মার্চ শুরু হয় পাঞ্জাবের অমৃতসরে। সেখানেই ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় চুড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীতা। প্রতিযোগীতায় সার্বিক ভাবে দ্বিতীয় স্থান লাভ করার জন্য বঙ্গতনয়া রোজিনা রৌপ্য পদক লাভ করেছে। এছাড়াও টেবিল ভল্টে প্রথম স্থান অর্জন করা ও টিম চাম্পিয়ান হওয়ার জন্যেও রোজিনা দুটি স্বর্ণ পদক ও ট্রফি লাভ করেছে। রোজিনার এই সাফল্যে খুশি তাঁর কোচ, পরিবার পরিজন ও গুরুনানক দেব ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। রোজিনা মির্জার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়নার নাড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতের শংকরপুর গ্রামে। তাঁর বাবা মির্জা কাশেম আলী পেশায় রাজমিস্ত্রী। মা সাবিলা মির্জা সাধারণ গৃহবধূ। কাশেম আলীর তিন মেয়ের মধ্যে রোজিনা সবার ছোট। ছোট বয়স থেকেই রোজিনার জিমনাস্টিক্সের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। তখন সে তাঁর কাকা মির্জা হাসেম আলীর সহযোগীতা নিয়ে গ্রামের মাঠে জিমনাস্টিক অনুশীলন করতো। ওই সময়েই জিমনাস্টিকে তাঁর প্রতিভার প্রকাশ ঘটতে শুরু করে। রোজিনা গ্রামের স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করে। এর পর পরিবারের লোকজন তাঁকে কলকাতার সুকান্তনগর বিদ্যানিকেতনে ভর্তি করেন। সেখানে পড়াশুনার পাশাপাশি রোজিনা কলকাতার সাই (Aports Authority of India) জিমনাস্টিকের কোচিং নেওয়াও শুরু করে। কঠোর অনুশীলন চালিয়ে গিয়ে স্কুল জীবনেই রোজিনা জিমনাস্টিকে ৪ বার বেঙ্গল চাম্পিয়ান হয়। পরে ২০১৫ সালে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে রোজিনা স্বর্ণ পদক ছিনিয়ে নিয়ে আসে। কলকাতার স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর সেখানকার কলেজে বি, প্রথম বর্ষে ভর্তি হয় রোজিনা। কলকাতায় অনুশীলন করার সময়ে সে পায়ে গুরুতর চোট পায়। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পায়ের চিকিৎসা চলে। তার কারণে তাঁর কলেজ যাওয়াও বন্ধ হয়ে থাকে। পায়ের চোট পুরোপুরি সারলে তারপর ২০২০ সালে রোজিনা পাঞ্জাবের গুরুনানক দেব ইউনিভার্সিটি অধীন অমৃতসরে খালসা কলেজে বি এ প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়। পাঞ্জাবে থেকে পড়াশুনা চালিয়ে যাবার পাশাপাশি সেখানে কোচের তত্বাবধানে রোজিনা জিমনাস্টিকের অনুশীলনও চালিয়ে যাচ্ছে।রোজিনা জানিয়েছে, ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি অ্যাসোসিয়েশন সরা ভারত আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় জিমনাস্টিক প্রতিযোগীতার আয়োজন করে। ২৯ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অমৃতসরে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রতিযোগীতায় দেশের ১৯২ টি বিশ্ববিদ্যালয়েয় প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। রোজিনা জানায় সেই প্রতিযোগীতায় আর্টিস্টিক জিমনাস্টিকে সে মহিলা বিভাগে গুরুনানক দেব ইউনিভার্সিটির য়ে প্রতিনিধিত্ব করে। সেই প্রতিযোগীতায় সার্বিক ভাবে সে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে রৌপ্য পদক ও ট্রফি পায়। এছাড়াও টেবিল ভল্টে স্বর্ণ পদক ও টিম চাম্পিয়ান হওয়ার জন্যে আরও একটি স্বর্ণ পদক ও ট্রফি পয়েছে বলে রোজিনা মির্জা জানিয়েছে। সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগীতায় পদক প্রাপ্তিতে রোজিনা যথেষ্টই খুশি। তবে এখন তাঁর লক্ষ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে পদক ছিনিয়ে আনা।

এপ্রিল ০৪, ২০২২
রাজ্য

ভর দুপুরে দুঃসাহসিক চুরি বর্ধমানে

দিন-দুপুরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসির আসকরন গ্রামে। চুরির তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ। শনিবার দুপুরে আসকরন গ্রামের বাসিন্দা সেখ নুর মহম্মদের বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগে খিরকীর দরজার পাশ দিয়ে পাঁচিল টপকে বাড়ির ভিতরে ঢুকে দুস্কৃতিরা। কয়েক ভরি সোনার গহনা ও নগদ অর্থ নিয়ে দুস্কৃতিরা চম্পট দেয়। প্রতিবেশীদের অনুমান, এদিন বাড়িতে কেউ না থাকায় দুস্কৃতিরা বাড়ির গ্রীলের চাবি ভেঙে ভিতরে ঢোকে। এছাড়া এদিন বাড়িতে কেউ না থাকায় দুস্কৃতিদের বাড়ির গ্রীলের চাবি ভাঙতে সুবিধা হয়ে যায়। আলমারি ও ডিভান খাটের চাবি ভেঙে জিনিস পত্র বাড়ির মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয় দুষ্কৃতিরা। সেখানে থাকা নগদ অর্থ ও সোনার গহনা নিয়ে চম্পট তারা দেয়। বাইরে থেকে গ্রীল ও বাড়ির দরজা খোলা দেখে প্রতিবেশিরা গলসি থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঠিক কত টাকা ও কতটা গহনা চুরি হয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই চুরির ঘটনায় স্থানীয় মানুশজন আতঙ্কে আছেন।

এপ্রিল ০৩, ২০২২
রাজ্য

এ যেন, জেলা জুড়ে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের মেলা চলছে

বর্ধমানের লাকুর্ডি এলাকা থেকে ৪টি বন্দুক, ৮ রাউণ্ড গুলি সহ গ্রেফতার হল এক দুস্কৃতি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে লাকুর্ডি এলাকা থেকে নাজেম শেখকে গ্রেফতার করে। ধৃতের কাছ থেকে ৩৪ রাউণ্ড গুলিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃত নাজেম শেখ নদীয়া জেলার হাটগাছা এলাকার বাসিন্দা। সে নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে বর্ধমানে সাপ্লাই করতো বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। শুক্রবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।এর পাশাপাশি লাকুর্ডি এলাকা থেকে তিনটি ব্যাগে ৩৪ টি বোমা ও উদ্ধার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। গতকাল রাতে এই বোমাগুলি লাকুর্ডি এলাকায় একটি খোলা জায়গায় পরে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ জায়গাটি ঘিরে রেখেছে। খবর দেওয়া হয়েছে বোম স্কোয়াড টিমকে। আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত নাজেম শেখের উদ্ধার হওয়া এই বোমার সাথে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা সে বিষয়টাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এপ্রিল ০১, ২০২২
রাজ্য

পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বর্ধমানে রাস্তায় নামলো মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস

রান্নার গ্যাস সহ পেট্রোপণ্যের অস্বাভিক মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নামলো মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। আজ বর্ধমান শহরে বর্ধমান দক্ষিন-র বিধায়ক খোকন দাসের নেতৃত্বে পোষ্টার হাতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদের রাজপথে হাটলো মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যারা।বৃহস্পতিবার বর্ধমান শহরের টাউনহল থেকে শুরু হয়ে বিসি রোড হয়ে রাজবাড়ী পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করলো তারা। এই মিছিল থেকে রান্নার গ্যাস ও পেট্রোল ডিজেলের দাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারকে ধিক্কার জানানো হয়। অবিলম্বে এই বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করার দাবি তোলা হয়। মিছিল শেষে এদিন একটি পথসভা করা হয়।পথসভাতে বর্ধমান শহরের তৃণমূল নেতৃত্ব বলেন, যে হারে জ্বালানি গ্যাসের দাম বেড়ে চেলেছে তাতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষজন চরম অসুবিধার সন্মুখিন হচ্ছেন। তাঁরা বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া ভাঁওতা উজালা প্রকল্পের ওভেন ও গ্যাস সিলিন্ডার মানুষের খাটের তলায় স্থান পেয়েছে। অবিলম্বে এই পরিস্থিতি সামাল নে দেওয়া গেলে সাধারণ মানুষ চড়ম বিপাকে পরবে।

মার্চ ৩১, ২০২২
রাজ্য

প্রতিবন্ধী শংসাপত্র না পেয়ে গলসির বিডিওর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রতিবন্ধীরা

প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পেতে চাওয়া প্রতিবন্ধীদের হয়রানির শিকার হওয়া বন্ধে প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাস্তবে ঘটে চলেছে ঠিক তার উল্টোটাই। প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পাবার জন্য বুধবার প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও অনেক প্রতিবন্ধী সকাল থেকে পূর্ব বর্ধমানের গলসির পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লাইন দেন। কিন্তু সারাটা দিন লাইনে অপেক্ষমান থেকেও অনেক প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পাওয়ার ডাকই পান না। আর তার কারণে এদিন তুমুল অশান্তি বেঁধে যায় পুরসা হাসপাতালে। প্রতিবন্ধী শংসাপত্র না পাওয়ায় জন্য গলসি ১ ব্লক প্রশাসনকে দায়ী করে হাসপাতাল চত্ত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন লাইনে দাঁড়ানো প্রতিবন্ধী ও তাঁদের পরিবার সদস্যরা। বিডিও দেবলীনা দাস দূর হাটো ও হায় হায় স্লোগান তাঁরা দিতে থাকেন। উত্তেজনা চরমে উঠলে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালে প্রতিবন্ধীদের বিক্ষোভের জন্য প্রশাসনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন গলসির পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাজাহান শেখ। তিনি জানান, গলসি ১ ব্লক প্রশাসন থেকে জানানো হয় ব্লকের ৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিবন্ধীদের ৩০ মার্চ পুরসা হাসপাতালে আসতে হবে। ব্লক প্রশাসন থেকে এই বার্তা আসার পর প্রতিটি বুথ এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যদের দিয়ে মাইকিং করা। সেইমত ৯টি পঞ্চায়েত এলাকার বহু প্রতিবন্ধী এদিন সকাল পুরসা হাসপাতালে পৌছে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন । তার পর দীর্ঘ সময় বাদে প্রতিবন্ধীদের অনেকে জানতে পারেন , দুয়ারে সরকারে ক্যাম্পে ,আবেদন করা প্রতিবন্ধীদেরই শুধুমাত্র পুরসা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দেওয়া হবে। আর তা জানার পরেই হাসপাতাল চত্ত্বরে চরম বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে ।গলসির অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, গলসি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস এখনও পর্যন্ত ব্লকের কোথাও প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পাবার ক্যাম্প করেননি ।বিডিও অফিসের এমন গাফিলতির জন্যই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের কটুক্তি হজম করতে হয়।ক্যাম্প না হওয়ায় এলাকার শতশত প্রতিবন্ধীও হয়রানির শিকার হচ্ছেন,। এই বিষয়ে গলসি ১ ব্লকের যুগ্ম বিডিও দীপঙ্কর রায় জানান,কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য এদিন এমন সমস্যা হয়েছে। তাছাড়াও এদিন পরিসেবা দেওয়ায় পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাক্তার আসতে পারেননি। তবে খুব শীঘ্রই প্রতিবন্ধীদের শংসাপত্র প্রদানের জন্য শিবিরের আয়োজন করা হবে।

মার্চ ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বিতর্কের রেশ রেখেই কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হল

মঙ্গলবার কালনার মহকুমাশাসকের দফতরে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল। ১৬ই মার্চ কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার ঘটনা ঘটে। কালনার সমস্ত কাউন্সিলররা সেদিন শপথগ্রহণ করলেও চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়নি সেদিন।পরবর্তী সময় তৃণমূলেরই দুই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে কলকাতায় তলব করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপর সেই পুরনো সিদ্ধান্তেই সিলমোহর পড়ে তৃণমূল দলের তরফে। চেয়ারম্যান হিসেবে আনন্দ দত্ত এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে তপন পোড়োলের নাম ঘোষিত হয়।মঙ্গলবার কালনা মহকুমাশাসকের দফতরে চেয়ারম্যান পদে আনন্দ দত্ত এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তপন পোড়েল শপথগ্রহণ করেন। যদিও চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান শপথগ্রহণের আগে দলেরই বিক্ষুব্ধ এগারো জন কাউন্সিলর এদিন একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করেন। সেখানে তাঁরা জানান মুখ্যমন্ত্রীর কথা চিন্তা করেই তারা এ সিদ্ধান্ত মানছেন। এরপর শপথগ্রহণ শেষে বেশ কিছু কাউন্সিলার এদিন পৌরসভায় হাজির হবেন না বলে চেয়ারম্যানকে সরাসরি জানিয়ে দেন। যদিও উভয় পক্ষই এ বিষয়ে সেইভাবে কোনো বিতর্ক বাড়াইনি।

মার্চ ২৯, ২০২২
রাজ্য

রাস্তার দাবীতে পঞ্চায়েত অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভ বর্ধমানে

রাস্তার দাবীতে পঞ্চায়েতে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত খুলতে না দেওয়ার হুমকিও দেয়। লাঠী,টাঙ্গী, হাঁসুয়া,কুড়ুল ও তীরধনুক নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হল গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার বর্ধমান-১ নম্বর ব্লকের বণ্ডুল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বণ্ডুল আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দারা বিক্ষোভে সামিল হন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২০১৪ সাল থেকে গ্রামের রাস্তার দাবী প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েও সুরাহা না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েতে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান।তাদের দাবী না মানা পর্যন্ত তারা এই বিক্ষোভ দেখাবেন।যদিও পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সেখ গোলাম নবী জানিয়েছেন, সমস্যার কথা তাদের জানা। জমি সমস্যার জন্যই রাস্তাটি করা যাচ্ছে না। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য যে জমির প্রয়োজন তা ব্যক্তি মালিকানায় থাকায় সমস্যা হচ্ছে। জমির মালিকরা জমি দিতে চাইছেন না। বিডিওকে জানিয়েছি বিষয়টা। ঘন্টা খানেক বিক্ষোভ চলার পর বর্ধমান-১ নম্বর ব্লকের বিডিও মৃণালকান্তি বিশ্বাসের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে। বিডিও জানান খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধানের জন্য সব পক্ষ নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।

মার্চ ২৯, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 13
  • 14
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • ...
  • 32
  • 33
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

অজানা ফোন কল থেকে সাবধান! ১ কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার পান্ডা

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নামে পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের নাম করে প্রতারণা। গ্রেপ্তার এক। গ্রেপ্তার করলে বিধানগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চৌধুরী একটি ফোন কল আসে। সেখানে তাকে বলা হয় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আপনি ঘর বন্ধ থাকবেন। কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। এবং ধাপে ধাপে চারদিন ধরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে নির্মল বিজয় নামে রাজস্থানের বাসিন্দার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতকাল নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

কসবা কাণ্ডে মদন মিত্র ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা, তৃণমূলের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল বলছে, দল দুই নেতার মন্তব্য সমর্থন করে না। কার্যত এই দুই নেতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করছে। বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অপরাধীদের সমর্থন করতে চাইছে এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে হবে না। আইন বা পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। স্টুডেন্টরা যদি তাঁদের সহপাঠিনীকে রেপ করা তা প্যাথিটিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি পুলিশ থাকবে? মূল অভিযুক্ত যে প্রাক্তনী তা এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যান। এদিকে এই দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।তৃণমূল বলছে আমাদের অবস্থান স্পষ্টমহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
নিবন্ধ

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে রসুনের উপকারিতা জানুন

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সাধারণত বেড়ে যায় এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক এক চক্র। কয়েকটি কারণে বর্ষাকালে সাপের আনাগোনা বাড়ে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বন্যা ও জল জমা, সাপ সাধারণত মাটির গর্তে বাস করে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে যাওয়ায় তারা শুকনো জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় খোঁজা, বৃষ্টিতে সাপ আশ্রয় নিতে খোঁজে শুকনো ও উষ্ণ জায়গাযেমন: বাড়ির বারান্দা, রান্নাঘর, গ্যারেজ, বা স্টোররুম। এছাড়াও সাপ খাবারের খোঁজে বসতিতে ঢুকে পরে। ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব বর্ষাকালে উঁচু ডাঙ্গা জমি, বসত বাড়িতে উঠে আসে, তাদের অনুসরন করে সাপ মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকা বনাঞ্চল বা জলাভূমির পাশে, সেখানে বর্ষায় সাপ চলাচল বেশি হয়।সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদে দূরে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক স্প্রে করেন কেউ কেউ। কিন্তু আমাদের বাড়িতেই এক ভেষজ সবসমই থাকে সেই রসুন ব্যাবহার করে সাপ থেকে দূরে থাকা যায় বলে অনেকের-ই ধারণা। সাপের আসা-যাওয়ার পথে রসুন দেওয়ার পেছনে একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস রয়েছে। এটি মূলত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:কেন রসুন দেওয়া হয়?তীব্র গন্ধ: রসুনের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র এবং এটি অনেক প্রাণীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর। কিছু মানুষের ধারণা যে সাপ তাদের সংবেদনশীল জিহ্বা (জ্যাকবসন অঙ্গ) দিয়ে পরিবেশের গন্ধ বোঝে, আর রসুনের তীব্র গন্ধ তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।রসুনে অ্যালিসিনের মতো সালফার সমৃদ্ধ যৌগ থাকে, যা তীব্র গন্ধ তৈরি করে। এই গন্ধ সাপের সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলিকে (বিশেষ করে জ্যাকবসন অঙ্গ, যা তারা তাদের জিহ্বার মাধ্যমে পরিবেশকে ঘ্রাণ নিতে ব্যবহার করে) জ্বালাতন করতে পারে বা অভিভূত করতে পারে।লোকবিশ্বাস ও অভ্যাসঃ গ্রামাঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রসুন, পেঁয়াজ, নিমম বা কর্পূর ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ দূরে রাখার চেষ্টা চলে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই, তবুও অনেকেই এটাকে কার্যকর মনে করেন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে রসুন ব্যবহার একটি বিকল্প পদ্ধতি।বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এখনও সরাসরি প্রমাণ নেই যে রসুন সাপকে নিশ্চিতভাবে তাড়াতে পারে। তবে কিছু গবেষণা বলেছে, সাপ সাধারণত তীব্র গন্ধ বা ঝাঁঝালো রাসায়নিক এড়িয়ে চলে, তাই কিছু ক্ষেত্রে রসুন কার্যকর হতে পারে।রসুন ব্যবহার পদ্ধতিঃ১। রসুন থেঁতো করে সাপের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন।২। রসুন ও লবণের মিশ্রণ একটি কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।৩। রসুন তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ব্যবহার করেন অনেকে (সতর্কতার সঙ্গে)।তবে মনে রাখবেনঃ১। সাপ তাড়ানোর জন্য রেসকিউ টিম বা স্থানীয় বন দপ্তরে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়।২। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার, ঘাসছাঁটা রাখা, ইঁদুর-মুরগির আনাগোনা কমানোএসব বেশি কার্যকর।সাপ তাড়ানোর জন্য কিছু নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো, যা আপনি রসুনের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন:পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়)১। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড়, লম্বা ঘাস, ময়লা, কাঠের গুঁড়ি বা ইটের স্তূপ থাকলে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।২। পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।৩। ইঁদুর বা ছোট প্রাণী থাকলে সাপ আসতে পারে, এদের নিয়ন্ত্রণ করুন।প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো করে মিশিয়ে সাপের চলাচলের পথে ছড়িয়ে দিন। আপনি চাইলে সেগুলোর রস করেও স্প্রে করতে পারেন।২. লবণ ও চুনঃ চুন ও লবণ (নুন) মিশিয়ে দেয়ালে বা জানালার আশপাশে ছিটিয়ে রাখুন৩. নিমের পাতা ও তেলঃ নিমের তেল সাপদের প্রচণ্ড অপছন্দের জিনিস। এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাপের আসা যাওয়ার পথে স্প্রে করতে পারেন।৪. সাদা ভিনিগারঃ ভিনিগার ও লবণ মিশিয়ে সাপের চলার পথে স্প্রে করুন। মাটির গন্ধ নষ্ট হওয়ায় সাপ এড়িয়ে চলে।কম্পন ও শব্দ ব্যবহারঃসাপ শব্দ-সংবেদনশীল (কম্পনে সাড়া দেয়)। মাটি কাঁপায় এমন যন্ত্র (যেমন: হাতুড়ি দিয়ে ঠোকাঠুকি), বা ব্যাটারিচালিত কম্পন-ডিভাইস সাপ দূরে রাখতে পারে।পোষা প্রাণীঃ কুকুর (দেশী বা বিদেশি) সাপের উপস্থিতি টের পেলে ঘন ঘন ডাকতে থাকে। গ্রামের অনেক বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার ফলে সাপ আসার সম্ভাবনা কমে যায়।যা করবেন নাঃসাপ দেখলে নিজে রিস্ক নিয়ে তাড়াতে যাবেন না।, পেট্রোল, অ্যাসিড বা আগুন ব্যবহার করবেন না। সাপটিকে না মেড়ে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপতভাবে বিষাক্ত মনে হলেও সাপ সামাজের ভারসাম্য রাখতে বিরাট ভুমিকা নেয়। সাপ দেখলে বা সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় বন দফতর বা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলের (snake rescuer) সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার বনদপ্তরে ফোন করে সাহায্য নিন। এছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যাঁরা বসতি থেকে সাপ গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে অরণ্যে পৌছাতে সাহায্য করেন। যেমন, বর্ধমান জেলায় তথাগত পাল আছেন, যিনি তাঁর দৈনন্দিন পেশার কঠিন চাপের ফাঁকেও এই ধরনের নোবেল জব করতে ভালবাসেন।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

এলাকায় মদের দোকান তৈরির প্রতিবাদে গাইঘাটার ইছাপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ইছাপুরে গোল্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানের উদ্বোধন হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দাবি মানুষকে বোকা বানাতে রেস্টুরেন্ট বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে হবে মদের দোকান, একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে এমই দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এবং ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিছিল করে এসে দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, দোকান মালিক পাশের জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্ট কাম বারের লাইসেন্স বানিয়েছে।এলাকায় মদের দোকান হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, নারী নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে ধ্বংস হবে যুবসমাজ। ফলে তারা কোনভাবেই মদের দোকান হতে দেবেন না। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভে শামিল হন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর । কোনভাবেই এখানে মদের দোকান হতে দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে মালিক পক্ষের দাবি, তাদের যেকোনো লাইসেন্স থাকতে পারে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্টই তৈরি হবে।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী ও মডেল 'কাঁটা লাগা গার্ল'-এর অকাল মৃত্যু, শোকের ছায়া শিল্পী মহলে

মাত্র ৪২ বছরে মৃত্য়ু হল মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী মডেলের। শেফালি জারিওয়ালা শুক্রবার মুম্বাইয়ে মারা গেছেন। জানা গিয়েছে, তার স্বামী পরাগ ত্যাগী এবং আরও তিনজন তাকে বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।মুম্বাই পুলিশের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আন্ধেরি এলাকায় নিজের বাসভবনে মেডেলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ রাত ১টায় এই খবর পেয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।শেফালি জারিওয়ালা ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকের হিট কাঁটা লাগা গানের মিউজিক ভিডিওতে তার অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান। এমনকি এই গানটি তাকে কাঁটা লাগা গার্ল উপাধিও এনে দেয়। এরপর তিনি সলমান খানের মুঝসে শাদি কারোগিতে অভিনয় করেন। পরে, তিনি সলমানের সঞ্চালনায় রিয়েলিটি শো, বিগ বস ১৩-তেও অংশ নেন। ২০০৪ সালে, শেফালি মিট ব্রাদার্স খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হরমিত সিংয়ের সাথে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০০৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৫ সালে, তিনি অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সেলিব্রিটিরা শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। আমি গভীরভাবে মর্মাহত, শোকাহত। আমাদের প্রিয় তারকা এবং আমার প্রিয় বন্ধু @শেফালিজারিওয়ালা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার অনুগ্রহ, হাসি এবং চেতনার জন্য তোমাকে সর্বদা স্মরণ করব। ওম শান্তি,। গায়ক মিকা সিং X-তে তার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। রাজীব আদাতিয়া, কাম্যা পাঞ্জাবি, আলি গনি সহ আরও সেলিব্রিটিরা অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠি লিখেছেন, এটা অবিশ্বাস্য। আমরা পরিবারের জন্য মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমার বন্ধু শেফালি জারিওয়ালা আর নেই শুনে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম। শেষবার আমি তার সঙ্গে একটি পার্টিতে দেখা করেছিলাম। জীবন এত ছোট। সে আমার সাথে #BiggBoss13 তে ছিল।

জুন ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal