• ৩ পৌষ ১৪৩২, রবিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

India

খেলার দুনিয়া

‌Ind vs Eng Test : ম্যাঞ্চেস্টারের ভারত–ইংল্যান্ড স্থগিত টেস্ট হবে সামনের বছর জুলাইয়ে

ভারতীয় দলের কয়েকজন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সেপ্টেম্বরে ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ভারতইংল্যান্ড টেস্ট স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। ২০২২র জুলাইয়ে আবার সেই টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নয়, এই টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে এজবাস্টননে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতইংল্যান্ডের পঞ্চম টেস্ট যখন স্থগিত হয়ে যায়, তখন ২১ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়েছিল ভারত। বাতিল হওয়ার পর টেস্টের ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ইংল্যান্ড চেয়েছিল তাদের জয়ী ঘোষণা করা হোক। ভারতীয় শিবির রাজি হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়ে বাতিল টেস্ট ম্যাচের জন্য সবরকম ক্ষতিপূরণ দেবে। পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছিল, ২০২২ সালের সফরে গিয়ে একটা অতিরিক্ত টি২০ ম্যাচও খেলতে রাজি। আর যদি স্থগিত হয়ে যাওয়া টেস্ট খেলতে হয়, তাহলে তা ওই ৫ টেস্টের সিরিজের অংশ বলে গন্য হবে না। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তারা আইসিসির ডিসপুট রেজিলিউশন কমিটির কাছে সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য আবেদন জানায়। অবশেষে ইংল্যান্ড বোর্ডেরই জয় হল। কারণ, তারা চেয়েছিল ভারত আবার ইংল্যান্ডে গিয়ে অসমাপ্ত সিরিজ খেলুক। অর্থাৎ আগামী বছর ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে জো রুটদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে বিরাট কোহলিদের। এই টেস্টের পরই নিশ্চিত হবে ভারত সিরিজ জিতল কিনা। ১ জুলাই থেকে এজবাস্টনে হবে অনু্ষ্ঠিত হবে অসমাপ্ত টেস্ট। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফু ফাইটার্স ও রেড হট চিলি পেপার্সের কনসার্ট রয়েছে। তাই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের পরিবর্তে এজবাস্টনে টেস্ট সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে স্থগিত হওয়া টেস্ট হবে বলে ভারতইংল্যান্ড সীমিত ওভারের ক্রিকেট সিরিজও এক সপ্তাহ পিছিয়ে যাচ্ছে। একদিনের ম্যাচের পরিবর্তে এজবাস্টনে ৯ জুলাই টি২০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

অক্টোবর ২২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌T20 WC -Wasim Akram : আক্রামের মতে কোহলির সমকক্ষ হতে বাবর আজমের সময় লাগবে

ভারতপাকিস্তান দ্বৈরথের আগে সবসময় তুলনায় চলে আসেন দুই দলের অধিনায়ক। ২৪ অক্টোবর বিশ্বকাপ অভিযানে নামবে ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশের মহারণের আগেই তুলনায় টানা শুরু হয়ে গেছে বিরাট কোহলি ও বাবর আজমের মধ্যে। কারও মতে বিরাট কোহলি পাকিস্তান অধিনায়কের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। কেউ আবার মনে করছেন, দুজনের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রাম মনে করেন, কোহলির সমকক্ষ হতে বাবার আজমের সময় লাগবে। বাবর এখন উন্নতির পর্যায়ে রয়েছে। আক্রাম বলেছেন, বিরাট কোহলি, কোহলিই। ওর সঙ্গে এই মুহূর্তে কারও তুলনা করা উচিত নয়। কোহলি বিশ্ব ক্রিকেটে আধিপত্য দেখিয়ে এসেছে। প্রচুর রান করেছে। দেশকে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাবর আজম সবে মাত্র একবছর হল দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তবে একটা কথা বলব, দক্ষতার দিক থেকে বাবর দুর্দান্ত। সব ধরণের ফর্ম্যাটে দারুণ ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছে। নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টা ভালভাবে শিখছে। দ্রুত শেখার ক্ষমতা আছে। এই মুহূর্তে বিরাট কোহলির সঙ্গে বাবরের তুলনা করাটা ঠিক হবে না। কোহলি এখন যে অবস্থায় আছে বাবর ভবিষ্যতে নিশ্চিতভাবেই সেইদিকে এগিয়ে যাবে। মাত্র এক বছর হল সব ধরণের ফরম্যাটে দেশকে নেতৃত্বে দিচ্ছেন বাবর আজম। ইতিমধ্যেই তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা প্রশংসিত হচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটের র্যাঙ্কিংয়েও কোহলিকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। টি২০ ক্রিকেটে বিশ্বকাপের পরেই দেশের নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তর কথা ঘোষণা করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাঁর নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে অবাক ওয়াসিম আক্রাম। তিনি বলেছেন, টি২০ ক্রিকেটে বিরাট কোহলির নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে আমি অবাক। তবে একটা কথা বলব, বর্তমান পরিস্থিতিতে একসঙ্গে তিন ধরণের ফরম্যাটে খেলা খুবই কঠিন। আর আইপিএল তো চতুর্থ ফরম্যাট। এই প্রতিযোগিতাতেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো চাপ থাকে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যর্থ হলেই মালিকদের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। তবে টি২০ ক্রিকেটে নেতৃত্ব ছাড়ায় কোহলির লাভ হবে বলে মনে করছেন ওয়াসিম আক্রাম। তাঁর যুক্তি, এর ফলে কোহলি অনেক চাপমুক্ত হয়ে ভরডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারবে।

অক্টোবর ২২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Virat Kohli vs Babar Azam : কোহলি–বাবর মুখোমুখি লড়াইয়ে কে এগিয়ে?‌ টি২০ বিশ্বকাপের আগে দ্বৈরথে দুই অধিনায়ক

২৪ অক্টোবর আগামী রবিবার টি২০ বিশ্বকাপের দ্বৈরথ ভারত ও পাকিস্তানের। ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন বিরাট কোহলি, অন্যদিকে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেবেন বাবর আজম। টি২০ বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে এই দুজন প্রথমবার মুখোমুখি হবেন। এতদিন টি২০ বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। অন্যদিকে, পাকিস্তান বেশ কয়েকজনের নেতৃত্বে ভারতের বিরুদ্ধে টি২০ বিশ্বকাপে মাঠে নেমেছে। ভারতপাকিস্তান ম্যাচ এলেই তুলনা এসে যায় দুই দলের অধিনায়কের। বিরাট কোহলি ও বাবর আজমও অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম নন।টি২০ ফরম্যাটে বিরাট কোহলির থেকে এগিয়ে রয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। টি২০ আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে এই মুহূর্তে বাবর আজম রয়েছেন দু নম্বরে। অন্যদিকে বিরাট কোহলি রয়েছেন চার নম্বরে। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন বাবর আজম। আইসিসির বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক রয়েছেন ১ নম্বরে। অন্যদিকে বিরাট কোহলি রয়েছেন দুই নম্বরে। শুধু মাত্র টেস্ট ক্রিকেটেই বাবর আজমের থেকে এগিয়ে রয়েছেন কোহলি। তাও আবার খুব বেশি এগিয়ে নেই। কোহলি রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে, আর বাবর আজম রয়েছেন সাত নম্বরে।বিরাট কোহলির পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি২০ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও বাবর আজমের নেই। এই প্রথম টি২০ ফরম্যাটে ভারতের বিরুদ্ধে খেলবেন বাবর আজম, তাও আবার অধিনায়ক হিসেবে। আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটে বাবার আজম ৬১ ম্যাচে ২২০৪ রান করেছেন। গড় ৪৬.৮৯, স্ট্রাইক রেট ১৩০.৬৪। সর্বোচ্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১২২। ১টি শতরান ও ২০টি অর্ধশতরান রয়েছে বাবরের। ২০২১ সালে ১৭ ম্যাচে ৫২৩ রান করেছেন, সর্বোচ্চ ১২২। গড় ৩৭.৩৫, স্ট্রাইক রেট ১৩২.৭৪। ১টি শতরান ও ৪টি অর্ধশতরান রয়েছে।অন্যদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন বিরাট কোহলি। প্রথম খেলেছিলেন ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় টি২০ বিশ্বকাপে। ৬১ বলে অপরাজিত ৭৮ রান করে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন। ওই বছরই দেশের মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজে বেঙ্গালুরুতে ৯ রান করেছিলেন কোহলি। আমেদাবাদে করেন ২৭। ২০১৪ সালে ঢাকায় টি২০ বিশ্বকাপে ৩৬ রান করে দলকে জিতিয়েছিলেন কোহলি। ২০১৬ সালে এশিয়া কাপে ৫১ বলে ৪৯ রান করে ম্যাচের সেরা হন বিরাট কোহলি। ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপে ইডেনে ৩৭ বলে অপরাজিত ৫৫ রান করেন তিনি। ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ ম্যাচে কোহলির সংগ্রহ ২৫৪ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৮। গড় ৮৪.৬৬, স্ট্রাইক রেট ১১৮.৬৯। ২টি অর্ধশতরান রয়েছে।

অক্টোবর ২১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌‌India vs Pakistan : ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে কোন দুজন ক্রিকেটার পার্থক্য গড়ে দেবেন?‌ জানতে পড়ুন

ক্রিকেট মাঠে ভরতপাকিস্তান দ্বৈরথ মানেই অন্য উত্তেজনা। প্রচন্ড চাপ নিয়ে মাঠে নামতে হয় দুদেশের ক্রিকেটারদের। তবে সবথেকে বেশি চাপে থাকেন দুই দেশের অধিনায়ক। ব্যর্থ হলেই সমালোচনার তির ধেয়ে আসে তাঁদের দিকে। কারণ, অধিনায়কদের সামান্য ভুলই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়। ২৪ অক্টোবর টি২০ বিশ্বকাপে ভারতপাকিস্তান ম্যাচে বিরাট কোহলি ও বাবর আজমের মস্তিষ্কই ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন পাকিস্তানের ব্যাটিং পরামর্শদাতা ম্যাথু হেডেন।অস্ট্রেলিয়ার এই প্রাক্তন ক্রিকেটার মনে করেন ভারতপাকিস্তান ম্যাচে দলকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দেওয়াটাই আসল ব্যাপার। অধিনায়কদের সামান্য ভুলই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। হেডেন বলেছেন, ভারতপাকিস্তান ম্যাচে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে দুই দেশের অধিনায়কের ভুমিকা। এই ম্যাচে দলকে সুচারুভাবে পরিচালনা করাই আসল। অধিনায়কের সামান্য ভুল ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেবে। আরব আমীরশাহীর পরিবেশে ছোটখাট ভুলই মারাত্মক হয়ে দাঁড়াবে।হেডেন মনে করেন, অধিনায়কদের ব্যক্তিগত পারফরমেন্স দলের সাফল্যে খুব একটা প্রভাব ফেলে না। এই ব্যাপারে তিনি তুলে ধরেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও ইওয়িন মর্গ্যানের উদাহরণ। আইপিএলে ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ এই দুই অধিনায়ক। অথচ তাঁদের নেতৃত্বে আইপিএল ফাইনালে উঠেছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। হেডেন বলেছেন, আইপিএলেমহেন্দ্র সিং ধোনি ও ইওয়িন মর্গ্যানের ব্যক্তিগত পারফরমেন্স খুবই খারাপ ছিল। ব্যাট হাতে রান পায়নি। কিন্তু দুজনই দলকে দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছিল।পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম অধিনায়ক হিসেবে দারুণ ভুমিকা পালন করছেন বলে মনে করেন হেডেন। তাঁর মতে ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে বিশ্বকাপে দুই দেশের অধিনায়ককেই চাপ নিয়ে মাঠে নামতে হবে বলে হেডেন মনে করেন। তাঁর কথায়, দলকে জেতানোর জন্য কোহলি ও বাবরের ওপর চাপ থাকবে। বাবর অবশ্য দলকে খুব ভাল নেতৃত্ব দিচ্ছে। ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করছে। আশা করছি পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও নিজেকে মেলে ধরবে।

অক্টোবর ২১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : নেতা রোহিত, বল হাতে কোহলি, প্রস্তুতি ম্যাচে চমক ভারতের

টি২০ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চমক ভারতের। তবে হার্দিক পান্ডিয়ার হাত ধরে নয়, চমক এল রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির হাত ধরে। বিরাট কোহলি মাঠে থাকতেও অ্যারন ফিঞ্চের দলের বিরুদ্ধে নেতৃত্বের আর্ম ব্যান্ড রোহিত শর্মার হাতে। এখানেই শেষ নয়, অধিনায়ক রোহিত বল করতে ডাকেন বিরাট কোহলিকে। চমক ছাড়া আর কীই বা বলবেন? বিশ্বকাপে তাহলে কি ষষ্ঠ বোলারের দায়িত্ব পালন করবেন কোহলি? এদিন বল হাতে হয়তো তার মহড়া দিয়ে নিলেন।২৪ অক্টোবর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি২০ বিশ্বকাপে মাঠে নামা আগে প্রথম একাদশ গুছিয়ে নেওয়ার এটাই শেষ সুযোগ ছিল ভারতের কাছে। ফিল্ডিং করতে নামলেও ব্যাটার কোহলিকে এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল যশপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সামিকেও। নজর ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দিকে। এদিনও তিনি বোলিং করেননি। টসের সময় রোহিত বলেছিলেন, হার্দিক কয়েকদিনের মধ্যেই নেটে বোলিং শুরু করবে। আশা করছি প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগেই বোলিং করার মতো জায়গায় চলে আসবে। ষষ্ঠ বোলারের অভাব মেটাতেই হয়ত বল হাতে তুলে নেন কোহলি। ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে দেন ১২ রান।এদিন ভারতের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও ডেভিড ওয়ার্নার ব্যর্থ। মাত্র ১ রান করে তিনি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হন। মিচেল মার্শ (০), অ্যারন ফিঞ্চও (৮) ব্যর্থ। স্টিভ স্মিথ (৫৭), ম্যাক্সওয়েল (৩৭), স্টয়নিসের (অপরাজিত ৪১) দাপুটে ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫২ তোলে অস্ট্রেলিয়া। এদিন বরুণ চক্রবর্তীকে খেলানো হয়েছিল। ২ ওভারে তিনি ২৩ রান দেন। শার্দূল ঠাকুর, রবীন্দ্র জাদেজারা বল হাতে নিজেদের মেলে ধরতে না পারলেও নজর কাড়লেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রাহুল চাহাররা।অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাটিং অর্ডারে এদিন কিছুটা রদবদল করা হয়েছিল। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন রোহিত। এই জুটিই বিশ্বকাপে ওপেন করবেন। জুটিতে ওঠে ৬৮। লোকেশ ৩৯ রান করে আউট হন। তিন নম্বে নেমে সূর্যকুমার যাদেব ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। রোহিত শর্মা ৬০ রান করে অবসর নেন। হার্দিক পান্ডিয়া ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৭.৫ ওভারে ১৫৩/১ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।

অক্টোবর ২০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

DHONI-INDIYA : ধোনিকে ড্রেসিংরুমে পেয়ে উদ্দীপ্ত টিম ইন্ডিয়া

টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেয়েছে ভারত। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও ঈশান কিষান। রান পেয়েছেন ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নামা ঋষভ পন্থও। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটাররা পরীক্ষিত হলেও চিন্তা থেকে গেছে হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রস্তুতিতে ম্যাচে প্রথম একাদশ বেছে নেওয়ার শেষ সুযোগ।সবকটি টি২০ বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এবারও তিনি ভারতের ড্রেসিংরুমে থাকবেন। তবে মেন্টর হিসেবে। এটাই উদ্দীপ্ত করছে কোহলি ব্রিগেডকে। ধোনির ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্ক দলের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা নেবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত গোটা দল। যেমন ওপেনার লোকেশ রাহুল বলেছেন, ধোনির আবার দলের সঙ্গে যোগ দেওয়াটা দারুণ ব্যাপার। আমরা তাঁর অধিনায়কত্বে খেলেছি। তখনও ধোনিকে আমরা মেন্টর হিসেবেই দেখতাম। যখন ধোনি অধিনায়ক ছিলেন তখনও তাঁর ড্রেসিংরুমের উপস্থিতি আমাদের ভালো লাগত। ভালো লাগত তাঁর শান্ত স্বভাব। যেভাবে চাপের মুখেও ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলান তা শিক্ষণীয়। ধোনিকে ভারতীয় দলে আমাদের মধ্যে পেয়ে যেমন পরিস্থিতি উপভোগ করছি, তেমনই অনেক মজাও হচ্ছে।ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে খেলানো হয়নি রোহিত শর্মা ও বরুণ চক্রবর্তীকে। শার্দুল ঠাকুরকে দিয়ে বোলিংও করাননি বিরাট। তিনি বলেছিলেন, প্রথম ম্যাচের প্রথম একাদশ প্রায় ঠিকই রয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচে সকলকেই ম্যাচ প্র্যাকটিসের সুযোগ দিয়ে দেখে নেওয়া হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে এই তিন ক্রিকেটারকে খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই ম্যাচেই প্রথম একাদশ ঠিক করে নিতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। যশপ্রীত বুমরা প্রথম একাদশে থাকবেনই। মহম্মদ শামি ইংল্যান্ড ম্যাচে দারুণ বোলিং করে চাপ বাড়িয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমারের উপর। ইংল্যান্ড ম্যাচে ভুবি চার ওভারে ৫৪ রান দিয়েছেন। তাঁর পরিবর্তে তৃতীয় সিমার হিসেবে খেলানো হতে পারে শার্দুল ঠাকুরকে।স্পিনার হিসেবে ভাবা হয়েছে রবীন্দ্র জাদেজা, বরুণ চক্রবর্তী ও রাহুল চাহারকে। তবে অনেকে মনে করছেন, অভিজ্ঞতার নিরিখে চাহারের পরিবর্তে অশ্বিনে আস্থা রাখতেই পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে হার্দিক পাণ্ডিয়ার বোলিং করতে না পারা ভারতের পারফরম্যান্সে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলেই দাবি তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কপিল দেবের।

অক্টোবর ১৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

K‌apil Dev-Hardik Pandya: কপিলের মতে, হার্দিক বোলিং না করলেও প্রভাব পড়বে না

অলরাউন্ডার হিসেবে ভারতের টি২০ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। অথচ বিশ্বকাপে তাঁর বল করা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পিঠে চোটের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বোলিং করছেন না। এমনকি আইপিএলেও তাঁকে বল হাতে দেখা যায়নি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৪ অক্টোবর বিশ্বকাপ অভিযানে নামার আগে হার্দিকের বোলিং করতে না পারাটাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।অনেকের মতে বিশ্বকাপে টি২০ বিশ্বকাপে হার্দিক যদি বোলিং না করেন, তাহলে ভারতের কাছে সেটা বড় ধাক্কা। কারণ বিরাট কোহলির কাছে বোলিং অপশন কমে যাবে। ভারতের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব অবশ্য মনে করছেন, হার্দিক বোলিং না করলেও কোনও প্রভাব পড়বে না। হার্দিকের অভাব মিটিয়ে দেওয়ার মতো বোলিং শক্তি ভারতীয় দলের রয়েছে। কপিলদেব বলেছেন, অলরাউন্ডার দলের মধ্যে থাকলে পার্থক্য গড়ে দেয়। বিশ্বকাপে হার্দিক যদি বোলিং নাও করে, তবুও ভারতের সাফল্যে প্রভাব পড়বে না। হয়তো বিরাট কোহলির কাছে বোলিং অপশন কমে যাবে। দলে অলরাউন্ডার থাকলে অধিনায়কের হাতে অপশন বেড়ে যায়, একজন বোলার ব্যর্থ হলে অলরাউন্ডারের হাতে বল তুলে দিতে পারে।কপিলদেব আরও বলেছেন, হার্দিকের মতো প্রতিভা দলের সম্পদ। যদি ২ ওভারও বোলিং করতে পারে তাহলে দলে অনেকটা ফ্লেক্সিবিলিটি আসবে। তবে আমার মনে হয় ওর অভাব মিটিয়ে দেওয়ার মতো ক্ষমতা ভারতীয় দলের রয়েছে। পিঠে চোট থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বোলিং করছেন না। আইপিএল চলাকালীন নেটে বোলিং করলেও ম্যাচে করেননি। কপিলদেব মনে করেন, একজন অলরাউন্ডারের পক্ষে সম্পূর্ণ চোট সারিয়ে মাঠে ফেরা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। আত্মবিশ্বাস ফিরতে সময় লাগে। তাঁর কথায়, যদি নেটে ৪০৫০টা বল করতে পারে, তাহলে ম্যাচে বোলিং করার মতো আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে। না হলে কিন্তু ম্যাচে বোলিং করার মতো আত্মবিশ্বাস ফিরবে না।আইপিএলে বোলিং না করলেও অনেকে আশা করেছিলেন, টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে বোলিং করবেন হার্দিক। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে অবশ্য তাঁর হাতে বল তুলে দেননি কোহলি। বুধবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। এই ম্যাচেও সকলের নজর থাকবে হার্দিকে ওপর। যদি তিনি বোলিং না করেন, সত্যিই সমস্যায় পড়তে হবে ভারতকে। কারণ বিরাট কোহলির হাতে বোলিং অপশন কমে যাবে। হার্দিককে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলালে ষষ্ঠ বোলারের অভাবে ভুগতে হবে ভারতকে।

অক্টোবর ১৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌T20 World Cup : প্রস্তুতি ম্যাচে ভারত জিতলেও প্রশ্ন থেকে গেল হার্দিককে নিয়ে

টি২০ বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে সব দলের লক্ষ্য থাকে টিম কম্বিনেশন দেখে নেওয়া। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের প্রস্তুতি ম্যাচে সকলের নজর ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দিকে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বোলিং না করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। আদৌও সম্পূর্ণ সুস্থ তো হার্দিক? আইপিএলে একটা ম্যাচেও বোলিং করেননি। প্রস্তুতি ম্যাচে বোলিং করেন কিনা সেটাই ছিল দেখার। না, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও বল হাতে দেখা গেল না হার্দিককে। বিশ্বকাপে তঁার বল করা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল। হার্দিক পরীক্ষায় পাশ না করলেও, উত্তীর্ণ ঈশান কিষান। তাঁর সামনেও ছিল বড় পরীক্ষা। ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মার সঙ্গে কে জুটি বাঁধবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। যদিও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামার আগে টস করার সময়ই কোহলি ধোঁয়াশা দূর করে দিয়েছিলেন রোহিতের সঙ্গী হিসেবে লোকেশ রাহুলের নাম ঘোষণা করে। তিন নম্বরে নামবেন কোহলি নিজে। তাহলে ঈশান কিষান? হয়তো প্রথম একাদশের বাইরেই থাকতে হবে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে যেভাবে ব্যাটিং করলেন, তাঁকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখা কঠিন হবে। এদিন ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু করেছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জেসন রয় (১৭) ও জস বাটলার (১৮)। মহম্মদ সামি প্রথম ব্রেক থ্রু দেন বাটলারকে তুলে নিয়ে। জেসন রয়কেও তিনি ফেরান। দাওইদ মালানকে (১৮) আউট করেন রাহুল চাহার। এরপর ইংল্যান্ডকে টেনে নিয়ে যান জনি বেয়ারস্টো ও লিভিংস্টোন। লিভিংস্টোনকে (৩০) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন সামি। বুমরার দুরন্ত ইয়র্কারে বোল্ড হন বেয়ারস্টো (৪৯)। শেষ দিকে মঈন আলির (২০ বলে অপরাজিত ৪৩) ঝড়ে ২০ ওভারে ১৮৮/৫ রানে পৌঁছয় ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও ঈশান কিষান দারুণ শুরু করেছিলেন। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৮২। এরপর মার্ক উডের বলে আউট হন লোকেশ রাহুল (২৪ বলে ৫৪)। ঈশান কিশান ৪৬ বলে করেন ৭০। দুই ওপেনার দাপট দেখালেও গেলেও প্রস্তুতি ম্যাচে রান নেই কোহলি ( ১৩ বলে ১১), সূর্যকুমারদের (৮) ব্যাটে। লোকেশ ও ঈশানই ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন। বাকি কাজ সারেন ঋষভ পন্থ (১৪ বলে অপরাজিত ২৯) ও হার্দিক পান্ডিয়া (১০ বলে অপরাজিত ১২)। ১ ওভার বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় ভারতের (১৯২/৩)।

অক্টোবর ১৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T‌‌20 World Cup : কোহলির নেতৃত্বে ভারত কি বিশ্বকাপ জিততে পারবে? ভবিষ্যতবানী ইঞ্জিনিয়ারের

মাস খানেক আগেই বিরাট কোহলি ঘোষণা করেছিলেন, টি২০ বিশ্বকাপের পরই এই ফর্ম্যাটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। সেই অর্থে এটাই কোহলির কাছে নেতা হিসেবে শেষ বিশ্বকাপ। দেশের অধিনায়ক হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত কোনও আইসিসির কোনও টুর্ণামেন্টে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। অধিনায়ক হিসেবে শেষ টি২০ বিশ্বকাপে ছাপ রেখে যেতে মরিয়া হবেন কোহলি। ভারতের প্রাক্তন উইকেটকিপার ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারও মনে করছেন কোহলির নেতৃত্বে ভারত এবার বিশ্বকাপ জিতবে। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন, এবছর টি২০ বিশ্বকাপ জেতার দারুণ সুযোগ আছে কোহলির কাছে। বড় টুর্ণামেন্টে ভারত বরাবরই প্রভাব দেখিয়ে এসেছে। এবারও দেখাবে। কোহলির নেতৃত্বেই ভারত এবার চ্যাম্পিয়ন হবে। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে খুব ভাল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কোহলি। এই ভারতীয় দলে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, যশপ্রীত বুমরা, ঋষভ পন্থরা যে কোনও পরিস্থিতিতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। কোহলির নেতৃত্বেরও দারুণ প্রশংসা করেছেন ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বলেন, বিরাট দুর্দান্ত অধিনায়ক। দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কদের আসনে অনায়াসে ওকে বসানো যায়। কোহলির এনার্জি, পরিকল্পনা, প্রভাব বিস্তার করার দক্ষতা, নিজেকে প্রয়োগ ক্ষমতা এককথায় অসাধারন। দলের শক্তির রসদ জোগাড় করে। জেতার জন্য সবসময় ক্ষুধার্ত থাকে। রানের প্রচুর খিদে রয়েছে। এই কারণেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ওর জন্যই দলের ফিটনেস লেভেল দুর্দান্ত। সতীর্থদের কাছ থেকে সেরাটা বার করে নিয়ে আসার ব্যাপারে কোহলির জুড়ি মেলা বার বলেও মনে করেন ভারতের এই প্রাক্তন উইকেটকিপার। ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, কোন সময় সতীর্থদের কীভাবে ব্যবহার করতে হয় কোহলি খুব ভালভাবেই জানে। দলে বেশ কয়েকজন ম্যাচ উইনারকে পেয়েছে। এদের মধ্যে বুমরা, হার্দিক অন্যতম। টি২০ বিশ্বকাপের জন্য নিজের মতো করে দলটাকে সাজিয়ে নিয়েছে। আমার বিশ্বাস, কোহলির নেতৃত্বেই ভারত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবে।

অক্টোবর ১৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Sourav Ganguly : টি২০ বিশ্বকাপের আগে কোহলিদের কী পরামর্শ দিলেন সৌরভ?‌

টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের খেলা শুরু হয়েছে। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে টি২০ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ভারত। ২০০৭এ মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারপর থেকে খেতাব অধরা থেকে গেছে। প্রতিবারই অন্যতম ফেবারিট হিসেবে প্রতিযোগিতায় খেলতে নামে ভারত। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। অধিনায়ক হিসেবে এবছরই শেষ টি২০ বিশ্বকাপ বিরাট কোহলির। খেতাব জিততে মরিয়া কোহলি। এবছরও অন্যতম ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবে ভারত। মাঠে নামার আগে ভারতীয় দলকে সতর্ক করে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। নিজের দেশকে অন্যতম ফেবারিট হিসেবে অভিহিত করে একগুচ্ছ পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। সৌরভ গাঙ্গুলি ভারতীয় দলকে সতর্ক করে বলেছেন, ভারতীয় দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো প্রতিভা রয়েছে। তবে একটু পরিণতিবোধ দরকার। বিশ্বকাপে একগুচ্ছ ম্যাচ খেলতে হবে। ক্রিকেটাররা যদি শুরু থেকেই ভেবে নেয় যে চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছে, সেটা বোকামি হবে। একেকটা ম্যাচ ধরে এগোতে হবে। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ফাইনালে জিততে হবে। তার জন্য ধাপে ধাপে এগোতে হবে। কাজটা কিন্তু ততটা সহজ নয়। কোনও টুর্নামেন্টে নামলেই চ্যাম্পিয়ন হওয়াও যায় না। একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। নিজেদের খেলায় পরিণতভাব দেখানোটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুরু থেকেই যদি চ্যাম্পিয়নের কথা মাথায় ঢুকে যায়, তাহলে ফোকাস ঠিক রাখতে পারবে না। সৌরভ আরও বলেছেন, ভারতের এই দলে প্রতিভার কোনও অভাব নেই। রান করা বা উইকেট নেওয়ার দক্ষতাসম্পন্ন ক্রিকেটাররাই বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়েছে। মানসিকভাবে ভাল অবস্থায় থাকলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব। ভারতীয় দলে যে প্রতিভার ছড়াছড়ি, সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সৌরভ। তঁার কথায়, দলে প্রতিভাবান ক্রিকেটারের অভাব নেই। প্রত্যেকের ব্যাট হাতে রান তোলার দক্ষতা রয়েছে, বল হাতে উইকেটও তুলে নিতে পারে। বিশ্বকাপ জিততে এসেছি এমন মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিংয়ের সময় গার্ড নেওয়া উচিত নয়। তাতে গোটা প্রক্রিয়াটি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায়। যে বলের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেটা কতটা সঠিকভাবে খেলা যায় তার ওপর ফোকাস রাখা উচিত। ফাইনালে ওঠা না পর্যন্ত এমনটাই করতে হবে। আইপিএলের পরেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে টি২০ বিশ্বকাপ। আইপিএলের ম্যাচগুলি যেখানে খেলা হয়েছে সেখানেই হবে বিশ্বকাপের খেলা। তবে তাতে পিচগুলি মন্থর হবে না বলেই ধারণা সৌরভের। তবে শারজার উইকেট মন্থর আচরণ করতে পারে মনে করছেন তিনি। সৌরভের কথায়, শারজার উইকেটে একটু কম রান উঠতে পারে। দুবাইয়ে সেই সমস্যা নেই। আইপিএল ফাইনালেও উইকেট ভাল আচরণ করেছে। তবে সবথেকে ভাল উইকেট আবু ধাবিতে। বিশ্বকাপের আদর্শ উইকেট।

অক্টোবর ১৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

SAFF Championship : মেসিকে স্পর্শ সুনীলের, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আধিপত্য ভারতের

লিগ পর্বে প্রথম দুটি ম্যাচে ড্র করে একসময় ফাইনালে ওঠাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। শেষ দুটি ম্যাচ জিতে ফাইনালের ছাড়পত্র। অবশেষে নেপালকে ৩০ ব্যবধানে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আধিপত্য বজায় রাখল ভারত। এই নিয়ে ৮ বার চ্যাম্পিয়ন হল। ২০১৫ সালে কেরলে আফগানিস্তানকে হারিয়ে শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সুনীল ছেত্রিরা। ফাইনালেও গোল করে লিওনেল মেসিকে স্পর্শ করলেন সুনীল। নেপালের বিরুদ্ধে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মাঠে নামার আগে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক বলেছিলেন, তাঁর দল যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী, তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী নয়। সুনীল ছেত্রিরা যে সত্যিই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন, ম্যাচের শুরু থেকেই তার প্রমাণ মিলেছে। লিগ পর্যায়ের মতো এদিনও রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছিল নেপাল। ওই ম্যাচের না হয় আলাদা উদ্দেশ্য ছিল। ১ পয়েন্ট পেলেই ফাইনালের ছাড়পত্র পেয়ে যেত নেপাল। ফাইনালে তো আর সেই ব্যাপার ছিল না। আসলে নেপাল কোচ আব্দুল্লাহ আলমুতাইরির লক্ষ্য ছিল শক্তিশালী ভারতের বিরুদ্ধে রক্ষণ শক্ত করে প্রতিআক্রমণভিত্তিক ফুটবল খেলা। রক্ষণে জাল বিছিয়ে রেখেছিলেন নেপাল কোচ। ফলে বারবার আক্রমণে উঠে গিয়েও তিন কাঠি খুঁজে পাচ্ছিলেন না সুনীল ছেত্রি, মনবীর সিংরা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ ঝড় তুলেছিল ভারত। ৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও এসেছিল। মহম্মদ ইয়াসিরের দুরপাল্লার শট আংশিক প্রতিহত করেন নেপাল গোলকিপার লিম্বু। ফিরতি বল যায় অনিরুদ্ধ থাপার কাছে। তাঁর শট আবার বাঁচান নেপাল গোলকিপার। ৬ মিনিটে প্রতি আক্রমণে উঠে এসে গোল করার সুযোগ পেয়েছিল নেপাল। নোয়াং শ্রেষ্ঠা কাজে লাগেতে পারেননি। বারবার আক্রমণ তুলে নিয়ে এলেও নেপাল পেনাল্টি বক্সে রক্ষণের ভুলে খেই হারিয়ে ফেলছিলেন মনবীররা। তবে প্রথমার্ধে সবথেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সুনীল ছেত্রি। ডানদিক থেকে মহম্মদ ইয়াসিরের ভেসে আসা সেন্টার সুবিধাজনক জায়গা থেকেও জালে রাখতে পারেননি সুনীল। তাঁর ভলি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মালদ্বীপের বিরুদ্ধে লিগের শেষ ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় ফাইনালে রিজার্ভ বেঞ্চে ছিলেন না ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক। তাঁর পরিবর্তে দল পরিচালনা করেন সহকারী কোচ বেঙ্কটেশ। ম্যাচের বিরতিতে তাঁর পেপ টকই বদলে দেয় ভারতীয় দলকে। প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ তুলে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন স্টিম্যাক। তাঁর পরামর্শেই দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় ভারত। শুরু থেকেই গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠেন সুনীলরা। মাঝখান দিয়ে আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে কোনও ফায়দা না ওঠায় দুপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন মহম্মদ ইয়াসির, প্রীতম কোটালরা। ফলও পেয়ে যায়।ম্যাচের ৪৯ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় ভারত। ডান প্রান্ত দিয়ে উঠে এসে সেন্টার করেন প্রীতম কোটাল। দুর্দান্ত হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সুনীল ছেত্রি। এই গোলের সঙ্গে সঙ্গে লিওনেল মেসিকে স্পর্শ করেন তিনি। দেশের হয়ে দুজনের গোল সংখ্যাই ৮০। এক মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ান সুরেশ সিং। মহম্মদ ইয়াসিরের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত শটে তিনি গোল করেন। ৯০ মিনিটে ভারতের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন সাহাল।

অক্টোবর ১৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Rahul Dravid : টি২০ বিশ্বকাপের পর দ্রাবিড়ের হাতেই যাচ্ছে বিরাট কোহলিদের দায়িত্ব

টি২০ বিশ্বকাপের পরপরই শেষ হচ্ছে ভারতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রীর মেয়াদ। তাঁর পরিবর্তে কে বিরাট কোহলিদের দায়িত্ব পাবেন, তা নিয়ে চলছিল জোর কল্পনা। ভেসে উঠছিল একাদিক নাম। সেই তালিকায় যেমন ভারতীয় কোচদের নাম ছিল, তেমনই ছিল বিদেশি কোচদের নাম। শেষ পর্যন্ত সবাইকে টপকে রবি শাস্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন রাহুল দ্রাবিড়। শুক্রবারই তঁার হাতে ভারতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রাহুল দ্রাবিড়ও শেষ পর্যন্ত রাজি হয়েছেনদীর্ঘদিন অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড়। পাশাপাশি ভারতীয় এ দলের দায়িত্বও তাঁর ওপর অর্পন করা হয়। পরে তাঁকে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকডেমির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েকমাস আগে শ্রীলঙ্কা সফরে তঁাকে শিখর ধাওয়ানদের কোচ করে পাঠানো হয়েছিল। তখন থেকেই সিনিয়র দলের হেড কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের নাম ভেসে উঠেছিল। কয়েকটা সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, তিনি নাকি বিরাট কোহলিদের কোচ হতে রাজি নন। এরপর অনিল কুম্বলে, ভিভিএস লক্ষ্মণ, মাহেলা জয়বর্ধনে, টম মুডিদের নাম উঠে আসে। টম মুডি নিজেও ভারতীয় দলের হেড কোচ হতে আগ্রহী ছিলেন। শেষ পর্যন্ত দ্রাবিড়ই হতে চলেছেন।শুক্রবার দুবাইয়ে আইপিএল ফাইনাল চলাকালীনই আলোচনায় বসেছিলেন ভারতীয় বোর্ডের শীর্ষ কর্তারা। বৈঠক থেকেই রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনিই দ্রাবিড়কে রাজি করান। প্রাথমিকভাবে ভারতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব নিতে রাজি ছিলেন না দ্রাবিড়। তিনি জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ডিরেক্টরের দায়িত্বই সামলাতে চেয়েছিলেন। অনেক টালবাহনার পর শেষ পর্যন্ত তিনি রাজি হন। তঁার সঙ্গে ২ বছরের চুক্তি করতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। দ্রাবিড়কে বছরে ১০ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলে বোর্ডের এক সূত্র থেকে জানা গেছে।দ্রাবিড়কে হেড কোচ করার পাশাপাশি পরশ মামরেকেও সিনিয়র দলের দায়িত্বে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভরত অরুণের পরিবর্তে তাঁকে বোলিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাহুল দ্রাবিড় ও পরশ মামরে জুটি বেঁধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করেছেন। সেই জুটিকেই আবার ভারতীয় সিনিয়র দলে দেখা যাবে। হেড কোচ ও বোলিং কোচ পরিবর্তন হলেও ব্যাটিং কোচে কোনও বদল ঘটছে না। বিক্রম রাঠোরের সঙ্গে পুনরায় চুক্তি করার পথে হাঁটছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

অক্টোবর ১৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

SAFF Final-Sunil Chettri : মেসিকে স্পর্শ নয়, দলকে চ্যাম্পিয়ন করাই লক্ষ্য সুনীল ছেত্রির

বয়স বাড়লেও দক্ষতায় এখনও মরচে ধরেনি। পরপর দুটি মরণবাঁচন ম্যাচে দলের ত্রাতা হয়ে উঠেছিলেন। গোল করে দলকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তুলেছেন। নেপালের বিরুদ্ধে ফাইনালে সেই সুনীল ছেত্রির দিকে তাকিয়ে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক। প্রতিযোগিতায় ইতিমধ্যেই ৪ ম্যাচে ৪ গোল করেছেন। এই মুহূর্তে দেশের জার্সি গায়ে তাঁর গোল সংখ্যা ৭৯। লিওনেল মেসির থেকে ১ গোল পেছনে। ফাইনালে ১ গোল করলেই সুনীল ছেত্রি ধরে ফেলবেন আর্জেন্টিনার তারকাকে। ব্যক্তিগত মাইলস্টোন নয়, দলকে চ্যাম্পিয়ন করাই লক্ষ্য সুনীলের। ফাইনালে নেপালের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, কাজ এখনও শেষ হয়নি।এক সময় ফাইনালের ছাড়পত্র পাওয়াই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। আর এখন খেতাব জয়ের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আরও একবার আধিপত্য কায়েম করার মুখে দাঁড়িয়ে ভারত। শনিবার ফাইনালে সামনে নেপাল। নেপালকে হারালেই ৮ বার খেতাব জয়ের স্বাদ পাবে ভারত। অন্যতম ফেবারিট হিসেবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে নেমেছিলেন সুনীল ছেত্রিরা। কিন্তু বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পরপর দুটি ম্যাচে ড্র অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছিল ভারতকে। লিগের শেষ দুটি ম্যাচে নেপাল ও মালদ্বীপের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না। শেষ দুটি ম্যাচে জ্বলে উঠে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন সুনীল ছেত্রি। ফাইনালে নেপালের বিরুদ্ধে ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নামবে ভারত। পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে নেপালের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ইগর স্টিম্যাকের দল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নামার আগে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ২২ বার। এরমধ্যে ভারত জিতেছে ১৫ বার, নেপাল জিতেছে দুটি ম্যাচে। ৫টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও ভারতের অনুকূলে। সেপ্টেম্বরে দুটি প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুদল। একটা ড্র হয়েছিল, একটায় ভারত জিতেছিল। গ্রুপ লিগের ম্যাচেও ভারত জিতেছিল। ফলে পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে ভারত এগিয়ে থেকেই মাঠে নামবে। নেপালের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে অবশ্য স্বস্তিতে নেই ভারতীয় শিবির। আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে পারবেন না কোচ ইগর স্টিম্যাক। চোটের জন্য ফারুখ চৌধুরি, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ ফাইনালে মাঠে নামতে পারবেন না। লাল কার্ড দেখায় নেই শুভাশিস বোসও। বিপক্ষ শিবিরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক। লিগ পর্যায়ে নেপালের বিরুদ্ধে জিতলেও ফাইনালে মাঠে নামার আগে ফুটবলাররা যাতে আত্মতুষ্টিতে না ভোগে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি স্টিম্যাকের। ফাইনালে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, দলের মধ্যে কোনও প্রকার আত্মতুষ্টি ঢুকতে দিইনি। আমাদের কী করতে হবে তা জাই। আত্মবিশ্বাস ও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম লাইন রয়েছে। সেই লাইন অতিক্রম করে ফুটবলাররা যাতে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী না হয়ে পড়ে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। লিগের শেষ দুটি ম্যাচ জিতে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছে, দাবি করেছেন স্টিম্যাক। তিনি বলেন, আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। ফুটবলাররা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। নেপাল আমাদের কাছে পরিচিত প্রতিপক্ষ। শেষ দুটি ম্যাচ জিতে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছে। তবে আমার অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী নই। গোলের জন্য সেই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রির দিকে তাকিয়ে ভারতীয় শিবির।

অক্টোবর ১৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

India Football Match : মেসির থেকে ১ গোল পেছনে সুনীল, সাফ চাম্পিয়নশিপে ফাইনালে ভারত

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিধর দেশ। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অন্য দলগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে এবছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে নেমেছিল ভারত। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম দুটি ম্যাচ ড্র করে চাপে পড়ে গিয়েছিল। নেপালকে হারিয়ে ফাইনালের আশা জিইয়ে রেখেছিল ইগর স্টিম্যাকের দল। মালদ্বীপকে ৩১ ব্যবধানে হারিয়ে অবশেষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত। আগের বারের ফাইনালে হারের মধুর প্রতিশোধ। জোড়া গোল করে ভারতের জয়ের নায়ক সুনীল ছেত্রি। ম্যাচের ৮০ মিনিটে লাল কার্ড দেখে রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে বেরিয়ে যেতে হয় ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাককে। লিগের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করে ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছিল নেপাল। ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে মালদ্বীপের ৩ ম্যাচে পয়েন্ট ছিল ৬। আর ভারতের ৫। ফলে ফাইনালে যেতে গেলে শেষ ম্যাচে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না ভারতীয় দলের সামনে। মরণবাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠলেন সুনীল ছেত্রি। ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে ভারত। সুনীলরা ফাইনালে খেলবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা নেপালের বিরুদ্ধে। মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ডু অর ডাই ম্যাচে প্রথম একাদশে পরিবর্তন করেননি ইগর স্টিম্যাক। নেপালের বিরুদ্ধে জয়ী দলকেই মাঠে নামিয়েছিলেন। এদিন শুরু থেকেই মালদ্বীপের চাপ ছিল। ম্যাচের ৯ মিনিটে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন আলি আশফাক। কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেন রাহুল বেকে। ১৩ মিনিটে আবার সুযোগ এসে গিয়েছিল মালদ্বীপের সামনে। সে যাত্রায় দলকে রক্ষা করেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু। ম্যাচের ২৬ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ভারতের সামনে। সুনীল ছেত্রির হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে এগিয়ে যায় ভারত। মনবীর সিংয়ের ডান পায়ের জোরালো শট জালে জড়িয়ে যায়। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে মালদ্বীপের হামজাকে ফাউল করেন প্রীতম কোটাল। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান আশফাক। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। ৪৮ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যায় ব্রেন্ডন। তাঁর পরিবর্তে মাঠে নামেন উদান্ত সিং। গোলের জন্য দ্বিতীয়ার্ধে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে মালদ্বীপ রক্ষণে। ম্যাচের ৬২ মিনিটে সুনীল ছেত্রির গোলে আবার এগিয়ে যায় ভারত। ২ মিনিট পরেই সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল মালদ্বীপের সামনে। গুরপ্রীত ভারতের পতন রোধ করেন। ৭১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন সুনীল ছেত্রি। এদিন ২ গোল করার সুবাদে দেশের হয়ে গোল করার দিক দিয়ে পেলেকে টপকে গেলেন তিনি। পেলের গোল সংখ্যা ৭৭। সুনীলের গোল সংখ্যা ৭৯। লিওনেল মেসির থেকে ১ গোল পেছনে। ম্যাচের একেবারে অন্তিম লগ্নে লাল কার্ড দেখেন ভারতের শুভাশিস বোস।

অক্টোবর ১৩, ২০২১
খেলার দুনিয়া

SAFF Championship : পেলেকে স্পর্শ সুনীলের, ফাইনালের স্বপ্ন ভারতের

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পরপর জুটি ম্যাচে ড্র করে দারুণ চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে গেলে নেপালের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না ভারতীয় দলের সামনে। মরণবাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠল ইগর স্টিম্যাকের দল। নেপালকে ১০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল। মরণবাঁচন ম্যাচে দেশের মান বাঁচালেন সুনীল ছেত্রি। পাশাপাশি এদিন গোল করে কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেকে স্পর্শ করলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। ভারতের কাছে যেমন এদিন ছিল মরণবাঁচন ম্যাচ, তেমনই সুনীল ছেত্রির কাছে ছিল পেলেকে ছোঁয়ার ম্যাচ। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে পেলে ৭৭ গোল করেছেন। নেপালের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে দেশের জার্সি গায়ে সুনীলের গোল সংখ্যা ছিল ৭৬। ম্যাচের ৮২ মিনিটে নেপালের জালে বল ঢুকিয়ে পেলের পাশে জায়গাআ করে নিলেন সুনীল ছেত্রি। নেপালের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেছিলেন ইগর স্টিম্যাক। তা সত্ত্বেও ভারতের খেলায় খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। প্রথমার্ধে ভারতকে তেমন ছন্দে দেখা যায়নি। বলার মতো একটা মাত্রই সুযোগ পেয়েছিল ইগর স্টিম্যাকের দল। ৩৪ মিনিটে প্রীতম কোটালের কাছ থেকে নেপাল পেনাল্টি বক্সে বল পেয়ে মাইনাস করেন সুরেশ। সুরেশ যখন মাইনাস করেন, সুনীলের সামনে কেউ ছিলেন না। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন সুনীল। প্রথমার্ধে কোনও দলই আর গোল করার সুযোগ পাননি। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ছন্নছাড়া ফুটবল। নেপালের লক্ষ্য ছিল ভারতকে কোনও রকমে আটকে দিয়ে ১ পয়েন্ট নিশ্চিত করা। তাহলেই ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাবে। তাই রক্ষণের দিকে বেশি নজর দিয়েছিল। নেপালের রক্ষণ ভেদ করতে পারছিলেন না সুনীলরা। তার মাঝেই ৫৭ মিনিটে ব্রেন্ডনের কর্ণারে সুবিধাজনক জায়গা থেকে নেপাল গোলকিপারের হাতে হেড করেন মনবীর সিং। ৭৭ মিনিটে আবার গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। ব্রেন্ডনের ফ্রিকিক বক্সের মধ্যে হেড করার চেষ্টা করেন সুনীল ছেত্রি। বল তাঁর মাথার পেছন দিকে লেগে যায় শুভাশিস বোসের কাছে। তাঁর হেড আটকে দেন নেপাল গোলকিপার কিরণ কুমার।শেষদিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। ৮০ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সুনীল ছেত্রি। বেশ কয়েকটা সুযোগ নষ্ট করার পর অবশেষে ৮২ মিনিটে লক্ষ্যভেদ ভারতীয় দলের অধিনায়কের। বাঁদিক থেকে ব্রেন্ডনের সেন্টার ফারুখ চৌধুরি হেডে নামিয়ে দিলে বাঁপায়ের সাইড ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন সুনীল। একই সঙ্গে ভারতের ফাইনালের স্বপ্নও জেগে রইল। ৩ ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট ৫। শেষ ম্যাচ খেলবে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা মালদ্বীপের সঙ্গে। জিতলেই ফাইনালে পৌঁছে যাবে ভারত। প্রতিযোগিতায় দেশকে টিকিয়ে রাখতে পেরে খুশি সুনীল ছেত্রি। ম্যাচের পর তিনি বলেন, গোলের সামনে আমরা বারবার ব্যর্থ হয়েছি। ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে পেরে ভাল লাগছে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পরপর জুটি ম্যাচে ড্র করে দারুণ চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে গেলে নেপালের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না ভারতীয় দলের সামনে। মরণবাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠল ইগর স্টিম্যাকের দল। নেপালকে ১০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল। মরণবাঁচন ম্যাচে দেশের মান বাঁচালেন সুনীল ছেত্রি। পাশাপাশি এদিন গোল করে কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেকে স্পর্শ করলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। ভারতের কাছে যেমন এদিন ছিল মরণবাঁচন ম্যাচ, তেমনই সুনীল ছেত্রির কাছে ছিল পেলেকে ছোঁয়ার ম্যাচ। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে পেলে ৭৭ গোল করেছেন। নেপালের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে দেশের জার্সি গায়ে সুনীলের গোল সংখ্যা ছিল ৭৬। ম্যাচের ৮২ মিনিটে নেপালের জালে বল ঢুকিয়ে পেলের পাশে জায়গাআ করে নিলেন সুনীল ছেত্রি। নেপালের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেছিলেন ইগর স্টিম্যাক। তা সত্ত্বেও ভারতের খেলায় খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। প্রথমার্ধে ভারতকে তেমন ছন্দে দেখা যায়নি। বলার মতো একটা মাত্রই সুযোগ পেয়েছিল ইগর স্টিম্যাকের দল। ৩৪ মিনিটে প্রীতম কোটালের কাছ থেকে নেপাল পেনাল্টি বক্সে বল পেয়ে মাইনাস করেন সুরেশ। সুরেশ যখন মাইনাস করেন, সুনীলের সামনে কেউ ছিলেন না। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন সুনীল। প্রথমার্ধে কোনও দলই আর গোল করার সুযোগ পাননি। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ছন্নছাড়া ফুটবল। নেপালের লক্ষ্য ছিল ভারতকে কোনও রকমে আটকে দিয়ে ১ পয়েন্ট নিশ্চিত করা। তাহলেই ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাবে। তাই রক্ষণের দিকে বেশি নজর দিয়েছিল। নেপালের রক্ষণ ভেদ করতে পারছিলেন না সুনীলরা। তার মাঝেই ৫৭ মিনিটে ব্রেন্ডনের কর্ণারে সুবিধাজনক জায়গা থেকে নেপাল গোলকিপারের হাতে হেড করেন মনবীর সিং। ৭৭ মিনিটে আবার গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। ব্রেন্ডনের ফ্রিকিক বক্সের মধ্যে হেড করার চেষ্টা করেন সুনীল ছেত্রি। বল তাঁর মাথার পেছন দিকে লেগে যায় শুভাশিস বোসের কাছে। তাঁর হেড আটকে দেন নেপাল গোলকিপার কিরণ কুমার।শেষদিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। ৮০ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সুনীল ছেত্রি। বেশ কয়েকটা সুযোগ নষ্ট করার পর অবশেষে ৮২ মিনিটে লক্ষ্যভেদ ভারতীয় দলের অধিনায়কের। বাঁদিক থেকে ব্রেন্ডনের সেন্টার ফারুখ চৌধুরি হেডে নামিয়ে দিলে বাঁপায়ের সাইড ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন সুনীল। একই সঙ্গে ভারতের ফাইনালের স্বপ্নও জেগে রইল। ৩ ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট ৫। শেষ ম্যাচ খেলবে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা মালদ্বীপের সঙ্গে। জিতলেই ফাইনালে পৌঁছে যাবে ভারত। প্রতিযোগিতায় দেশকে টিকিয়ে রাখতে পেরে খুশি সুনীল ছেত্রি। ম্যাচের পর তিনি বলেন, গোলের সামনে আমরা বারবার ব্যর্থ হয়েছি। ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে পেরে ভাল লাগছে।

অক্টোবর ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

SAFF Championship : নেপালের বিরুদ্ধে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মরণবাঁচন ম্যাচে নামছেন সুনীলরা

অনেক প্রত্যাশা নিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে নেমেছে ভারতীয় ফুটবল দল। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে প্রতিযোগিতার অন্য দলগুলির তুলনায় এগিয়ে থাকলেও প্রথম দুটি ম্যাচে সুনীল ছেত্রিদের পারফরমেন্স অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পরপর ড্র করে অস্তিত্ব সংকটে ভারত। ফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখতে গেলে রবিবার নেপালের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া রাস্তা নেই ইগর স্টিম্যাকের দলের সামনে। বলতে গেলে একপ্রকার ডু অর ডাই ম্যাচ।দু ম্যাচে জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে নেপাল। গ্রুপ শীর্ষে থাকা দলের বিরুদ্ধে লড়াই যে সহজ হবে না, সেকথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। মাস খানেক আগে এই নেপালের বিরুদ্ধে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন সুনীল ছেত্রিরা। একটা ড্র, আর একটা ম্যাচে জিতেছিল ভারত। প্রীতি ম্যাচ আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের মধ্যে আকাশপাতাল পার্থক্য। ফলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতের কাছে লড়াইটা যে যথেষ্ট কঠিন হবে, সেকথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক অবশ্য মনে করছেন, নেপালের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে তাঁর দল যে ফুটবল উপহার দিয়েছিল, তা তুলে ধরতে পারলে জেতা সমস্যা হবে না। নেপালকে হারিয়ে ফাইনালের লড়াইয়ে থাকার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। মরণবাঁচন ম্যাচে খেলতে নামার আগে স্টিম্যাক বলেন, নেপালের বিরুদ্ধে জিতলে আমরা ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে থাকব। সেপ্টেম্বরে ওদের বিরুদ্ধে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলাম। একে অপরের সম্পর্কে ধারণা আছে। তবে বিপক্ষের ওপর বেশি ফোকাস করতে চাই না। জিততে গেলে আমাদের নিজেদের খেলায় উন্নতি করতে হবে। আগের দুটি ম্যাচের মতো ভুল করলে চলবে না। গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। সুনীল ছেত্রি আটকে গেলেই গোল পেতে সমস্যা হচ্ছে ভারতের। প্রথম ম্যাচে মনবীর সিং নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। রিস্টন কোলাসোও ব্যর্থ। বাকিরাও পজিটিভ সুযোগ নষ্ট করছেন। এই অবস্থায় সেই অভিজ্ঞ সুনীল ছেত্রির দিকেই তাকিয়ে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক। নেপালের বিরুদ্ধে আবার প্রথম একাদশে পরিবর্তন করতে চলেছেন তিনি। মনবীরকে প্রথম একাদশে ফেরাতে পারেন। প্রথম একাদশে ফিরতে পারেন ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ ও প্রীতম কোটাল। প্রথম দুটি ম্যাচে ড্র করে অনেকটাই ভেঙে পড়ছিল গোটা ভারতীয় শিবির। কোচ ইগর স্টিম্যাক দলকে নতুন করে উদ্দীপ্ত করেছেন। অধিনায়ক সুনীল ছেত্রিও দলকে উদ্বুদ্ধ করার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। তিনিও তাকিয়ে পেলের রেকর্ড স্পর্শ করার দিকে।

অক্টোবর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

I‌ndia Coach : ভারতীয় কোচের দায়িত্ব আবার এক অস্ট্রেলিয়ানের হাতে?‌

ভারতীয় হেড কোচের দায়িত্ব কি আবার এক অস্ট্রেলিয়ানের হাতে যাবে? তেমন সম্ভাবনাই তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের কোচের পদে ঘোরাফেরা করা টম মুডির নাম আবার ভেসে উঠেছে। গ্রেগ চ্যাপেলের পর আবার এক অস্ট্রেলিয়ানের হাতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের দায়িত্ব অর্পিত হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। টি২০ বিশ্বকাপের পরই দায়িত্ব শেষ হচ্ছে হেড কোচ রবি শাস্ত্রীর। তাঁর পাশাপাশি অন্য কোচিং স্টাফদেরও মেয়াদ শেষ হবে। পুরো কোচিং স্টাফ খোলনলচে বদলে ফেলতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এর মধ্যে কে ভারতীয় দলের কোচ হবেন তা নিয়ে জোর কল্পনা। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি চেয়েছিলেন অনিল কুম্বলেকে হেড কোচ করতে। কিন্তু বোর্ডের অনেক কর্তারই আপত্তি কুম্বলেকে নিয়ে। কারণ এর আগে তিনি যখন কোচের দায়িত্বে ছিলেন, অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে সম্পর্ক বেশ খারাপ হয়েছিল কুম্বলের। সেই দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন দলে রয়েছেন। তাই কুম্বলেকে আবার কোচ হিসেবে চাইছেন না বাকি বোর্ড কর্তারা। তাছাড়া কুম্বলের বিরুদ্ধে যাচ্ছে আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের ব্যর্থতা। ভারতীয় দলের পাশাপাশি পাঞ্জাব কিংসের কোচ হিসেবেও তেমন কোনও ভাল রেকর্ড নেই কুম্বলের। তিনিও নাকি এখন আর কোচ হতে চাইছেন না। ভিভিএস লক্ষ্মণকেও হেড কোচের পদে বসানোয় সায় নেই অনেক বোর্ড কর্তার। রাহুল দ্রাবিড় এই মুহূর্তে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দায়িত্ব ছেড়ে বিরাট কোহলিদের দায়িত্ব নিতে রাজি নন। ফলে হেড কোচের জন্য বিদেশিদের দিকেই ঝুঁকছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বীরেন্দ্র শেহবাগ অবশ্য ভারতীয় দলের কোচ হতে আগ্রহী। কিন্তু তাঁর হেড কোচ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সহকারীর দায়িত্ব পেতে পারেন। মহম্মদ কাইফকে ফিল্ডিং কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে হে়ড কোচের দৌড়ে ভেসে বেড়াচ্ছে টম মুডির। ২০০৫ সালে যখন গ্রেগ চ্যাপেলকে কোচ করা হ্য তখনও টম মুডির নাম উঠেছিল। ২০১৭ ও ২০১৯ সালে তিনি কোচ হতে আগ্রহী ছিলেন। মুডি এখনও চাইছেন ভারতীয় দলের কোচ হতে। তাঁর কোচিংয়ে ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল।

অক্টোবর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌‌Ishan Kishan-Virat Kohli : টি২০ বিশ্বকাপের জন্য ঈশানকে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিরাট কোহলি?‌

আইপিএলে প্লে অফের জন্য এবছর ঈশান কিষান ও সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এই দুই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। স্বয়ং সুনীল গাভাসকার পর্যন্ত ঈশান কিষান ও সূ্র্যকুমার যাদবের তাগিদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। গাভাসকারের মনে হয়েছিল, ভারতীয় টি২০ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় আইপিএলে সেভাবে তাগিদ দেখাচ্ছেন না এই দুই ব্যাটসম্যান। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে ছবিটা বদলে গেছে। ফর্মে ফিরেছেন ঈশান কিষান ও সূর্যকুমার যাদব। ঈশানকে তো টি২০ বিশ্বকাপে ওপেন করানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়ে ফেলেছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বেশ কয়েকটা ম্যাচে রান না পেলেও আইপিএলের গ্রুপ লিগের শেষ দুই ম্যাচে পরপর দুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ঈশান কিষান। তার মধ্যে ওপেন করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৩২ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস সকলের নজর কেড়েছে। ম্যাচের পর ঈশান বলেন, আমি ওপেন করতে ভালবাসি। কিন্তু দলের কম্বিনেশনের জন্য আইপিএলের সব ম্যাচে ওপেন করার সুযোগ পাইনি। শেষ দুই ম্যাচে ওপেন করতে নেমে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছি। বিরাট ভাই আমাকে বলেছে, টি২০ বিশ্বকাপে আমাকে ওপেনে সুযোগ দিতে পারে। পাশাপাশি আরও বলেছে, বড় পর্যায়ে সব পরিস্থির জন্য তৈরি থাকতে হয়।বিরাট কোহলি প্রতিশ্রুতি দিলেও টি২০ বিশ্বকাপে ঈশান কিষান ওপেন করার কতটা সুযোগ পাবেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ নিয়মিত ওপেনার হিসেবে রোহিত শর্মা রয়েছেন। লোকেশ রাহুলও দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। বিরাট কোহলিও অনেক আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে টি২০ বিশ্বকাপে তিনি ওপেন করতে পারেন। ফলে ঈশানের পক্ষে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া কঠিন। এদিকে, টি২০ বিশ্বকাপের আগে ফর্মে ফেরার জন্য খুশি ঈশান কিষান। তিনি বলেন, বিশ্বকাপ শুরুর আগে আমি রানে ফিরেছি। এটা আমার কাছে যেমন ভাল ব্যাপার, তেমনি দলের কাছেও দারুণ খবর।

অক্টোবর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Hardik Pandya : টি২০ বিশ্বকাপে হার্দিকের জায়গায় শার্দূল?‌

টি২০ বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের সময় হার্দিক পান্ডিয়াকে দলে দেখে অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিলেন। যে ক্রিকেটার পুরো ফিট নন কেন তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচকদের যুক্তি ছিল, বিশ্বকাপের আগেই পুরো ফিট হয়ে যাবেন হার্দিক। কিন্তু আইপিএল চলাকালীনই ভারতীয় দলের এই অলরাউন্ডারকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। ফিটনেস সমস্যার জন্য টি২০ বিশ্বকাপ দল থেকে ছিটকে যেতে পারেন হার্দিক। তাঁর পরিবর্তে শার্দূল ঠাকুর দলে ঢুকতে পারেন। রবিবারের মধ্যেই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। মাসখানেক আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের ও টি২০ সিরিজে দলে ছিলেন হার্দিক। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সিরিজে তাঁকে সেভাবে বোলিং করতে দেখা যায়নি। ভারতীয় দলের নির্বাচকরা আশা করেছিলেন, আইপিএলে বল হাতে দেখা যাবে হার্দিককে। কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ব্যাট হাতে নামলেও একটা ম্যাচেও বল করেননি এই অলরাউন্ডার। তাঁকে নিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কোচ মাহেলা জয়বর্ধনেও জানিয়েছিলেন হার্দিক পন্ডিয়ার ফিটনেস নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ওয়ার্কলোডের কথা ভেবেই তাঁকে দিয়ে বোলিং করানো হচ্ছে না। এমনকি আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দুটি ম্যাচে প্রথম একাদশেও সুযোগ পাননি এই অলরাউন্ডার। তার পর থেকেই হার্দিকের ফিটনেস নিয়ে জোরালো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। টি২০ বিশ্বকাপে পুরো কোটা বল করতে পারবেন ধরে নিয়েই হার্দিককে দলে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু এখন অন্য পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। আধা ফিট ক্রিকেটারকে দলের সঙ্গে রাখতে নারাজ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাঁর বিকল্প হিসেবে শার্দূল ঠাকুরকে টি২০ বিশ্বকাপে পাঠানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। যদি কোনও দল ক্রিকেটার পরিবর্তন করতে চায়, তাহলে ১০ অক্টোবরের মধ্যে আইসিসিকে জানাতে হবে। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে ভারতীয় টি২০ বিশ্বকাপ দলে রয়েছেন শার্দূল ঠাকুর, দীপক চাহার ও শ্রেয়স আয়ার। এই তিন জনের মধ্যে শার্দূলকে হার্দিকের পরিবর্ত হিসেবে নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যদিও সবকিছু নির্ভর করছে নির্বাচকদের ওপর। শুক্রবার আইপিএলের গ্রুপ লিগে সানরাইজার্স হায়দরবাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই ম্যাচে হার্দিকের ফিটনেসের ওপর নজর রাখবেন নির্বাচকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্দিক বোলিং করতে না পারলে তাঁর জায়গায় পুরো ফিট ক্রিকেটারকে নেওয়া উচিত। ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে শার্দূল ঠাকুর এগিয়ে থাকায় তাঁর সম্ভাবনা বেশি।

অক্টোবর ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

S‌AAF Championship : শ্রীলঙ্কার কাছে আটকে গিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সঙ্কটে ভারত

বাংলাদেশ তবু একটু শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কা? বাংলাদেশের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের থেকে ৯৮ ধাপ পিছিয়ে। এইরকম দলের কাছেও আটকে যেতে হল ভারতকে! শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচ গোলশূন্য ড্র করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন থেকে অনেকটাই দুরে সরে গেলেন সুনীল ছেত্রিরা। ফাইনালে যেতে গেলে লিগের বাকি দুটি ম্যাচ শুধু জিতলেই হবে না, অন্য ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন ফুটবলারের পারফরমেন্সে একেবারেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক। তাই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেন। ফুটবলারদের পজিশনও বদল করে দেন। আগের ম্যাচে রক্ষণে দলকে একেবারেই নির্ভরতা দিতে পারেননি প্রীতম কোটাল। তাই এদিন রক্ষণ আমূল বদলে দেন। শুভাশিস বসুকে ডিফেন্সে নামিয়ে নিয়ে আসেন ইগর স্টিম্যাক। সেন্ট্রাল ডিফেন্সে প্রীতম কোটালের পরিবর্তে সুরেশ সিংকে নামিয়ে রাহুল বেকেকে তাঁর সঙ্গে জুড়ে দেন। মাঝমাঠে ব্রেন্ডন, আক্রমণভাগে মনদীপ সিংদের প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি।একগুচ্ছ পরিবর্তন করেও হাল ফেরেনি ভারতের। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুনীল ছেত্রিদের যে দাপট ছিল, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে সেই দাপট দেখা যায়নি। তার মাঝেই ম্যাচের ১৪ মিনিটে মন্দার রাওয়ের ক্রস থেকে গোল করার মতো সুযোগ এসে গিয়েছিল সুনীল ছেত্রির সামনে। শ্রীলঙ্কার গোলকিপার সুজন পেরেরা সুনীলের সেই প্রয়াস রুখে দেন। ২২ মিনিটে ডানদিক থেকে ভেসে আসা বলে অরক্ষিত অবস্থায় থেকেও হেডে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ লিস্টন কোলাসো। এটাই ছিল প্রথমার্ধের সবথেকে সহজ সুযোগ। এই দুটি সুযোগ ছাড়া প্রথমার্ধে বলার মতো আর কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ভারত। মাঝমাঠ থেকে সেভাবে বল সরবরাহ না হওয়ায় সুনীল ছেত্রিও জ্বলে উঠতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা খেলায় ফেরে ভারত। রিস্টন কোলাসো, উদান্ত সিং, অনিরুদ্ধ থাপারা একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন। ৬০ মিনিটে গোল করার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। রিস্টন কোলাসোর পাস ৬ গজ বক্সের মধ্যে পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন অনিরুদ্ধ থাপা। দ্বিতীয়ার্ধে রিস্টন কোলাসোর জায়গায় আব্দুল সামাদ ও অনিরুদ্ধ থাপার পরিবর্তে ফারুখ চৌধুরিকে নামান ইগর স্টিম্যাক। ৭২ মিনিটে জটলার মধ্যে থেকে শ্রীলঙ্কার জালে বল পাঠান ফারুখ। কিন্তু শুভাশিস শ্রীলঙ্কার এক ফুটবলারকে ফাউল করায় সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। ৮৯ মিনিটে কর্ণার থেকে ভেসে আসা বল সুনীল ছেত্রি হেডে নামিয়ে দিলে গোলকিপারের সঙ্গে হাতমেলানো দুরত্ব থেকে অবিশ্বাস্যভাবে বল বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন শুভাশিস বসু। শেষ দিকে প্রবল চাপ রেখেও জয় আসেনি। পরপর দুম্যাচে আটকে গিয়ে গভীর সঙ্কটে পড়ে গেল ভারত।

অক্টোবর ০৭, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • 21
  • ...
  • 29
  • 30
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
দেশ

অসমে ট্রেন-হাতির সংঘর্ষ, লাইনচ্যুত রাজধানী, মৃত অন্তত ৮ হাতি

ভোরের ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সেই অবস্থাতেই একপাল হাতিকে ধাক্কা মারল রাজধানী এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় রাজধানী এক্সপ্রেসের পাঁচটি কামরা। ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত আটটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই রুটে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল।শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ভোরে অসমের যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের লুমডিং ডিভিশনের আওতায়। জানা গিয়েছে, সাইরং থেকে নয়া দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে আসছিল। সেই সময়ই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রেললাইন পারাপার করছিল একপাল হাতি। চারদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় দূর থেকে কিছুই দেখতে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অংশটি হাতির নির্দিষ্ট করিডর নয়। ট্রেনের লোকো পাইলট জানিয়েছেন, সামনে হাতির পাল দেখতে পেয়েই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। কিন্তু হাতিগুলি আরও এগিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি।প্রবল ধাক্কার জেরে ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে স্বস্তির খবর, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও যাত্রীর আহত বা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর যেসব কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল, সেখানকার যাত্রীদের নিরাপদে অন্য কামরায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মোট আটটি হাতি রেললাইন পার হচ্ছিল। তাদের মধ্যে একাধিক হাতির মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত একটি রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়। রেল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইনচ্যুত কামরা এবং হাতিগুলির দেহ ট্র্যাকে ছড়িয়ে থাকায় উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগছে। সেই কারণে অসমের উপরের অংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।যাত্রীরা যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সে জন্য গুয়াহাটি পৌঁছনোর পর রাজধানী এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত কোচ জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হিন্দু যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার নিন্দা বিএনপির

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল বিএনপি। একই সঙ্গে এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়ে যে হিংসা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর অভিযোগ, একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে।শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, হাদির মৃত্যুর পর যেভাবে সারা দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিছক স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে।হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের দফতরে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনাও তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই হামলার ফলে কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়ে। পাশাপাশি নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবীরকে মারধর ও হেনস্থার ঘটনা, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উপর হামলারও নিন্দা করেন তিনি। ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার প্রসঙ্গও তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে।এই সব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস বলে একটি ঘটনার উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক হিন্দু যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ভয়াবহ, ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সমস্ত ঘটনা প্রমাণ করে যে পুরনো একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নস্যাৎ করা এবং দেশে ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ প্রতিষ্ঠা করা।বর্তমান ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের নাকের ডগাতেই এই সব ঘটনা ঘটছে, অথচ সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক বলে মনে হচ্ছে না। এর ফলে দেশের ভিতরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাঁর দাবি, এই হত্যাকাণ্ড ও হিংসার বিরুদ্ধে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তুলেছে। তবুও হিংসা থামছে না, যা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।শেষে তিনি বলেন, শান্তিকামী ও গণতান্ত্রিক দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই অপশক্তিকে সতর্ক করে দিতে চায় বিএনপি। এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকে ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবেই এই ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ? একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা

বাংলাদেশ জুড়ে ফের অশান্তির আগুন। শিল্প ও সংস্কৃতির দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। এর আগে ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরেও হামলার ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন উঠছে, এই সব তাণ্ডব কি শুধুই ওসমান হাদির মৃত্যুর ক্ষোভ, না কি এর পিছনে রয়েছে সংগঠিত কোনও শক্তি?শুক্রবার রাতে ঢাকার তোপখানা সড়কে অবস্থিত উদীচীর কার্যালয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানিয়েছেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। তাঁর দাবি, ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ধারাবাহিকতার মধ্যেই উদীচীর উপর আঘাত এসেছে।উদীচী কার্যালয়ে হামলার খবর পেয়ে সেখানে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-সহ দলের নেতৃত্ব। সেখানে ইউনূস সরকার দরকার নেই স্লোগান ওঠে বলে জানা গেছে।এই অশান্তির সূত্রপাত হয় এক সপ্তাহ আগে। ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ হন জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলি লাগার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়তে থাকে।ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আগুন জ্বলে ওঠে। হামলা হয় দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরে। একই সঙ্গে আক্রমণ চালানো হয় বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি এবং প্রখ্যাত সংস্কৃতি কেন্দ্র ছায়ানটেও। ভাঙা হয় বাদ্যযন্ত্র, ছিঁড়ে ফেলা হয় বই। শিল্প ও সংস্কৃতির উপর এই লাগাতার হামলায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী মহল।যে বাংলাদেশ এক সময় গান, নাটক, কবিতা আর মুক্তচিন্তার জন্য পরিচিত ছিল, আজ সেখানে মৌলবাদী হিংসার ছায়া আরও গাঢ় হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal