• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

BJP

রাজনীতি

শেষমেশ শুভেন্দুর হাত থেকে গেরুয়া পতাকা তুলে নিলেন কৌস্তভ

দীর্ঘ মতবিরোধের পর হাতের সঙ্গ ত্যাগ করেছিলেন বুধবার। এরপর তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বিজেপির দিকেই ধাবিত হবে? এই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। শেষপর্যন্ত বিজেপিতে-ই যোগ দিলেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। বৃহস্পতিবার বিজেপি দফতরে কৌস্তভের হাতে পদ্মপতাকা তুলে দেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা।বিগত বেশ কয়েকমাস যুব নেতা কৌস্তভের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সম্পর্ক ভাল ছিল না। ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের অবস্থানকে কেন্দ্র করে ফাটলের সূত্রপাত। পরে তৃণমূল বিরোধীতায় অধীর চৌধুরীর অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন এই আইনজীবী নেতা। কংগ্রেস থেকেই সেই পর্বে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা শোনা গিয়েছিল কৌস্তভ বাগচীর গলায়। এমনকী পতাকাছাড়া শুভেন্দু ও কৌস্তুভকে ডিএ আন্দোলন বা শিক্ষা দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনেও দেখা যায়। শেষমেষ গতকাল কংগ্রেস ছাড়েন তিনি। আর বৃহস্পতিবার যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে।কেন বিজেপিতে তাঁর যোগদান? সেই ব্যাখ্যায় এদিনও কৌস্তভ বাগচীর মুখে কংগ্রেসের সমালোচনা শোনা গেল। বললেন, মানুষের চাহিদা পূরণ না করতে পারলে তো রাজনীতি করার কোনও অর্থ নেই। যেখানে প্রদেশ কংগ্রেসের গুরুত্ব নেই। সেখানে সে দলের সঙ্গে থাকার কোনও অর্থ নেই। এখনও সেখানে থাকলে নিজেকে অসম্মানিত করা হবে। সন্দেশখালি নিয়ে কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্ব চুপ। আমার মনে হচ্ছে দিনের পর দিন কংগ্রেস যেভাবে তৃণমূল নিয়ে নরম মনোভাব দেখাচ্ছে, সেখানে আত্ম মর্যাদা নিয়ে সেই দলে থাকা যায় না।কৌস্তভের সাফ দাবি, সন্দেশখালিকাণ্ডে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। অথচ কংগ্রেসের কোনও বক্তব্য নেই। দলের মধ্যেও এ নিয়ে অসন্তোষের থাকলেও কেউ বলছেন, কেউ বলছেন না। আমার মনে হয়েছে এখানে থাকাটা নিজের আত্মমর্যাদার সঙ্গে সমঝোতা করা। এই তৃণমূলের প্রতি নরম অবস্থান নিয়ে রাজ্যে তৃণমূলকে উৎখাত করা যাবে না।দুয়ারে লোকসভা ভোট। পদ্ম প্রতীকে প্রার্থী হবেন তিনি? কৌস্তভ বলেন, আমি কোনও শর্তে দল করি না। চাওয়া পাওয়ার জায়গা নেই। অত্যাচারী শাসকদলকে এ রাজ্য থেকে উৎখাত করতেই বিজেপিতে যোগদান।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, কৌস্তভ ভাল যুবনেতা। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এলাকায় যান। এ জন্য পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করেছে। আমরা চাই কৌস্তভ বাগচী বিজেপিতে ভাল করে কাজ করতে পারবেন। আমাদের সকলের একটাই লক্ষ্য- দেশে মোদীজির হাত শক্তিশালী করা ও বাংলা থেকে মমতা কোম্পানিকে উৎখাত করা।বিজেপিতে যোগ দিয়েই কৌস্তভ বাগচী বলেন, মানুষের চাহিদা পূরণ না করলে তো রাজনীতি করার কোনও অর্থ নেই। যেখানে প্রদেশ কংগ্রেসের গুরুত্ব নেই। সেখানে সে দলের সঙ্গে থাকার কোনও অর্থ নেই। সন্দেশখালি নিয়ে কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্ব চুপ। আমার মনে হচ্ছে দিনের পর দিন কংগ্রেস যেভাবে তৃণমূল নিয়ে নরম মনোভাব দেখাচ্ছে, সেখানে আত্ম মর্যাদা নিয়ে সেই দলে থাকা যায় না।কৌস্তভ ছাড়াও এদিন হাত শিবির ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান কংগ্রেস নেতা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সিদ্ধার্থ মজুমদার এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র দত্ত।

ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালী কাণ্ডে মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান গ্রেফতার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন......

পুলিশের একটা ছিঁচকে মস্তান ধরতে ৫৭ দিন লাগল। তাহলে রাঘব বোয়ালদের তো পুলিশ কোনোদিন ধরবে না। নেতারা বলছেন ১ সপ্তাহ। পার্টির নেতারা ঠিক করে দিচ্ছেন কাকে কখন ধরতে হবে। ওখানকার মানুষ নিরন্তর লড়াই করেছেন। সাধারণ মানুষের দাবী অবশেষে পুলিশ মেনেছে। শুভেন্দু অধিকারী বলে দিয়েছেন। খবর ছিল। এটা সবাই জানে। সর্বভারতীয় চাপের জন্য পুলিশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে। সারা দেশ জুড়ে ন্যাশনাল চ্যানেলে এই নিয়ে চর্চা হচ্ছিল। সবাই আমরা জানতাম ওখানেই আছে।কোর্টের কানমলা খেয়ে অবশেষে ধরতে বাধ্য হল। পুলিশ কেই ধরতে হতো। ইডি ওখানে জলে জঙ্গলে গিয়ে ধরতে পারত না। মুস্কিল ছিল। পুলিশের হাতেই ছিল। পুলিশই ধরেছে। আমরা গোড়া থেকেই বলছিলাম, পুলিশ জানে ও কোথায়। এখন বাধ্য হয়ে তাকে ধরা হয়েছে। এটা আগে হলে বিষয়টা বাড়ত না। এবার ওখানকার লোকেরা ঠিক করবেন তাদের জমি বাড়ি সব টাকা লুঠ হয়েছে সেগুলো তারা কীভাবে ফেরত চাইবেন। আমাদের ৪ কর্মী খুন হয়েছে। আমরা শাহাজাহানের নামে FIR করতে চেয়েছিলাম। পুলিশ তখন নেয়নি। এবার নিতে হবে। হাজার হাজার কোটি লুঠ হয়েছে। এটা প্রসেস শুরু হল। তৃণমূল জানে এবার পরপর লিস্ট আসবে। একদিন না একদিন তাদের সবাইকেই ধরতে হবে।

ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
রাজনীতি

লোকসভা নির্বাচনের আগে উলোট-পুরান, তৃণমূল ছেড়ে ঘরে ফিরলেন বিজেপি বিধায়ক

উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় বিজেপিতে ফিরলেন। বুধবার শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ফের গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন সৌমেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই দল পরিবর্তনে নড়েচড়ে বসেছে রাজনৈতিক মহল। ২০২১-এর ভোটে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা আসন থেকে জিতেছিলেন বিজেপির সৌমেন রায়। কিন্তু, মাস ছয়েকের মধ্যেই বিধায়ক পদ্মফুল ছেড়ে জোড়াফুলে নাম লিখিয়েছিলেন। তবে, বিধায়ক পদ ছাড়েননি। ফলে খাতায়-কমলে থেকে যান বিজেপির বিধায়ক হয়েই। তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইনে বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনও অধ্যক্ষের কাছে জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু তা এখনও কার্যকর হয়নি। উল্টে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দলবদলুরা বিজেপির-ই বিধায়ক।এসবের মধ্যেই এদিন সল্টলেকের বিজেপি দফতরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা যায় কালিয়াগঞ্জের বিধায়ককে। পরে সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা জানান, সৌমেন রায় ফের বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুবাবুর পাশেই বসেছিলেন বিধায়ক সৌমেন। তাঁকে জোর করে ভয় দেখিয়ে বিজেপি করতে দেওয়া হয়নি বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা।দলবদল সৌমেন রায়ের কাছে নতুন নয়। সৌমেন রায় প্রথমে তৃণমূলেই ছিলেন। কিন্তু বাকি দলবদলুদের মতো একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তিনিও বিজেপিতে যোগ দেন। পদ্ম প্রতীকে কালিয়াগঞ্জ থেকে লড়াই করে জয় পান। এরপর ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিধায়ক পদ না ছাড়লেও তৎকালীন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টপাধ্যায়ের হাত থেকে জোড়াফুল পতাকা তুলে নেন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে বলেছিলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকেই তৃণমূলে আছি। ঘটনাচক্রে আমি বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করি। কিন্তু আমার মন-প্রাণ তৃণমূল কংগ্রেসেই পড়ে ছিল।তাহলে কেন লোকসভার আগে ফের মন বদল সৌমেনের? কেন ফিরলেন বিজেপিতে? এদিন আর তা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক।তবে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন যে, বিজেপির আদর্শের বিরুদ্ধে গত আড়াই বছরে বিধায়ক সৌমেন কিছু বলেননি। যতটুকু পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল বলিয়েছে সেটাই বলেছিল। অন্যদের সঙ্গে এক্ষেত্রে ওঁর তফাৎ রয়েছে। এছাড়া সাংসদ অনন্ত মহারাজ সৌমেনকে বুঝিয়েছে বিজেপি করার জন্য। রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে আজ বিজেপি বিধায়কদের বৈঠক রয়েছে। আমি সৌমেনকে সেই বৈঠকে যোগ দিতে বলেছিলাম। ওই যোগদানের কথা দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ও প্রদেশ নেতৃত্বকেও জ্ঞাত করা হয়েছে। তবে সকল দলবদলু বিধায়কদের এভাবে বিজেপিতে ফেরানো হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪
রাজনীতি

হাইকমান্ডকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দল ছাড়লেন আইনজীবী কংগ্রেস নেতা, লক্ষ্য কি গেরুয়া শিবির?

অবশেষে দল ছাড়লেন আইনজীবী কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। হাইকমান্ডের সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের সখ্যতা নিয়ে বারবার প্রতিবাদ করেছেন, প্রশ্ন তুলেছিলেন নানা মহলে। তৃণমূল বিরোধিতায় নানা পরিস্তিতিতে তুলোধোনা করতে ছাড়েননি রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যন্ত।রাজ্যের নানা বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি কংগ্রেস হাইকমান্ডের শীতল মনোভাব নিয়ে বহুবার কড়া সমালোচনা করেছেন। গর্জে উঠেছেন সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে টিভি প্যানেল ডিসকাশান অবধি। এরই পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে কৌস্তভের।২০২৩ এর মার্চ মাসে কৌস্তভের গ্রেপ্তারের অব্যবহিত পরেই শুভেন্দু অধিকারী কৌস্তভের গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখেন। রাজনীতির ময়দানে দুজনে চরম বিরোধী হলেও কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, সম্প্রতি মমতা সরকারের দুর্নীতি, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে কয়েকজন যুবক সোচ্চার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে কৌস্তভ অন্যতম। তাঁর দ্রুত মুক্তির দাবি করি। পুলিশ যে কায়দায় রাত তিনটের সময় ওঁর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়েছে তার প্রতিবাদ করছি। আমরা সোচ্চার হবো। এর পর থেকেই দুজনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বলে রাজনৈতিক মহলের দাবী। বিশিষ্টদের ধারণা এখন হাতএ ফুল (পড়ুন পদ্ম) ধরা সময়ের অপেক্ষা।লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন, তার উত্তরে কৌস্তভ বাগচীর জানান, কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে রাজ্য তৃণমূলরেই বেশি গুরুত্ব। প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও গুরুত্বই নেই। কংগ্রেস তার রাজনৈতিক সত্তা হারিয়েছে, ঠিক সেই কারণেই পদত্যাগ বলে দাবি করেছেন আইনজীবী কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪
রাজনীতি

দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম সন্দেশখালী? বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

আজ দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। যাওয়ার আগে বিমান বন্দরে সন্দেশখালি নিয়ে একাধিক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ৫০ দিন পেরিয়ে গেলেও অধরা শেখ শাহজাহান এই বিষয়ে বলেন, ধরবে না। ভোট আসবে আর কালীঘাটে টাকা সাপ্লাই করবে।রাজীব কুমার সন্দেশখালিতে রাতে থাকা প্রসঙ্গে বলেন, চোর ধরতে যায়নি। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়েছিল। জমি ফেরত তো আমি করেছি। নিজের জমি নিজে নেবে এতে পুলিশ কি করবে। আর জেলিয়াখালিতে গিয়েছিলেন শিবু হাজরার ম্যানেজার হিসাবে। উনি বলেছেন শাহজাহান ইডি সিবিআইয়ের মামলা পুলিশ নট ইন্টারেস্টেড। উনি গিয়েছিলেন ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে কারণ উনি তো এখন তৃণমূলের প্রেসিডেন্ট। সুব্রত বক্সী নামেই প্রেসিডেন্টের কাজটা রাজীব কুমারকে সুব্রত বক্সী দিয়েছেন।সন্দেশখালি কি দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম হতে চলেছে? প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, হ্যাঁ, বশ্যতা বিরোধী সংগ্রাম। নন্দীগ্রাম শুরু হয়েছিল জমি অধিগ্রন দিয়ে। এটা শুরু হয়েছে মেয়েদের উপর অত্যাচার দিয়ে। তার সঙ্গে জমি অধিগ্রহণ তো রয়েছে। তবে যেটা নন্দীগ্রামে ছিল না সেটা এখানে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পরে ২০১৩ সাল থেকে কেউ ভোট দিতে পারেননি। তিনটে বড় ইস্যু নিয়ে এই সংগ্রাম।আমি ওই সম্প্রদায়কে প্রণাম জানাই। যদি কোনো ছবি দেখান যা বলবেন স্বীকার করে নেবো। ওটা ম্যানুফ্যাকচার্ড পিকচার ভয়েস ওটার সঙ্গে আমাদের দলের বা আমার কোনো সম্পর্ক নেই। শিখ পুলিশ কর্মীকে খালিস্তানি বলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানান শুভেন্দু অধিকারী।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪
রাজ্য

হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়েই সন্দেশখালিতে শুভেন্দু, কথা বললেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে

উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ পাওয়া মাত্রই সন্দেশখালিতে প্রবেশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারীকে দেখেই এদিন বেরিয়ে আসেন বাড়ির মহিলারা। নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানান বিরোধী দলনেতাকে। শঙ্খ বাজিয়ে বরণ করেও নেওয়া হয় তাঁকে। কেউ কেউ আবার পা ছুঁয়ে প্রণামও করেন। এরপরই শুভেন্দু স্থানীয় মহিলাদের কাছে জানতে চান, তাঁরা এখন কেমন আছেন? লড়াই চালানোর বার্তাও দেন বিরোধী দলনেতা।মহিলাদের থেকে তাঁদের আতঙ্কের বিবরণ শোনার পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সন্দেশখালিতে সব পরিবর্তন হয়ে যাবে। শান্তি ফিরে আসবে।সন্দেশখালির ত্রাস শেখ শাহজাহান এখনও বেপাত্তা। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, শেখ শাহজাহান পলাতক থাকতে পারেন না। যদি পলাতক হন, তাহলে নিশ্চয়ই আইন-শৃঙ্খলায় কোথাও সমস্যা আছে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় শেখ শাহাজাহন কেন আত্মসমর্পণ করছেন না? এদিন সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, এলাকার মানুষ শান্তি চায়। শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চায়। শাহজাহানের পালানোর উপায় নেই। এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি, আপনারা (সন্দেশখালির বাসিন্দারা) সঙ্গে থাকবেন তো? তা হলেই হবে। তা হলেই শাহজাহান ফিনিশ।এদিন সন্দেশখালিট বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘুরে খোঁজখবর নেন বিরোধী দলনেতা। শেষে শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কর ঘোষেরা মাটিতে বসে স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ শুনতে থাকেন। তাঁদের ভয় না পেয়ে শক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে যাতে গ্রামের মানুষ যোগাযোগ করে তাই নিজের ফোন নম্বরও দেন বিরোধী দলনেতা।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালিতে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যদের ঢুকতে দিল না পুলিশ

সন্দেশখালি যেতে আগেই আটকানো হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে। শুক্রবার বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকেও সন্দেশখালিতে ঢুকতে দিল না পুলিশ। তৃণমূল বাহিনীর চরম নির্যাতনের কথা তুলে ধরেছেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা। যা নিয়ে প্রবল শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। সেই সব নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে এদিন সকালে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা সন্দেশখালির গ্রামগুলি পরিদর্শনে যান। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পুলিশ তাদের ঢুকতে বাধা দেয়। শুরু হয় বাক বিতণ্ডা। শেষমেশ রামপুরে রাস্তার উপরে বসে পড়েন তাঁরা। ঘন্টাখানেক এই অবস্থার পর শেষমেষ রামপুর থেকে উঠে যান ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা। পুরো ঘটনার বিবরণ রাজ্যপালকে জানাতে রাজভবনের পথে এই টিম।বিজেপির প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় দুই মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী, প্রতিমা ভৌমিক সহ চার সাংসদ, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সহ মোট ৬ জন। সন্দেশখালিতে ঢুকতে বাধা পেয়ে বিজেপির কমিটি সদস্যরা ফোনেই নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন।বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে ঠেকাতে এদিন শুরু থেকেই রামপুরে প্রচুর মহিলা পুলিশ মোতায়েন ছিল। ফলে সেখানে বিজেপির প্রতিনিধি দল পৌঁছাতেই আটকে দেওয়া হয়। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে কমিটির মহিলা সদস্যাদের বচসা। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা পুলিশকে জানায় সন্দেশখালিতে শান্তি বজায় রেখেই তাঁদের পাঁচ জন প্রতিনিধি সেখানে যাবেন। বাকিরা রামপুরে বসে থাকবেন। পুলিশ তাতে রাজি হয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা পরে পুলিশকে জানান, তাঁরা মাত্র দুজন সন্দেশখালিতে যাবেন। তাতেও পুলিশ অনুমতি দেয়নি। ফলে বচসা আরও বেড়ে যায়।সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা বলেন, সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, কোনও সভ্য সমাজে তা ঘটে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। তাঁর রাজত্বে এমন ঘটনা ঘটেছে এটা ভাবা যায় না। সরকার চায় না ওখানে কী হচ্ছে তা প্রকাশ্যে আসুক। কিন্তু আমরা নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলবই।অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, শেখ শাহজাহানদের মতো দুর্বৃত্তদের দখলে চলে গেছে সন্দেশখালি। মহিলাদের শ্লীলতাহানি করছে তাঁরা। পুলিশ সব জেনেও চুপচাপ। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী নয়। বরং সন্দেশখালি তাদেরই দখলে থাকুক এমনটাই চাইছে প্রশাসন। অথচ আমরা নির্যাতিতা মায়েদের কথা শুনতে ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত পলাতক শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ দুই তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সরদারকে গ্রেফতারের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। একরকম গ্রামের মহিলারাই এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। হাতে লাঠি ঝাঁটা নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। আন্দোলন মারমুখী চেহারা নেয় অচিরেই। জেলিয়াখালিতে শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে লাঠি সোটা নিয়ে ঢুকে পড়েন গ্রামের মহিলারা। ভাঙচুর করে আগুনে পুড়িয়ে দেয় পোল্ট্রি ফার্ম। শিবুর বাগানবাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় উত্তম সর্দারের বাড়িও। জনরোষের মুখে পরে উত্তমকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। গ্রেফতারও করা হয় এই তৃণমূল নেতাকে। তবে এখনও অধরা শিবু হাজরা।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
রাজ্য

শুভেন্দুকে আটকেই দিল পুলিশ, সন্দেশখালি অভিযানে এবার পথে বসে ধরনা বিরোধী দলনেতা

সন্দেশখালি যাওয়ার পথে এদিনও জায়গায় জায়গায় বাধা দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে সব বাধা টপকে এদিন দলের তিন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালির আগে রামপুরে পৌঁছোন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তবে রামপুরে যেতেই আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীদের। বিশাল পুলিশবাহিনী কার্যত ব্যারিকেড করে রেখেছে গোটা এলাকা। বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় বসে ধর্না দিতে শুরু করেন বিরোধী দলনেতা। শেষমেশ ফিরতে হল। এবার শুভেন্দু যাবেন আদালতে।এদিন রামপুরে পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাপসী মণ্ডল, শঙ্কর ঘোষ, চন্দনা বাউড়িদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা। এদিন এর আগে সায়েন্স সিটির কাছে শুভেন্দুদের বাস আটকেছিল পুলিশ। তবে সমস্ত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে শেষমেশ রামপুরে কাছে পৌঁছে যেতে সক্ষম হনশুভেন্দু অধিকারী। মাত্র চার জন বিধায়ক যাচ্ছেন এই যুক্তি খাঁড়া করেন শুভেন্দু অধিকারী।আগে থেকে রামপুরে বাঁশের ব্যারিকেড করে রেখেছে পুলিশ। এ যেন পুরো বাঁশের কেল্লা। পুলিশি বাধায় থামতে বাধ্য হন বিজেপি বিধায়করা। পুলিশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায় শুভেন্দু অধিকারীদের। পুলিশকর্তারা এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে জানান, তিনি সন্দেশখালিতে গেলে সেখানকার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তাঁকে আটকাতে হচ্ছে তাঁদের।এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের জানান, ভয় পেয়েই তাঁকে আটকাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীন পুলিশ। তবে এদিন রামপুরে শঙ্কর ঘোষ, চন্দনা বাউড়িদের নিয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন তিনি।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
রাজ্য

মাঝরাতে বসিরহাটে ধুন্ধুমার, হাসপাতালে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত, কটাক্ষ তৃণমূলের

সন্দেশখালি অভিযানে গিয়ে কোমরে এবং বুকে চোট পেয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বেশ কিছুক্ষণ সংজ্ঞাহীন ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তাঁকে প্রাথমিকভাবে ভর্তি করানো হয় বসিরহাট হাসপাতালে। তাঁকে ইনজেকশন এবং ওষুধ দেওয়া হয়। পাশাপাশি অক্সিজেনও চলছে। সেখান থেকে এরপর তাঁকে নিয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের পথে রওনা দেন বিজেপি নেতা-কর্মী ও সুকান্ত মজুমদারের দেহরক্ষীরা।বসিরহাট হাসপাতাল সূত্রে খবর, সুকান্ত মজুমদারের অবস্থা স্থিতিশীল। অবস্থার সামান্য উন্নতি হওয়ার পরেই তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার সূত্রপাত টাকিতে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে সন্দেশখালি যেতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের বচসা বাধে। এই সময় দেখা যায়, পুলিশের গাড়ির ওপর উঠে পড়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে নামানোর চেষ্টা করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপর ধুন্ধুমার শুরু হলে ঠেলাঠেলির সময় পড়ে গিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।ধস্তাধস্তিতে তিনি আহত হয়েছেন বলে বিজেপি নেতা-কর্মীদের অভিযোগ। তাঁরা পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে খুনের চেষ্টারও অভিযোগ আনেন। বিজেপি সূত্রে খবর, চোখেমুখে জল ছিটিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতির সংজ্ঞা ফেরানোর চেষ্টা হলেও কোনও লাভ হয়নি। এরপর টাকি হাসপাতালে উপযুক্ত ব্যবস্থা না-থাকায় রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে গাড়িতে তুলে বসিরহাট হাসপাতালের পথে রওনা দেন সুকান্ত মজুমদারের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও বিজেপি কর্মীরা।সুকান্তর হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিনয় করছেন সুকান্ত মজুমদার? রাজ্য বিজেপি সভাপতির টাকিতে অসুস্থ হয়ে পড়া নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের। দলের সাংসদ তথা পেশায় চিকিৎসক ডা. শান্তনু সেন বলেন, আমার মনে হয়, সাংসদ জীবন অচিরেই শেষ হবে উপলব্ধি করে, তিনি ভবিষ্যতে বোধহয় অভিনয়ের জগতে নাম লেখাতে চাইছেন। সেজন্য একটা রিহার্সাল দিলেন। যত টিভি চ্যানেলে আমরা দেখেছি, কোথাও আমরা দেখিনি, সুকান্ত মজুমদারকে কেউ ধাক্কা মারছে বা কেউ মারধর করেছে। হঠাৎ তিনি অভিনয় করতে শুরু করলেন। অভিনয় জগতে আগামী দিনে তিনি অংশগ্রহণ করবেন বলেই মনে হচ্ছে। সেই জগতে তাঁর সাফল্য আমি অগ্রিম কামনা করছি।এর আগে বুধবার সুকান্ত মজুমদার ইছামতীর পাড়ে প্রথমে সরস্বতী পুজো করেন। কিন্তু, টাকির হোটেল থেকে বেরিয়ে সন্দেশখালির উদ্দেশে তিনি রওনা দিতে গেলেই, পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, হোটেল ঘিরে ফেলে পুলিশ। কার্যত গৃহবন্দি করা হয়েছিল সুকান্ত মজুমদারকে। সেই নিয়ে ধুন্ধুমার বাধলে পুলিশের গাড়ির ওপরে উঠে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি। কিন্তু, ধস্তাধস্তির সময় তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং সংজ্ঞা হারান বলে বিজেপি নেতা-কর্মীদের দাবি। এরপরই তড়িঘড়ি সুকান্ত মজুমদারকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালের পথে রওনা দেন বিজেপি কর্মীরা।এসবের আগে, মঙ্গলবার মাঝরাতে বসিরহাটের পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে থেকে বিজেপির ধরনা জোর করে তুলে দেন পুলিশকর্মীরা। এই সময় বেশ কিছুক্ষণের জন্য আটক করা হয় সুকান্ত মজুমদার ও কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে। কিছুক্ষণ পর অবশ্য সুকান্ত মজুমদারকে ছেড়েও দেয় পুলিশ। এই ব্যাপারে পুলিশের দাবি, মাঝরাতে বিজেপি-পুলিশ ওই খণ্ডযুদ্ধে জখম হয়েছেন এক আইসি-সহ ৩৭ জন পুলিশকর্মীও। তার মধ্যে বসিরহাট থানার আইসির হাতও ভেঙেছে। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে এক মহিলা কনস্টেবল ভর্তিও হয়েছেন। এই ঘটনায় মোট ১১ বিজেপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারপরই বুধবার সন্দেশখালি যাওয়ার পরিকল্পনা করে রাজ্য বিজেপি। যদিও সুকান্ত মজুমদার অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর সেই পরিকল্পনা আপাতত বাতিল করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
রাজ্য

কেমন আছে, মিঠুন চক্রবর্তী? তাঁর সঙ্গে দেখা করে বাইরে এসে জানালেন শমীক

গতকালের তুলনায় আজ অনেক বেশি ভালো আছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আমি জানিনা কিছু মানুষ কেন সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করছেন তার দ্রুত আরোগ্য কামনার জন্য। আধঘন্টা গল্প হল। রাজনীতির বিষয় নিয়ে আলোচনা হল। সমস্ত কিছু পরীক্ষা ডাক্তাররা করেছে। বর্তমানে যেই সরকারটা আছে সেই সরকারটার ছবি বানাতে তাকে প্রয়োজন। ছবি উনি করবেন। এই সরকারটাকে ছবি করতে হবে উনি করবেন। আমাদের পার্টির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিকাশকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে, দূর দূর পর্যন্ত যার এই ঘটনার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। থানার পাশেই তাঁর বাড়ি। যাকে বলছে গ্রেফতার করেছে তাকে পুলিশ বলছিল একটু ম্যানেজ করার চেষ্টা করার জন্য পুলিশ তাঁকে বলেছে। আর শাহাজাহান, শিবু হাজরাদের ওদের কোলে বসিয়ে রেখেছে। এই নাটক কত দিন চলছে চলবে এখনো। সরকারটা কাজ চলছে তৃণমূলে, এইজন্যেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এগিয়ে বাংলা, এইরকম সরকারও নেই এরকম প্রদেশও নেই। এইজন্যেই এই সরকারটাকে ছবি করতে হবে তার জন্যই মিঠুন দাকে তাড়াতাড়ি বেরোতে হবে।। শেখ শাহজাহানকে তলব করছে না তৃণমূল কংগ্রেসকে তলব করছে ই ডি। তৃণমূল যখন চাইবে শাহজাহান তখন আত্মপ্রকাশ করবে। গতকাল একটি নাটক করল সাসপেন্ড করে, মানুষের বিরুদ্ধে মহিলাদের বিরুদ্ধে কৃষকের বিরুদ্ধে অত্যাচার করে তাদের জীবন জীবিকা লুট করে যখন পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিল না দল সাসপেন্ড করলো পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ধরে নিল। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে দল সাসপেন্ডও করতে পারবে না ওই একটি শোকজ করলে করতে পারে। আর যদি মনে হয় তৃণমূল সরকারটা যতদিন আছে ততদিন ওকে জামাই আদর করে রাখবে।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
রাজনীতি

রাজ্যসভায় বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা, এবার সাংসদ হচ্ছেন সাংগঠনিক নেতা

এর আগে এরাজ্য থেকে সরাসরি রাজনীতির কোনও নেতাকে রাজ্যসভায় পাঠায়নি বিজেপি। অন্য স্ট্রিম থেকে রাজনীতিতে হয়তো যোগ দিয়েছিল। এবার দলের দীর্ঘ দিনের নেতৃত্ব শমীক ভট্টাচার্যকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করছে বিজেপি। এরাজ্যে বিজেপির প্রথম বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। বিধায়ক সংখ্যার বিচারে এরাজ্য থেকে বিজেপির একটি রাজ্যসভার আসনে জয় নিশ্চিত। নানা নাম কয়েকদিন ধরেই ভাসছিল। অবশেষে জল্পনার অবসান হয়েছ। এখন রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
রাজ্য

দিল্লির বৈঠকে থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী, কেন এই সিদ্ধান্ত?

এক দেশ এক ভোট সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি সফরের কথা থাকলেও যাচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি সফর বাতিল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।কেন দিল্লি সফর বাতিল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য, ৮ই ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট রয়েছে। ফলে দিল্লি যাওয়ার বিষয়টি আমি আপাতত বাতিল করছি।সোমবার ছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। তারপরই দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। ওই বৈঠকের পরেই নবান্নে সাংসবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, তিনি দিল্লি সফর বাতিল করেছেন। রাজ্য বাজেটের কারণে তাঁর এই সফর বাতিল বলে জানিয়েছেন মমতা। পাশাপাশি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার এক দেশ এক ভোট সংক্রান্ত বৈঠকে তাঁর বদলে তৃণমূলের তরফে দুই সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেবেন।এক দেশ এক ভোট সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমি অপারগতার কথা রামনাথ কোবিন্দজিকে জানাতে ফোন করেছিলাম। উনি প্রথমে ছিলেন না। উনি খুব সজ্জন ব্যক্তি। পরে জানাতে উনি বলেছেন, ঠিক আছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হঠাৎ দিল্লি যাত্রা বাতিলের ঘোষণায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকস্তরে প্রবল আলোড়ন পড়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট পেশ হবে তা আগে থেকেই অবগত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরও তাঁর দিল্লি সফরের বিষয়টি পাকা ছিল। তাহলে কেন এই আচমকা বাতিলের সিদ্ধান্ত? অনেকের মতে, সোমবার দিল্লিতে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেছেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে বলেছি, ইতিমধ্যে বরাদ্দ টাকার হিসাব না পেলে নতুন বরাদ্দ করবেন না। ফলে নতুন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই কৌশলগত কারণেই কি এদিন মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাত্রা এড়িয়ে গেলেন।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
রাজনীতি

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে কলকাতায় ধরনা মুখ্যমন্ত্রীর, ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে মোদীকে চিঠি

এর আগে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘরে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটেছে। কলকাতায় রাজভবনের সামনে মঞ্চ বেঁধে ধরনা চলেছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে রেড রোডের পাশে ধর্নায় বসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেই মঞ্চ থেকেই ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্যাগ রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য সব মিথ্যা বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।গত বুধবার মমতার আর্থিক বঞ্চনার জবাব দিতে আসরে নামে বিজেপি। ওইদিন সকালে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বাংলার বকেয়া টাকার দাবি জানান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরে সুদীপকে ক্যাগ রিপোর্ট পড়ে দেখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।গত বুধবারই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই ক্যাগ রিপোর্ট সামনে আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। সেই টাকা কোথায় গেল, প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত।কী আছে সেই ক্যাগ রিপোর্টে, যা দেখে কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে? গত বুধবারই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই ক্যাগ রিপোর্ট সামনে আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। সেই টাকা কোথায় গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সুকান্তর দাবি, পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট-এ সরকারি প্রকল্পের টাকা নেওয়া হয়েছে, এমন কথাই রয়েছে ক্যাগ রিপোর্টে। সুকান্তর দাবি ছিল, এটা দুর্নীতির নতুন পন্থা। সাধারণের টাকা কোথায় খরচ করা হয়েছে, তা কারও জানা নেই। বঙ্গ বিজেপি সভাপতির দাবি, রাজ্য সরকারকে যে কোনও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হয়। তাতে বোঝা যায়, যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, সেই টাকা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজেই খরচ হয়েছে। কিন্তু ক্যাগ রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেয়নি রাজ্য সরকার।বিজেপি নেতাদের ওই অভিযোগের বিরুদ্ধে এদিন ধরনা মঞ্চেই মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানান, এখান থেকেই ক্যাগ রিপোর্টের মিথ্যাচার নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে স্ট্রং চিঠি দিচ্ছি এখান থেকে। ক্যাগ রিপোর্টে ২০০৩ সাল থেকে রিপোর্ট দিয়েছে। তখন কি আমরা ছিলাম? আমরা ক্ষমতায় এসেছি ২০১১ সালে। তাহলে কেন ওই সময়ের দায়িত্ব নেব? মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সব ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিয়েছি। ক্যাগ রিপোর্টে সব মিথ্যা কথা। সত্য কখনও চাপা থাকে না। ক্যাগ রিপোর্ট বিকৃত সত্য ও বিজেপি লিখেছে। রাজ্যের পাওনা আটকে রেখে ক্যাগ কথা বলছে।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৪
রাজ্য

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘোষণার পর এবার শুভেন্দু, বাংলায় শীঘ্রই লাগু সিএএ

আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিএএ ঘোষণা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইঙ্গিতে আগেই সিএএ ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্দ্রী শান্তনু ঠাকুর। সোমবার, সেই সুরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সিএএ-র ডেটলাইন ঘোষণা করে দিলেন। বিরোধী দলনেতা জানালেন, ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চালু করা হবে সিএএ।২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল সিএএ। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিএএ চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পালটা, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল, বিজেপি বাঙালি-বিরোধী। তাই বিজেপি বাঙালিদের নাগরিকত্বের অধিকার কাড়তে চাইছে। সেই কারণে এরাজ্যে সিএএ ঘোষণা করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে কোনওমতেই পশ্চিমবঙ্গে সিএএ লাগু করতে দেবে না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অমিত শাহ জি শিলিগুড়ির সভা থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, সিএএ কারও নাগরিকত্ব হরণের আইন নয়। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই ইস্যুতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, ২০২১ সালে সিএএ নিয়ে মিথ্যা প্রচার করেই তো বেরিয়ে গেলেন। সিএএ আর এনআরসির মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। এবার পারলে সিএএ লাগু হওয়া আটকান! দেখবেন, আর লুচির মত ফুলবেন।পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শান্তনু কিছু জানেন, সেই জন্যই বলেছেন। এর আগে অমিত শাহও বলেছিলেন, সিএএ আইন বাক্সবন্দি করে রাখার জন্য তৈরি করা হয়নি। সেই কারণে আমি যতটা জানি যে সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সিএএ লাগু করার চেষ্টা হচ্ছে। যেখানে উদ্বাস্তুরা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন। খুবই তাড়াতাড়ি লাগু হবে। গোটা বাংলায় বিজয় মিছিল করার প্রস্তুতি চলছে। ফেব্রুয়ারিতেই লাগু হবে। কারণ, মার্চে নির্বাচন ঘোষণা হবে। তখন আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাবে। সেই কারণেই আমাদের আশা, ফেব্রুয়ারিতেই লাগু হবে।শুভেন্দু আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২ ফেব্রুয়ারি ধরনার ডাক দিয়েছেন। তিনি ধরনা করলে বিজেপি পালটা ধরনা দেবে। নেতা-মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্যদের ছেলেমেয়েরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়েন। কিন্তু, সাধারণ অটো এবং টোটোচালকদের ঘরের ছেলেমেয়েরা বাংলামাধ্যম স্কুলে পড়ে। সেই কারণেই বৃহত্তর স্বার্থে আমি এই ধরনা দিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে বারণ করব।এর আগে রবিবার রাহুল গান্ধী সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী! রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে কংগ্রেস পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। নিন্দায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। সোমবার এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী নিজের বক্তব্যে অটল থাকেন। তিনি বলেন, বোকাকে যে ভাষায় বলা হয়, সেই কথাই বলেছি। শুভেন্দুর অভিযোগ, রাহুল গান্ধী বিভিন্ন সময়ে যে ধরনের মন্তব্য করেছেন, তা তাঁর মর্যাদার সঙ্গে মানানসই নয়। সেই কারণেই তিনি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন।

জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
রাজনীতি

নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ নানা প্রশ্নের খোলামেলা জবাব দিলেন

এবার ইডির স্ক্যানারে প্রসন্ন-আগে তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আগের বার তিনি জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু ইডি মনে করছে আরও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে। তাই ফের তদন্ত হচ্ছে। জাল এতো বড় যে কে যুক্ত আর কে নয়, অনেকে অজান্তে যুক্ত হয়ে পড়েছে। কে সুবিধা পেয়েছে কে পায়নি, এভাবেই বিশাল বিস্তার হয়েছে। তার কিনারা খোঁজার চেষ্টা চলছে। অবশেষে সংহতি মিছিলে আদালতের অনুমতি-আগে তৃণমূলের মধ্যে সংহতি করুন। সংহতির নামে হিন্দু বিরোধীদের এককাট্টা করার চেষ্টা হচ্ছে। আমার মনে হয় না কোনও হিন্দু এই সংহতি মিছিলে যাবে। যার শরীরে হিন্দু রক্ত আছে সে রামের বিরুদ্ধে যাবে না। কিছু হারামখোর যাবে। যারা তৃণমূলের উচ্ছিষ্ট ভোগী, এই করেই যারা খাচ্ছে আর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, এরকম কিছু লোক যাবে। আর যারা সিএএ পাস হওয়ার পর সারা বাংলায় আগুন জ্বালিয়ে ট্রেন বাস রেল জাতীয় সড়ক অচল করেছিল, সেই সমস্ত রাষ্ট্রবিরোধীদের নিয়ে এখানে রামের বিরুদ্ধে মিছিল হবে। আইএসএফের সভার অনুমতি ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই-সবাইকে আদালতে যেতে হয়। কারণ এখানে সরকার বলে কিছু নেই। আমরা খুঁজে পাইনা সরকার কোথায় আছে। অনুমতি কে দেবে? পুলিশ কোথায়? টাকা তুলতে চাঁদা তুলতে আর ফুটবল খেলতে ব্যস্ত। প্রশাসন কে চালাবে? কোর্ট আছে। ভালো মন্দ যাই হোক কোর্টের কাছেই বিরোধীদের যেতে হয়। তৃণমূলের নেতা খুন হলেও পুলিশে ভরসা না রেখে কোর্টে যেতে হয়। সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যকে রাজধর্ম মনে করালো হাইকোর্ট-আদালত বা রাজ্যপাল। এই দুটি স্তম্ভই এখন মানুষের ভরসা। সমস্যায় পড়লে মানুষ এখন আদালতে যায় বা রাজ্যপালের কাছে যায়। কারণ আর কারও কাছে আশা নেই। কেউ কানমোলা দিচ্ছে। কেউ চিঠি লিখে রাজধর্ম মনে করিয়ে দিচ্ছে। সরকার ঘুমাতে চলে গেছে। বেহায়া নির্লজ্জ দের কিছু হয় না। কুকুরের বিবাহবার্ষিকী পালন-হেমন্ত বিশ্ব শর্মা একবার গল্প করছিলেন, কেন তিনি কংগ্রেস ছেড়েছেন। রাহুল গান্ধী একবার তাকে বাড়িতে খেতে ডেকেছিলেন। রাহুল আমাদের সঙ্গে খাননি। সামনে কুকুর বিস্কুট খচ্ছিল। পশ্চিমবঙ্গে আগে জমিদারের বউরা পুতুলের বিয়ে দিত। এখন কেউ কুকুরের ডায়ালিসিস করছে। কেউ বিবাহবার্ষিকী করছে। আপনার আমার টাকায় ভূতের শ্রাদ্ধ হচ্ছে। গরীব মানুষ কিছু পায়না। এরকম লোক, যারা দাপিয়ে বেড়ায়, তারাই ফুর্তি করে। ভুয়ো জব কার্ড ধরতে কমিটি-১৪ লক্ষ ৪২ হাজার ভুয়ো জব কার্ড। হয় মালিক নেই। অথবা যার নামে কার্ড তার হাতে কার্ড নেই। এই লোকের কাজের টাকা উঠছে। কিন্তু খেয়ে ফেলছে কে? কোথায় যাচ্ছে এই টাকা? এটাও তদন্ত করে বের করার দরকার আছে।

জানুয়ারি ১৯, ২০২৪
রাজ্য

আদালতে টিকল না শুভেন্দুর আবেদন, রামমন্দির উদ্বোধনের দিন পথে মমতা

হাইকোর্টে টিকল না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধিতা। অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন কলকাতায় তৃণমূলের সংহতি যাত্রার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২২ জানুয়ারি, হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের সংহতি মিছিল হবে। তবে বৃহস্পতিবারের শুনানিতে হাইকোর্টে জানিয়েছে, সুশৃঙ্খলভা ভাবে এই মিছিল করতে হবে। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে কোন মন্তব্য করা যাবে না।এছাড়াও একাধিক সতর্কতা মূলক কথা বলেছে আদালত। প্রাধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের সতর্কবার্তা, এই ধরনের মিছিলের ক্ষেত্রে ট্রাফিকের সমস্যা হতে পারে, আটকে পড়তে পারে অ্যাম্বুল্যান্স। এই বিষয়গুলি সংশ্লিষ্ট দল ও রাজ্য সরকারকে তৎপর হতে হবে।শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে যে মিছিলের আর্জি জানিয়েছিলেন, তাও খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে উল্লেখ করেছে যে, অঘটন ঘটলে সংশ্লিষ্ট দলের (তৃণমূল) উপর দায় বর্তাবে। আদালতের রায় লঙ্ঘন করলে যেকোনও ব্যক্তিই দায়ী হতে পারেন।২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন। সেদিনই বাংলায় সংহতি যাত্রার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা ছাড়াও ব্লকে ব্লকে ওই মিছিল করার কথা বলা হয়েছে। সেই মিছিল নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই দিন আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান বিরোধী দলনেতা। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।২২ জানুয়ারি সংহতি যাত্রার অনুমতি মেলার পর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, এই নির্দেশ আসলে শুভেন্দুর গালে আদালতের থাপ্পড়। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন নেই। রাজ্য পুলিশই যথেষ্ট। শুভেন্দুরা বিভেদ চেয়েছিল। আদালত ওদের গালে কষিয়ে থাপ্পড় মেরেছে। বাংলায় শান্তি-সম্প্রীতির মিছিল হবে।

জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
রাজনীতি

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দুই আত্মীয় তৃণমূলে, দলবদলের বদলায় জমজমাট বঙ্গ রাজনীতি

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দুই আত্মীয় যোগ দিলেন তৃণমূলে। গত ৩১ ডিসেম্বর শীতলকুচির লালবাজার এলাকায় তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল কমিটির দুই পদাধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। দলবদলুদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক। ঘটনার পর ৭২ ঘন্টাও পুরোপুরি কাটেনি। এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন খোদ নিশীথ প্রামানিকেরই দুই তুতো ভাই।বুধবার বিজেপি ছেড়ে নিশীথ প্রামানিকের দুই তুতো ভাই সুনীল ও জগদীশ বর্মন যোগ দপন রাজ্যের শাসক শিবিরে। তাঁদের হাতে জোড়া ফুলের পতাকা ধরিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এরপরই উদয়ন বলেছেন, বিজেপি মানুষের হয়ে কোনও কাজ করে না। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দুই তুতো ভাই তৃণমূলে যোগ দিলেন।সদ্য তৃণমূলে নাম লেখানো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাই সুনীল বর্মন বলেছেন, বিজেপিতে থেকে মানুষের কাজ করতে পারছিলাম না। দলে যোগ্য সম্মানও পাচ্ছিলাম না। তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম। যার প্রেক্ষিতে উদয়ন গুহ বলেন, অন্যের ঘর ভাঙার স্বপ্ন দেখলে এমনই হয়। সুনীল ও জগদীশ বর্মনের বাড়ি দিনহাটার পুটিমারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে।এই শিবির বদল ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহারে। লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে এই ধরণের ঘর ভাঙনের ঘটনাও আরও বাড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
রাজ্য

আগেভাগেই আদালতে ছুটলেন শুভেন্দু অধিকারী, নয়া লক্ষ্য কি?

আগামী ৭ জানুয়ারি নেতাই দিবসে নেতাই যেতে মরিয়া শুভেন্দু অধিকারী। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতাকে মনে রেখে এবার প্রয়োজনীয় অনুমতির জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা। আদালত থেকে অনুমতি ও প্রয়োজনীয় নির্দেশের আর্জি জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে আগামী ৪ জানুয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকাকালীন প্রতি বছর ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাইয়ে যেতেন। ২০২০ সালে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করেন। তারপর আর ওই দিনে নেতাই যেতে পারেননি তিনি। ২০২১ সালে নেতাই যাওয়ার পথে শুভেন্দুকে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ২০২২ সালে ঝিটকার জঙ্গলের কাছে পুলিশি ব্যারিকেড বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরতে হয়েছিল বিরোধী দলনেতাকে। সেই অভিজ্ঞতাকে স্মরণ করে আর ঝুঁকি নিচ্ছেন না তিনি। আগেভাগেই তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা।

জানুয়ারি ০২, ২০২৪
রাজ্য

ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বক্তব্য একনজরে

গুরু গোবিন্দ সিং ৪ জন সাহেবজাদা মুঘলদের অনেক অত্যাচার সহ্য করেছিলেন, কিন্তু নিজের ধর্ম ত্যাগ করেননি, তাঁর বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোদীজি তাঁদের শাহাদাত দিবসকে বীর বাল দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেন।◈ পশ্চিমবঙ্গে দিদির ভয়ে, প্রিন্ট মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া জনসাধারণের কাছে বিজেপির মতামত প্রকাশ করতে দেয় না।◈ সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীদেরকে কেউই বাংলায় বিজেপির পদ্ম চিহ্ন এবং আবার একবার মোদি সরকারের স্লোগান পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারবে না।◈ ২০১৫ তে দিদি বিজেপিকে গুরুত্ব দেননি, কিন্তু আমাদের কর্মীরা লোকসভায় ১৮টি আসন এবং বিধানসভায় ৭৭টি আসন জিতেছিল।◈ আমরা বিধানসভায় ৩ থেকে ৭৭ টি আসন পেয়েছি। লোকসভায় আমরা শূন্য থেকে ১৮ টি আসন লাভ করেছি। আগামী দিনে ৩৫ টি আসন পাবো সেটা দিদিও ভালো ভাবে জানে। ◈ এ বার মোদী সরকারের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩৫টি আসন আসবে।◈ যদি আপনারা বাংলা থেকে ৩৫ টি পদ্ম দেন তাহলে সোনার বাংলার গ্যারেন্টি মোদীর। ◈ স্বাধীনতার আগে বাংলা সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে ছিল, কিন্তু দিদির শাসনে বাংলা কালো টাকা, সিন্ডিকেট, অনুপ্রবেশ ও দুর্নীতির শিকার হয়েছে।◈ বাংলায় যেখানে আগে রবীন্দ্রসংগীত শোনা যেত, আজ সেখানে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।◈ যখন বাংলা থেকে বামপন্থী শাসন উচ্ছেদ করা হয়েছিল, তখন গোটা দেশ এবং বাংলার মানুষ খুশি হয়েছিল, কিন্তু দিদি যেভাবে শাসন চালিয়েছেন তাতে জনগনের বক্তব্য হলো যে বামপন্থীরা এর চেয়ে ভাল ছিল।◈ যাদের বাড়ি থেকে ৫০-৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তাদের কনস্টেবল বলে ডেকেছেন দিদি, যখন কনস্টেবলের কাছে এত টাকা তখন মালিকদের কাছে কত টাকা থাকবে?◈ বাংলায় বিজেপি সরকারের অর্থ - অনুপ্রবেশ এবং গরু চোরাচালান বন্ধ করা এবং শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া।◈ দিদি শরণার্থীদের বিভ্রান্ত করার জন্য জিজ্ঞাসা করলেন CAA কার্যকর হবে কি না? CAA দেশের আইন এবং এটি বলবৎ থাকবে।মোদিজির নেতৃত্বে, ভারত সব ক্ষেত্রেই উন্নতি করছে, কিন্তু বাংলাতে কোনো পরিবর্তন হয়নি, কারণ দিদি ভয় পাচ্ছেন যে যদি মোদির পরিকল্পনাগুলি সবার কাছে পৌছে যায়, তাহলে ওনার ভোট বেস ভেস্তে যাবে।◈ দিদি! আপনার সমর্থনের ভিত্তি কমে গেছে এবং বাংলার মানুষরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এবার মোদি সরকার গঠন করা হবে।◈ দিদি দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। এনারা তাদের কাটমানি বিদেশে নিয়ে যায়, বাংলো তৈরি করে এবং তারপর চপ্পল পরে ঘুরে বেড়ায়। এখন আর চপ্পলের ফাঁদে পা দেবে না বাংলার মানুষ। বাংলার মানুষ কোটি টাকার বাংলো, কাটমানি, সিন্ডিকেট, অনুপ্রবেশকারী ও মাফিয়াদের হিসাব চায় এবং এই হিসাব মমতা দিদিকে দিতে হবে।◈ গোটা দেশ জানে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের কী ধরনের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। সারা দেশে বিজেপি কর্মীরা আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।◈ দিদি ভোট ব্যাংকের জন্য অনুপ্রবেশকারীদের আঁকড়ে ধরে দেশের নিরাপত্তা সাথে খেলা করছেন।◈ TMC সাংসদ সদস্যরা তাদের লোকসভা অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড একজন ব্যবসায়ীকে দেন, সাংসদরা যারা টাকা এবং দামি উপহার নিয়ে প্রশ্ন করেন তারা দেশকে নিরাপদ কি করে রাখতে পারবে? তারা বাংলার দারিদ্রতা এবং গ্রামের বিদ্যুৎ নিয়ে প্রশ্ন করেনি, কারণ গরিব মানুষ তাদের দামী উপহার দিতে পারে না।◈ একজন তৃণমূল সাংসদ দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করে সাংবিধানিক পদের অবমাননা করেছেন।◈ ২০০৪-১৪ সালে, দিদির সমর্থিত ইউপিএ সরকার বাংলাকে ২ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছিল। ২০১৪-২৩ সালে, মোদী বাংলাকে ৭ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিলেন।◈ বাংলার মানুষ মমতা দিদির কাছে এই নির্বাচনে মোদী সরকারের দেওয়া প্রতিটি টাকার হিসাব চাইবে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
রাজ্য

২০২৪ লোকসভা বাজিমাত করতে বঙ্গ বিজেপির নয়া টিম ঘোষণা নাড্ডা-শাহর

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে জেপি নাড্ডাকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গসফরে অমিত শাহ। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে চব্বিশের লড়াইয়ে ঝাঁপাতে আগেভাগে একাধিক পদক্ষেপ শুরু করে দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তবে এবার অমিত শহ, জেপি নাড্ডারা এসে সেই তৎপরতাকে আরও গতি দিলেন। সেই সঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচনে অলআউট লড়াইয়ে ঝাঁপাতে তৈরি হল নয়া টিম। ১৫ জনের নতুন টিম তৈরি হল শাহ-নাড্ডাদের হাত ধরেই। শাহের সেই ম্যানেজমেন্ট টিম ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। বঙ্গ বিজেপির বেশ কয়েকটি অত্যন্ত চেনা মুখেরও ঠাঁই হয়নি সেই ১৫ জনের বিশেষ টিমে।চব্বিশের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে কোমর বেঁধে কাজ শুরু বিজেপির। ভোটের আগে এবার রাজ্য সফরে বিজেপির শীর্ষ সেনাপতি অমিত শাহ, সঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। শাহের নির্দেশে ১৫ জনের একটি টিম তৈরি হয়েছে। এই টিমই দলের তরফে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার এই নতুন টিমের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা।রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, এই ১৫ জনের টিমে রয়েছেন চার কেন্দ্রীয় অবজার্ভার। তাঁরা হলেন, অমিত মালব্য, সুনীল বনশাল, আশা লাখরা এবং মঙ্গল পান্ডে। তবে টিমের বাকি ১১ জনই এরাজ্যের। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পাল, জগন্নাথ সরকার, অমিতাভ চক্রবর্তী, সতীশ ধন্দ, জ্যোতির্ময় মাহাতো, দীপক বর্মনের পাশাপাশি ১৫ জনের টিমে রয়েছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।তবে ১৫ জনের এই টিমে জায়গা হয়নি এরাজ্য থেকে নির্বাচিত চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার ও জন বার্লা ঠাঁই পায়নি শাহ-নাড্ডাদের ঘোষিত দলে।।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 39
  • 40
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal