• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

MP

কলকাতা

সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিশ দিলীপ ঘোষের আইনজীবীর

ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিশ পাঠালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আইনজীবী। তাঁর পক্ষের আইনজীবী পার্থ ঘোষ সোমবার আইনি নোটিশ পাঠিয়ে তৃ্ণমূল সাংসদকে মন্তব্য প্রত্যাহার করতে বলেছেন। আগামী তিনদিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেছেন। অন্যথায় অন্য পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। পার্থ ঘোষ আরও বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে তাঁর মক্কেলের সম্মানহানি করা হয়েছে। আরও পড়ুনঃ আলুর দাম বাড়িয়ে মানুষের পকেট কেটে নির্বাচনী টাকা তুলছে তারাঃ দিলীপ প্রসঙ্গত, রবিবার সাতগাছিয়ার সভা থেকে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, মাফিয়া। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছিলেন ক্ষমতা থাকলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার। এরপর সোমবার দিলীপ ঘোষ হুঁশিয়ারি দেন, আমি সাধারণ মানুষের জন্য আমি কাজ করছি। এটা যদি গুন্ডামো হয়, তাহলে তা আরও করব।

নভেম্বর ৩০, ২০২০
রাজনীতি

কল্যাণের মন্তব্যে বিজেপিকে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে , মত তৃণমূল সাংসদের

শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, সিবিআই-এর হাত থেকে বাঁচতে যাঁরা নারদ-সারদায় অভিযুক্ত, তাঁরা বিজেপিতে যাবেন। যাঁরা সারদা-নারদাতে অভিযুক্ত, তাঁরা বিজেপিতে গেলে কি গঙ্গাজলে পবিত্র হয়ে যাবে? এই প্রশ্নও তোলেন তিনি। এবার তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি বলেন, দলের সিনিয়র নেতা কেউ যদি বলেন, যাঁরা নারদ-সারদায় আছেন তাঁরা বিজেপিতে চলে যাবেন , এধরনের মন্তব্য ঠিক নয়। সারদা - নারদ মামলা এখনও আদালতের বিচারাধীন। কেউ এখনও দোষী সাব্যস্ত হয়নি। আমি মনে করি, এটা বিজেপিকে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। ব্যক্তিগত আক্রমণ করাও ঠিক না। অপরূপা বলেন, পুরো বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্ব শুনেছেন। তাঁদের জানানো হয়েছে। নিশ্চয় কোন পদক্ষেপ করবেন। আরও পড়ুনঃ ভাইপোকে খোকাবাবু বলে কটাক্ষ দিলীপের প্রসঙ্গত, সারদা ও নারদ কাণ্ডে তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী , বিধায়ক ও সাংসদ অভিযুক্ত। চিটফাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন জেলও খেটেছেন। অন্যদিকে, অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কল্যাণের এই মন্তব্য নিয়ে এখনও পর্যন্ত দলের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

নভেম্বর ৩০, ২০২০
রাজ্য

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু সম্পর্কে যা বলছেন, তা ঠিক নাঃ শিশির

দলেরই কয়েকজন ওকে জোর করে ঠেলে বিজেপিতে পাঠিয়ে দিতে চাইছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু সম্পর্কে যা বলছেন, তা ঠিক করছেন না। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুরের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ শিশির অধিকারী। বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা বলেন, ক্ষোভ, অভিমান আছে বলেই শুভেন্দু মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছে। আরও পড়ুনঃ বিজেপি মোর্চাদের মানুষ বলেই মনে করে নাঃ রোশন গিরি শুভেন্দু অধিকারী কি শেষ পর্যন্ত বিজেপিতে যাচ্ছেন? সে প্রশ্নের জবাবে শিশির অধিকারীর ইঙ্গিতপুর্ণ জবাব, দেখা যাক কি হয়! তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি তৃণমূলে ছিলেন এবং আগামীদিনেও থাকবেন। এই বয়সে এসে অন্য কোন দলে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানসিকতা নেই বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত , কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে অনেক সময় বিরূপ মন্তব্য করে চলেছেন। যা নিয়ে শাসক দলের মধ্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সূত্রের খবর, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌ্গত রায়ের সঙ্গে গোপন বৈঠকেও তাঁর অসন্তোষের কথা জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

নভেম্বর ৩০, ২০২০
রাজনীতি

ভাইপোকে খোকাবাবু বলে কটাক্ষ দিলীপের

কে গুন্ডা সে তো পঞ্চায়েত নির্বাচনেই আমরা দেখেছি। সোমবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে অভিষেকের গতকালের মন্তব্যের পালটা আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, অভিষেক ৭ কোটি টাকার বাড়িতে থাকে, কনভয়ে ২৫টা গাড়ি ও আরও অনেক কিছু থাকে তাই কে মাফিয়া বোঝাই যাচ্ছে। হতাশা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে বলে এসব বলছেন। আদর করে ভাইপো বললে আপত্তি কোথায়। আমি ভাইপো বলি না। আমি খোকাবাবু বলছি। ওঁকে খোকাবাবু বলব না তো কী! উনি কোলে চড়ে রাজনীতিতে এসেছেন, এখনও কোলেই আছেন। দিল্লিতে যুবরাজকে পাপ্পু বলা হয়। পাপ্পু বলা হবে। ভাইপো বললে ক্ষতি কি হয়েছে? চিৎকার চেঁচামিচি করে কিছু হবে না। লোক জানেন সব কিছু। আরও পড়ুন ঃ তৃণমূলকে ভাঙার চেষ্টা করে কোনও লাভ নেইঃ সুজিত তিনি আরও বলেন, যে লোকেরা পার্টির জন্য প্রাণ দিল তারা আজ ব্রাত্য আর উনি কোলে চড়ে এসে সাংসদ হয়ে গেলেন। বিগত ১০ বছরে প্রাইভেট প্রপাটি বানানো হয়েছে। বাসিন্দাদের কালিঘাট থেকে বের করে জায়গা দখল করা হয়েছে। আমাকে গুন্ডা, মস্তান বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য যা করছি তা যদি গুন্ডামি হয় তবে তাই। আমি সবে গুন্ডামি শুরু করেছি। গুন্ডামির কিছুই দেখেননি এখনও। অভিষেকের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা তা আইনজীবীরা দেখছেন। তবে ক্ষমতায় এসে এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত নয়। মানুষ সব দেখছেন ও বুঝছেন। মানুষ তুলতেও পারে-ফেলতেও পারেন।

নভেম্বর ৩০, ২০২০
রাজনীতি

রাজ্যপাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ডাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীকে, দাবি সৌমিত্র খাঁয়ের

রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে যে কোনও দিন রাজভবনে রাজ্যপালের ডাক পেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ৭ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযানের ডাকও দিয়েছেন তিনি। শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেছেন, পরিস্থিতি যা তাতে কদিন পর তৃণমূল বলে কোনও দলই থাকবে না। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি জানান, শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার সুব্রত মুখার্জী লাইনে আছে। আরো ৫৮ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে আসার জন্য প্রস্তুত। আরও পড়ুন ঃ বছরের শেষটা মোটেও ভাল যাচ্ছে না তৃণমূলেরঃ দিলীপ সৌমিত্র দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকার মুখ থুবড়ে পড়বে। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল এমপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সৌ্মিত্র যে অঙ্ক জানে না, আমি সেটা জানতাম না। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে থেকে ওর মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে।

নভেম্বর ২৯, ২০২০
রাজনীতি

কালো রক্ত যত আছে, সব বিজেপিতে যাক , ফের বিস্ফোরক কল্যাণ

শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শালীনতার সীমা ছাড়ালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কালো রক্ত যত আছে, সব বিজেপিতে যাক, এভাবেই শুভেন্দুর মন্ত্রিসভা ছাড়া ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। ্তিনি আরো বলেন, উনি নিজের ইচ্ছায় মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। বাংলায় যে যেখানেই জিতেছেন তিনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেখিয়ে জিতেছেন। এরাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে তাঁর আসনটিও পড়ে। আরও পড়ুন ঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল ত্যাগী কথা শুনে সকলে দলত্যাগ করছেনঃ লকেট প্রসঙ্গত, শুক্রবারই রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও একের পর এক সরকারি পদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে চলেছেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। অন্যদিকে, ওই দিনই দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীও। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শাসকদল ছেড়ে অনেক নেতা-কর্মীই বিজেপিতে যুক্ত হচ্ছেন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি নেতাদের দাবি, আগামী দিনে তৃণমূল ছেড়ে একাধিক বিধায়ক, নেতা বিজেপিতে আসবেন।

নভেম্বর ২৮, ২০২০
কলকাতা

তৃণমূল সরকারের ইস্তফা দেওয়া উচিতঃ দিলীপ

তৃণমূল সরকার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টে পুরো ফেল। কিন্তু পার্টির যে ডিজাস্টার শুরু হয়েছে সেই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে দিদি এখন খুব ব্যস্ত আছে বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে চা-চক্রে যোগ দেন তিনি। সেখানে এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যে দল বিপর্যয় মোকাবিলা করতে ব্যর্থ, তাদের ইস্তফা দেওয়া উচিৎ। দিলীপবাবুর কটাক্ষ, পার্টির এই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের মিটিং এখন নিয়মিত হবে। প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে হবে। প্রতিদিনও হতে পারে। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুর ছেড়ে যাওয়া তিনটি দফতর নিজের হাতেই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মিহির গোস্বামীর দলে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুরু হয়েছে। আমরা আগেই বলছিলাম অনেকে এমএলএ আছেন যাঁরা জয়েন করবেন। সবে শুরু হয়েছে। দেখুন আরও এমএলএ এমপি আসবেন বিজেপিতে। মাসখানেকের মধ্যে আরও অনেক ঘটনা ঘটবে। তিনি আরও বলেন, দশ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী কল্পতরু হলে, আজকে এ অবস্থা হত না। লোকে পার্টি ছেড়ে পালাতো না। যে পার্টি থেকে এমপি চলে যায়, এমএলএ চলে যায়, মন্ত্রী চলে যায়, সে পার্টির আছেটা কি! এক মাসের পরে দেখবেন পার্টি বলে কিছু থাকবে না। শুভেন্দুর দফতর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রাখা নিয়ে তিনি বলেন, সবই তো হাতে রেখেছেন। খালি পার্টিটা নিজের হাতে রাখেননি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তিনি আক্রমণের সুর চড়িয়ে বলেন, রাজ্যে চাকরি নেই, শিল্প নেই। বিজেপি শাসিত রাজ্যে গিয়ে আয় করতে বাধ্য হন এখানকার শ্রমিকরা। এখন এ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যাই বেশি। এই সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। আগে এ রাজ্য থেকে আইএএস, আইপিএস তৈরি হত। তাঁরাই দেশজুড়ে কাজ করতেন। আর এখন এ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছেন দেশের অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। এখানে এখন স্রেফ পরিযায়ী শ্রমিক তৈরি হয়। অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, আমাদের ২১৮ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ১ জন দল ছেড়েছে। কোনও সাংসদ দল ছাড়েননি। তাই কোনও বিপর্যয় হয়নি। আজেবাজে কথা বলা বন্ধ করুন দিলীপ।

নভেম্বর ২৮, ২০২০
কলকাতা

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সরব কল্যাণ

ফের রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত। অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টার করার অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হোক বলেও দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুদীপ্ত রায়চৌধুরী গরুপাচারে যুক্ত। মানুষ পাচারের সঙ্গেও যোগ রয়েছে তার। ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। ধৃত গোবিন্দ আগরওয়াল এবং সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর হয়ে কেন টুইট করছেন রাজ্যপাল? কেন বাংলার রাজ্যপাল অভিযুক্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসছেন? পশ্চিমবঙ্গের অনেক অপরাধীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে রাজ্যপালের। আরও পড়ুন ঃ করোনায় আক্রান্ত কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান তাঁর আরও দাবি, তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। পুলিশ-সহ সরকারি আধিকারিকদের তদন্তে বাধা দিচ্ছেন। হুমকি দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অসাংবিধানিক কাজ করছেন। যারা তদন্তে বাধা দেন কিংবা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ ও ১৮৯ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করব রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন। শেষে বলে যান, আগামী দিনে রাজ্যপাল সম্পর্কে দ্বিতীয় পর্যায়ে পর্দা উন্মোচন করব। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই আইআরএস আধিকারিক নীরজ সিংয়ের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচুর আর্থিক দুনীতির অভিযোগ রয়েছে। বেনামী সম্পত্তিও রয়েছে। কলকাতা পুলিশ ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল। পরে সেই তদন্তভার ইডি হাতে নিয়ে নীরজ সিংকে গ্রেফতার করে। শুধু তাই নয়, এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি অনুযায়ী, ইডি তাঁর ৩ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে। তবে পরবর্তীতে ওই মামলার কাগজ হাতে পেয়ে কলকাতা পুলিশও সমান্তরাল তদন্ত চালাচ্ছিল।

নভেম্বর ২৬, ২০২০
রাজ্য

শুভেন্দুর জেলার তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগ

প্রত্যাশামতোই বিজেপিতে যোগ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান। বুধবার তিনি মেচেদাতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। তাঁরা সিরাজ খানের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। কয়েকদিন আগেই তিনি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে দেখেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি একজন মৎস্যজীবী। আমাকে মৎস কর্মাধ্যক্ষ না দিয়ে খাদ্য দফতর দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোন কাজ করতে পারছি না। এছাড়াও খাদ্য দফতরের বিরুদ্ধে তিনি গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছিলেন। আরও পড়ুন ঃ কেন্দ্রের টাকা দিদির ভাইয়েরা লুটেপুটে নিচ্ছেঃ দিলীপ তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা নিয়ে তোলপাড় পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক মহল। এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে দল বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তলে বহু দিন ধরেই কোনও কর্মসূচিতে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে দেখা যাচ্ছে না। এদিকে শুভেন্দুর সঙ্গেই দলের সাংসদ সৌগত রায়ের বৈঠক চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও রফাসূত্র মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের এক মুসলিম তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়া খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

নভেম্বর ২৫, ২০২০
কলকাতা

সারা দেশে এক দল, এক ভাষা করতে চাইছে বিজেপিঃ সৌগত রায়

রাজ্য বিজেপি অন্তর্কলহে ক্লান্ত। বিজেপি মমতার সমান্তরাল মুখ তৈরি করতে পারছে না, যে কারণে ভিন রাজ্য থেকে বিজেপি নেতাদের নিয়ে আসছে। আমাদের আশঙ্কা তাঁরা এখানে বিভাজনের রাজনীতি করতে আসছেন। যাতে আমাদের রাজ্যের শান্তির পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি আরও বলেন, বিজেপি দেশের অনেক রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। আবার যেখানে ক্ষমতায় ছিল না, সেখানে দলত্যাগে উৎসাহ দিয়ে বিজেপি-বিরোধী রাজ্য সরকারকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এটা করতে পারবে না। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সৌগত রায় বলেন, দেশে যেটা ঘটছে, সেটা আমাদের জন্য চিন্তার বিষয়। বিজেপি সারা দেশে এক দল, এক ভাষা করতে চাইছে। যা ভয়ঙ্কর চিন্তাভাবনা। আমাদের দেশের স্বশাসিত সংস্থাগুলি ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে। আরও পড়ুন ঃ ৬০ বছর অবধি কাজের দাবিতে বিক্ষোভ সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ারদের তিনি বলেন, রাজ্য সরকার কৃষকদের পাশে রয়েছে। কেন্দ্র কৃষকদের কথা ভাবে না। এমনিতে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্যের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা। সেই টাকা মেটানো হচ্ছে না। এই সংকটের মধ্যে দিয়ে চলেও রাজ্য সরকার নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছে। নিজের রাজনৈতিক জীবনে রাজনীতির মান এতটা নীচে নামতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেননি বলে দাবি করলেন সৌগত রায়।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
কলকাতা

রাজ্যে আমলাদের দুর্নীতি নিয়ে সরব ধনকড়

যেভাবে রাজ্যে সরকারি আমলাদের সম্পত্তি বাড়ছে এবং তাঁরা দুর্নীতিতে জড়াচ্ছেন, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এবার আমলাদের দুর্নীতি নিয়ে টুইটে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সোমবার তিনি এই প্রসঙ্গে লেখেন, দুর্নীতি নামক শিল্পকে রুখতে না পারার যে প্রশাসনিক ব্যর্থতা, সেটাই এখন শহরের আলোচ্য বিষয়। সেটাই সরকারের মুখ পোড়াচ্ছে। আরও পড়ুন ঃ ববি, মদন, প্রসূনকে নোটিশ ইডির দ্বিতীয় টুইটে গরুপাচার ও কয়লাকাণ্ড নিয়ে সোচ্চার হন রাজ্যপাল। লেখেন, তদন্তের মধ্যে দিয়ে উর্দিধারীদের মেগা দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করা দরকার। তাঁদের অসত্ উপায়ে অর্জিত সম্পত্তির খোঁজ করতে হবে। দুর্নীতির আঁতুরঘর ভেঙে গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান রাজ্যপালকে বিজেপির মুখপাত্র বলে কটাক্ষ করেন।

নভেম্বর ২৩, ২০২০
কলকাতা

কেন্দ্রে এখন ফেক নিউজের সরকার চলছেঃ কাকলি

বাংলায় এখন শান্তি ফিরেছে। বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি মানে না। বহিরাগত ইস্যুতে এবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এদিন তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, বাংলার সম্মান, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে অপমান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি বলেন , কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা এবং ভুল নীতিতেই করোনার প্রকোপ ক্রমশ বেড়েছে। যখন আমরা সংসদে এ নিয়ে জানুয়ারিতে বলেছিলাম, তখন আমাদের বলা হয়েছিল বাচ্চাদের মতো কথা বলবেন না, বসে পড়ুন। লকডাউনে অসংখ্য দিনমজুর মারা গিয়েছে। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনেই ৯০ জন অভিবাসী মারা গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। লকডাউনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। সেই জায়গায় অভিবাসী শ্রমিকদের কথা ভাবেনি কেন্দ্রীয় সরকার। আরও পড়ুন ঃ রাজ্যে নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ধনকড়ের তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ফেক নিউজের সরকার। মিথ্যাচার করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে। ২০২১ বিধানসভা ভোটে রাজ্যের ক্ষমতা দখলে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। যা বাংলার মানুষ মেনে নেবে না বলে উল্লেখ করে কাকলি বলেন, দেশে এখন ভয়ানক পরিস্থিতি চলছে। ভারতে দলিতদের উপর অত্যাচার চলছে। দলিতরা সুরক্ষিত নয়। দেশে নারীসুরক্ষা তলানিতে। গণপিটুনি চলছে। ধর্মের নামে ভাগাভাগি চলছে। অন্যদিকে , এদিন সকালে অর্জুন সিং শুভেন্দুকে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়েছেন। সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, অর্জুন সিং কি শুভেন্দু অধিকারীর মুখপাত্র ? শুভেন্দু অধিকারী দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা । একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ।

নভেম্বর ২১, ২০২০
রাজ্য

নাম না করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শুভেন্দুর

অতীতে সিপিএম সাংসদ অনিল বসু ব্যক্তিগত কটু কথার রাজনীতি করতেন বলে মানুষ সমর্থন করত না। সমালোচনা হতে পারে। আমরা কেউ তার উর্ব্ধে নই। কিন্তু যদি কোনও জনপ্রতিনিধি আমাকে বা আমার পরিবারকে ব্যক্তিগত কটূকথা বলে, আপনারা কি তাঁকেও সমর্থন করবেন? এনিয়ে জনতার মতামত নেন শুভেন্দু। জনতা তাঁকে সমর্থন করেন। শুক্রবার হুগলির বলাগড়ে জনসভা থেকে নাম না করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আরও পড়ুন ঃ জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভক্তদের জন্য বন্ধ বেলুড়ের সারদা পিঠ প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর নাম না করে এক দলীয় সভায় বলেছিলেন, হিসাবটা আমরা বুঝে নেব। চলে যা বিজেপিতে। কোনও অসুবিধা নেই। যাবি কংগ্রেসে, চলে যা। তাতেও কোনও অসুবিধা নেই। সিপিএমে যাবি, চলে যা। তাতেও কোনও অসুবিধা নেই। দাদার অনুগামী হলে দাদার সঙ্গে চলে যা। তৃণমূল কংগ্রেস করে বেইমানি করলে বাড়ি ঢুকতে দেব না। দেখি কত বড়। দেখতে চাই কত হিম্মত রয়েছে। বাংলার মাটিতে দেখতে চাই, কোন দাদার কত অনুগামী? লড়াই করতে এসেছি। লড়ে যাব। লড়াইয়ের ময়দানে এক ইঞ্চিও ছাড়ব না। বেইমানদের আগামী দিনে বুঝিয়ে দেব।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামের গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বিক্রি করতিস রে, আলু বিক্রি করতিস।

নভেম্বর ২০, ২০২০
রাজনীতি

খুনের রাজনীতি বন্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবেঃ বাবুল

ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। শুক্রবার বাবুল সুপ্রিয় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন , হিংস্র সরকারকে থামানোর পথ কিন্তু সংবিধানে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ভাবেন, ভয় দেখিয়ে মানুষকে ভোট দিতে যেতে দেবেন না, বিরোধীদের ওপর আক্রমণ করবেন, তা হলে সংবিধানে এসব থামানোর ব্যবস্থা আছে। আগামী ছমাসে নিজেকে শুধরে নিন মমতা। এভাবে হিংসার রাজনীতি কিন্তু চলবে না। আমরা এই নিয়ে বারবার রাস্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছি। হিংসার রাজনীতি, খুনের রাজনীতি কিন্তু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনমতা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলার মানুষ আমাদের পাশে রয়েছে। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও ক্ষমতায় আসেন তবে ধরে নিতে হবে তা পুলিশ, প্রশাসনের উপর প্রভাব খাটিয়েই হয়েছে। আমরা আশাবাদী কমপক্ষে ২০০ আসন পেয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসব। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসলে রাজ্যবাসী সবকিছুই পাবে। আরও পড়ুন ঃ বিজেপি বিস্ফো্রণের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছেঃ ফিরহাদ যদিও সাংসদ সৌগত রায় পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, বাবুল গানবাজনা নিয়ে থাকতেন। তাই তিনি রাজনীতির কিছুই বোঝেন না। এসব কথা বলে তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না।

নভেম্বর ২০, ২০২০
কলকাতা

বহিরাগতদের নিয়ে এসে রাজ্যে শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছেঃ সুখেন্দুশেখর রায়

লোকসভা নির্বাচনে ১৮ আসনে পেয়ে ভাবছেন বাজিমাত। ৷ ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন পাওয়ায় বিধানসভা নির্বাচনেও আসন পাওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখছে বিজেপি। লোকসভা-বিধানসভা নির্বাচনের তুলনা হাস্যকর। বাংলা কারও কাছে মাথানত করে না, করবে না। বাংলার মানুষ গুজরাত মডেল চান না। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এই ভাষাতেই বিজেপি-কে পালটা জবাব দেন তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায়। শুধু তাই নয়, তাঁর আরও অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে এসে রাজ্যে শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। আরও পড়ুন ঃ নেতাজির জন্মজয়ন্তীকে জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার তৃণমূল নেতা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আজ অবধি জনগণের সমর্থন নিয়েই সরকার তৈরি করেছে তৃণমূল। সেই সময় সবচেয়ে পিছিয়ে ছিল বাংলা। মাথায় ছিল ঋণের বোঝা। জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়েছে তৃণমূল। বাংলাকে ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও, জ্বালিয়ে দাও এটা আগে ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এসে তা বন্ধ করেছে। কিন্তু আবার শুরু হয়েছে। কেবল রাজনৈতিক দলটা বদলে গিয়েছে। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের বাংলাকে গুজরাত বানাব মন্তব্যেরও তীব্র নিন্দা করেন সুখেন্দু শেখর। তাঁর দাবি, বাংলায় না কি গুজরাট মডেল চালু হবে। এদিকে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে গুজরাটের থেকে এগিয়ে বাংলাই। এমনকী ১০০ দিনের কাজেও এগিয়ে এই রাজ্য। কৃষিক্ষেত্রে তৃণমূল সরকার ৬৫ শতাংশ বাজেট বৃদ্ধি হয়েছে, গুজরাতে ৪ শতাংশ। মানবাধিকার লঙ্ঘনে গুজরাতে নজির সৃষ্টি হয়েছে। বাংলা কারও কাছে মাথা নথ করে না। বাংলাকে গুজরাত বানাতে দেবে না বাংলার মানুষ। রাজ্যের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। বহিরাগতদের দিয়ে এই কাজ চলছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে বিজেপি সাংসদকে প্রবেশে বাধা , সমালোচনায় ধনকড়

শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে বিজেপি সাংসদকে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ফের রাজ্য সরকার ও পুলিশ -প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হলেন জগদীপ ধনকড়। মঙ্গলবার সকালে বেশ কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করে রাজ্যপাল লেখেন , একদিকে এই অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানো হচ্ছে শাসকদলের সাংসদকে। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে রাজ্যের পুলিশ। রাজনৈতিক নেতাদের মতো আচরণ করছে। এই ঘটনা রাজ্য পুলিশের কর্তাদের কর্তব্যচ্যুতি। সাংসদকে বাধা দেওয়ার পিছনে কোনও কারণ নেই বলেই দাবি করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ রেণুকা মাড্ডির কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিলেন অধীর উল্লেখ্য , শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে শাসক দলের বিধায়ক - সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সেখানে প্রবেশ করতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন রাজ্যপালের টুইট।

নভেম্বর ১৭, ২০২০
রাজনীতি

নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে স্মরণ করে টুইট মমতা , অভিষেকের

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বুধবার নন্দীগ্রাম দিবস পালন করা হচ্ছে। তার আগে টুইট করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন টুইটে লেখেন , আজ নন্দীগ্রাম দিবস। নতুন সূর্যোদয়ের নামে মানুষের উপর বর্বরোচিত আক্রমণের ১৩ বছর পূর্তি। রাজনৈতিক হিংসায় সারা বিশ্বে প্রাণ হারানো প্রতিটি মানুষের প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ রইল। দিনের শেষে শান্তির জয় হব। এই আশা রাখি। আরও পড়ুন ঃ রাজনীতির মঞ্চে দেখা হবেঃ শুভেন্দু অন্যদিকে , তৃণমূল যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বামেদের আক্রমণ করে লিখেছেন , সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর হাতে নিহত শহিদদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। শহিদের রক্ত হবে নাকো ব্যর্থ।

নভেম্বর ১০, ২০২০
রাজ্য

বিভিষণ হাঁসদার মেয়ের চিকিৎসায় সবরকম সাহায্যের আশ্বাস বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের

বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামের বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপর থেকে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। শনিবারই ্তৃ্ণমূলের এক জেলা পরিষদ সদস্যা বিভিষণ হাঁসদার বাড়িতে গিয়ে আর্থি্ক সাহায্য করেছিলেন। সেই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিভীষণ হাঁসদার পরিবারের কাছে সাহায্যের ডালি নিয়ে হাজির হলেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ চিকিৎসক সুভাষ সরকার। রবিবার তিনি বিভীষণবাবুর মেয়ের চিকিৎসার কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজনে এইমসে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হবে ওই ছাত্রীর। বিজেপির এই সহযোগিতায় আপ্লুত বিভীষণ হাঁসদা। তিনি বলেন , আমি রাজনীতি করি না। কোনওদিন রাজনীতি করিনি। আজ সুভাষবাবু সরকার আসায় মনে হচ্ছে মেয়েটা ফের সুস্থ হয়ে যাবে।বিভীষণবাবুর একটাই আবেদন, তাঁকে নিয়ে যেন রাজনীতি না করা হয়। আরও পড়ুন ঃ বেশি বাড়াবাড়ি করলে শ্মশানে পাঠিয়ে দেব , হুঁশিয়ারি দিলীপের জানা গিয়েছে , বিভীষণ হাঁসদার মেয়ে রচনা দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। দীর্ঘদিন ধরেই ডায়বেটিস ইনসিপিডাসে আক্রান্ত সে। ২ বছর ধরে চলছে চিকিৎসা। নিয়মিত নিতে হয় ইনসুলিন। ফলে মাসে মেয়ের চিকিৎসার জন্যই বিভীষণের খরচ হয় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। যা জোগাতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে যাবে জানার পরই তাই বিভীষণ স্থির করেছিলেন, অমিত শাহের কাছে মেয়ের চিকিৎসার জন্য সরকারি সাহায্যের আরজি জানাবেন। ঘটনাচক্রে সেই মুহূর্তে মনের কথা শাহের কাছে প্রকাশ করতে পারেননি বিভীষণ। যদিও পরবর্তীতে তা জানতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানান, ওই পড়ুয়ার খরচ নেবে বিজেপি। এরপরই রবিবার সকালে বিভীষণ হাঁসদার বাড়ি যান সুভাষ সরকার।

নভেম্বর ০৮, ২০২০
রাজ্য

বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীদের উপর হামলা , অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

ফের বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হালিশহর মহাশ্মশানে। এই ঘটনায় বিজেপি যুব মোর্চার দুজন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ , হালিশহর শ্মশানে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ দাহ করতে এসে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে এই দুই বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হন। আহত বিজেপি কর্মীদের নাম শান্তনু গাঙ্গুলি ও সুকান্ত গাঙ্গুলি। শ্মশানে তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। আহত হয়ে দুজনই আপাতত কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার গভীর রাতে এক বন্ধুর বাবার শেষকৃত্যের জন্য শ্মশানে গিয়েছিলেন সুকান্ত ও শান্তনু। আরও পড়ুন ঃ দলের মহিলা কর্মীকে কুপ্রস্তাব, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর অভিযোগ, সেখানেই তাঁদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাতে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনীর প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন আমাদের উপর আচমকা চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। আমরা বিজেপি যুব মোর্চার সদস্য, সেটাই আমাদের অপরাধ।এদিকে এই ঘটনায় শনিবার দুপুরে নদীয়ার কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে জখম বিজেপি কর্মীদের দেখতে যান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং । তিনি বলেন, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে । জনসমর্থন নেই। তাই আমাদের নিরীহ কর্মীদের উপর হামলা করছে। তৃণমূলের সরকার আর বেশিদিন নেই। এভাবে মারধর করে বিজেপির জয় আটকাতে পারবে না। পুলিশকে বলে লাভ হবে না। বাঁচতে গেলে আমাদের পালটা দিতে হবে। তৃণমূলের তরফ থেকে অবশ্য বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

নভেম্বর ০৭, ২০২০
রাজ্য

রাষ্ট্রদ্রোহীদের হাত ধরে পাহাড়ে উঠতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ দিলীপ

রাজ্যের রাজ্যপালের পাহাড় সফর নিয়ে যাঁরা বিরোধিতা করছেন তাদের পাহাড়ে ওঠার হিম্মত নেই। তাই তাঁরা রাজ্যপালকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে সমালোচনা করছেন। মঙ্গলবার সকালে বিষ্ণুপুর রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্যপালের স্বপক্ষে এই মন্তব্য করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও বলেন , রাজ্যপালের পাহাড় সফর যুক্তি সম্মত। রাজ্যপালের পাহাড়ে যাওয়াতে পাহাড়ের মানুষ সাহস পাবে, উৎসাহিত হবে। একজন রাজ্যপাল তার দায়িত্ব কর্তব্যকে বজায় রেখে কাজ করছেন। আরও পড়ুন ঃ বিমল গুরং আইনের ঊর্ধ্বে নয়ঃ বিনয় উল্লেখ্য , পাহাড় ইস্যুতে বুধবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে বিনয় তামাংয়ের। এই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন , যাঁরা রাষ্ট্রদ্রোহী যাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ রয়েছে তাদের হাত ধরে মমতা ব্যানার্জী পাহাড়ে উঠতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাই করুক পাহাড়ে তৃণমুলের ঝান্ডা উড়বে না। এদিনের এই কর্মসূচিতে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

নভেম্বর ০৩, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal