এক সময় অ্যাশেজ সিরিজে মানেই টানটান উত্তেজনা। দুশেই দেশের ক্রিকেটাররা মুখিয়ে থাকতেন অ্যাশেজ সিরিজ খেলার জন্য। সমর্থকরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকতেন। অ্যাশেজের সেই আগের মতো কৌলিন্য আর নেই। আর কৌলিন্য হারানোর মূলে ইংল্যান্ড। এত জঘন্য ইংল্যান্ড দল আগে কখনও অ্যাশেজে খেলেছে কিনা বলা কঠিন। নূন্যতম প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো দক্ষ ব্যাটার নেই! ফল যা হওয়ার তাই–ই হল। টানা ৩ টেস্ট জিতে অ্যাশেজ সিরিজ পকেটে ভরে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় টেস্ট শেষ হতে সময় লাগল মাত্র ২দিন ও ১ ঘন্টা।
তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জিতল এক ইনিংস ও ১৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড গুটিয়ে গেল মাত্র ৬৮ রানে। ইংল্যান্ডক ভাঙলেন স্কট বোল্যান্ড। অভিষেক টেস্টেই চমক দেখালেন অস্ট্রেলিয়ার এই উঠতি জোরে বোলার। ৬ উইকেট দখল করে অভিষেক টেস্টে ম্যাচের সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়ে ইতিহাস গড়লেন বোল্যান্ড।
মেলবোর্নে এই টেস্টে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তাঁর ও মিচেল স্টার্কের দাপটে প্রথম ইনিংসে ১৮৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। কামিন্স ও স্টার্ককে যোগ্য সহায়তা করেছিলেন নাথান লায়ন। ইংল্যান্ডের ১৮৫ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে তোলে ২৬৭। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মার্কাস হ্যারিস। তিনি করেন ৭৬। ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন।
ইনিংস পরাজয় এড়াতে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৮৩। দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান চল ১২ ওভারে ৪ উইকেটে ৩১। তৃতীয় দিন সকালে ১ ঘন্টার মধ্যে ইংল্যান্ড বাকি ৬ উইকেট হারায় মাত্র ১৫.৪ ওভারে। দ্বিতীয় ইনিংসে স্কট বোল্যান্ডের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। ২৭.৪ ওভারে মাত্র ৬৮ রানে গুটিয়ে যায়। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১ মেডেন নিয়ে ৭ রানে ৬ উইকেট তুলে নেন বোল্যান্ড। নিজের ২১ বলে ৬ উইকেট পান। প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট পেয়েছিলেন বোল্যান্ড। ম্যাচে ৭ উইকেট। ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট ও বেন স্টোকস ছাড়া কারও রান দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছায়নি। রুট ২৮ ও স্টোকস ১১ রান করেন। মাত্র ২২ রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। শেষ ৬ উইকেট পড়ে মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে। অ্যাশেজে ১৯৩৬ সালের পর এটাই ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন স্কোর।
- More Stories On :
- Ashes Series
- Australia
- England
- Scott Boland