এখন অনেকেই নিয়মিত অনলাইনে কেনাকাটা করেন। জামাকাপড় থেকে খাবার অনলাইনে অর্ডার করা ও দাম মেটানোয় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন বহু মানুষ। এখন কার্ডের মাধ্যমে কোনও সংস্থাকে টাকা মেটাতে সব সময়ে ১৬ সংখ্যার নম্বর দিতে হয় না। সেই সঙ্গে দিতে হয় কার্ডের এক্সপায়ারি ডেট এবং সিভিভি। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট থেকে জোম্যাটো, সুইগি নিয়মিত ক্রেতাদের কার্ডের বিবরণ নিজেদের ব্যবস্থায় সংরক্ষিত রাখে। কিন্তু এই ব্যবস্থা আর থাকবে না। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কোনও সংস্থাই কোনও গ্রাহকের কার্ডের বিবরণ নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করতে পারবে না। ইতিমধ্যেই এইচডিএফসি-সহ বিভিন্ন ব্যাংক গ্রাহকদের এই ব্যাপারে নির্দেশ পাঠাতে শুরু করেছে। তাতে বলা হয়েছে ১ জানুয়ারি থেকে ‘টোকেনাইজেশন’ পদ্ধতিতে লেনদেন হবে।
এই নতুন পদ্ধতিতেও গ্রাহককে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের ১৬ অঙ্কের সংখ্যা মনে রাখতে হবে না। কেনাকাটার সময়ে কার্ডের নম্বর থেকে সিভিভি বা কার্ডের এক্সপায়ারি ডেটের তথ্য দিতে হবে না। তার বদলে একটি টোকেন নম্বর দিতে হবে। তাতেই টাকা মেটানো যাবে। নতুন এই নিয়মে কোনও গ্রাহকের কার্ডের বিবরণ কোনও মার্চেন্ট সাইটে সংরক্ষণ করা হবে না। ফলে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ভয়ও থাকবে না। মার্চেন্ট এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলি সাধারণত নিজের গ্রাহকদের কার্ডের বিস্তারিত বিবরণ সংরক্ষণ করতে বলে, যাতে কেনাকাটায় গতি আনা যায়। কিন্তু এতে তথ্য চুরির ঝুঁকি থেকেই যায়। এখন রিজার্ভ ব্যাংক নির্দেশিত কার্ডের টোকেনাইজেশনের প্রযুক্তি অবলম্বন করলে সেই ঝুঁকিটাই এড়ানো যেতে পারে।
- More Stories On :
- Debit Card
- Credit Card
- Reserve Bank
- New Rule
- Tokenisation