করোনা-র করাল থাবা থেকে সুরক্ষিত থাকতে প্রয়োজন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শুধু মাত্র করোনা নয়, যে কোনও দূরারোগ্য বা ক্রনিক ব্যাধির সঙ্গে জুঝতে গেলে আপনার ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়াতেই হবে। আর সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বাড়াতে গেলে লেবু-র গুনাগুন আস্বীকার করতে পারবেন না। অন্য অনেক কিছুকে পিছনে ফেলে পাতি/কাগজি লেবু কেন এগিয়ে জেনে নিন এক নজরেঃ প্রথমত লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-সি। করোনার-কালে চিকিৎসকরা ভিটামিন-সি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বারংবার। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের শরীরে ভিটামিন সি প্রয়োজন প্রতিদিনে ৬৫ থেকে ৯০ মিলিগ্রাম। একমাত্র লেবুই এই চাহিদা চটজলদি পূরণ করতে পারে। এছাড়াও লেবু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে ও স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা কমাতে সহায্য করে৷

নিয়মিত লেবুর রস পান করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। হজম শক্তিকে বাড়াতে লেবু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সকলেরই জানা শরীরে হজমের সমস্যা হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে।

আমাদের দৈন্যন্দিন জীবনের সবচেয়ে বড় সমস্যা অনিয়মিত মলত্যাগ। বিভিন্ন বয়সীদের মধ্যেই এই লক্ষণ দেখা যায়। আর এই অনিয়মিত মলত্যাগ থেকেই শরীরে কোষ্ঠকাটিন্য-র সমস্যা আসে। নিয়মিত লেবুর রস পান করলে এই কোষ্ঠকাটিন্য-র সমস্যাকে রোখা যায়।

মানব দেহের অত্যন্ত কার্যকারী উপাদান হল 'অ্যান্টি অক্সিডেন্ট'। এই 'অ্যান্টি অক্সিডেন্ট'আমাদের শরীরের কোষকে বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। লেবু ভিটামিন সি এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের একটি চমৎকার উৎস, ওয়ি ফ্ল্যাভোনয়েড কেই আমরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বলে থাকি। লেবু, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুক্ত মৌলগুলি যেগুলি শরীরে থেকে বিভিন্ন কোষের ক্ষতি করতে পারে তাদের বিনষ্ট করতে সাহায্য করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ করতে এবং শরীর-স্বাস্থ্য-র সুস্থতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

শরীরে জলের প্রয়োজনের ঘাটতি মেটাতেও লেবু'র বিরাট ভুমিকা৷ একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার শরীরে প্রতিদিন প্রয়োজন ২.৭ লিটার জল এবং একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের শরীরে ৩.৭ লিটার জল প্রয়োজন। আনেক সময়ই আমাদের ওই পরিমান জল খাওয়া সম্ভব হয় না। লেবুর রস এই জলের ঘাটতি মেটাতে অনেকটাই সাহায্য করে।

যাঁরা ওবেসিটি / অতিরিক্ত মেদের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা দৈনিক লেবুর রস পান করলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পেতে পারেন। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝড়াতে লেবু ভীষণ সাহায্য করে। প্রতিদিন একটা করে লেবুর রস খেতে পারলে ফলে ওজন বাড়ে না। শরীরে বয়সের ছাপ নজরে আসবে না। ফলে আপনার যৌবন ধরা থাকবে অনেক দিন।