দিল্লির বুক কাঁপিয়ে দিয়েছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। লালকেল্লার কাছেই বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে নয় জনের। ঘটনার পরই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে সীমান্ত পেরনোর সময় সন্দেহভাজন গাড়িটির ভিতরে এক ব্যক্তির হাত ও অস্পষ্ট মুখ। তদন্তকারীদের মতে, সেই ব্যক্তিই সম্ভবত পুলওয়ামার চিকিৎসক মহম্মদ উমর— যিনি ফরিদাবাদের বিস্ফোরণ চক্রের মূল হোতা হিসেবে পরিচিত।
তদন্তে প্রকাশ, ফরিদাবাদের ঘটনায় সহযোগী চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিলের গ্রেফতারির পর থেকেই উমর ছিলেন আতঙ্কে। সেই থেকেই নাকি আত্মঘাতী হামলার ছক কষতে শুরু করেন তিনি। উমরই বিস্ফোরক বোঝাই হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে আশঙ্কা পুলিশের। ওই গাড়ির মালিক মহম্মদ সলমনকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। তাঁর দাবি, দেড় বছর আগেই গাড়িটি বিক্রি করে দেন তিনি। তারপর আরও দুইবার হাতবদল হয়ে গাড়িটি পৌঁছয় পুলওয়ামার তারিক নামে এক ব্যক্তির কাছে। তাকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারীদের বক্তব্য, দিল্লির বিস্ফোরণ ও ফরিদাবাদের বিস্ফোরক উদ্ধারের মধ্যে অদ্ভুত মিল রয়েছে। দু’টি ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়েছে একই মডেলের আইইডি ডিভাইস। সুতরাং এই দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এখন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা উমরের ফোন রেকর্ড, ব্যাংক ট্রানজ্যাকশন ও পেশেন্ট ডেটা খতিয়ে দেখছে।
সূত্রের দাবি, উমরের মোবাইল থেকে পাকিস্তানের বালাকোটে এক সন্দেহভাজন নম্বরে বারবার যোগাযোগের চিহ্ন মিলেছে। এই মুহূর্তে দিল্লি, কাশ্মীর ও ফরিদাবাদ পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। বিস্ফোরণ পরবর্তী এই গোটা রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে প্রতি ঘণ্টা।
- More Stories On :
- Delhi blast
- Kashmir
- Doctor
- Pakistan

